Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

৩ কেজি ১০০ গ্রাম অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা'সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৬২জন দেখেছেন

Image

পাবনা প্রতিনিধিঃ অদ্য ০৮ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিঃ ২১.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা, র‌্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র এএসপি কিশোর রায় এর নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পাবনা জেলার আতাইকুলা থানাধীন ছোট মঙ্গলগ্রাম সাকিনস্থ আলহাজ¦ আশাদুল প্রামানিক এর উত্তর দুয়ারী টিনশেড কবিরাজী ঘরের বারান্দার টিনের চালার নিচে অভিযান পরিচালনা করে ধৃত ১। আসামী মোঃ সুমন (২৫), পিতা-মোঃ হোসেন আলী, ২। মোঃ রাশিদুল ইসলাম (২২), পিতা- মোঃ আঃ করিম, উভয় সাং-দক্ষিন টিআর পাড়া,  থানা-ফরিদপুর, জেলা-পাবনাদ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার পূর্বক ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট থেকে ০৩ কেজি ১০০ গ্রাম অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা, মোটর সাইকেল-০১টি, মোবাইল-০১ টি, সিমকার্ড-০২ টি এবং নগদ ২৪৮০/-টাকা উদ্ধার করে। ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাহারা পরস্পর যোগসাজস করিয়া দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য গাঁজা নিজ নিজ হেফাজতে রেখে নিজ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছিল। 

এ সংক্রান্তে ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পাবনা জেলার আতাইকুলা থানায় এজাহার দায়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image


ডিজিটাল ডেস্ক

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।


বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।


মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর



আজিজ মোহাম্মদ ভাই : পর্দার আড়ালের রহস্যময় মাফিয়া ডন ও নারী খাদক যিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


                 নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন আদেশ দিয়েছেন আদালত।


 আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।


কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 


এছাড়া বাকি ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।


বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যক্তিদের তালিকা করলে এর প্রথমদিকেই যাদের নাম থাকবে তাদের একজন এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই। যাকে নিয়ে আছে নানা গল্প, নানা রহস্য। 


আর এসব গল্পের বেশিরভাগই চলচ্চিত্র জগতের নারী ও হত্যা কেন্দ্রিক। এসব গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মুখরোচক মিথ্যা সে নিয়েও আছে নানা মত।


নামের সঙ্গে ‘ভাই’ শব্দটি থাকার কারণে অনেকেই মনে করেন গডফাদার বলেই তাকে ভাই বলা হয়। সাধারনত মাফিয়া ডন বা গডফাদারদেরকে ভাই ডাকে তাদের অনুগতরা। 


কিন্তু আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামে ‘ভাই’ শব্দটি মূলত তাদের বংশপদবী। তাঁদের পরিবারের সকলেরই নামের শেষে ভাই পদবী আছে। এমনকি নারীদের নামের সঙ্গেও ভাই দেখতে পাবেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ভাই। মায়ের নাম খাদিজা মোহাম্মদ ভাই।


১৯৪৭ এ ভারত ভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশে আসে। তাদের পরিবার মূলত পারস্য বংশোদ্ভুত। 


তারা ‘বাহাইয়ান’ সম্প্রদায়ের লোক। বাহাইয়ান’ কে সংক্ষেপে ‘বাহাই’ বলা হয়। উপমহাদেশের উচ্চারণে এই ‘বাহাই’ পরবর্তীতে ‘ভাই’ হয়ে যায়।


ধনাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। পারিবারিক সূত্রে আজিজ মোহাম্মদ ভাই নিজেও শুরু করে ব্যবসা। দিনে দিনে বাড়তে থাকে তার  অর্থ সম্পদ।


 অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যাবসা। আবার মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। 


তিনি সার্ক চেম্বারের আজীবন সদস্য। কথিত আছে, ভারতের পলাতক ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।


ব্যবসার পাশাপাশি ৯০ এর দশকে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এমবি ফিল্মসের ব্যানারে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসেন। চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকে নাকি নায়িকাদের রূপের মোহে নাকি কালো টাকা সাদা করতে নাকি শুধুই ব্যবসায়িক মানসিকতায় অথবা মিডিয়ার মনযোগ কাড়তে প্রযোজনায় আসলেন- সেটা নিয়ে তর্ক করাই যায়।


