Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৮০জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



অগ্রগতি নেই পাউবোর ৩৭০ বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন প্রকল্পে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


বজ্রপাত প্রবণ এলাকা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে প্রতি বর্ষা মৌসুমে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয় অন্তত দেড় থেকে দুই ডজন লোককে।


 এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোক কৃষক, জেলে খেটে খাওয়া মজুর ও পথচারী। পরিবারে একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর ঐসব পরিবার একেবারেই পথে বসেন। 


বজ্রপাতে আহতের জন্য সরকার থেকে ১০ হাজার ও নিহতের জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা একেবারেই নগণ্য। এই সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য বেশ আগে থেকেই দাবি উঠেছে।


 সিলেটের হাওর এলাকার জীবিকার প্রধান উৎস কৃষি ও মৎস্য আহরণ। তাই ঐ শ্রেণির পেশার মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। আর দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি প্রতি বছর বজ্রপাতে প্রাণ দিতে হয় তাদের। সিলেটের চার জেলার মধ্যে আয়তনে হাওর এলাকা বেশি সুনামগঞ্জে। 


এ জেলায় হাওর ৯৫টি। বজ্রপাতে বেশি প্রাণহানিও ঘটে এ জেলায় বেশি। চলতি বছর গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বজ্রপাতে সাত জনের মৃত্যু ঘটেছে। পরিসংখ্যানে জানা যায় গত ১০ বছর চার মাসে অন্তত ১৫৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলায়।


সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪-২০১৭ পর্যন্ত বজ্রপাতে মারা যান অর্ধশত। ২০১৮ সালে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনাটি ছিল এ জেলার সর্বোচ্চ রেকর্ড। ১৯ সালে ৯ জন, ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত মারা যান ১২ জন। এ নিয়ে সাত বছরে মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৬-এ। 


২০২১ সাল থেকে চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫  জনের মৃত্যু ঘটেছে এ জেলায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছর চার মাসে শুধু সুনামগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে ১৫৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এদিকে ২০১৭ সালের নাসা ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়, সুনামগঞ্জে মার্চ থেকে মে—তিন মাসে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৫টিরও বেশি বজ্রপাত আঘাত হানে। 


ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ভারতের খাসিয়া পাহাড় ও মেঘালয় এলাকায় এই তিন মাস মেঘ জমে থাকে। স্তরীভূত মেঘে মেঘে ঘর্ষণের ফলে এ এলাকার পাদদেশে বজ্রপাতের সংখ্যাও বেশি। তাই  হাওর প্রধান জেলা সুনামগঞ্জে প্রতি বছর প্রাণ হারায় বেশিসংখ্যক মানুষ।



২০১৬ সাল থেকে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এরপর সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে ১২ ঘণ্টা আগে বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানিয়ে  বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বার্তা পাঠায়। কিন্তু সেই বার্তাটি সময়মতো হাওরে পৌঁছে না।


 অন্যদিকে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় ২০১৮ সালে ৩৪ হাজার এবং ১৯ সালে  ৮০ হাজার তাল বীজ বিতরণ করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ তাল বীজ নষ্ট হয়ে যায়।


 একদিকে দীর্ঘমেয়াদি এই প্রকল্প, অন্যদিকে তালগাছের বীজ জীবন লাভ না করায় সরকারের এই পরিকল্পনাটি ভেস্তে যায়। মার্চ থেকে মে এই তিন মাস বজ্রপাতের প্রবণতা বেশি থাকলেও মৌসুম পরিবর্তনের কারণে সেপ্টেম্বরেও বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে।


 তাই সরকার তালগাছ লাগানোর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বজ্রপাত নিরোধক দণ্ড ও লাইটিং অ্যারেস্টার স্থাপন প্রকল্প চালু করা হয়।


পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘সুনামগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের আগাম বন্যা ও সমন্বতি পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন (১ম পর্যায়) প্রকল্প’-এর আওতায় সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ৩৭০টি ‘বজ্রনিরোধক পোল’ নির্মাণের মাধ্যমে বজ্রপাতের ঝুঁকি হতে জনগণকে রক্ষার উদ্দেশ্যে প্রকল্প তৈরি করে। 


 এসবের বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু সেটি শুরুই করা যায়নি।


এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার ৪৪৩ কিলোমিটার নদীখনন ও ১৩৯.৫৩  কিলোমিটার খাল খননের মাধ্যমে নদী-খালের নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ আরও কয়েকটি প্রস্তাবনা। ‘২ হাজার ৬৪ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ১ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ধান আগাম বন্যা থেকে রক্ষা পাবে।


 তাছাড়া ‘বজ্রনিরোধক পোল’ স্থাপন হলে অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে—এই মন্তব্য করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার ইত্তেফাককে বলেন, প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের অপেক্ষায়। 


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশণ বসছে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image
সদরুল আইন:

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এ দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না বলে জানা গেছে।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোকপ্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে।


চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

আরও খবর



ফালুকান্ডে বিএনপিতে ঝড়,আলোচনা সমালোচনা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক নিউজ:


পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন।


 সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।


এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে।


 তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।


ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয়  বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।


কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে।



 আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।


সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। 


বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।


তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। 


কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। 



যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।


এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। 


তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।


আরও খবর



ভাবনার গরু সমাচার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image



বিনোদন ডেস্ক:


অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা সম্প্রতি একটি গরুর ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবির ক্যাপশন দিয়েছিলেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে? এই ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। 


একই সঙ্গে ভাবনাকে কটাক্ষ শুরু করেন নেটিজেনরা। এবার ভাবনা সেই ছবি পোস্টের ব্যাখ্যা দিলেন। 


ফেসবুকে ভাবনা বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি , যখন কোনও দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি।



আমার একটি ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাড়িয়ে একটি গরু। তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সেদিন ছিল তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি ভীষণ ভাবে কাঁদছিলো। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি।’


এরপরই তীব্র কটাক্ষের শিকার হন জানিয়ে ভাবনা বলেন, ‘আমি ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি “আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে।” ব্যাস এতটুকুই। তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ,লিখতে শুরু করলেন—আমি চামড়ার ব্যাবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরও কত নোংরা নোংরা কথা। 


ভাবনা আরও বলেন, আমি ২০১৬ সালে কবে গরুর তেহারি খেয়েছি, কোনও ইন্টারভিউতে গিয়ে বলেছি আমি গরুর মাংস রান্না করতে পারি। কবে বিফ স্টেক খেয়েছি এইসব। 


আমি কোথাও লিখিনি আমি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না, একজন প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক, আর আমি প্রকৃতি প্রেমি বা প্রাণীপ্রেমি কি না সেটার প্রমান আমি কোথাও দিবো না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে?


এই অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে ,বা অন্য কোথাও বা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ আমার দিকে ছুঁড়ে দেয়া সকল তির আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।’




আরও খবর



সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ


মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে তার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে গেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।


আল হুমাইদি আল হারবি নামের ঐ বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ঐ হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।


কিন্তু ঐ সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ঐ বাবা। সেই অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।


ঐ বাবা জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। 


ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ঐ বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অন্যান্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।



আরও খবর