Logo
আজঃ সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

রোজা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ঢালস্বরূপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ২১৫জন দেখেছেন

Image

মুসলমান জাতির ধর্মের নাম ইসলাম।ইসলাম মানবজাতির একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা।বিশ্বজগতের সৃষ্টি, ধ্বংস,ইহকাল-পরকালের সব প্রয়োজনীয় বিষয়ে সুন্দরভাবে ইসলামে বর্ণনা করা হয়েছে। মানবজীবনের এমন কোনো দিক নেই,যা ইসলামে আলোচনা করা হয়নি। ইসলাম একটি আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা।ব্যাবহারিক অর্থে আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স.)-এর আনুগত্য স্বীকার করার নাম ইসলাম। ইসলাম শব্দটি সিলমুন মূল ধাতু থেকে নির্গত। সিলমুন অর্থ শান্তি। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে সাওম বা রমজান। সাওম আরবি শব্দ, এর বহুবচন সিয়াম—ফারসি প্রতিশব্দ রোজা। রোজার আভিধানিক অর্থ, পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা, আত্মসংযম এবং কঠোর সাধনা করা ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিয়তের সঙ্গে যাবতীয় পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকার নাম সাওম বা রোজা। অন্য অর্থে—‘রমদ, ধাতুর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, দহন, প্রজ্বলন, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে-ভস্ম করে ফেলা’। রমজানে মানুষের যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি, নফসের দাসত্ব, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।  প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর রোজা ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সাওম আমার জন্য, আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব (বুখারি)। মহানবি (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসে রোজা রাখে, আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন (বুখারি)। আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাসের নাম রমজান। এ মাসে মুমিন- মুসলমানগণ গুনাহ মাফ করে, মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় সব পাপকর্ম থেকে বিরত থাকেন। রোজা মানুষের দৈহিক-মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ। ইসলামে রোজা পালনের বিধান এসেছে নামাজের পর দ্বিতীয় হিজরির ১০ শাবান মদিনায়। রমজানের রোজায় মুমিন বেশি করে নামাজ আদায় করে চরিত্র গঠনে এক সুবর্ণ সুযোগ। একমাত্র রোজা সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে মুমিন মুত্তাকি হতে পারেন। 

এ মাসে মুমিনের নেক কাজের প্রতিযোগিতা দেখে মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে গৌরব প্রকাশ করেন। রমজান মাসে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কুরআন তেলাওয়াত এবং মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.)দুরুদ পাঠ, নফল নামাজসহ ইবাদত বন্দগি করে থাকেন। রমজানের এক মাসের রোজা ১০ মাসের সমতুল্য। রোজার পানাহারের সঙ্গে চোখ-মুখ, হাত-পা-কানসহ শরীরের সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে পাপকাজ থেকে বিরত রেখে ভালো কাজে মগ্ন থাকার বড় এক সুযোগ। মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) বলেন, সাওম বা রোজা মুমিনের ‘জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের ঢালস্বরূপ’ (বুখারি ও মুসলিম)। রোজা লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ-ক্ষোভ, অত্যাচার থেকে বিরত এবং স্রষ্টার সৃষ্টির প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে রমজানই শিক্ষা দেয়। রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমত, পরের ১০ দিন বরকত এবং শেষ ১০ দিন নাজাত। শেষের ১০ দিন ইতেকাফ করতে হয়। রমজান মাসে লাইলাতুল কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। ইতেকাফের ফজিলত সম্পর্কে, মহানবি হজরত মুহাম্মদ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে, সে ব্যক্তি দুটি হজ ও দুটি ওমরাহ হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।রমজান মাসে এক রাকায়াত নফল নামাজ আদায় করলে সত্তর রাকায়াতের নেকি পাওয়া যায়।রমজানের শেষ দশকে সুবে কদরের রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কোরআন নাজিল করেন। রোজার ধর্মীয় গুরুত্বের সঙ্গে সামাজিক ও মানবিক অনেক গুরুত্ব জড়িত। মুসলিম বিশ্বে রমজান মাসে আলাদা এক আমেজ সৃষ্টি হয়। মুসলমান রাষ্ট্রগুলোতে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বাসাবাড়িতে পানাহার বন্ধ থাকে। অন্যসব ধর্মের লোকেরা রমজান মাসে রোজাকে শ্রদ্ধা করে কারো সামনে পানাহার করেন না বরং তারা সতর্কভাবে চলাফেরা করেন। হারাম কাজ করা, হারাম খাওয়া, গিবত গাওয়া, পরনিন্দাসহ সব মন্দকাজ পরিত্যাগ করার শিক্ষা দেয় রমজান। সৃষ্টির প্রতি দয়া, সহানুভূতিশীল আচরণ, সদাচার, দানশীলতা ও সৃষ্টির কল্যাণে রমজান। রমজানের একটি ফরজ আদায় করলে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজের সমান সওয়াব লাভ করা যায়।রমজানের সবচেয়ে উত্তম কাজ হলো, অনাহারি প্রতিবেশীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া।একজন রোজাদারকে ইফতার করালে মহান আল্লাহ, যিনি ইফতার করালেন, তাকে হাউজে কাউসারের পানি পান করাবেন। সিয়াম সাধনায় সংযমের পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ মুমিনের দেহ ও মনের পবিত্রতা অর্জন করে দেয়। ইমাম হজরত গাজ্জালি (র.) বলেন, ‘ দৈহিক কৃচ্ছ্র ও সংযমের সঙ্গে যখন অন্তরের সাধনা যুক্ত হয়, তখন আদর্শ সংযমের চেতনা শ্রেষ্ঠতার প্রতিফলিত হয়, রমজানের সিয়াম সাধনায়।’

