Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

আমিরাতে এন আর বি খুলনার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৪৭জন দেখেছেন

Image
মো নূরুল্লাহ খানঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত খুলনা বাসিদের সংগঠন ” এন.আর.বি খুলনা ” এর উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহাফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ এপ্রিল বিকেলে আমিরাতে অবস্থিত খুলনাবাসী ও অন্যান্য কমিউনিটির নেত্রীবৃন্দের উপস্থিতিতে শারজাহ আল হুদাইবিয়া রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহাফিলে সভাপতিত্ব করেন শারজাহ ইসলামী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ আব্দুল করিম সুজা।

প্রকৌশলী মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর সমিতির আহ্বায়ক মোঃ বুলবুল আহমেদ মুকুল, বরিশাল সমিতির সভাপতি রাজা মালিক, কুমিল্লা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম, ডিপ্লোমা এসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের কালচারাল সেক্রেটারি এস এ মোরশেদ, জনতা ব্যাংক দুবাই শাখার ম্যানেজার এম এ মালেক।

উক্ত অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন শাহিদ ইসলাম, প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান কবির, তরিকুল ইসলাম পাপ্পু, আব্দুল মাবুদ চৌধুরী, মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, কাজি মোয়াজ্জেম হোসেন । উক্ত অনুষ্ঠানে এন.আর.বি খুলনার সদস্য প্রবাসী লেখক ডাঃ আবতাব হক ও জিয়াউল হকের লেখা বিভিন্ন বই উপস্থিত অতিথিদের মাঝে উপহার হিসেবে বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে দোয়া উপস্থাপনা করেন মাওলানা মোস্তফা মাহামুদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, আমাদের জীবন পরিচালনা করার পথে যেমন পরিবারের ভূমিকা রয়েছে, তেমনি সমাজের নানা ধরনের সংগঠনের ভূমিকাও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। চীনা দার্শনিক কনফুশিয়াস এর একটি মহামূল্যবান উক্তি ছিলো “যে ব্যক্তি অন্যের কল্যাণের ইচ্ছা পোষণ করে সে প্রকৃত প্রক্ষে নিজের কল্যাণই নিশ্চিত করে”। সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রেরণা পাওয়া যায়। সামাজিক সংগঠনগুলোতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইতিবাচক গুণাবলী তৈরী হয়। মানুষের মধ্যে নেতৃত্ব-গুণ তৈরী হয়। দায়িত্বশীলতা বাড়ে, সামাজিক দায়বদ্ধতা বাড়ে। সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক সুস্থতা আনা সম্ভব। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত খুলনা বাসিদের সংগঠন ” এন.আর.বি খুলনা ” মানুষের কল্যাণে আরো বেশি বেশি কাজ করবে বলে আমি আশাকরি।


আরও খবর



ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : আল্লাহতায়ালা পবিত্র। তাঁর আসমাউল হুসনা পবিত্রতম নামগুলোর অন্যতম ‘সুব্বুহুন’ তথা পবিত্রতম ‘কুদ্দুসুন’ তথা অতি পবিত্র ও মহা পবিত্রকারী। আল্লাহা চান মানুষের পূতপবিত্র জীবনযাপন। 

তিনি বলেন, ‘হে নবী পরিবার! আল্লাহ তো শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ (সুরা আহজাব : ৩৩)। আল কোরআনে আরও এসেছে, ‘বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান।’ (সুরা মায়েদা : ৬)।

আল্লাহ পবিত্রতা ভালোবাসেন। পবিত্রতা মানে জীবন-যাপনের পবিত্রতা, বিশ্বাসের পবিত্রতা, কর্মের পবিত্রতা, শারীরিক পবিত্রতা, মানসিক পবিত্রতা, আর্থিক পবিত্রতা, বাহ্যিক পবিত্রতা, অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা; ভাষা তথা কথার পবিত্রতা, রুচির পবিত্রতা, দৃষ্টি ও দৃষ্টিভঙ্গির পবিত্রতা, পরিবেশের পবিত্রতা; শ্রবণের পবিত্রতা, দর্শনের পবিত্রতা, চিন্তার পবিত্রতা। পবিত্রতা জীবনযাপনের পূর্বশর্ত। 