 তবে এসেই নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ফেললেন। পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, মিডিয়া মালিক ও সাংবাদিকরা সমীহ করে চলতো তাকে। ৫০টির মত চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই।  দেশের বিজ্ঞাপন জগতে গ্লামার আনতেও তার ভূমিকা ছিল। 


নিজের প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ব্যাটারির ‘আলো আলো বেশি আলো’ বিজ্ঞাপনে মিতা নূরের ঝলমলে উপস্থিতি তখন বেশ নজর কেড়েছিল।


এরশাদের আমলে একবার তিনি গ্রেপ্তার হন। প্রচলিত আছে এক নারী নিয়ে দন্দ্বের কারনেই এরশাদ তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন। এরশাদ এক নারীকে পছন্দ করেন, একই নারীর প্রতি আকাঙ্খা ছিল আজিজ এর।


 অবশ্য দ্রুতই প্রিন্স আব্দুল করিম আগা খানের সুপারিশে মুক্তি পান আজিজ মোহাম্মদ ভাই।


চলচ্চিত্র নায়িকাসহ বিভিন্ন নারীর সাথে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প ছড়াতে থাকে। একজন পত্রিকা সম্পাদককে হত্যার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে কিন্তু সেটাকে পরে হার্ট অ্যাটাক বলে প্রচার করা হয়।  


তবে তিনি ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসেন ১৯৯৭ সালে। সেসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে  হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেটাকে আত্নহত্যা বলেই প্রচার করা হয়। 


যদিও সালমান শাহ এর পরিবার ও তার ভক্তদের ধারণা এটা হত্যাকান্ড।  পারিপার্শিক আলামতেও এটাকে হত্যাকান্ড হিসেবেই মনে হয়। আবার আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর মত সালমানের স্ত্রী সামিরারও থাইল্যান্ড এ বসবাস সন্দেহকে বাড়িয়েই দেয়।


শোনা যায় সালমান শাহ নিহত হওয়ার আগে একটি পার্টিতে সালমানের স্ত্রী সামিরাকে চুমু দেয় আজিজ।  এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকলের সামনে আজিজকে চড় মারে সালমান। এটাকে মোটিভ হিসেবে ধরেন অনেকেই। যদিও হত্যাকাণ্ডের সময় থাইল্যান্ডে ছিলেন আজিজ। সালমান হত্যাকান্ড নিয়ে দুইবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় আজিজকে। কিন্তু কোন প্রমাণ না পাওয়া পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।


এর দুই বছর পর ঢাকা ক্লাবে খুন করা হয় আরেক চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরী কে। এ হত্যাকাণ্ডেও আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও তার পরিবারের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। সে সময় সোহেল চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল ঢাকার ডিশ ব্যবসা। এই ব্যবসা নিজেদের কব্জায় নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয় বলে ধারনা।


তবে বারবারই প্রমাণের অভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছেন আজিজ। এবং আজিজ মোহাম্মদ ভাই দাবী করার সুযোগ পেয়েছেন তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিডিয়াই তাকে ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে বারবার। ২০১২ সালে মাদক ব্যবসার অপরাধে আজিজের ভাতিজা, ইয়াবা সম্রাট বলে খ্যাত আমিন হুদার ৭৯ বছরের জেল হয়েছে।


বর্তমানে আজিজ মোহাম্মদ ভাই সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। আনন্দ ফূর্তি করে সময় কাটাতে পছন্দ করা এই লোককে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পার্টিতে, ক্লাবে নারীদের সাথে ফূর্তিরত অবস্থায় দেখা যায়। 


তার স্ত্রী নওরিন মোহাম্মদ ভাই দেশে এসে ব্যবসা দেখেন। পরিবারে আর আছে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে।


উইকিপিডিয়া বলছে, আজিজ মোহাম্মদ ভাই একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি হত্যা ও মাদক পাচারসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