মাহে রমজানের সিয়াম সমষ্টিগত আন্তর্জাতিক ইবাদত। রমজান মাসে দুই-তিন দিন সময়ের ব্যবধান থাকলেও সারা বিশ্বব্যাপী একই সঙ্গে পালিত হয় রমজান। সামাজিক বন্ধন, সম্প্রতি-ভ্রাতৃত্ববোধ ও বিশ্বে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে রোজা গুরুত্বপূর্ণ এক নিয়ামত। মুসলিম বিশ্বে পুরো মাসটি যেন রহমতের ফুলধারায় অভিষিক্ত হয়ে ওঠে। রোজায় বিশ্বের বড় বড় ধনী ব্যক্তি, রাজা-বাদশাহ-আমির একসঙ্গে ইফতার, সেহরি, তারাবি, জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। এমন সাম্যের ছবি ভেসে উঠে সমগ্র দুনিয়ায়। তা দেখে অন্য ধর্মের লোকেরাও উত্সাহিত হয়ে ইসলামের আনুগত্য স্বীকার করেন। এ মহাবিশ্বটি চির সত্যের ওপর দণ্ডায়মান। সত্য ও বিশ্বাসের মধ্যে মানুষ তার মনুষ্যত্বকে অর্জন করে। মিথ্যা ও অসত্যকে বিতাড়িত করে, সত্য চিরদিন মাথা উঁচু করে থাকার স্বীকৃতি দেয় রমজান। এক মাস রোজা পালনে ১১ মাস সৎ আমলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে মুসলমান।

