Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আগুনের রহস্য দশ দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি

প্রকাশিত:শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: সৈয়দপুর বিমানবন্দর রানওয়ের ঘাসবনে রহস্য জনক আগুনে পুড়ে গেছে ৫০ হাজার বর্গমিটার এলাকা। এমনকি আগুন থেকে রক্ষা পায়নি বিদ্যুৎ লাইনের ৩০০ মিটার মূল্যবান ক্যাবল (তার)। গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে এ আগুনের ঘটনা ঘটলেও দশ দিন পেরিয়েও উদ্ঘাটন হয়নি রহস্য, গঠন করা হয়নি কোনো তদন্ত কমিটি। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে চলছে নানা ফন্দিফিকির। 

দেশের ব্যস্ততম অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকা সংরক্ষিত হওয়ায় সাধারণের নজর এড়িয়ে যায় দুর্ঘটনাস্থল। কিন্তু বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ পাশের মার্কেটের ব্যবসায়ীরাদের আলোচনায় চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে  জানতে পারেন মিডিয়া কর্মীরাও। 

আগুনের ঘটনার বিষয় নিয়ে কথা হয় বিমানবন্দরের একাধিক কর্মচারীর সঙ্গে। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিমানবন্দর রানওয়ের ঘাসবনের ঘাস পরিষ্কার করার জন্য ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ঘাস কাটার জন্য ঠিকাদারও নিযুক্ত করেছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। 

কিন্তু এ কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লোব কুমার ঘোষ নিয়ম ভেঙে নিজে সাব কন্টাক্ট নেন। তিনি ঘাস না কেটেই চুক্তির টাকা আত্মসাৎ করতে ঘাসবনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ঘাস পরিষ্কারের উদ্যোগ নেন। বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক তার বিশ্বস্ত কর্মচারী দিয়ে ঘাসে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। 

এতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে রানওয়ের ৫০ হাজার বর্গ মিটার এলাকার ঘাস পুড়ে যায়। একইসাথে বিদ্যুতের ৩০০ মিটার মূল্যবান ক্যাবল (তার) আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন অবস্থায় আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে বিমানবন্দরে কর্মরত ফায়ার ফাইটাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর ফলে বিমানবন্দর চত্বরের অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ রক্ষা পায়। 

এদিকে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লোব কুমার ঘোষ বাগান করার নামেও সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে পুরো টাকাটাই পকেটস্থ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে কালোবাজারে জ্বালানি তেল বিক্রির অভিযোগ। বিমানবন্দর রানওয়ে সার্বক্ষণিক নজরে রাখার জন্য দুটি গাড়ি আছে। এর মধ্যে একটি গাড়ি সবসময় অচল পড়ে থাকে। কিন্তু ওই ব্যবস্থাপক দুটি গাড়ির বিপরীতে জ্বালানি কিনেন।

অথচ জ্বালানি ব্যবহার হয় একটি গাড়িতে। অন্য গাড়ির নামে বরাদ্দকৃত তেলের পুরোটাই তিনি কালোবাজারে বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেন। হাতিয়ে নেয়া টাকার পরিমাণ বছরে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা বলে দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

দপ্তরে কর্মরত ব্যক্তিদের দেয়া তথ্য মতে, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক তার অপকর্ম ঢাকতে সব সময় অধস্তনদের সঙ্গে চাকরি বিধি লঙ্ঘন করে দুর্ব্যবহার করেন। তারপরেও কেউ কোনোভাবে তার কথার প্রতিউত্তর করলে তিনি বদলির হুমকি দেন। 

এমন পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করার সাহস পায় না। ফলে দিন দিন ব্যবস্থাপকের অনিয়ম- দুর্নীতির মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে কথা হয় বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লোব কুমার ঘোষের সঙ্গে।

তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে যা কিছু লিখবেন জেনে-বুঝে-শুনে লিখলে সুবিধা হবে। তাঁর কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সংবাদকর্মীরা বিমানবন্দর রানওয়ে পরিদর্শন করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এমতাবস্থায় বিস্তারিত জানতে চাইলে আমি এখন অনেক ব্যস্ত, পরে কথা বলা যাবে বলে এড়িয়ে যান এবং সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।


আরও খবর



মান্নাকে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী : রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের গলার আওয়াজ বড়

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৯জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


সম্প্রতি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ‘সরকারের ভিত নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতিতে কিছু পরিত্যক্ত মানুষ আছে, যারা ঘুরে ঘুরে সব দল করে। 


তাদের কথার মূল্য না থাকলেও ব্যাঙের ডাকের মতো গলার আওয়াজ বড়।


শনিবার (১১ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় রেড ক্রিসেন্ট মাঠে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক, বিডিআরসিএস ব্যবস্থাপনা পরিষদের সংবর্ধনা ও বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।



ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের একটা বক্তব্য পত্রিকায় পড়লাম, টেলিভিশনে শুনলাম- ‘সরকারের নাকি একদম ভিত নাই’।


 সরকারের ভিত আছে বিধায়ই পরপর চারবার আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তারা তো টেনে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টান দিতে গিয়ে তারাই ধপাস করে পড়ে গেছে।


