Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

আশিয়ান সম্মেলনে যোগদান শেষে সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদান শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাসহ সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি শুক্রবার সকালে জাকার্তার সূকর্ণ হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করে।

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী আরিফিন তাশরিফ বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানান।

আসিয়ানের চেয়ার ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বিশেষ আমন্ত্রণে আসিয়ান এবং ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগ দিতে ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়া যান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আসিয়ান ও ইস্ট এশিয়া সামিটে যোগদানের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।


আরও খবর

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া কবিরা গুনাহ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

মহান রব্বুল আলামিন কোরআনুল কারিমের সুরাতুল ফুরকানে একজন খাঁটি মুমিনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন, যারা কখনো মিথ্যা সাক্ষী দেন না। আল্লাহতায়ালা অন্যত্র বলেছেন, তোমরা মিথ্যা থেকে আত্মসংবরণ কর। সূরা হজ। 

আমাদের প্রিয়নবী হজরত রসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দান শিরকের সমান, (আবু দাউদ, তিরমিজি, ইবনেমাজা, তাবারানি)। অপর হাদিসে রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার জন্য জাহান্নামের ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত নিজের পা নাড়াতেও পারবে না। (ইবনে মাজাহ)। 

অপর হাদিসে প্রিয়নবী ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় এবং মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। কেননা সত্যের গন্তব্য হলো আলো এবং মিথ্যার গন্তব্য হলো অন্ধকার। 

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, বড়পীর হজরত আবদুল কাদির জিলানী (রহ.) বাল্যকালে যখন তিনি লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকা থেকে বাইরে গমন করেন, তখন তাঁর মা ছোট্ট বালকের পকেটের ভিতরে সেলাই করে কিছু দিনার রেখেছিলেন এবং বলে দিলেন, প্রয়োজনে এগুলো বের করবে।আর বিশেষভাবে তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, বাছা যতই বিপদে পড় না কেন, কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, পথিমধ্যে কাফেলাটি ডাকাতের কবলে পড়লে মুসাফিরদের সব মাল-সামানা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অবশেষে বালক আবদুল কাদির জিলানীকে জিজ্ঞেস করল, বালক তোমার কাছে কি কিছু আছে, তিনি বললেন- হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছে, আমার কাছে ছয়টি দিনার আছে, ডাকাতরা বলল, তা কোথায়? তিনি বললেন আমার পাঞ্জাবির আস্তিনের ভিতরে আমার মা সেলাই করে দিয়েছেন। ডাকাতরা চেক করে দেখল হ্যাঁ বাস্তবেই আছে। জিজ্ঞেস করল, বালক তুমি কেন সত্য কথা বললে, মিথ্যা কথা বললে তোমার টাকাটা বেঁচে যেত। তিনি বললেন, না মিথ্যা কথা বলব না। কেননা আমার মা নিষেধ করেছেন এবং মিথ্যা বলা মহাপাপ। 

অতঃপর ডাকাত সরদার এই বালকের সত্যবাদিতা দেখে এবং মায়ের আদেশ পালনে অবিচলতা দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে গেল এবং নিজের দুর্বৃত্তপূর্ণ নোংরা জীবনের প্রতি অনুশোচনা এলো, কারণ তার মাও নিষেধ করেছিলেন এ জঘন্য অপরাধ না করার জন্য। অতঃপর সে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহতায়ালার কাছে তওবা করল এবং খাঁটি মুসলমান হয়ে গেল। 

মূলত কোরআন ও হাদিসের আলোকে মিথ্যা সাক্ষ্যদাতা চারটি বড় গুনাহে লিপ্ত হয়ে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অপরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রথমত, দুনিয়ার লোভে পড়ে অপরের ক্ষতি করার জন্য মনগড়া মিথ্যা অপবাদ দেয়। দ্বিতীয়ত, সে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে তার ওপর জুলুম করে। তৃতীয়ত, সে যার পক্ষে সাক্ষ্য দেয় তার ওপরেও জুলুম করে, কেননা সে তার জন্য হারাম সম্পদ ভোগে সহায়তা করে দেয়। ফলে তার জন্য জাহান্নাম অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। চতুর্থত, আল্লাহর বিধান সমাজের সুষ্ঠু সুবিচার থেকে মজলুমকে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। 

এ মর্মে সহিহ বুখারি, মুসলিম, ও তিরমিজিতে বর্ণনায় রয়েছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আমি কি তোমাদের জঘন্যতম কবিরা গুনাহ কী কী বলব না? সাহাবাগণ আরজ করলেন ইয়া রসুলুল্লাহ অবশ্যই বলবেন। তিনি বললেন : তাহলে শোন, তা হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়া, আর সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, সাবধান মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।’


আরও খবর

তাওবার গুরুত্ব

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ভারতীয় শিবিরে ফাইনালের আগে অন্যরকম দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সময়ের হিসেবে আর একদিনের অপেক্ষা। এরপরই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রায় দেড়মাসের ক্রিকেট যজ্ঞের পর্দা নামবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচ দিয়ে। দুই দলই এখন অবস্থান করছে আহমেদাবাদ শহরে। সেখানেই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। 

ফাইনালের দুদিন আগেই পিচ পরীক্ষা করে দেখেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল চলাকালেই ফাইনালের ভেন্যুতে পৌঁছে গেছে টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার মাঠেও নেমে পড়েছেন স্বাগতিকরা। 

তবে শেষ সময়ে এসে ভারত শিবিরে দেখা দিতে পারে অন্যরকম এক অস্বস্তি। সেটাও নিজেদের দলে কোন ইনজুরি বা প্রতিপক্ষ বিবেচনায় না। এই অস্বস্তি আম্পায়ার কেন্দ্রিক। ফাইনালে অনফিল্ডে থাকবেন, ইংল্যান্ডের দুই অভিজ্ঞ আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড কেটেলবরো। 

সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করা আরও দুজন দায়িত্ব পেয়েছেন ফাইনালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন প্রথম সেমিফাইনালে টিভি আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন। এবার এই আম্পায়ার আহমেদাবাদের ফাইনালেও ম্যাচ পরিচালনায় থাকবেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন ক্রিস গ্যাফানি। নিউজিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ ১৯ নভেম্বর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনালে উপস্থিত হবেন চতুর্থ আম্পায়ার হয়ে।

তবে ভারতের সমস্যা এই রিচার্ড কেটেলবোরোকে নিয়ে। রোহিত শর্মাদের জন্য আনলাকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেটেলবোরোকে। নক আউটে টিম ইন্ডিয়ার যেসব ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর প্রত্যেকটিতেই হেরেছে ভারত।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া সবকটি ম্যাচেই আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কেটেলবোরো। এর মধ্যে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন এই ক্যাটেলবোরো।

এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর বাইরে ২০২১ ও ২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়া দুটি ম্যাচেই থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন কেটেলবোরো। স্বাভাবিকভাবেই তাই রিচার্ড কেটেলবোরো কেন্দ্রিক আলোচনা বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

এছাড়া মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ফাইনালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। জিম্বাবুয়ের পাইক্রফট প্রথম সেমিফাইনালেও ছিলেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




শেখ হাসিনা নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ (সোমবার) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত ২৮ তারিখ আন্দোলনের নামে প্রতারণার নাটক করেছে। তারা সহিংসতা করেছে। তারা পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। তাদের হাতে বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ নয়।

প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন,  যেটাই করুক। আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা ৮ হাজার নেতা-কর্মীকে (বিএনপি) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না। তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না। 

পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের দায়িত্ব পালনকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধও জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত। 


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ব্রি ধান-৭৬ ধান চাষের আশার আলো দেখছে কৃষক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

বালাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত লবণ-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষক। নিচু জমিতে এ ধান চাষ করে কৃষক বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মণ পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন। গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয়  জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ধান ও বাগেরহাট জেলার স্থানীয় জাত মন্ডেশ্বরের পরিবর্তে কৃষক ব্রি ধান-৭৬ আবাদ করে তিনগুনেরও বেশি ফলন পেয়েছেন। তাই এ জাত ছড়িয়ে দিতে পারলে আমন মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নিচু জমিতে ধানের উৎপাদন অন্তত ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চল খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়  গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছে। 

প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গছে, চলতি আমন মৌমুমে গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলায় বিনামূল্যে ১ হাজার ২৭০ কেজি ব্রি ধান-৭৬ বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। বীজ দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর , টুঙ্গিপাড়া, বাগেরহাট জেলার মংলা, রামপাল, মোড়লগঞ্জ ও শরনখোলার কৃষক ২৫৪টি প্রদর্শনী প্লটে ব্রিধান-৭৬ এর আবাদ করেন। ৩৩ শতাংশের বিঘায় এ ধান ১২ থেকে ১৪ মন পর্যন্ত ফলন দিয়েছে। স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি ও মন্ডেশ্বর বিঘায় ৪ থেকে ৫ মন ফলন দিয়ে থাকে।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী (৬৫) বলেন, নিচু জমিতে স্থানীয় জাত জাবরা, জৈনা, ময়নামতি চাষ করতাম। এতে বিঘা প্রতি ৪/৫ মণ ফলন পেতাম। কিন্তু এ বছর ব্রিধান-৭৬ আবাদ করে বিঘা প্রতি ১৩ মণ ফলন পেয়েছি। লবন-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৬ চাষে আশার আলো দেখছি। আমাদের এলাকার চাষীরা এত ফলন দেখে আগামী বছর ব্রিধান-৭৬ চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের  গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, বীজ তলায় ব্রিধান-৭৬ এর চারা ৩০ দিনেই ৬০ সেন্টিমিটারের চেয়েও বড় হয়। লবনাক্ত নিচু জমিতে এ ধানের চারা রোপণ করে দিতে হয়। জোয়ারভাটা সহিষ্ণু এ জাতের ধান ১৪০ দিনেই স্থানীয় জাতের তুলনায় ৩ গুনেরও বেশি ফলন দেয়। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। দক্ষিণাঞ্চলে এ ধানের জাত ছড়িয়ে দিয়ে আমরা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার বলেন, নিচু জমিতে ব্রি ধান-৭৬ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জাত দক্ষিণাঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের হাতছানি দিচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)বীজ সরবরাহ করলে আমরা এ জাত ছড়িয়ে দেব।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, লবণ-জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান-৭৬ কৃষক র্পায়ে জনপ্রিয় করতে আমরা বীজ উৎপাদন বাড়াব । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।


আরও খবর



সারাদেশে ২৩১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ২৩১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

২০ নভেম্বর সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারাদেশে ২৩১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে বিএনপির চলমান কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।

এদিকে রোববার থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬টি আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১৮টি যানবাহনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনটি, ঢাকা বিভাগ একটি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) সাতটি, চট্টগ্রাম বিভাগে (ফেনী, মিরসরাই, সাতকানিয়া) চারটি, ময়মনসিংহ বিভাগে (জামালপুর) একটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৯টি বাস, একটি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি ট্রাক, একটি সিএনজি, একটি ট্রেন (৩ বগি) পুড়ে যায়।

হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি।

প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত ১৭ নভেম্বর সকালে।


আরও খবর

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