Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

১৪ দল নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫৮৬জন দেখেছেন

Image

আগামীকাল মঙ্গলবার ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জোটনেত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

রবিবার রাতে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বৈঠকে ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে জোট নেতাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। বৈঠকে রাজনৈতিক, সামাজিক, নির্বাচন নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা কী হবে-সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে কর্মকৌশল চূড়ান্তসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।


আরও খবর



ধ্বংসস্তুপ থেকে গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৮০ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


জাতিসংঘ বলেছে, গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ৮০ বছর সময় লাগবে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় আবারও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। 


অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া পশ্চিম তীরে শিশু হত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।


জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং স্বাভাবিক গতিতে সেখানে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল-পরিষেবাকেন্দ্র, রাস্তাঘাট ও আগেকার অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় সেক্ষেত্রে উপত্যকাকে ৭ অক্টোবরের হামলার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে ৮০ বছর। 


যদি পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি উন্নীত করা হয়, তাহলেও উপত্যকাকে আগের মতো বসবাসযোগ্য করে তুলতে ২০৪০ সাল পেরিয়ে যাবে।



বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক প্রকল্প ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)। সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের গোলা ও বোমা বর্ষণে নজিরবিহীনভাবে তছনছ হয়ে গেছে গাজা। 


উপত্যকার অন্তত ৮০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং গোটা উপত্যকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ভয়াবহভাবে। ইউএনডিপির প্রতিবেদনে অবশ্য গাজার ভবনগুলো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক অবস্থাকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেও ধরা হয়েছে।


ইউএনডিপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাশিম স্টেইনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাণহানি, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্যের ব্যাপক উল্লম্ফনের কারণে গাজায় সার্বিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। 


এই যুদ্ধ গাজার আগামী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যেক বিপদে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে গাজার মোট জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্রের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে যুদ্ধ ছয় মাস পেরিয়ে সাত মাসে পা দিয়েছে; যদি ৯ মাস পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে, তাহলে গাজায় দরিদ্রদের হার পৌঁছাবে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে।


 এর অর্থ, যুদ্ধ আর দুই মাস অব্যাহত থাকলে গাজায় মধ্যবিত্ত বলে কোনো শ্রেণির অবস্থান আর থাকবে না, প্রতিবেদনে বলেছে ইউএনডিপি। এদিকে এর আগে বুধবার জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনমাস) জানায়, রুশ বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ইউক্রেনে যত ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের অভিযানে যে পরিমাণ ধ্বংস্তূপ জমেছে, তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত দুই বছরে জমা ধ্বংস্তূপকে ছাড়িয়ে গেছে।



এদিকে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়। এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে।


 পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। 


তবে ইসরাইল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন ১ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।


অন্যদিকে গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় নিরবছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। 


২০২৩ সালে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এতে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর আগে সীমিত পরিসরে ইসরাইলের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তুরস্ক। 


কিন্তু এবার পুরোপুরিভাবে বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিল এরদোয়ান প্রশাসন। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, তার সরকার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


এদিকে পশ্চিম তীরে শিশু হত্যার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হচ্ছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর বিকালে কয়েক জন ফিলিস্তিনি বালক অধিকৃত পশ্চিম তীরের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। যেখানে তারা  প্রায়ই একসঙ্গে মিলে খেলত। 


কয়েক মিনিট পরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তাদের দুই জন বাসিল (১৫) ও আদম (৮)-এর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সামরিক দখলদারিত্বে থাকা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণ নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে বিবিসি দুই বালককে হত্যার ঐ দিনে কী ঘটেছিল তা খুঁজে বের করেছে।


 তাদের অনুসন্ধানে মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ফুটেজ, ইসরাইলি সেনাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, ঘটনাস্থলের বিস্তারিত তদন্তসহ সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। এতে বেরিয়ে এসেছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ। জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন সৌল বলছেন, আট বছর বয়সি বালক আদম হত্যা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই মনে হচ্ছে। আরেক আইন বিশেষজ্ঞ ড. লরেন্স হিল-কথর্ন গুলি চালানোকে ‘নির্বিচারে প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার’ বলেছেন। 


এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভাঙচুর, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অস্ত্রের ভয় দেখানো, এলাকা ছেড়ে পাশের দেশ জর্ডানে চলে যেতে বলা এবং সশস্ত্র এক ফিলিস্তিনির লাশ ছিন্নভিন্ন করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।


২৯ নভেম্বরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাসিল একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং দোকানের শাটার বন্ধ। যখন ইসরাইলি সেনারা আসে, তখন পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হলেও সেখানে গাজার মতো হামাসের শাসন নেই। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরের খুব কাছ থেকে ইসরাইলি সেনা অভিযানের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ফুটবল পাগল ও লিওনেল মেসির ভক্ত আদম তার ১৪ বছর বয়সি বড় ভাই বাহার সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। রাস্তায় মোট ৯ জন ছেলে ছিল, সবাইকেই সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছিল। এ ক্যামেরাতেই পরে কী ঘটেছিল তার প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। 


কয়েক শ মিটার দূরে অন্তত ছয়টি ইসরাইলি সাঁজোয়া যানের বহর মোড় ঘুরিয়ে ছেলেদের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।  এতে ছেলেরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। কয়েক জন ছেলে দৌড়ে সরে যেতে শুরু করে। ঠিক সে সময়েই একটি মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা যায়, একটি সাঁজোয়া গাড়ির দরজা সামনের দিক থেকে খুলে যায়। 


এর ভেতরে থাকা সেনা সরাসরি বালকদের দেখতে পাচ্ছিল।  রাস্তার মাঝখানে চলে গিয়েছিল বাসিল। সেনাদের থেকে ১২ মিটার দূরে ছিল আদম। সে দৌড়াচ্ছিল। এরপরই অন্তত ১১টি গুলির শব্দ হয়। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে বিবিসি দেখতে পায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এসব গুলি আঘাত হেনেছে।


 চারটি গুলি একটি ধাতব খুঁটিতে আঘাত করে, দুটি হার্ডওয়্যার স্টোরের শাটারে, একটি গুলি পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির বাম্পারের ভেতর দিয়ে চলে যায়। আরেকটি গুলি আঘাত করে সিঁড়ির হাতলে।খবর রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা।


আরও খবর



দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে জেলা ভিত্তিক কয়েক দিন ধরে বন্ধের পর আজ রবিবার থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্লাস শুরুর আগে কোনো প্রতিষ্ঠানেই অ্যাসেম্বলি করা যাবে না। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বাইরের কোনো শিক্ষা কার্যক্রমেও অংশ নেওয়ানো যাবে না।

গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ গত ২৫ এপ্রিল যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তার শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রবিবার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


এছাড়া আজ থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ায় নতুন নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ক্লাস হবে।

পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়।


গত ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেয়।

একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধ ছিল মাধ্যমিক ও কলেজ স্তুরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।


আরও খবর



সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা।

প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ।

এতে আমজেদ আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে।

পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রাখা হয়েছিল।

ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ।

তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি।

নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান।

এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ‘ট্রিগার হ্যাপি’ নামে এক প্রতিবেদনে সীমান্তে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়।

কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষার প্রয়োজনে প্রথমে সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হবে। যদি এতে হামলাকারী নিবৃত না হয় এবং জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে গুলি ছোড়া যাবে, তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই হাঁটুর নিচের অংশে।

কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কাই যেন নেই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ফেলানী হত্যার দৃশ্যই কি মনে করিয়ে দেয় না, বিএসএফ গুলি ছোড়ে স্রেফ হত্যার উদ্দেশ্যেই। বিএসএফ কোনো ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেনি যে, হতাহতের শিকার মানুষগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার একশ্রেণির মানুষ কৃষি ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।

