Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামী ১২ মে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪৪জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে আগামী ১২ মে। 


এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।


গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। 


প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা এ সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন।


নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ও সময়সূচি নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন, সেদিন ফল প্রকাশে প্রস্তুতি নেওয়া হয়।


গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।



শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




সারাদেশে ১ কোটি কার্ডধারীর কাছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সারাদেশে আজ মঙ্গলবার থেকে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা কালাচাঁদপুর নদ্দার বারিধারা পার্ক ৮ নম্বর রোড সংলগ্ন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে (উত্তর সিটি) এই বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এটাই ছিল টিসিবির উদ্দেশ্য। আমি নিজেও ছোটবেলায় রেশন কার্ড নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে যেতাম, বিভিন্ন জিনিস আমরা সেখান থেকে এনেছি। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিজস্ব উৎপাদিত অনেক পণ্য ছিল না। টিসিবির মাধ্যমে এটা আসত।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।’

কার্ডধারী ভোক্তারা ২ লিটার তেল ১০০ টাকায়, ২ কেজি মশুর ডাল ৬০ টাকায় এবং ১ কেজি চাল ৩০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন।

এর আগে টিসিবির যুগ্ম পরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা) মো. হুমায়ুন কবিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান।

এরই ধারাবাহিকতায় মে মাসের বিক্রয় কার্যক্রম মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সারাদেশে শুরু হবে।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হতে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:



ব্যাংক সুদহার ‘বাজারভিত্তিক’ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে সব ধরনের ঋণের ওপর সুদের হার আরো বেড়ে যাবে। বেড়েছে ডলারের দামও।


 ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে একবারে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা।



বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এসব সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা। কিন্তু বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক না করে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করায় এটি কোনো কাজে আসবে না, এর ফলে ডলারের বাজার আরো অস্থির হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।



এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ক্রলিং পেগের নামে ডলারের যে দাম ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে তার কারণে মূল্যস্ফীতি কতটা কমবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 


তিনি বলেন, এতদিন ডলারে দর ১১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১২০-২৩ টাকায় ক্রয় করেছে। এজন্য দেশে ডলারের মজুত বেড়েছে। কিন্তু এখন যদি ১১৬-১৮ টাকায় এটিকে আটকিয়ে রাখা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ডলারের মজুতে টান পড়বে। 


অর্থাৎ কম দরে ডলার কিনতে শুরু করলে বৈধ পথে ডলার আসা কমে যাবে। ডলারের মজুতও কমে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হওয়ার পাশাপাশি ডলার বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, তাতে করে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত থাকবে। 


হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা ঠিক রাখার জন্য ডলারের দাম শুধু বাড়াতেই থাকবে। ফলে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। 



আমদানিকারকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী দর এক লাফেই ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। ডলারের এ বিনিময় হারে শুল্ক বৃদ্ধিসহ সব আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিকেও উসকে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।


বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ডলারের দাম বাড়াতে আমদানি খরচ বাড়বে। তাতে করে ব্যবসার উৎপাদন খরচ বাড়বে। ঋণের সুদহারের মতো ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। না হলে ডলারের ফ্লো বাড়বে না। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে।    


আবার ঋণের সুদহার ‘সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক’ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণের সর্বশেষ পদ্ধতি স্মার্ট বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন থেকেই ঋণের সুদ ও বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন অর্থনীতিবিদরা। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদ হারকে বাজারভিত্তিক করেছে। এটি আরো আগে করা প্রয়োজন ছিল। 


এখন খুচরা পর্যায়ে সুদের হার নির্ধারিত হবে ব্যাংক কাস্টমারের সম্পর্কের ভিত্তিতে। বলা হয়েছে, ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে একেক খাতে একেক সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে বাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে। এতে কাস্টমাররা জানবে কোন খাতে কোন ব্যাংক কত সুদে ঋণ দিতে চাচ্ছে। 


সে অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এতদিন যেসব খাতে ঝুঁকি বেশি ছিল ব্যাংকাররা সেসব খাতে ঋণ দিতে চাচ্ছিল না। এখন ঋণের বণ্টনে দক্ষতা আরো বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায়।


তিনি বলেন, সুদের হার বাড়লে ঋণের চাহিদা কমে যায়। আর ঋণের চাহিদা কমলে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকে। সুদের হার বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটা বড় অস্ত্র হচ্ছে সুদের হার বাড়ানো। 


এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করেছে। অর্থাৎ সুদের হার আরো বাড়বে। সুদের হার বাড়লে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। সুদের হার বাড়ার ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা তৈরি হয়।


ডলারের দাম একবারে সাত টাকা বাড়ার কারণে আরো চাপ তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামের ওপর। কারণ, ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত দরে ডলার কিনলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো পণ্য আমদানিতে এত দিন ১১০ টাকা দামে ডলার দিত বাংলাদেশ ব্যাংক।


ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন তারা যেহেতু বেশির ভাগ নিত্যপণ্যই আমদানি করেন সেহেতু আমদানি পণ্যে নিঃসন্দেহে বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। তারা বেশি টাকায় পণ্য কিনলে বেশি দামে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক।


আরও খবর



বিএনপি'র আন্দোলণের সারথীরাও তারেকের উপর বিরক্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের জন্য বিএনপি কমবেশি অন্তত ৫০ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভিন্ন দফায় বৈঠক করেছিল। এই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। 


২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন ভালোই জমিয়ে তুলেছিল। এই সময় এই দলগুলোকে নিয়ে একটি জোটবদ্ধ আন্দোলন করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল।


 কিন্তু শেষপর্যন্ত জোটবদ্ধ আন্দোলন হয়নি। বরং সবাই তাদের নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৮ অক্টোবর বিএনপির হঠকারিতা এবং ভুল রাজনীতির কারণে আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 



নির্বাচনের পর শরিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে নির্বাচনের পরও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছিলেন শরিকরা।


 কিন্তু শেষ পর্যন্ত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আন্দোলনের সঙ্গীদের বিশ্বাস করতে পারেননি। আর এই অবিশ্বাসের কারণে এখন শরিক দলগুলো মোটামুটি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।


 বিএনপির সাথে তাদের যোগাযোগ আলগা হয়ে গেছে। আর সে কারণেই এখন বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তাদের উৎসাহ নেই। অনেকেই এখন ঘরে উঠেছেন এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্বে তারা বিরক্ত হয়েছেন। এবং বিএনপির সঙ্গে নতুন করে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। 



জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম অংশী ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি অত্যন্ত সরব ছিলেন এবং এই আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি বিএনপির অন্যতম পরামর্শক হিসেবে বিবেচিত হতেন। কিন্তু এখন তিনি লাপাত্তা। 



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মাহমুদুর রহমান মান্না তারেক জিয়ার ওপর অত্যন্ত বিরক্ত এবং বিএনপির কৌশল নিয়েও তিনি হতাশ। আর এ কারণেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। একই অবস্থা জেএসডির নেতা আ স ম আবদুর রবের। আবদুর রব মনে করছেন যে, বিএনপির রাজনীতির কৌশলই ভুল ছিল এবং এখন এই কৌশলের মাসুল দিতে হচ্ছে গোটা দেশকে।


 বিএনপি একদিকে যেমন সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, অন্যদিকে শরিকদেরকেও বিশ্বাস করছে না। আর এ কারণে বিএনপির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন এই নেতা।



শরিকদের মধ্যে অন্যতম ছিল ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ। তারাও এখন নিজের আলাদা অবস্থান থেকে রাজনীতি করছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তারা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে নুর বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। 


শরিকদের যারা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে একমাত্র জোনায়েদ সাকি ছাড়া কেউই বিএনপির প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছেন না। বরং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। 


অন্যদিকে বিএনপির আদর্শিক জোট জামায়াত মাঝখানে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। কিন্তু আবার ঘনিষ্ঠতায় ছেদ ঘটেছে বলে জানা গেছে।



এ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান অভিযোগ হলো তারেকের উদ্ভদ বিভ্রান্তিমূলক এবং অরাজনৈতিক সূলভ সিদ্ধান্ত। শরিকদের মধ্য থেকে একাধিক নেতা বলেছেন, তারেক জিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক পরিপক্কতার অভাব রয়েছে। হুটহাট তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিণতি এবং সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নেন।


 একজন রাজনৈতিক নেতার যে গুণাবলি থাকা উচিত তা কিছুই তার মধ্যে নেই। আর এ কারণেই শরিকরা এখন বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন বিএনপির দলের মধ্যে হতাশা অন্যদিকে শরিকরাও এখন বিএনপির প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছে না।