মুসলিম বিশ্বে রমজানের আগেই জিনিস পত্রের দাম স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখার ব্যবস্থা করে বিভিন্ন দেশ। আমাদের দেশের ঘটনা বিপরীত। কিছু নামধারী মুসলমান খাই খাই, নাই নাই বলে চিৎকার করেন। তারা রমজান মাসে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি ও ওজনে কম দিয়ে মুনাফা অর্জন করে।  অবৈধ টাকার মালিকরা একসঙ্গে বাজার থেকে সবকিছু কিনে নিয়ে মজুত করে রাখেন। সাধারণ মানুষ এমন ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, চোরাকারবারির জন্য বাজারে ঢুকতেই পারেন না। দুর্নীতিবাজরা একসঙ্গে বাজারের সব মাছ-মাংস, তেলসহ নিত্যপণ্য কিনে বাজারে আগুন লাগায়। তারা জানে, রমজান লোক দেখানো ইবাদত নয়, কিন্তু মানে না অহংকারের কারণে। গত বছর নিজে একজন ধর্মভীরু লেবাসের লোক দেখে বিশ্বাস করে তার কাছ থেকে এক কেজি মাংস কিনে অন্য দোকানে গিয়ে ওজন করে ৭০০ গ্রাম  পেয়েছিলাম। আমার নিজের লজ্জা হলেও বিক্রেতা লজ্জিত হননি। অথচ তিনি সব সময় নামাজে গিয়ে সামনের কাতারে দাঁড়ান।  দেশে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ওজনে কম দেওয়ার অভ্যাস রীতিমতো নীতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ ইসলাম তা কোনোমতেই সমর্থন করে না। এ ধরনের বর্ণচোরা বকধার্মিক ব্যক্তিরা রমজানের রোজা রেখে মুত্তাকি হওয়ার সুযোগ ইসলামে নেই। সত্যবাদিতা শুধু মুখে বলা নয়। জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য—ইসলাম তা শিক্ষা দেয়। সত্য থেকে বিচ্যুতি হলে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ও মহৎ গুণাবলির তিরোধান ঘটে। এতে দেশে অশান্তির সৃষ্টি হয়, লোভে পাপ, পাপে বিবেকের বিলুপ্তি ঘটে। একমাত্র খোদাভীতিই মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দেখায়। কোনো মুসলমান যেন, পবিত্র রমজান মাসে বিবেক বিক্রি করে নিজের স্বার্থের জন্য রোজাদারদের কষ্ট না দেয়, রমজান তা সতর্ক করে দিয়েছে। কারণ রমজান মাসে সব মহত্ কাজ স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।


আরও খবর



স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি’

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

বিএনপি এখন নতুন করে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি সংগঠন গোছানোর জন্য মনোযোগী হচ্ছে। আর এই মনোযোগের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে স্থায়ী কমিটি।

বিএনপির তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, স্থায়ী কমিটি যদি অকার্যকর হয়, তাহলে কোন আন্দোলনই গড়ে তোলা সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ এখন খালি আছে। আর স্থায়ী কমিটিতে দায়িত্ব পালন করা একাধিক নেতা অসুস্থ। ফলে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই কমিটি এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

দলের হাতে গোনা ৩-৪ জন নেতা ছাড়া কেউই কার্যকর নয়। এই অবস্থায় স্থায়ী কমিটিকে আরও সক্রিয় এবং সচল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত দুদিন ধরে লন্ডনে পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ধারাবাহিকভাবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এবং সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। এই বৈঠকের প্রধান এজেন্ডা হল স্থায়ী কমিটির শূন্যপদ পূরণ।

বৃহষ্পতিবার এবং শুক্রবার তিনি দলের সাধারণ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন। আর এই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে কাদেরকে আনা যায় এ ব্যাপারে তাদের মতামত চেয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, তারেক জিয়া তার নিজস্ব মতামত দেননি, তিনি শুধুমাত্র তাদের অভিমত জানতে চেয়েছেন।তবে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, স্থায়ী কমিটিতে নতুন কাদেরকে নিয়োগ দেওয়া যায়, এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের মতামত জানতে চেয়েছেন। তারা এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত ক্ষমতা তারেক জিয়ার হাতেই ন্যস্ত করেছেন।

তবে কোন কোন বিষয়গুলো স্থায়ী কমিটির সদস্যপদের জন্য বিবেচনা করা উচিত, এ ব্যাপারে তারা তাদের মতামত দিয়েছেন বলেও জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন, দলে যারা সক্রিয়, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যাদেরকে পাওয়া যায়, তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে আনাটা প্রয়োজন। এর ফলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কর্মীদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং যারা ডিগবাজি খাবে না, আদর্শের প্রতি অটল- তাদেরকে স্থায়ী কমিটিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অন্যদিকে মির্জা আব্বাস বলেছেন, যে সমস্ত নেতারা গত ১৭ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদেরকে সামনে আনাটা জরুরি। তবে স্থায়ী কমিটির সদস্য কারা হতে পারেন এ ব্যাপারে কোন নাম, বিএনপির কোন নেতাই বলেননি।