এই হত্যার শিকার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান কর্মের সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ বিএসএফের। কিন্তু দুই দেশের আইন অনুযায়ী, কেউ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে, কাঁটাতার কাটলে বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে ওই দেশের আইনানুযায়ী বিচার করতে হবে।

কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোড়া বা নির্যাতন করা যাবে না।


আরও খবর



আ.লীগকে ১৮ শর্তে সমাবেশের অনুমতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক  রিপোর্টঃ


রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে আগামীকাল শনিবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগকে ১৮ শর্তে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. আবু ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।


যেসব শর্ত মানতে হবে। তা হলো:


১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।



২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।


৩. অনুমোদিত স্থানেই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।


৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।


৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।


৬. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোভাবেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।


৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৯. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।


১০. শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।


১১. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।


১২. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।


১৩. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া করা যাবে না।


১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।


১৫. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।


১৬. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।


১৭. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।


১৮. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



প্রচন্ড দাবদাহের পর দেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইন, চীপ রিপোর্টার:


দীর্ঘ অসহনীয় অতি তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে সহনীয় হয়ে আসছে তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার যশোর-চূয়াডাঙ্গা,ঈশ্বরদী এবং মংলা বাদে সারাদেশের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নীচে। 


বৃষ্টি হয়েছে অধিকাংশ অঞ্চলে। আজ থেকে বৃষ্টিপাতের আরো বিস্তৃতির পূর্বাভাস রয়েছে। শেষ হতে চলেছে খর বৈশাখ। মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও এপ্রিলের মত আর ভয়ংকর হবে না। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,অর্ধ শত বর্ষের রেকর্ড ভাঙা টানা ৩৩ দিনের তীব্র তাপদাহের প্রতিক্রিয়া-বিকীরন এবং আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র সক্রিয়তার প্রভাবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক অতি বৃষ্টিপাত এবং বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। 


দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলে প্রতি বছর যে বন্যা হয়, এবার তা ব্যাপক আকারে রূপ নিতে পারে বলে অভিমত আবহাওয়াবিদদের। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ঘটেছে এবারের এপ্রিলে, যার গড় ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। 


১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবং দেশের শুষ্কতম মাসও ছিল এপ্রিল। সার্বিক গড়ে ৮১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে গেল এপ্রিল মাসে। এই টানা বৃষ্টিহীনতা এবং বজ্রঝড় না থাকায় অতিমাত্রায় গরমে পুড়েছে দেশ।


জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বর্তমানে বিরাজমান। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা। আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়ে। অপরদিকে ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়। 


এর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়। আবার দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 


দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।



বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল। বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মধ্য ভূটানের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।


আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ জানায়,২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) লা নিনার কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।


এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, এবারের বর্ষায় বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। এ দেশে বর্ষায় বৃষ্টিপাত যেমন বেশি হবে, তেমনি বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।


এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।


 নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল ও হাওর এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। ৫ মে থেকে ৭ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বর্ষাকালের মতো একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। 


সিলেট ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা করা হচ্ছে। ৩০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের বেশিভাগ হাওর এলাকা প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।


এদিকে আমাদের সিলেট অফিস থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে হঠাত্ই খরস্রোতা হয়ে উঠেছে সিলেটের নদীগুলো। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপতসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,এ আবস্থা থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে। শুক্রবার  সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য নিশ্চিত করে। পাউবো জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১. ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 


এদিকে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাতে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলেও বাড়তে শুরু করেছে পানির উচ্চতা। এতে প্ল­াবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কোনো কোনো নদী দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব কারণে কৃষকের  ফসলও ডুবতে বসেছে। তবে কৃষকেরা দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তুলছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,  গত বৃহসপতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে।


 এদিকে কৃষি বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রবল বৃষ্টি, ঢল ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছে, কৃষকরা যেন দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে নিয়ে যান এবং খড় নিরাপদ উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর