Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আজ থেকে নতুন নোট মিলবে যেসব ব্যাংকে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৭৬জন দেখেছেন

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শাখা, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক শাখা থেকে পাওয়া যাবে টাকার নতুন নোট। এপ্রিলের ৯ তারিখ পর্যন্ত এ নতুন নোট পাওয়া যাবে। ৫, ১০, ২০, ৫০ এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন এসব নোট একজন গ্রাহক একবারই সংগ্রহ করতে পারবেন। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনেকশন অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যে সব শাখাতে টাকার নতুন নোট পাওয়া যাবে : জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব করপোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি করপোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের করপোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে বেপরোয়া মন্ত্রী - এমপিরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ



উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 


আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।


আগামী ৮ মে যে ১৫০ উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে প্রায় ৭০ টিতেই মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তি রয়েছেন। সেই পছন্দের ব্যক্তিদেরকে জেতাতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনও এদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নির্বাচন কমিশন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ঠেকানোর জন্য করণীয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে। 



একাধিক উপজেলার খবর নিয়ে দেখা গেছে, সেখানে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে জেতানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। যেমন, তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।


 আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনে যারা প্রতিপক্ষ রয়েছে তাদেরকে নানা রকম হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের ভীতি দেখানোর জন্য সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। 


এই সমস্ত প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্র-এমপিদের স্বজন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে জেতানোর জন্য নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 


গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নমনীয় এবং সহনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের বহু মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজনরা আগে থেকেই রাজনৈতিক দল করে এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন কমিটিতে আছে।


 তাদেরকে আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে বাধা দেব। তার এই বক্তব্যের পর চাপে থাকা মন্ত্রী-এমপিরা এখন যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 



তারা মনে করছেন যে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেহেতু এখন তাদেরকে জিতিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা যেতে পারে। আর এই কারণেই তারা একের পর এক উপজেলাগুলোতে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।


 নিজস্ব প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা এলাকায় নানারকম কৌশল গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে তাদের পক্ষে আনার জন্য প্রলুদ্ধ করছেন। যা তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে উপজেলা নির্বাচন এখন কার্যত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। 


তবে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলছেন, এটা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নেতার লড়াই না। উপজেলা নির্বাচন এখন আসলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপির পছন্দের প্রার্থীর সাথে তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর লড়াইয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। 


যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবোধ করতে পারছেন। যেখানে তারা শক্তিশালী নন সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের কাছে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।



আরও খবর



আবারও প্রশ্নের মুখে তানজিন তিশা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন, বিনোদন ডেস্কঃ


টানা কয়েক বছর দাপটের সঙ্গে অভিনয় করা ছোট পর্দার মডেল অভিনেত্রী তানজিন তিশার সময়টা ভালো যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। 


মূলত গত বছরের শেষের দিক থেকেই ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ মন্দা সময় পার করছেন তিনি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনায় ছিলেন এই আভিনেত্রী। নতুন বছরের শুরু থেকেই কোনো না কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। 


সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারই অঙ্গনের একজন ‘অপরাধী’র কথা শেয়ার করতে চান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিশার এই পোস্টটি নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়, তখন সেটি তিনি সরিয়ে নেন। পরের দিন সকাল থেকে তানজিন তিশার সেই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে না।



কিন্তু এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তানজিন তিশার দেওয়া পোস্টটির স্ক্রিন শট ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘আমি যদি চাই আমাদের অঙ্গনের একজন ক্রিমিনালের গল্প শেয়ার করতে পারি। শুধু তাই নয়, আমার সেই সাহস যেমন আছে, তেমনি আমার কাছে যাবতীয় প্রমাণও আছে।


 মনে রাখবে, আমি তোমাকে সবার কাছ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছি, তোমার খারাপ কাজ কাউকে জানতে দিইনি। একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার আগে সবচেয়ে জরুরি যে বিষয় তা হচ্ছে, একজন ভালো মানুষ হওয়া এবং বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া।’


ইংরেজিতে লেখা এই পোস্ট কিংবা হুমকি আসলে কাকে নিয়ে? এমন প্রশ্নে তুলকালাম মিডিয়া। তানজিন তিশার কথায় এটা পরিষ্কার, তিনি তার কোনো সহকর্মী অভিনয়শিল্পীর কথা বলেছেন, যার সঙ্গে তার সম্পর্কটা ব্যক্তিগত। নাটকসংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, তানজিন তিশা তার অভিনয়শিল্পী প্রেমিককে সবার সামনে হুমকি দেখাতে এমন পোস্ট গভীর রাতে দিয়েছেন। এরপর তাদের বোঝাপড়া হয়তো ঠিক হয়েছে, তাই পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন।


গুঞ্জন উঠেছে অনেক দিন ধরেই অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে রয়েছে তার প্রেমময় অসহিষ্ণু একটা সম্পর্ক। যার জেরে কয়েক দফা জেরবার হতে দেখা গেছে তানজিন তিশাকে। মিটেও গেছে সেটি। যেমনটা মিটল এবারও। রাতের আঁধার কাটার আগেই অভিনেত্রী মুছে নিলেন পোস্ট। বলে যাননি, অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প। দেখালেন না সাহস।