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলো যদি পূরণ করা হয়, তাহলে হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি আছেন যারা স্থায়ী কমিটিতে আসতে পারেন।

দলের সাধারণ কর্মীদের পছন্দ রুহুল কবির রিজভী। তিনি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ভিতরে তার জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। কিন্তু তিনি তারেক জিয়ার পছন্দের ব্যক্তি নন বলেই সকলে জানে। আর এ কারণেই স্থায়ী কমিটিতে তার ঢোকাটা নিশ্চিত নয়।

কোন কোন মহল মনে করছেন যে, আমানউল্লাহ আমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেলের মতো লড়াকু নেতৃবৃন্দদেরকে স্থায়ী কমিটিতে নিয়ে আসা দরকার। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, স্থায়ী কমিটিতে আনতে গেলে রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ এবং প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের দরকার।

সবকিছু মিলিয়ে স্থায়ী কমিটিতে কারা আসবেন, না আসবেন তা নির্ভর করছে তারেক জিয়ার সিদ্ধান্তের উপর। খুব শীঘ্রই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হতে পারে বলে দলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


আরও খবর



খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১৪৯জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কালো টাকা সাদা করেছেন সাইফুর রহমান (সাবেক অর্থমন্ত্রী)। বেগম খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন। সাইফুর রহমান - তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন, তার কথা বলতে চাই না, তারাও কি তাহলে দুর্বৃত্ত? এবারের কাজেট করা হয়েছে রাঘোব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য।রোববার (৯ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন।দুর্নীতি করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কাউকে ছাড় দেয় না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তারাও ছাড় পাবেন না।

আজিজ-বেনজীররা আওয়ামী লীগের কেউ না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি করে কেউ কোনো ছাড় পাবে না। আজিজ-বেনজীর আওয়ামী লীগের কেউ না। তারা দুর্নীতি করেছে। তাদের দায়মুক্তি দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আওয়ামী লীগকে পালানোর হুমকি দিয়ে বিএনপি নিজেরাই পালিয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর লাশের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিল বিএনপি। সেজন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে। বিএনপি যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন হাসি পায়। বিএনপি আওয়ামী লীগকে হুমকি দিয়ে নিজেরাই পল্টন থেকে পালিয়ে যায়। বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ডিবি অফিসে কোরাল মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে কোথায় যে চলে গেলেন।চালু করা হচ্ছে না।


আরও খবর



ঈদে আজহা আসছে ‘জমজমাট পাঁচফোড়ন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

23 বিনোদন ডেস্ক

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের বিশেষ পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে নন্দিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন।

অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পাঁচফোড়নের প্রতিটি আইটেম নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। গত প্রায় দুই যুগ ধরে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়ে আসছে।

ঈদ ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন আলাপন নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকের উপস্থাপনায় সাজানো হয়েছে ঈদের বিশেষ এই পাঁচফোড়ন। তাদের বিভিন্ন আলাপনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোর্টিং।

পাঁচফোড়নের প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনার ঢং ভিন্নরকম যেখানে নির্দিষ্ট কোনো উপস্থাপক থাকে না। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা আবদুন নূর সজল ও সারিকা সাবরিন।

এবারের পাঁচফোড়নে গান থাকছে ৩টি। তিনটিই মিষ্টি প্রেমের গান এবং গেয়েছেন এ প্রজন্মের ক’জন প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী। একটি গেয়েছেন আধুনিক, দেশাত্মবোধক বা ফোক সব ধরনের গানেই সমান পারদর্শী কণ্ঠশিল্পী রাজিব।

গানটির কথা লিখেছেন লুৎফর হাসান, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানটিতে তার সঙ্গে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন মডেল মোনালিসা দীপা। উত্তরা ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে গানটি ধারণ করা হয়। আর একটি গান গেয়েছেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা সানিয়া সুলতানা লিজা। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুরও করেছেন গীতিকবি কবির বকুল।

