Logo
আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়াতে আগুনে ঘর ভস্মীভূত!

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | ৪২৪জন দেখেছেন

Image
মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার গড়েয়া রোড চকহলদি নামক স্থানে  ১১ মার্চ শুক্রবার আনুমানিক বিকল সারে ৪ টার সময় এক দিন মুঞ্জুরের বাসায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ৩ টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, স্থানিয়রা শত চেষ্টা করেও ঘরের কোনো আসবাবপত্র ও প্রয়োজনিও কিছুই বের করতে পারেনি। ধারনা করা হচ্ছে বিদ্যুৎ শর্টসার্কিটে আগুন লেগেছে। ঠাকুরগাঁও জেলার  সদর উপজেলার ১৩ নং -- গড়েয়া ইউনিয়নের চকহলদি গ্রামের সর্বদ আলী (৪০), পিতা, ইদ্রিস আলী (৬০) এর বাড়িতে আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অগ্নিকান্ডের সময় এলাকাবাসীরা ৩০মিনিটে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আন্তে পারায় সব পুড়ে ছাই হয়। এ সময় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাৎক্ষণিক গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ৩ টি ঘড় পুড়ে যায়।  সবর্দ আলী জানান, ভয়াবহ এ আগুনে পুড়ে ছাই। ফ্রীজ, টিভি, চাল, ডাল, আসবাবপত্র, নগদ ১০ হাজার টাকা পুড়ে যায়।

তারা বলে এ অগ্নিকান্ডে তাদের প্রায় ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সর্বদ আলী আর জানান, আমার পরিবারের সদস্যেদের পড়নের কাপড় ছাড়া সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এখন কোথায় থাকবো, কি করবো আমার তো সবকিছু শেষ।

তবে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা ধারনা করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাপ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে, অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে গেছে, এই লোকটার কিছুই রইলো না, ঘরে যা ছিলো সব পুরে ছাই হয়ে গেছে। এ বিষয়ে  ১৩ নং-- গড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রইছ উদ্দিন সাজু মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, লোকটা খুব অসহায়, আমি তাকে চিনি, আমরা দেখি তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিবো।

এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানকে বলেন, একটি লিখিত দিতে, সরকারি ভাবে যতটুকু সাহায্য করা যায়, আমরা করবো।



আরও খবর



রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১০ জুন) ভোরে জেলার উখিয়া উপজেলার চার নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ওই ক্যাম্পের এফ ব্লকের জাফর আহম্মদের ছেলে মো. ইলিয়াছ (৩১), মৃত আব্দুর রকিমের ছেলে মো. ইছহাক (৫৪) ও ক্যাম্প-৩-এর ই ব্লকের মো. ইসমাইলের ছেলে ফিরোজ খান (১৮)।

আহতরা হলেন- ক্যাম্পের এফ ব্লকের হাছানের ছেলে আব্দুল হক (৩২), নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৫৫) ও মৃত ওমর মিয়ার ছেলে আব্দুল মোনাফ (৬০)।

সূত্র জানিয়েছে, ভোর পৌনে চারটার দিকে রোহিঙ্গা মো. ইলিয়াছকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতে, পায়ে, তলপেটে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।

এরপরে, ভোর সোয়া চারটার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আরএসও সমর্থক মো. ইছহাক, ফিরোজ খান, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রথমে নিহত রোহিঙ্গা ইলিয়াছ আরসার সোর্স হিসেবে কাজ করতো। আরসা সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজি না হওয়ায় আরএসও সদস্যরা প্রথমে তাকে হত্যা করে। পরে ঘটনার খবর পেয়ে আরসা সদস্যরা এসে কয়েকজন আরএসও সমর্থকের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়।

ঘটনার পরে আহত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ইছহাক ও ফিরোজ খানকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মো. ইকবাল বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। দুজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



ঈদুল আজহা ১৭ জুন, চাঁদ দেখা গেছে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

 23 ডেস্ক :

হিজরি ১৪৪৫ সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আগামী ১৭ জুন সোমবার পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (৭ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় একথা জানানো হয়।মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব                                           

 ঈদুল আজহা বা কোরবারি ঈদ। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই ঈদে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করে থাকেন।


আরও খবর



ঈদে আজহা আসছে ‘জমজমাট পাঁচফোড়ন

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৭৪জন দেখেছেন

Image

23 বিনোদন ডেস্ক

আসছে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের বিশেষ পাঁচফোড়ন নির্মাণ করেছে নন্দিত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফাগুন অডিও ভিশন।

অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে এটিএন বাংলায় ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে। পাঁচফোড়নের প্রতিটি আইটেম নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়। গত প্রায় দুই যুগ ধরে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে এই অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয়ে আসছে।

ঈদ ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভিন্ন আলাপন নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকের উপস্থাপনায় সাজানো হয়েছে ঈদের বিশেষ এই পাঁচফোড়ন। তাদের বিভিন্ন আলাপনের ফাঁকে ফাঁকেই আসতে থাকে গান, নাটক ও বিভিন্ন বিষয়ের উপর চমৎকার সব রিপোর্টিং।

পাঁচফোড়নের প্রতিটি পর্বেই উপস্থাপনার ঢং ভিন্নরকম যেখানে নির্দিষ্ট কোনো উপস্থাপক থাকে না। দেশের বিভিন্ন তারকা শিল্পীরা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয় ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করে থাকেন। এবারের পাঁচফোড়নে স্বামী-স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনয় তারকা আবদুন নূর সজল ও সারিকা সাবরিন।