চিকিৎসার জন্য আমানকে বিদেশ যেতে আপিল বিভাগের অনুমতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

জামিনে মুক্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত তিনি।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

গত ২০ মার্চ এ মামলায় আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে বলে শর্ত দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি শুরু করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে ২৪ মার্চ তিনি জামিনে কারামুক্ত হন। এরপর ২৮ মার্চ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ-১ এর বিচারক আবুল কাশেম।

এরপর তিনি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেন।

তবে আপিল বিভাগ ৪ ডিসেম্বর তাকে জামিন না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি করতে বলেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে ১৪ জানুয়ারি লিভ টু আপিল মঞ্জুর করা হয়।এ অবস্থায় ফের তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ৩০ মে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল পুনঃশুনানি শেষে তাদের দণ্ড বহাল রেখে রায় দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রায় পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। গত বছরের ৭ আগস্ট সেই রায় প্রকাশ হয়।

এরপর রায়ের নির্দেশনা মোতাবেক আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান গত ৩ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করেন। পরদিন তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে জামিন পান।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।

পরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন আমান। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




তাপপ্রবাহ তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি নিয়ে যা বলছে আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

 ডেস্ক নিউজঃ

সারাদেশে টানা তাপপ্রবাহের পর গত তিনদিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। রাজধনীতেও ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস দিল নতুন তথ্য।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

আজ সোমবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চরের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রংপুর ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




মিথিলার মুকুটে নয়া পালক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image



বিনোদন প্রতিবেদকঃ



একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় তার নাম, অন্যদিকে ভারতেও তার গুণমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যা প্রচুর। সৃজিত ঘরণির মাথায় এবার নয়া পালক। 


সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ছবি ও অভাগী। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গল্প অভাগীর স্বর্গ অবলম্বনে তৈরি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিথিলা।


 তার অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে বলা চলে। আর এই ছবির জন্যই এবার দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত মিথিলা। একটি ভিডিও নিজেই ভাগ করে নিলেন সেই খবর।



‘ও অভাগী’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই সকলের মনজয় করেছেন তিনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘অভাগীর স্বর্গ’-এর উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি তৈরি করেছেন পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী। এবং ছবিটির মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মিথিলাকে। 


ছবিটির গল্প থেকে শুরু করে অভাগী রূপে মিথিলার অভিনয় ভীষণভাবে মন কেড়েছে সকলের। এবার এই চরিত্রটির জন্য পুরস্কৃত মিথিলা। অভিনেত্রীকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে দিল্লিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও, সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি রফিয়াথ রশিদ মিথিলা। 


কারণ, বাংলাদেশে ছিলেন তিনি সেই সময়। অভিনেত্রীর জায়গায় পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন ছবির পরিচালক-প্রযোজক। তবে এমন সম্মানে মিথিলার আনন্দের অন্ত নেই।


তিনি একটি ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সবাইকে জানাতে চাই যে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ১৪-তম দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৪-এ আমি সেরা অভিনেত্রীর সম্মানে ভূষিত হয়েছি। ‘ও অভাগী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্যই এই পুরস্কার আমি পেয়েছি। 


আমি এজন্য আমাদের পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী ও প্রযোজক ড. প্রবীর ভৌমিক এবং আমাদের গোটা টিমকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই।’



ছবিটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা দেখা গিয়েছে এই ছবিকে কেন্দ্র করে। ‘ও অভাগী’ ছবিতে একজন রসিকের চরিত্রে দেখা গিয়েছে। শুধু তিনি নন, আরজে সায়নকে এবং জমিদারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী। 


সুব্রত দত্তের অভিনয় নজর কেড়েছে সকলের। এছাড়াও অভিনয় করেছেন দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, আরজে জিনিয়া, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌরভ হালদারের মতো অভিনেতারা। এ ছবিতে ফুটে উঠেছে এই সমাজের এক অন্য কাহিনি। শুধু এই ছবিতে নয়, মিথিলার অভিনয় এর আগেও বহু ছবিতে মুগ্ধ করেছে বাঙালি দর্শককে।


আরও খবর