![Image](https://cdn.channel23.news/images/a249811b5140f7446def0267b185865f.jpeg)
মুসলমান জাতির ধর্মের নাম ইসলাম।ইসলাম মানবজাতির একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।বিশ্বজগতের সৃষ্টি, ধ্বংস,ইহকাল-পরকালের সব প্রয়োজনীয় বিষয়ে সুন্দরভাবে ইসলামে বর্ণনা করা হয়েছে। মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই,যা ইসলামে আলোচনা করা হয়নি। ইসলাম একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা।ব্যাবহারিক অর্থে আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স.)-এর আনুগত্য স্বীকার করার নাম ইসলাম। ইসলাম শব্দটি সিলমুন মূল ধাতু থেকে নির্গত। সিলমুন অর্থ শান্তি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে সাওম বা রমজান। সাওম আরবি শব্দ, এর বহুবচন সিয়াম—ফারসি প্রতিশব্দ রোজা। রোজার আভিধানিক অর্থ, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা, আত্মসংযম এবং কঠোর সাধনা করা ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সঙ্গে যাবতীয় পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার নাম সাওম বা রোজা। অন্য অর্থে—‘রমদ, ধাতুর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, দহন, প্রজ্বলন, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে-ভস্ম করে ফেলা’। রমজানে মানুষের যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি, নফসের দাসত্ব, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর রোজা ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সাওম আমার জন্য, আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব (বুখারি)। মহানবি (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে রোজা রাখে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন (বুখারি)। আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাসের নাম রমজান। এ মাসে মুমিন- মুসলমানগণ গুনাহ মাফ করে, মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সব পাপকর্ম থেকে বিরত থাকেন। রোজা মানুষের দৈহিক-মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ। ইসলামে রোজা পালনের বিধান এসেছে নামাজের পর দ্বিতীয় হিজরির ১০ শাবান মদিনায়। রমজানের রোজায় মুমিন বেশি করে নামাজ আদায় করে চরিত্র গঠনে এক সুবর্ণ সুযোগ। একমাত্র রোজা সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে মুমিন মুত্তাকি হতে পারেন।