তানজিন তিশা আপাতত দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে টের পাওয়া গেছে তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলের দৌলতে। গত সপ্তাহেই চেক-ইন মিলেছে দুবাই হয়ে কুয়ালালামপুরে।


আরও খবর



রৌমারীতে প্রাণিসম্পদের এলডিডিপি প্রকল্পে অর্থ হরিলুট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image


এইচ এম মাহদী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট, ছাগল ও মুরগির ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজেই এসব কাজ করেন। সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে কাজগুলো উপকারভোগীদের সম্পাদন করার জন্য ব্যাংক হিসাবে টাকা দেয়া হয়েছিল, সেই টাকা কৌশলে প্রকল্পের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা তিনি নিজেই সেড নির্মাণ শুরু করেন।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট ও নানা অনিয়মে উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি অর্থ বছর ২০২২-২০২৩ এ বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই ঘর গুলো এতটাই নিম্ন মানের নির্মাণ করা হয়েছে যে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খচর হয়েছে মাত্র। বাকি টাকা আত্মাসাৎ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন। এদিকে উপকারভোগীদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

পওে একাউন্টে  টাকা আসলে চেকে সই করে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে টাকা গুলো নেন। যেখানে উপকারভোগীরা এই টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই কাজ করার কথা ছিল।

প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে পিজি সদস্যদের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়।

এমনকি ঘরের সাইন্ড বোর্ড এর জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শত থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। প্রকৃত ব্যয়ের সঙ্গে এসব ঘর নির্মাণ খরচের হিসাব কিংবা নেই কোনো ভাইচার।

তবে ১৩১ টি ঘর সকল ঘরের চিত্র একই। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

প্রতিটি সেড নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়  ৩৪ টি ঘরের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বাকি ৯৭ টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার করে ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এই দিয়ে মোট রৌমারী উপজেলায় ১৩১ টি ঘরের জন্য সর্বমোট ৩১ লক্ষ্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়।

অ্যাকাউন্ট-পে এই চেকের টাকা মালিক ছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষে উত্তোলন সম্ভব না। অথচ উপকারভোগী সদস্যদের কাছ থেকে চেক সই করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তার লোক দিয়ে এসব টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে রেখে তিনি নিজেই ঠিকাদার সেজে এসব ঘরের কাজ করেন।

অপর দিকে ইসলামী ব্যাংক রৌমারী শাখার পিজি সদস্যদের নামীয় অ্যাকাউন্টে এ টাকা দেয়া হয় মন্ত্রনালয় থেকে। সদস্যদের ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন দুই জন মিলে কৌশলে টাকাগুলো নিজেদের আয়ত্তে নেন। প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী নিজেরা সেড তৈরি করে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে সদস্যদের টাকা দিতে বাধ্য করেন।

তারা নিম্নমানের কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম দিয়ে নির্মাণকাজ করে কোনো মতে বুঝিয়ে দেন। কয়দিন যেতে না যেতে এসব ঘর গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এদিকে সেড ঘরের মেঝো পাকা করার কথা থাকলেও তা না করে অফিসের পক্ষ থেকে পাকা করার জন্য সদস্যদের সাড়ে পাচ হাজার করে টাকা চাপের মুখে পড়ে দেন ভুক্তভোগীদের।

এমন অনিয়মের আভাস পেয়ে এক সদস্য টাকা উত্তোলন করে তিনি নিজেই কাজ করেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দিয়ে টাকা আসলে চেকে সই করে টাকা উত্তোলন করেন।

পরে যে ঘর নির্মাণ করে দেন তা একে বারেই নিম্নমানের । একাধিক সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘরের পর্দা ও মুশরী দেওয়ার কথা তার কোনো খবর নেই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমাদের বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। তবে সেড নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তোর পাওয়া যায়নি।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। এলডিডিপি প্রকল্পের হরিলুট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ভিন্ন কথা বলে জানান যে, কোনো কাজ একশত পারসেন হয়না।

এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি ঠিকাদার সেজে কাজ করেন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ভিন্ন কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্য, অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:

২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট করেন। এ রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।



২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

 

রিটে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। 


একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

 

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন।

 

অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

 

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে, যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। 


যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

 

ব্লুমবার্গের প্রায় আড়াই হাজার শব্দের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে, ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।

 

এ অভিযোগের পর ২ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর বলেন নিজের বিরুদ্ধে এক টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

 

লন্ডনে পৈতৃক ব্যবসার কথা উল্লেখ করে বিদেশে নিজের ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেন।


 তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।


আরও খবর



উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বচনে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান হয়েছেন যারাঃ


জয়পুরহাট: 


জেলায় ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালাইতে মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলালে দুলাল মিয়া সরদার ও আক্কেলপুর উপজেলায় মোকছেদ আলী মন্ডল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার । রাত সাড়ে ১১ টায় বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফজলুল করিম।



যশোর: 


যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু আনারস মার্কায় ৬ হাজার ৫৫৫ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৯ হাজার ২৭৩। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৭১৮ ভোট।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া:


 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রোমা আক্তার ও সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মো. শের আলম মিয়া জয়ী হয়েছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম ফলাফলের তথ্যটি বুধবার রাতে নিশ্চিত করেন। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মো. শের আলম মিয়া সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।



কুড়িগ্রাম:


 কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, প্রথম ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে চিলমারীতে মো: রুকুনুজ্জামান শাহিন (জাপা)  আনারস প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রৌমারী উপজেলায় মো: শহিদুল ইসলাম শালু (আওয়ামীলীগ) কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অপরদিকে চর রাজিবপুর উপজেলায় মো: শফিউল আলম (আওয়ামীলীগ)  আনারস প্রতীকে ১৭ হাজার ৭৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।


গোপালগঞ্জ:



 প্রথম ধাপে বুধবার গোপালগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে ৩টি  উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ওই তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গননা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।  নির্বাচিতরা হলেন কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস (দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ২৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।


টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মো. বাবুল শেখ ( দোয়াত-কলম) ৪০ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাজী মাসুদুল হক মাসুদ পেয়েছেন  ১৯ হাজার ৯৫১ ভোট।


গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা  মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল (টেলিফোন) ৩১ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  


রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়জুল মোল্লা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলায় বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মোঃ বাবুল শেখ ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  


নাটোর: 


নাটোরের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ স্বাক্ষরিত বেসরকারী ফলাফল বুধবার রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে নাটোর সদর উপজেলায় মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান ৩৪ হাজার ৭৯৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।নলডাঙ্গা উপজেলায় রবিউল ইসলাম ১১ হাজার ২৪০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ার হোসেন ইতোপূর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।


নড়াইল: জেলার কালিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চিংড়ি মাছ প্রতীকে ৩০ হাজার ৪৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খান শামীম রহমান ওছি। বুধবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদের হলরুমে বেসরকাারী ভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ জসীম উদ্দিন।


সুনামগঞ্জ: 


সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় অবনীমোহন দাস ও প্রদীপ রায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত। সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ এর আওতায় ১ম ধাপের ভোটগ্রহণ অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া ও ফসল কাটা মৌসুমের শেষ সময়ে ভাটি অঞ্চলে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি শতকরা ৫০ ভাগ ছিল।


বেসরকারি ফলাফলে জানা গেছে শাল্লা উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট অবনীমোহন দাস ও দিরাই উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।


ফেনী: 


বেসরকারীভাবে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার। বুধবার রাত ৮ টার দিকে নির্বাচন কার্যালয় হতে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ৩২ কেন্দ্রে কাপ-পিরিচ প্রতীকে মোট ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন হারুন মজুমদার হয়েছেন।


জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার  কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী না থাকায় পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


চাঁদপুর:


 চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার ও মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক দর্জি। বুধবার রাতে বেসরকারীভাবে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা এবং উত্তর উপজেলা পরিষদের ফলাফল ঘোষণা করেন একি মিত্র চাকমা।


বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী চৌধুরী। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৫। এর মধ্যে গড় ভোট পড়েছে ২৪.০৮ শতাংশ। প্রথম ধাপে চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৫৭টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


বান্দরবান: 


বান্দরবানে জেলা সদর ও আলীকদম উপজেলায় বেসরকারীভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


অন্যদিকে আলীকদম উপজেলা পরিষদে ৪ বারের চেয়ারম্যান বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবুল কালামকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন।



বেসরকারি ফলাফলে জামাল উদ্দিন পেয়েছেন মোট ৯ হাজার ৭০০ ভোট। অন্যদিকে আবুল কালাম পেয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ ভোট।


বাগেরহাট: 


বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু নির্বাচিত হয়েছেণ। বুধবার রাতে বেসরকারী ফলাফলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এদিকে রামপাল উপজেলায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন  পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ।



এছাড়া এ জেলায় প্রথমধাপে বাগেরহাট সদর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্ব›ন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান  নির্বাচিত হয়েছেণ। বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন।


গজারিয়া: 


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহম্মেদ খান জিন্নাহ বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তার প্রাপ্তভোট ৪৪ হাজার ৫৩৫।


দিনাজপুর: 


দিনাজপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৩ টি উপজেলা বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাটে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারী ফলাফলে যারা নির্বাচিত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় দিনাজপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম এ বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন।


বিরামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব মোহাম্মদ পারভেজ কবির ঘোড়া মার্কায় ৪২৯৬৭ পেয়ে জয় যুক্ত হয়েছেন। হাকিমপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে,  কামাল হোসেন রাজ মোটরসাইকেল মার্কায় ২২২৫১ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন।


 ঘোড়াঘাট উপজেলায়  কাজী শুভ রহমান চৌধুরী আনারস মার্কায়  ২৮৬৯৩ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন মোটরসাইকেল মার্কায় ৮৩৮৪ ভোট পেয়েছেন।


আরও খবর