এই গানটিও ব্যতিক্রমী লোকেশনে ধারণ করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন বিরতির পর লিজা পাঁচফোড়নের মাধ্যমে আবারও পর্দায় এলেন। ‘তোমার ইচ্ছে আমার ইচ্ছে, মিলছে এখন খুবই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের শ্রোতানন্দিত সংগীত শিল্পী অয়ন চাকলাদার এবং আতিয়া আনিসা।

গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন অয়ন চাকলাদার। মানিকগঞ্জের একটি মনোরম লোকেশনে গানটির দৃশ্য ধারণ করা হয়।

রয়েছে ‘ইত্যাদি’ খ্যাত জাদুকর ম্যাজিক রাজিকের পরিবেশনায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু। পেশায় প্রকৌশলী ও আইটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট রাজিক দীর্ঘদিন বিদেশি টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করার পর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দেশের কোন টেলিভিশন পর্দায় প্রথম জাদু দেখান।

শহর কিংবা গ্রামে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সব শ্রেণির মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে চা। তবে সেই চায়ের নেশা যদি গরুর পেয়ে বসে তাহলে কেমন হয়! চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেমনি একটি ‘চা খোর’ গরুর উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি বিস্ময়কর প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি আরো দেখানো হয়েছে দেশবিদেশের কিছু বিস্ময়কর গরু-ছাগল-ভেড়ার আশ্চর্য কিছু কর্মকাণ্ড।

ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এতদিন দেখা যেতো ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান। তবে আজকাল অনেক ছাদে গরুও দেখা যায়। ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা এমনি কিছু গরুর খামারের উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়ে পাঁচফোড়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক, রসাত্মক ও সচেতনতামূলক নাট্যাংশ থাকে।

এবারও কোরবানি ঈদের উপর রয়েছে বেশ ক’টি নাট্যাংশ। পাঁচফোড়ন এর বিভিন্ন নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, বড়দা মিঠু, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, মুকিত জাকারিয়া, আনন্দ খালেদ, শাহেদ আলী, জাহিদ শিকদার, ইকবাল হোসেন, তারিক স্বপন, সিয়াম নাসির, সাদিয়া তানজিন, সুজাত শিমুল, বিলু বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, শামীম আহমেদ, সাবরিনা নিসাসহ আরো অনেকে। পাঁচফোড়ন পরিবেশিত হবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে।


আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকে ১১টি শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা ইস্ট জোনের অধীন ১১টি শাখার গ্রাহকদের নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও কার্ড বিষয়ক গ্রাহক সমাবেশ সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে।

ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নারায়ণগঞ্জ শাখাপ্রধান মো. মতিউর রহমান।

এ সময় ব্যাংকের নির্বাহী, কর্মকর্তা, গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



আরও খবর



সন্দ্বীপে মাদক বিরোধী পথসভা ও লিফলেট বিতরন।

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি 

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ২৪ জুন (সোমবার) মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।  স্বাধীন বাংলা  মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটি ও সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন   যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

 উপজেলা পরিষদের ভিতরে পথসভা শেষে কমপ্লেক্স এলাকায় ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের  জনগণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়।  লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি উদ্ভোধন করেন সন্দ্বীপ উপজেলার সহকারী ভূমি কমিশনার তাসফিক সিপাত উল্যা

পথসভায় বক্তব্য রাখেন সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন এর সভাপতি  মোঃ হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি, স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির সন্দ্বীপ কমিটির  সভাপতি মোঃ রুবেল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাকিল খান প্রমুখ।

এ সময় সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন মোঃ জাফর ইসলাম, এমদাদ হোসেন, জয়দেব কাহার,মেহেদী হাসান,আরমান হোসেন তাইমুল হোসেন, আব্দুর রহমান, সাব্বির মাহমুদ, মোঃ রাফি, আব্দুল করিম সহ  স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ , 

বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ সন্দ্বীপ উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন ,সন্দ্বীপের প্রতিটি  ইউনিয়ন পাড়া মহল্লাও স্কুল -কলেজে  মাদক বিরোধী জন সচেতনতামূলক লিফলেট ও অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে


আরও খবর