Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

এমপি-নেতারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৮২জন দেখেছেন

Image

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা কাউকেই প্রার্থী করতে পারবেন না। দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল কোনো নেতাও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে দল থেকে কোনো অবস্থায়ই কাউকে সমর্থন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রংপুরের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের ডাকা হয়েছে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ, উন্মুক্ত নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিরাসহ স্থানীয় নেতারা যার যার মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে উপজেলায় পছন্দের নেতাদের প্রার্থী করার এই প্রবণতাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা এলো। 

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বৈঠকের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানান। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কঠোর তাগিদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন। 

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামীতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তাই এসব নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন কর্মককাণ্ড ম্লান না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, রংপুর মহানগরসহ রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগাছায় আওয়ামী লীগে আগে থেকেই অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায়ও নতুন করে কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দল নিরসনসহ দল গোছাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিশেষ দুর্গম চরাঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

সূত্রমতে, বৈঠকে রংপুর মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা খর্ব করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের, যা এখন কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। একইভাবে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রংপুর মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহানগরের ছয় থানা কমিটি গঠনের এক বছর পার হলেও অনুমোদন না দেওয়া, আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করাসহ নানা কারণে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা বিরাজ করে, নেতকর্মীর মাঝেও দেখা দেয় বিভক্তি। গতকালের বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে স্থানীয় নেতারা এর অবসানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান। এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে থানা কমিটি অনুমোদনের ওই সিদ্ধান্ত আসে। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সমকালকে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে। যেখানে দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দলের পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। 

দলের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ বিভাগের কিছু কিছু সাংগঠনিক জেলায় সমস্যা আছে। যার সমাধানে বৈঠকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া থানা বা উপজেলা কমিটি গঠন বা ভাঙতেও কেন্দ্রের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নীলফামারী জেলা সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি জানান, বৈঠকে দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 

দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, আগামী নির্বাচনগুলো যাতে করে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকাসহ সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষণ্ন কিংবা হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই রকম কথা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ও কুড়িগ্রাম জেলার সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান।


আরও খবর



কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, রাজশাহীতে চার পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image


নিজস্ব প্রতিনিধি,রাজশাহীঃ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক কিশোরকে (১৬) তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশের চার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকালে তাদের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়।

প্রত্যাহার হওয়া চার সদস্যরা হলেন, প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন।

গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম গ্রাম থেকে ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন। ওই কিশোরকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বাবা মো. মুর্ত্তজা একজন কাপড় ব্যবসায়ী।


ওই কিশোর ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোর তার বাবার কাপড়ের দোকান বন্ধ করে। পরে সে তার দুই বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এই সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন তাদের সামনে আসে।

তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের তিনজনের মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তারা জোর করে ওই কিশোরকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চলে যায়।

রাত ৯টার দিকে তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর তাকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

এ সময় তারা তাকে বলেন, ‘তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দিব।’ এই সময় কিশোরটির মোবাইলে তার মা-বাবার মোবাইল থেকে বারবার ফোন আসছিল।

কিন্তু তারা তাকে তার মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বসন্তপুরে ফাঁকা রাস্তার পাশে সোহানুরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই কিশোর একা গোগ্রাম বাজারে চলে যায়।

ভুক্তভোগী কিশোর জানায়, তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। তাদের আচরণ পুলিশের মতোই। তবে তাদের পরনে পুলিশের কোনো পোশাক ছিল না। বারবার ফোন আসছিল আর ‘স্যার স্যার’ বলছিলেন। তাদের একজনের হাতে থাকা হাতকড়া তাকে পরিয়ে দেওয়া হয়।

পরে তারা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে গাড়ি এনে থানায় নিয়ে চালান দিয়ে দেবেন বলেও তারা তাকে হুমকি দেন। সে ভয় না পেয়ে তাদের সঙ্গে থানায় যেতে চায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কিশোরটি আরও জানায়, ওই চারজন তার মোবাইলে থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পিন নম্বর নিয়ে তার সামনেই তিন হাজারের মতো টাকা তুলে নেন। তাকে ছেড়ে দেওয়ার আগেই দুজন পুলিশ সদস্য সেখান থেকে চলে যান। বাকি দুজন তাকে ফাঁকা রাস্তায় নামিয়ে দেন।

এরিমধ্যে ভুক্তভোগীকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে থাকে। থানা-পুলিশকেও ফোন করা হয়। এ সময় এএসআই আনোয়ারুলকে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন তার কাছে ভুক্তভোগীর বিষয়ে জানতে চান।

একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে অবরুদ্ধ করেন। পরে খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়েই স্থানীয় লোকজনকে লাঠিপেটা করেন তিনি। এতে সাত–আটজন আহত হন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন লোকজন।

পরে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আবদুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এএসআই আনোয়ারুলকে নিয়ে চলে যান।

ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার পর তাকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চারজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।’


আরও খবর



তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র হলেন সাদিক খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image



লন্ডন প্রতিনিধিঃ


টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন সাদিক খান। অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জয়লাভ করেছেন।


৪৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সোসান হল পেয়েছেন ৩২.৬ শতাংশ ভোট।



২০১৬ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন সাদিক খান। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন তিনি।


কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচারণার মাধ্যমেই সাদিক খান জয়লাভ করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি লন্ডনের সাবেক মন্ত্রী পল স্কুলিসহ আরও হাইপ্রোফাইল টরি প্রার্থীদের পেছনে ফেলেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।


পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাপ-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।


তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে।


ছোটবেলা থেকেই সাদিক খান নিজে যে আদর্শে বিশ্বাসী তা নিয়ে লড়তে এবং সাফল্যের জন্য সব প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে পিছপা হননি।


সাদিক খানের বাবা আমানুল্লাহ খান এবং মা সেহেরুন খান পাকিস্তান থেকে লন্ডনে আসেন ১৯৭০ সালে- সাদিক খানের জন্মের কিছুদিন আগে।


সাদিক খান তাদের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে পঞ্চম। তারা সাত ভাই এবং এক বোন। দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের যে তিন-কামরার ফ্ল্যাটে তারা থাকতেন, সেখানে তাদের বড় পরিবারকে গাদাগাদি করে থাকতে হতো।


স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে তিনি পড়তেন এবং সেখানেই ১৫ বছর বয়সে তিনি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং লেবার পার্টিতে যোগ দেন। আর্নেস্ট বেভিন কলেজ নামে ওই স্কুলের প্রধান ছিলেন যুক্তরাজ্যের কোনো মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম মুসলমান প্রধান শিক্ষক।


সাদিক খান ছোটবেলা থেকেই মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে লালন করেছেন এবং তিনি বলেছেন বাবা-মার কাছ থেকে এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন যে ‘কোথাও অন্যায় কিছু দেখলে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করা তোমার কর্তব্য।’


তিনি লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন, ফুটবল, বক্সিং এবং ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন। এমনকী তরুণ হিসেবে তিনি সারে কাউন্টি ক্রিকেট দলেও কিছুদিন ট্রেনিং নিয়েছিলেন।


তবে তিনি বলেছেন ফুটবল মাঠে কীভাবে তাকে ও তার ভাইকে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে, যার কারণে তিনি ঘরে বসে খেলা দেখাই ‘নিরাপদ’ মনে করতেন। পরে তিনি লিভারপুল দলের ভক্ত হয়ে ওঠেন।


প্রথমদিকে তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছিলেন- ভেবেছিলেন দন্ত চিকিৎসক হবেন। পরে একজন শিক্ষকের পরামর্শে তিনি আইন পড়তে যান। ওই শিক্ষক তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি সবসময় তর্ক করো।’


১৯৯৪ সালে তিনি একটি আইন সংস্থায় মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও বিবাহ। সাদিয়াও আইন পড়তেন এবং কাকতালীয়ভাবে তিনিও বাসচালকের কন্যা।তাদের দুই কন্য সন্তান আছে - আনিসা আর আম্মারা।


সাদিক খান স্থানীয় প্রশাসনে ১২ বছর কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে আইনজীবীর কাজ ছেড়ে তিনি পুরো সময়ের জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন।২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে তার সমসাময়িকরা বলেছেন সাদিক খান ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত’ এবং ‘একগুঁয়ে ব্যক্তি এবং ‘তার যুক্তি খারিজ করে দেয়া প্রায়ই কঠিন’।


২০১০ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছিলেন ‘আমি উদ্ধত কোনো মন্তব্য করতে চাই না- তবে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, খুব কম মুসলমানকে বলতে শোনা যায় ‘আমি একইসঙ্গে ব্রিটিশ, মুসলমান এবং লন্ডনবাসী- তা নিয়ে আমি গর্বিত।’  


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন : প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:



ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


 বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ।


নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 



১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।



 নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। 


প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।


এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।


প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ ও ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।


ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ইউক্রেনের কারাবন্দিরা যোগ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীতে, সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্টঃ



ইউক্রেনের পার্লামেন্ট এমন একটি বিল পাস করেছে যার ফলে কিছু বন্দি এখন থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। নামতে পারবেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও। বুধবার (৮ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।



মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে।



ইউক্রেনের পার্লামেন্টে নেওয়া বুধবারের এই পদক্ষেপটিকে কিয়েভের দীর্ঘদিনের নীতির ইউ-টার্ন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কোনো ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছিল এবং সেনা ঘাটতি পূরণের জন্য রুশ বন্দিদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর বিষয়ে মস্কোর সমালোচনাও করে আসছিল কিয়েভ।


অবশ্য পার্লামেন্টে পাসের পর বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে।



এদিকে জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। খসড়া আইনটি কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্য সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে যারা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’


তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এই সুযোগ শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।


শুলিয়াক বলেন, যৌন সহিংসতা, দুই বা ততোধিক লোককে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি এবং সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সামরিক বাহিনীতে সেবা করার যোগ্য নয় বলে বিবচিত হবে।


তিনি বলেন, যে সকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য। এছাড়া অন্য যে কোনও বন্দি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তারা সেটি পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষমার পরিবর্তে প্যারোল মঞ্জুর করা হবে।


আরও খবর



প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার দায় ইসির নয় : সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা।

সিইসি বলেন, যারা নির্বাচন করবে তাদের প্রার্থী বলা হয়। একজন, দুইজন, চারজন, পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে। আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচন মোটেই নিয়মরক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটা দেশের শাসনব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন।


আরও খবর