এবারের পাঁচফোড়নে গান থাকছে ৩টি। তিনটিই মিষ্টি প্রেমের গান এবং গেয়েছেন এ প্রজন্মের ক’জন প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী। একটি গেয়েছেন আধুনিক, দেশাত্মবোধক বা ফোক সব ধরনের গানেই সমান পারদর্শী কণ্ঠশিল্পী রাজিব।

গানটির কথা লিখেছেন লুৎফর হাসান, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানটিতে তার সঙ্গে মডেল হিসেবে অভিনয় করেছেন মডেল মোনালিসা দীপা। উত্তরা ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে গানটি ধারণ করা হয়। আর একটি গান গেয়েছেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়িকা সানিয়া সুলতানা লিজা। গানটির কথা লেখার পাশাপাশি সুরও করেছেন গীতিকবি কবির বকুল।

এই গানটিও ব্যতিক্রমী লোকেশনে ধারণ করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন বিরতির পর লিজা পাঁচফোড়নের মাধ্যমে আবারও পর্দায় এলেন। ‘তোমার ইচ্ছে আমার ইচ্ছে, মিলছে এখন খুবই’ শিরোনামে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই প্রজন্মের শ্রোতানন্দিত সংগীত শিল্পী অয়ন চাকলাদার এবং আতিয়া আনিসা।

গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন অয়ন চাকলাদার। মানিকগঞ্জের একটি মনোরম লোকেশনে গানটির দৃশ্য ধারণ করা হয়।

রয়েছে ‘ইত্যাদি’ খ্যাত জাদুকর ম্যাজিক রাজিকের পরিবেশনায় একটি ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু। পেশায় প্রকৌশলী ও আইটি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েট রাজিক দীর্ঘদিন বিদেশি টেলিভিশনে জাদু প্রদর্শন করার পর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে দেশের কোন টেলিভিশন পর্দায় প্রথম জাদু দেখান।

শহর কিংবা গ্রামে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সব শ্রেণির মানুষের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে চা। তবে সেই চায়ের নেশা যদি গরুর পেয়ে বসে তাহলে কেমন হয়! চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেমনি একটি ‘চা খোর’ গরুর উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি বিস্ময়কর প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি আরো দেখানো হয়েছে দেশবিদেশের কিছু বিস্ময়কর গরু-ছাগল-ভেড়ার আশ্চর্য কিছু কর্মকাণ্ড।

ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির ছাদে এতদিন দেখা যেতো ফুল, ফল, শাক-সবজির বাগান। তবে আজকাল অনেক ছাদে গরুও দেখা যায়। ঢাকা শহরে গড়ে ওঠা এমনি কিছু গরুর খামারের উপর এবারের পাঁচফোড়নে রয়েছে একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

পাঁচফোড়ন যেহেতু বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে নির্মিত হয় তাই বিশেষ দিনকে নিয়ে পাঁচফোড়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক, রসাত্মক ও সচেতনতামূলক নাট্যাংশ থাকে।

এবারও কোরবানি ঈদের উপর রয়েছে বেশ ক’টি নাট্যাংশ। পাঁচফোড়ন এর বিভিন্ন নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন-সুভাশিষ ভৌমিক, বড়দা মিঠু, জিল্লুর রহমান, কামাল বায়েজিদ, মুকিত জাকারিয়া, আনন্দ খালেদ, শাহেদ আলী, জাহিদ শিকদার, ইকবাল হোসেন, তারিক স্বপন, সিয়াম নাসির, সাদিয়া তানজিন, সুজাত শিমুল, বিলু বড়ুয়া, নজরুল ইসলাম, সুর্বনা মজুমদার, শামীম আহমেদ, সাবরিনা নিসাসহ আরো অনেকে। পাঁচফোড়ন পরিবেশিত হবে কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের সৌজন্যে।


আরও খবর



ভারতে মোদির মন্ত্রিসভায় মুসলিম এমপি নেই

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫২জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

ভারতে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার মন্ত্রীসভায় কোনো মুসলিমকে স্থান দেননি। এমনকি তার যে জোট সে জোটে কোনো মুসলিম এমপিও নেই। ভারতের প্রায় ২৫ কোটি মুসলিমের বসবাস।

ভারতে এমন কিছু রাজ্য আছে যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবুও নতুন সরকারের মন্ত্রী সভায় কোনো মুসলিম স্থান পায়নি। এ নিয়ে ভারতে মুসলিমদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়? সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।গতকাল মন্ত্রীসভা গঠনের পর বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে। তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি

১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২৫ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।


আরও খবর



ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

23 ডেস্ক :

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলের রিডিংরুমের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক আবাসিক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে।    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হলের প্রোভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস। মৃত ছাত্রীর নাম শেফা নূর ইবাদি (২৪)। তিনি ববির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তার সহপাঠীরা জানান, শেফাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর দ্রুত তাকে শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শেফা ব্যক্তিগত কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আরও একবার আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের প্রোভোস্ট হেনা রাণী বিশ্বাস বলেন, রিডিং রুমের বারান্দা থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখন চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 


আরও খবর