এখন কোমর যে ভেঙে গেছে সে অবস্থা থেকে তারা আস্তে আস্তে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আর গতবছর ২৮ অক্টোবর তাদের কার আগে কে দৌড় দেয় সেই প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি নয়াপল্টনের সামনে, বলেন মন্ত্রী।



মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইসহ আরও কিছু ব্যক্তি বিশেষ আছে, যাদের নিজের দলের ভিত্তি নেই, ঘুরে ঘুরে দল করে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, মান্না ভাই মাশাআল্লাহ এ পর্যন্ত মাত্র সাতটি দল বদল করেছেন। কিছুদিন জাসদ, তারপর বাসদ, বাসদ ভেঙে এখন গণতন্ত্র মঞ্চ। সেটি ভেঙে কখন আবার পালিয়ে যান, বলা যায় না। রাজনীতিতে তারা পরিত্যক্ত ব্যক্তিবিশেষ। এদের কথার কোনো মূল্য নেই।


ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের দল ছোট, তারা যখন সমাবেশ করে তাদের মানুষ থাকে ২০ থেকে ৩০ জন, সাংবাদিক থাকে ৫০ জন, এই নিয়ে তাদের সমাবেশ হয়। কিন্তু গলা অনেক বড়। শুধু তাই নয়, এদের একজন ঢাকা সিটি করপোরেশনে ভোটে দাঁড়িয়েছিল, প্রাপ্ত ভোট দুই হাজার পূর্ণ করতে পারে নাই। 


কিন্তু আওয়াজ অনেক বড়। আবার টেলিভিশনে দেখা যায় ভলিউমও তাদের একটু বড় থাকে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবী আজকে সেটির প্রশংসা করছে। জাতিসংঘের মহাসচিব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, জার্মান চ্যান্সেলর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টসহ সমগ্র পৃথিবী বালাদেশের প্রশংসা করে, কিন্তু বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা এটির প্রশংসা করতে পারে না।


 আমাদের রাজনীতিতে প্রত্যাখ্যান আর সংঘাতের সংস্কৃতি না থাকলে দেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো।


তিনি বলেন, নির্বাচনের পর ৮০টা দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে বলেছেন, আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান। এতে ব্যক্তি বিশেষ রাজনীতির ব্যাঙদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এজন্য তারা ব্যাঙের মত বেশি বেশি লাফাচ্ছে। 


বিশ্ব রেড ক্রস, রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশ বিনির্মাণে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতের পথচলায় আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসেবা অনেক অবদান রাখবে।


স্কুলজীবনে নিজেও জুনিয়র রেড ক্রসের সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জীবনে বহুপথ পাড়ি দিয়ে বহু প্রবিন্ধকতাকে ডিঙ্গিয়ে আজকের এই পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউটিং আমার জীবনে বড় ভূমিকা পালন করেছে। 


দেশে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সবার আগে এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে সরকারি হাসপাতালে সরকার মেশিন কিনে দিয়েছে কিন্তু সেই মেশিনের বাক্স খোলা হয় না। আবার মেশিন খোলা হয় ঠিকই, ক’দিন পরে নষ্ট হয়ে যায়, মেরামতের আর উদ্যোগ নেওয়া হয় না, যাতে করে মানুষ প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে বাধ্য হয়। 


এগুলো যারা করেন, তারা আসলে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়ান, জনগণের বিপক্ষে কাজ করেন এবং  স্বাস্থ্যসেবাকে আরো উন্নত করার ক্ষেত্রে এবং সহজ-সুলভে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে এগুলো বড় অন্তরায়, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।  


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন জনগণ সোচ্চার হবে তখন এগুলো করা আর সম্ভবপর হবে না। সরকার কোনো যন্ত্র নয়, সরকারও মানুষ দিয়েই চলে। সুতরাং জনগণ যখন এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবে সরকারের পক্ষেও এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজতর হবে।


চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও রেড ক্রিসেন্ট জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধেয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম ইউ কবির চৌধুরী। জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আসলাম খান স্বাগত বক্তব্য দেন।


আরও খবর



পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:


চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন পাইলট আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত বিমানটি ইয়াকোভলেভ ইয়াক-১৩০ মডেলের।



তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে সূত্র বলছে, জহুরুল হক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ শেষে নামার সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানের নিচের অংশে আগুন ধরে যায়।


এক ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়ন্ত অবস্থায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেলে বিমানটি পানিতে পড়ে যায়। পানিতে পড়ার আগে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায়।



চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের বিপরীতে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায়।


 দুইজন পাইলট আগেই প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে বের হয়েছিলেন। তারাও নদীতে পড়েন। স্থানীয় নৌকা তাদের উদ্ধার করে।


তিনি আরও বলেন, ধ্বংসাবশেষের অবস্থান শনাক্ত করতে হাইড্রোগ্রাফি জরিপ জাহাজ পাঠানো হয়েছে। তল্লাশি ও উদ্ধারের জন্য কোস্ট গার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। বন্দরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