নবী (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।’ অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘পবিত্রতা ইমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম, মিশকাত)

পানি দিয়ে অজু, গোসল আর পানি না পেলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়।

আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, হে ইমানদারগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াতে যাবে, তখন তোমাদের মুখমন্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাতগুলো ধোও আর তোমাদের মাথা মাসেহ কর আর টাখনু পর্যন্ত (গিঁট বা টাখনুসহ) তোমাদের পাগুলো ধোও। (সুরা মায়েদা : ৬)।

তেমনিভাবে কোরআন-হাদিসে গোসল ও তায়াম্মুম করার কথাও বলা হয়েছে। মোট কথা, ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার ধর্ম। আমাদের শরীরের পবিত্রতার পাশাপাশি মনের পবিত্রতাও অর্জন করতে হবে। মানুষের প্রাকৃতিক পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধিবিধান রয়েছে। 

নবী (সা.) বিভিন্ন হাদিসে গোঁফ কর্তন করা, দাড়ি বড় করা, মিসওয়াক করা বা নিজের দাঁতমুখ পরিষ্কার করা, নাকের মধ্যে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, নখ কাটা, দেহের অঙ্গসন্ধিগুলো ধোয়া, বগলের নিচের চুল পরিষ্কার করা, নাভির নিচের চুল মু-ন, পানি ব্যবহার করে শৌচকার্য করা, কুলি করা, খতনা করা ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতামূলক কাজগুলোকে ফিতরাত তথা ইসলামি জরুরি কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

নরনারী সব মানুষের দেহ, পোশাক, বাড়িঘর, আঙিনা সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে। মনের পবিত্রতা তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরিত্যাগ করে আল্লাহতায়ালা প্রিয় নবী (সা.)-এর পথে পরিচালিত হওয়াই মানব জীবনের সার্থকতা। দেহ, পোশাক, বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। দেহ বা পোশাক অপরিচ্ছন্ন কাউকে দেখলে নবী (সা.) আপত্তি করতেন।

রসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের বাড়ির আঙিনা সব দিক পরিচ্ছন্ন রাখবে। (তিরমিজি) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অন্যতম দিক হলো মলমূত্র ত্যাগ। মলমূত্র ত্যাগের আদব হলো অন্যের দৃষ্টি থেকে সতর আবৃত রাখা। এজন্য স্যানিটারি পায়খানা বা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি পায়খানার মধ্যে মলমূত্র ত্যাগ করা। পায়খানা-প্রস্রাবের সময় নিজ সতর অন্যকে দেখতে দেওয়া হারাম ও অভিশাপের কারণ। 

নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মলত্যাগের জন্য গমন করে, সে যেন নিজেকে আড়াল করে (আবু দাউদ)। বর্তমানে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু,  করোনা, চিকুনগুনিয়াসহ আমরা অনেক রোগই প্রতিরোধ করতে পারি পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের মাধ্যমে। আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক, ব্যবসায়িক সব ক্ষেত্রে আল্লাহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সুন্দর জীবনযাপনের তৌফিক দান করুন।


আরও খবর

তাওবার গুরুত্ব

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা চায়, আমরাও তা-ই চাই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৩জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে একমত। নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা বলেছে, আমরাও তা-ই চাই।’ 

৩০ নভেম্বর সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে অংশ গ্রহণ মূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব’— ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির এ বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছাড়ানো হয়েছে... সেখানে কিন্তু অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতোমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত না।’

গতকাল ২৯ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তি পূর্ণ ও অংশ গ্রহণ মূলক দেখতে চায় পুরো বিশ্ব।’  

