Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৩৮৩জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লার চান্দিনায় গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে খুন হলেন হানিফ মিয়া (৩৫)। বুধবার চান্দিনা উপজেলা সদরের আনিছ মোহাম্মদের বাড়িতে (আনিছা বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত হানিফ মিয়া ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় হানিফ। হত্যাকারী আনিছ মিয়া নিহতের আপন ছোট ভাই। 

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, তারা দুই ভাইয়ের পৃথক গরুর খামার আছে। বাড়ির পাশে অন্যের খালি জায়গায় দুই ভাই দীর্ঘদিন যাবৎ গরুর গোবর ফেলে আসছে। বুধবার দুপুরে ওই স্থানে গরুর গোবর ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চরম উত্তেজনার মধ্যে মেঝ ভাই আনিছ মিয়া বড় ভাই হানিফ মিয়াকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে কাঠের চোখা টুকরো দিয়ে আঘাত করায় ওই কাঠের চোখা অংশ বাম চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ঢুকে যায়। তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ ও মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়। চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপর হত্যাকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 


আরও খবর



গনঅধিকার পরিষদের বিপ্লবী গাইবান্ধা জেলার সাধারণ সম্পাদকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ২৭২জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি 

গনঅধিকার পরিষদে গাইবান্ধা জেলার বিপ্লবী  সাধারণ সম্পাদক সামিউল ইসলাম কে  ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন গাইবান্ধা জেলার ( জি ও পি এর  নেতৃবৃন্দরা।  গাইবান্ধা জেলা   ফুলছড়ি ও সাঘাটা ৫ আসনের বিভিন্ন জায়গায় পথসভা অনুষ্ঠিত হয়, গাইবান্ধা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সম্মানীত বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে। শত-শত মোটরসাইকেলের সোডাউনের মাধ্যমে  পলাশবাড়ি উপজেলা থেকে পথ সভা  শুরু করে গাইবান্ধা সদর, মদনের পাড়া,কঞ্চিপাড়া,কালির বাজার,উদাখালী,উল্ল্যাবাজার,ভরতখালী দিয়ে সাঘাটা উপজেলায় শেষ হয়। উক্ত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি জনাব শামসুজ্জামান সিদ্দিকী মামুন,সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব রুমন বসুনিয়া,ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সেক্রেটারী জনাব এম এ রিপন রবি,জুয়েল রানা,মিজানুর রহমান পলাশ,আনিস সরকার,রাজা আনসারী, মশিউর রহমান,

শাকিল,মুরাদ,জিল্লুর,মোনারুল,মমিনুরসহ জেলা -উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দু।

তার আগে গণঅধিকার পরিষদের গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ে নবগঠিত কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়া জেলা ডিসি মহোদয়, ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী মহোদয় ও ওসি মহোদয়ের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।


আরও খবর



প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথমবার দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী দেখা গেছে : টোকিও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ২২জন দেখেছেন

Image

 জাপান মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে। এটি বেইজিংয়ের দূরবর্তী এলাকায় সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। 

সোমবার, চীনের ‘শানদং’ রণতরী ও আরো চারটি যুদ্ধজাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত ওকিনোটোরি প্রবালদ্বীপের কাছে জাপানের অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেছে বলে জানায় জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজও রয়েছে। জাহাজগুলো থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানায়, শনিবার চীনের ওই পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের বহরকে তাইওয়ানের কাছে মিয়াকো দ্বীপ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার (৩৪০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্ব দিকে যাত্রা করতে দেখা গেছে।

চীনের আরেকটি সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী ‘লিয়াওনিং’ ও তার বহরও গত সপ্তাহের শেষ দিকে জাপানের ইইজেড-এ প্রবেশ করেছিল। পরে তারা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে সেখানে থেকে বেরিয়ে যায়।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার এএফপি’কে বলেছেন, প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরে একসাথে দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেল।

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস, চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দূরবর্তী এলাকায় তাদের সামরিক কার্যক্ষমতা ও অভিযানের সক্ষমতা উন্নত করা।

চীনের এ ধরণের নৌ ও বিমান কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর মিত্রদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

জাপান ও মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, চীন চায় যুক্তরাষ্ট্রকে তথাকথিত  ‘প্রথম দ্বীপমালা’ অঞ্চল (জাপান থেকে শুরু করে ফিলিপাইন পর্যন্ত) থেকে সরিয়ে দিতে।

চূড়ান্তভাবে, চীনের লক্ষ্য হচ্ছে ‘দ্বিতীয় দ্বীপমালা’ অঞ্চলের পশ্চিমাংশে প্রভাব বিস্তার করা। যা জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামের পর্যন্ত বিস্তৃত।

সম্প্রতি চীনের ‘লিয়াওনিং’ রণতরী দ্বিতীয় দ্বীপমালা পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাপান প্রথমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে  জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ।

গত সেপ্টেম্বরে, ওই রণতরী তাইওয়ানের নিকটবর্তী দু’টি জাপানি দ্বীপের মধ্য দিয়ে জাপানের সংলগ্ন জলসীমায় প্রবেশ করেছিল, যা উপকূল থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।

টোকিও সেই সময় এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করে বেইজিংয়ের প্রতি ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল।

আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কোনো রাষ্ট্র তার উপকূল থেকে ২শ’ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অধিকার রাখে।


আরও খবর

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ১০

বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫




দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | ১৯জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



সহকারী, যুগ্ম, অতিরিক্ত ও জেলা জজ মর্যাদার ২৬৪ বিচারককে বদলি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

সহকারী, সিনিয়র সহকারী, যুগ্ম অতিরিক্ত এবং জেলা ও দায়রা জজ মর্যাদার ২৬৪ বিচারককে বদলি করা হয়েছে। আজ সোমবার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার শাখা থেকে এই বিষয়ে বদলি আদেশের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়।  ১২ জন সিনিয়র সহকারী জজকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদায় বদলি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

এছাড়া আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ১০জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে বদলি করা হয়েছে। আরো ২৮ জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে।  

আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ থেকে এ বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

উপসচিব (প্রশাসন-১) এ এফ এম গোলজার রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত সদস্যগণকে বর্তমান কর্মস্থল হতে বদলি করা হলো। 

সিনিয়র সহকারী জজ থেকে পদোন্নতি প্রাপ্তরা হলেন, ঢাকার জীবরুল হাসান, নারায়নগঞ্জের মো: হায়দার আলী, বরিশালের মো: হাসিবুল হাসান, ব্রাক্ষনবাড়িয়ার মো: ফরহাদ রায়হান ভুইয়া, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার শাখার মো: মাসুদ-উর-রহমান, রাজশাহীর মোছা: কামরুন নাহার, ঢাকার শাহিন রেজা, কিশোরগঞ্জের নাসিমা তালুকদার মুনমুন, সাতক্ষীরার মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন ফরাজী, ফরিদপুরের ইসরাত জাহান, ও কক্সবাজারের প্রবাল চক্রবর্তী। তাদেরকে পদোন্নতি পূর্বক বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া আরেকটি পৃথক আদেশে আরো ২১ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। সব মিলে আজ ৩৪ যুগ্ম জেলা জজকে বিভিন্নস্থানে বদলি করা হলো। সহকারী জজ ১৬২ জনকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। এছাড়া আরো ৩০ জন জেলা ও দায়রা জজকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। সব মিলে মোট ২৬৪ জন বিচারককে একই দিনে বদলি করা হলো। 


আরও খবর