আমতলীতে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image


মোঃ ইমরান হোসাইন আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ 


বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


 দীর্ঘদিন ধরে আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সৌদি রিয়াল ও ডলার বিক্রির কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এই চক্রটি।


রোববার (৫ মে) রাত ৯ টার দিকে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।


প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া পাতাকাটা নামক এলাকার মো. সানু ফকির (৫০), মো. তৈয়ব হাওলাদার (৬০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (৩০) একই ইউনিয়নের ঘটখালী নামক এলাকার মো. আল ইমরান ওরফে সুজন সিকদার (৩০) ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর নামক এলাকার মো. শাহিন বয়াতী (৩৫)। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. বশির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 


বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আমতলীতে দীর্ঘদিন ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে এবং বিক্রির কথা বলে একটি চক্র সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 


এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলমের নেতৃত্বে আমতলীর আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অল্প কিছু ডলার ও সৌদি রিয়ালসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত বিশেষ কায়দায় টাকার বান্ডিল সাজিয়ে গামছায় মোড়ানো পেপারের কাগজসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এবিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলম বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডলার বা সৌদি রিয়াল বিক্রির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রটিকে ধরতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে সুকৌশলে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। 


তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তাররা একাধিক প্রতারণা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের ধরতে অভিযান অব্যঅহত আছে ও গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।


আরও খবর



ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল করে শতকোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image



ক্রাইম রিপোর্টারঃ


জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস কাজ করতেন একটি সোনার দোকানে। ঢাকার মিরপুরের কোঅপারেটিভ মার্কেটে ওই দোকানের কর্মচারি ছিলেন তিনি। 


এরপর শহিদুল ইসলাম সবুজ নামের একজনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র। পরিস্থিতি বদলাতে তার সময় লাগেনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জয়নাল হয়ে যান শতকোটি টাকার মালিক।


দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র নিয়ে তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। 


এর আগে চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তাররা হলেন, জয়নাল আবেদীনের প্রধান সহযোগী মোঃ রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কেএম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মোঃ লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান ওরফে মিঠু (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে জয়নালসহ এ পর্যন্ত চক্রের মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


শনিবার (৪ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করেন জয়নাল। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির বেশি হিসাব খোলেন।


 এরপর জয়নাল ফ্ল্যাটের মালিকানার জাল দলিল তৈরি করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে হাতিয়ে নেয় শতকোটি টাকা।


জালিয়াতির টাকায় রাজধানীর বসুন্ধার আবাসিক এলাকায় ৭তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কিনেছেন জয়নাল। এ কাজে তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা।


সিআইডি প্রধান এডিশনাল আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “গোপন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্য একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে।


 পরবর্তীতে তারা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করে।


এরপর তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ঋণ নিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।



তিনি বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। চক্রের অন্য সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। 


এসব ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন।


এরপর তারা ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে তৈরি করেন জাল দলিল। জয়নাল আবেদীন জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ।


ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকা নেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ক্ষমতা অর্পণ দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন।


 এভাবে তারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন শত কোটি টাকা।


সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই জালিয়াতি চক্র ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে পথে বসিয়েছেন বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছেন নিঃস্ব।


শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ ও ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনঃ বিনা ভোটে ৫১ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪১জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট ছাড়াই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার হিড়িক পড়েছে। 


এ পর্যন্ত তিন ধাপে ৫১ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২৫ জন, দ্বিতীয় ধাপে ২১ জন এবং তৃতীয় ধাপে পাঁচ জন রয়েছেন। চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন ইসির সংশ্লিষ্টরা। 


এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। এই ধাপে তিনটি পদে মোট ১ হাজার ৫৮৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪০০ জন। 


তৃতীয় ধাপেও বিএনপি কিছু নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই ধাপে পাঁচ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।



দ্বিতীয় ধাপে বিনা ভোটে জয়ী ২১ জন :আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ভোটে তিনটি পদে ২১ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এর মধ্যে দুটি উপজেলার তিনটি পদে কোনো ভোট করা লাগবে না।


 উপজেলা দুটি হলো কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা আদর্শ সদর এবং চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা। চেয়ারম্যান পদে কুমিল্লা আদর্শ সদর, জামালপুরের ইসলামপুর, ফরিদপুরের নগরকান্দা, চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ঢাকার সাভার, মৌলভীবাজার সদরে একজন করে প্রার্থী থাকায় সংশ্লিষ্টরা ভোটের আগেই জয়ী হয়েছেন। 


একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাজশাহীর বাগমারা, রাঙ্গামাটির রাজস্থালী, কুমিল্লা আদর্শ সদর, চট্টগ্রামের রাউজান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একজন করে প্রার্থী হন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাঙ্গামাটির রাজস্থালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, কুমিল্লা আদর্শ সদর, চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জেও একক প্রার্থী। 


তৃতীয় ধাপে পাঁচটি পদে জয়ী:তৃতীয় ধাপে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ভোট ছাড়াই জয়ী হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো হলো চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জের ছাতকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


 আর কোনো প্রার্থী না থাকায় সংশ্লিষ্টরা ভোট ছাড়াই জয়ী হতে যাচ্ছেন। 


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