ইসির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশাকরি গণতান্ত্রিক, গ্রহণ যোগ্য ও অংগ্রহণ মূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।’

বৈঠক শেষে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তারা আগেও একাধিকবার এসেছেন। তাদের একটা এক্সপার্ট ইলেকশন পর্যবেক্ষণ টিম আসবেন বলে জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে চারজন এসেছেন। তারা দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের প্রস্তুতিটা অনেক দূর এগিয়ে গেছে এটা তারা জানতেন না। তারা আজও এসেছেন, এর মধ্যে আমাদের কী কী অগ্রগতি হয়েছে সেগুলো আমরা তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়— সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এদিকে, ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে। 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পিটার হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার। আর জোটের আসন নিয়ে শরীকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ। 

নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বিষয়ে বিএনপি তাদের শেষ কথা বলে দিয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই। 

দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অংশ গ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্য জাগরণ দেখা যাচ্ছে। এই নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। 


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৮৭ হাজার ১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে চলতি মাসের ৫ নভেম্বর ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা।

চলতি মাসে এ নিয়ে দুই দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম। আর অক্টোবর মাসে চার দফায় বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। গত ৪, ১১ ও ১৫ অক্টোবর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরেও ২ দফায় বাড়ানো হয় স্বর্ণের দাম।


আরও খবর



আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তানজিন তিশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা গতকাল ১৫ নভেম্বর রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, তানজিন তিশার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার অভিনেত্রীর রাজারবাগের বাসায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তিশার। তবে কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তাদের মধ্যে। বুধবার রাতে তিশা নিজের রাজারবাগের বাসা থেকে ফারহানের উত্তরার বাসায় যান। সেখান থেকে ফিরেই ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, রাতে তিশাকে গুরুতর অবস্থায় সেখানে নেওয়া হয়েছিল। আপাতত অভিনেত্রী বিপদমুক্ত।

তিশার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তিশাকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে মুশফিক ফারহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



ঋতু বদলে ঘরের নতুন সাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

শীত আসার শুরুতেই প্রকৃতি যেন আলাদা এক চাদরে ঢাকা পড়তে থাকে। আর এসময় বাইরের হিম আঘাত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ঘরে আপনজনের সাথে কিছু সময় কাটাতে খুব বেশি সুখকর মনে হয়। কিন্তু এই মুহূর্তগুলো আরও বেশি উপভোগ্য হয় যখন পুরনো ঘর-বাড়িকে বদলে নিয়ে শীতের জন্য নতুনভাবে নতুন-সাজে সাজানো যায়। কারণ এই সাজানো ঘরই শীতের আমেজকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।

এছাড়া দীর্ঘদিন একই সাজের ঘর, একই রঙের ফার্নিচার, পর্দা দেখতে দেখতে চোখে ও মনে একধরনের একঘেয়েমি চলে আসতেই পারে, আর তাই ঘরের সাজে একটু পরিবর্তন হলে মন্দ লাগেনা। এতে শীতকালীন আলসেমির মধ্যেও যেমন নতুন একটা পরিবেশ পাওয়া যায় তেমনি নতুন উদ্যমে কাজ করার স্পৃহাও জাগে। 

ঘরের আসবাবপত্রগুলোকে ঠিকঠাক নিয়মে না সাজাতে পারলে রুচি-বোধের ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক। শীত আবহে অনেক দিন পর ঘরকে নতুন ভাবে সাজাতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ইপন শামসুল কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী-ঘরকে নতুন ভাবে সাজাতে হলে প্রথমেই যে বিষয়কে মাথায় রাখা জরুরি সেটি হচ্ছে রঙ। শীতে যদিও আমাদের দেশে তুষার পড়ে না তবে এসময় সূর্যের আলোর প্রভাব কম থাকে। আর জন্যেই সাদা ও অন্যান্য উজ্জ্বল গোত্রের রঙকে বেছে নেওয়া যেতে পারে যেমন ধুসর, হালকা বাদামি, হালকা গোলাপি ধরনের রঙ। 

রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেডরুমের দেয়াল হালকা নীলে রাঙানো যায়। ডাইনিং স্পেসটা ছোট হলে দেয়ালের একটা পার্ট লাল বা অন্য কোন ডার্ক রঙ ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে শিশুদের ঘরেও মাঝে মধ্যে পরিবর্তন দরকার। ছেলে শিশু হলে তার ঘরটি নীল, সবুজ রঙে আর মেয়ে শিশু হলে গোলাপি রঙে সাজালে মন্দ হয় না। 

রঙ বাছাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে রুম এর অবস্থানকে সঠিক ভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। এক্ষেত্রেও খেয়াল রাখতে হবে যেন রুম গুলোর অবস্থান বারান্দা বা ব্যালকনির পাশে। যার ফলে সকাল বেলার মৃদু শীতল বাতাস দিনের শুরুতেই এক দারুণ সজীবতার অনুভূতি জোগাবে।

বেডরুমের সজ্জায় যদি বেডের পেছনের দেয়ালকে হালকা টেক্সচার পেইন্ট করলে একটা প্রশান্তি অনুভব হবে যে কারো। এছাড়া বেডশিট, বালিশ, কুশন, কম্বল গুলোর রঙও যদি কাছাকাছি একই ধরনের হয় তাহলে দৃষ্টিনন্দন লাগবে। বেডের সাথেই একটা কাঠের ছোট কফি টেবিল রাখতে পারেন। তাছাড়া বারান্দায় একটা ইজি চেয়ারে বসে শীতল বাতাস দারুণ উপভোগ্য হতে পারে। 

শীত মৌসুমে ঘরের মেঝে সাজানোর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কার্পেট এবং ম্যাট। এর রঙ, সাইজ ভেদে সঠিক ব্যবহার নিঃসন্দেহে ঘরটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। কার্পেট শুধু মেঝেতে নয়, দেয়ালেও যদি ব্যাবহার করা হয় তাহলে দেয়ালকে দিতে পারে একটি চোখ ধাঁধানো রূপ। তবে অনেক সময় খারাপ তন্তুর তৈরি কার্পেট বা ম্যাট ঘরে থাকলে শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে কাশমিরি ম্যাটকে প্রধান্য দেওয়াই ভালো।

এছাড়া চেয়ার অথবা সোফায় আর্টিফিসিয়াল পশম দিয়ে তৈরি ছোটবড় কুশন ব্যবহার করা যেতে। এটি যথেষ্ট উষ্ণতর ও আরামদায়ক। তাছাড়া ফ্ল্যানেল ও ভেলভেটের তৈরি হালকা ওজনের ছোট কম্বলও ব্যবহার করা যেতে পারে যেকোনো জায়গায়।

শীতের রাতে ঘরের বিভিন্ন যায়গায় নানারকমের মোমবাতির ব্যবহার ঘরকে হালকা আলোকময় উষ্ণ রাখবে। এছাড়া আমাদের যেহেতু এখনো ফায়ারপ্লেসের ব্যবহার তেমন ভাবে শুরু হয়নি তাই শীতের শুরুতে ঘরের একটি জায়গায় রুম হিটার রাখার ব্যবস্থা করাই উত্তম।

তবে ঘরকে নতুনভাবে সাজাতে গেলে প্রত্যেকের সাধ ও সাধ্য দুইদিকই বিবেচনায় রাখতে হবে। সবাই চাইলেই চট করে পুরনো সব কিছুকে পাল্টে নতুন করে ক্রয় করা সম্ভব নাই হতে পারে। সেদিক বিচারে শুধুমাত্র ঘরের পর্দা বা বিছানার চাদরে ব্লক করে নতুনত্ব আনা যেতে পারে। এতে সাধ্যমত ঘরের সৌন্দর্য যেমন বাড়বে তেমনি খরচও কম হবে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