Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ফয়েল পেপার আটকে একঘণ্টা বন্ধ মেট্রোরেল

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৪০জন দেখেছেন

Image

ফয়েল পেপার আটকে রবিবার সকালে একঘণ্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পোহাতে হয়েছে দুর্ভোগ।

আজ সকালে ঝড়ো বাতাসের সময় একটি ফয়েল পেপার উড়ে এসে বিজয় সরণি ও ফার্মগেট স্টেশনের মধ্যবর্তী কোনো এক জায়গায় ওভারহেড ক্যাটেনারিতে পড়ে। মেইনটেনেন্স টিম ওই সময় না থাকায় এক ঘণ্টার মতো সময় অতিবাহিত হয়েছে এটি সরাতে।

রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে মেট্রোরেলে এ বিভ্রাট দেখা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) একটি দায়িত্বশীল সূত্র। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে যাত্রীদের স্টেশনে এসে অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকে আবার ভিন্ন উপায়ে গন্তব্যে গিয়েছেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট কাল বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সারাদেশে জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কয়েক প্লাটুন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শরীফুল ইসলাম আরও বলেন, ৬ থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু আজ
এদিকে ভোট উপলক্ষে বুধবার ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

এবার মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী ধাপের ভোটেও সাধারণ ছুটি থাকবে।


আরও খবর



নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকান্ডে রায়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৬ জন খালাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।



কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।


 গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।


গত ১১ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানি শেষ হয়। এর আগে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে না আসায় গত ২৮ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।


১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।



সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।


মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।


মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।


২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।


 ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল।


আরও খবর



ভেঙ্গে দেওয়া হল কুয়েতের পার্লামেন্ট

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 


দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শুক্রবার (১০ মে) এক টেলিভিশন বক্তৃতায় এই ঘোষণা দিয়েছেন। 


একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।


পার্লামেন্ট স্থগিতের পাশাপাশি কিছু সাংবিধানিক অনুচ্ছেদকে চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।



এ সময় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি।


আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ বলেছেন, ‘কুয়েত সম্প্রতি বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে ... যার ফলে দেশ বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বা বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই।’



কুয়েতের আইনসভা অন্যান্য উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশগুলোর আইনসভা বা অনুরূপ সংস্থাগুলোর তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। 


কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দেশটিতে এর আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল করে শতকোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image



ক্রাইম রিপোর্টারঃ


জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস কাজ করতেন একটি সোনার দোকানে। ঢাকার মিরপুরের কোঅপারেটিভ মার্কেটে ওই দোকানের কর্মচারি ছিলেন তিনি। 


এরপর শহিদুল ইসলাম সবুজ নামের একজনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র। পরিস্থিতি বদলাতে তার সময় লাগেনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জয়নাল হয়ে যান শতকোটি টাকার মালিক।


দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র নিয়ে তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। 


এর আগে চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তাররা হলেন, জয়নাল আবেদীনের প্রধান সহযোগী মোঃ রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কেএম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মোঃ লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান ওরফে মিঠু (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে জয়নালসহ এ পর্যন্ত চক্রের মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


শনিবার (৪ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করেন জয়নাল। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির বেশি হিসাব খোলেন।


 এরপর জয়নাল ফ্ল্যাটের মালিকানার জাল দলিল তৈরি করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে হাতিয়ে নেয় শতকোটি টাকা।


জালিয়াতির টাকায় রাজধানীর বসুন্ধার আবাসিক এলাকায় ৭তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কিনেছেন জয়নাল। এ কাজে তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা।


সিআইডি প্রধান এডিশনাল আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “গোপন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্য একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে।


 পরবর্তীতে তারা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করে।


এরপর তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ঋণ নিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।



তিনি বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। চক্রের অন্য সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। 


এসব ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন।


এরপর তারা ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে তৈরি করেন জাল দলিল। জয়নাল আবেদীন জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ।


ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকা নেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ক্ষমতা অর্পণ দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন।


 এভাবে তারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন শত কোটি টাকা।


সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই জালিয়াতি চক্র ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে পথে বসিয়েছেন বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছেন নিঃস্ব।


শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ ও ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।


আরও খবর



১ কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমাকে দেখলে কি মনে হয়, আমি জোচ্চুরি করার জন্য এই ব্যবসায় নেমেছি? আমি ১ কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি।

 বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ জামিন শুনানি শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আজকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি—এ রকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে।’


সুদ যদি গ্রহণ করে থাকে, সেই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকেরাই গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বলেন, ‘আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চিনছেন, এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মতো অপরাধ কি না আপনারাই বিবেচনা করবেন। আগে যে রকম আপনারা বিবেচনা করেছেন। 

আমাকে বলা হয়েছে, আমি সুদখোর, বহুবার বলা হয়েছে। আপনারা সেটা গ্রহণ করেন নাই। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি না। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকে, সেই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকেরাই গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আমাকে যখন বের করে দেওয়া হয়, তখন গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা আমাদের সদস্যদের কাছে ছিল। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকেন, তারাই গ্রহণ করেছেন। 

আমি একজন কর্মচারী মাত্র, সেটা আপনারা জানতেন। আমি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ছিলাম না কখনো। কাজেই আপনারা (গণমাধ্যম) সেটা গ্রহণ করেননি কখনো।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, আমি গরিবের রক্তচোষা। সেটাও আপনারা গ্রহণ করেননি। রক্ত চুষতে হলে যেটা করতে হয়, সে রকম কাজ আমি করি নাই—আপনারা দেখেছেন। 

আমি এক কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। তাদেরকে মালিকানা দিয়েছি, আর কেউ তো দেয় নাই এ পর্যন্ত। এটা তো সত্যি ঘটনা। এখনো আছে তারা মালিক। 

পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, ‘বলা হয়েছে, আমি পদ্মা সেতু বানচাল করে দিয়েছি, বিশ্ব ব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দিয়েছি; আমাকে পদ্মা নদীতে চুবানো দরকার—বহুবার বলা হয়েছে। বড় বড় অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে। আপনারা সেটা গ্রহণ করেন নাই।’

আরও খবর