আরও খবর



মিজানুর রহমান খান মহিলা কলেজ : কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: মাহফুজুল হকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান খান মহিলা কল


সদরুল আইনঃ


          গাজীপুরের শ্রীপুরে ঐতিহ্যবাহী মিজানুর রহমান খান মহিলা ডিগ্রী কলেজের কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উচ্চমাধ্যমিকের রসায়নের শিক্ষক মো: মাহফুজুল হক( ইকবাল) দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই বলে লিখিত চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি'র পক্ষে কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা সাক্ষরিত এক চিঠিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।


চিঠিতে বলা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত বেসরকারি চাকুরির শর্তাবলী ২০১৯ এর ধারা ৪-(খ) এর ২ এর এক ও দুই ধারা মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ বা জেষ্ঠতম ৫ জনের মধ্য থেকে যে কোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকলেও কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নিগার সুলতানা ঝুমা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিধানকে তোয়াক্কা করেননি।


এছাড়াও তিনি উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে একের পর এক বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছে মত নিয়োগ, কলেজ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করে চলেছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।


উক্ত চিঠিতে আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুসারে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ৫ জনের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত রেজুলেশন,এমপিও সীটের কপি,দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত চিঠি,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ অধিভূক্তি নবায়নের কপিসহ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরে কলেজটিতে নানা রকমের অচলাবস্থা বিদ্যমান রয়েছে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নানা ধরনের স্বেচ্চাচারি সিদ্ধান্তের কারনে।এখানে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত মানছে না সভাপতি,আদালতে মুছলেকা দিয়েও সেই নির্দেশের তোয়াক্কা করছেন না তিনি।


 টাকার বিনিময়ে একজন চিহ্নিত ছাত্রি ধর্ষককে যার বিরুদ্ধে তৎকালিন সময়ে ধর্ষণের রেজুলেশণ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  নিয়োগ দেওয়া,কলেজের ব্যাংক হিসেব থেকে বিপুল অংকের টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাত,গ্রুপিং তৈরি করে মনগড়াভাবে কলেজ পরিচালনা করে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠকে কলঙ্কিত করার মত অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে।


 জানা গেছে, কলেজ ফান্ডের বিপুল টাকা অবৈধ পন্থায় উত্তোলন,টাকার বিনিময়ে নিয়োগ,উচ্চ আদালতের মুছলেকার শর্তাবলী ভঙ্গসহ নানা রকম অনিয়ম ও স্বেচ্চাচারিতার বিষয়ে তুলে ধরে কলেজটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ফকির,উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাতন আকন্দের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা  রয়েছে।


আরও খবর



নির্বাচনের আগের অবস্থানে নেই যুক্তরাষ্ট্র: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image


ডিজিটাল ডেস্ক :

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এমন কিছু বিষয় আছে, যেগুলো অভিন্ন। আবার কিছু বিষয়ে তাদের মতের ভিন্নতা থাকতে পারে।

যেমন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তাদের অস্বস্তি ছিল। নির্বাচন নিয়ে তাদের অবস্থান ছিল। এখন সেই অবস্থান নেই। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ডোনাল্ড লুর সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) সকালে সচিবালয়ে সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পরিবেশমন্ত্রী।


বৈঠকের বিষয়ে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, অতীত নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। বর্তমান সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব। কিছু বিষয়ে আমাদের অবস্থান অভিন্ন। জলবায়ু ইস্যুতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।


তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশ ও বন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী তিন, চার, পাঁচ বছরে দীর্ঘ মেয়াদে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বহুপক্ষীয় সংস্থা এমডিবি কীভাবে অর্থায়ন করবে, তা বড় একটি বিষয়। আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় চাহিদা ছিল বিলিয়ন ডলার। এখন তা ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সরকার এখন গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এসব বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আবার বসবেন। তখন সবকিছু সুনির্দিষ্ট হবে। কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা নির্ধারণ করা হবে। ডোনাল্ড লু জোর দিয়েছেন, ভবিষ্যতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যা-ই বিনিয়োগ হোক, তা যেন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার একই জায়গায়। সেটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে কীভাবে কাজ করা হবে, কৌশল কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