Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বায়ুদূষণে ৬৪ জেলার শীর্ষে গাজীপুর, দ্বিতীয় ঢাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৮১জন দেখেছেন

Image

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে গাজীপুর। দূষণের দিক থেকে এখানে বায়ুমান প্রতি ঘনমিটারে ২৬৩.৫১ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া ঢাকা জেলা দ্বিতীয় ও নারায়ণগঞ্জ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম দূষিত বাতাসের জেলা মাদারীপুর।

বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে আসে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় গবেষণার ফল।গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টামফোর্ড বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) দেশজুড়ে গত বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা শহরগুলোতে এক গবেষণা চালায়। গবেষণায় ৭ ধরনের ভূমির ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ৩১৬৩টি স্থানের বস্তুকণা ২.৫ মান ধরে পর্যবেক্ষণ করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পর্যালোচনা করা হয়। এই বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে

‘দেশব্যাপী ৬৪ জেলার বায়ুমান সমীক্ষা-২০২১’ শীর্ষক গবেষণার প্রতিবেদন তুলে ধরেন গবেষক দলটির প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গবেষণায় দেখা গেছে দূষিত বাতাসের অঞ্চলের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। দূষণের দিক থেকে গাজীপুরে বায়ুমান প্রতি ঘনমিটারে ২৬৩.৫১ মাইক্রোগ্রাম, ঢাকায় ২৫২.৯৩ মাইক্রোগ্রাম, নারায়ণগঞ্জে ২২২.৪৫ মাইক্রোগ্রাম এবং সবচেয়ে কম মাদারীপুর ৪৯.০৮ মাইক্রোগ্রাম।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী নকী। 


টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ


আরও খবর



নিষ্ক্রিয়তার বৃত্তে বিএনপি'র সরোব নেতারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


বিএনপির আন্দোলন এখন হতাশার চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা। আর এই হতাশা এখন সংক্রমিত হয়েছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে।


 স্থায়ী কমিটির নেতারা এখন নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছেন এবং হতাশায় তারা আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন:


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর:


 বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে যাচ্ছেন ওমরাহ পালন করতেন। তিনি দুদিন আগেই পয়লা মে জনসভায় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মে দিবসের জনসভায়। 


আর সেই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সৌদি আরবে চলে গেলেন। দলের মূল চালিকাশক্তি যখন বিদেশে চলে যান তখন দলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং হতাশা তৈরি হয় এটাই স্বাভাবিক। 



বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, তারা স্বীকার করেছেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন মানসিক ভাবে দলের নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে প্রস্তুত নন। তিনি বারবার নেতাকর্মীদের কাছে বলছেন, আমি থাকতে চাচ্ছি না। 


আমাকে জোর করে রাখা হচ্ছে। অনীহা সত্ত্বেও বিকল্প কোন মহাসচিব না করার কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এখনও রাখা হয়েছে। আর তিনি দলে যতটা না সময় দিচ্ছেন তার চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে।


বিএনপির বিভিন্ন নেতা মনে করেন যে, আন্দোলনের ব্যর্থতা এবং ভুল নেতৃত্ব, তারেক জিয়ার বাড়াবাড়ি ইত্যাদি কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম হতাশ এবং এ কারণেই তিনি আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। নির্বাচনের আগেও ২৮ অক্টোবর আগ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যেভাবে সরব এবং সক্রিয় দেখা গিয়েছিল এখন তার ছিঁটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না এবং এটি বিএনপির মধ্যে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: 


        কারাগার থেকে বের হওয়ার পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অনেকটা নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। বিভিন্ন দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগদান ছাড়া আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়া তাকে খুব একটা দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে চলে গেছেন। 


বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, তিনি দলের কার্যক্রমে বিরক্ত হতাশ। এ কারণে তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তিনি কারাগার থেকে বেরোনোর পর খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। 


নজরুল ইসলাম খান: 


  নজরুল ইসলাম খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই সময় নজরুল ইসলাম খানকেও খুব একটা পাদপ্রদীপে দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি থাকছেন না। নজরুল ইসলাম খান অবশ্য বলছেন, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। 


যতটুকু তার পক্ষে সম্ভব ততটুকু চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপির নেতারাই বলছেন, নজরুল ইসলাম খানকে তারা যে অবস্থায় দেখেছেন অতীতে তার ধারেকাছেও এখন তিনি নেই। 


মির্জা আব্বাস: 


       মির্জা আব্বাস বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা এবং ঢাকা মহানগরীর অন্যতম চালিকাশক্তি মনে করা হয় মির্জা আব্বাসকে। কিন্তু মির্জা আব্বাসও এখন নিষ্ক্রিয়। কারাগার থেকে বেরোনোর পর তার কর্মসূচি তিনি সীমিত করেছেন। এখন দলের কার্যক্রমে তাকে উদ্যোগী দেখা যায় না। উদ্যোগ নিয়ে তিনি কোন কিছু করেনও না। দলের যে সমস্ত কর্মসূচি গুলো ঘোষিত হয় সেখানে রুটিন উপস্থিতির মাধ্যমে তিনি তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেন।



গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: 


   গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক জন সদস্য। কিছু দিন আগ পর্যন্ত তাকে অত্যন্ত সরব দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি আস্তে আস্তে যেন পর্দার আড়ালে চলে যাচ্ছেন। 


তাকে কোন আগ বাড়িয়ে কর্মসূচি পালনের জন্য দেখা যাচ্ছে না। কোন বিবৃতি দিতেও তিনি আগ্রহী নন। এক ধরনের হতাশা থেকে তিনি আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।


স্থায়ী কমিটির পাঁচ জন সদস্য অনুপস্থিতি। আর পাঁচ জনের অবস্থা এ রকম। কয়েকজন একেবারেই অসুস্থ। এই অবস্থায় বিএনপি এখন স্থায়ী কমিটি শূন্য হয়ে পড়ছে। 


আরও খবর



১১ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:


১১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্ণফুলী থানার জুলধা মাতব্বর ঘাট সংলগ্ন এলাকার নদী থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।



এর আগে সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে বিমানটি শনাক্ত করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। বিধ্বস্তের পর থেকেই কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির খোঁজে নামে নৌবাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানুয়াল এ দুই পদ্ধতি ব্যবহার করেই খোঁজা হয় বিমানটি।



প্রশিক্ষণ বিমানটিতে দুইজন বৈমানিক ছিলেন। তারা হলেন- উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। দুর্ঘটনায় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা গেছেন।


বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই পাইলটের। চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।



এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানে আগুন ধরার পর বড় ধরনের কোনো ক্ষতি এড়ানোর জন্য দুই পাইলট দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় যেতে সক্ষম হন।


এতে আরও বলা হয়, বিমান বাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়ন করে। পরে প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় বিমনাটি কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনার শিকার হয়।


দুর্ঘটনার সময় বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুটের মাধ্যমে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। 


পরে তাদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। দুই বৈমানিকের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গায় নেয়া হয়। 


পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


এদিকে, ঘটনার পর বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের নির্দেশে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 


অন্যদিকে, আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মরহুম বৈমানিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।


 একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।


আরও খবর



টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

 ক্রীড়া ডেস্কঃ


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে টাইগাররা।


 মঙ্গলবার (৭ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। 


সিরিজের প্রথম বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের পর অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিমের অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ৮ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। 



সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটের জয়ে সিরিজে ২-০ তে লিড নেয় বাংলাদেশ। এই ম্যাচেই সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্য স্বাগতিকদের। 


আরও খবর



তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র হলেন সাদিক খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image



লন্ডন প্রতিনিধিঃ


টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন সাদিক খান। অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জয়লাভ করেছেন।


৪৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সোসান হল পেয়েছেন ৩২.৬ শতাংশ ভোট।



২০১৬ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন সাদিক খান। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন তিনি।


কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচারণার মাধ্যমেই সাদিক খান জয়লাভ করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি লন্ডনের সাবেক মন্ত্রী পল স্কুলিসহ আরও হাইপ্রোফাইল টরি প্রার্থীদের পেছনে ফেলেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।


পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাপ-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।


তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে।


ছোটবেলা থেকেই সাদিক খান নিজে যে আদর্শে বিশ্বাসী তা নিয়ে লড়তে এবং সাফল্যের জন্য সব প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে পিছপা হননি।


সাদিক খানের বাবা আমানুল্লাহ খান এবং মা সেহেরুন খান পাকিস্তান থেকে লন্ডনে আসেন ১৯৭০ সালে- সাদিক খানের জন্মের কিছুদিন আগে।


সাদিক খান তাদের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে পঞ্চম। তারা সাত ভাই এবং এক বোন। দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের যে তিন-কামরার ফ্ল্যাটে তারা থাকতেন, সেখানে তাদের বড় পরিবারকে গাদাগাদি করে থাকতে হতো।


স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে তিনি পড়তেন এবং সেখানেই ১৫ বছর বয়সে তিনি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং লেবার পার্টিতে যোগ দেন। আর্নেস্ট বেভিন কলেজ নামে ওই স্কুলের প্রধান ছিলেন যুক্তরাজ্যের কোনো মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম মুসলমান প্রধান শিক্ষক।


সাদিক খান ছোটবেলা থেকেই মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে লালন করেছেন এবং তিনি বলেছেন বাবা-মার কাছ থেকে এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন যে ‘কোথাও অন্যায় কিছু দেখলে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করা তোমার কর্তব্য।’


তিনি লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন, ফুটবল, বক্সিং এবং ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন। এমনকী তরুণ হিসেবে তিনি সারে কাউন্টি ক্রিকেট দলেও কিছুদিন ট্রেনিং নিয়েছিলেন।


তবে তিনি বলেছেন ফুটবল মাঠে কীভাবে তাকে ও তার ভাইকে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে, যার কারণে তিনি ঘরে বসে খেলা দেখাই ‘নিরাপদ’ মনে করতেন। পরে তিনি লিভারপুল দলের ভক্ত হয়ে ওঠেন।


প্রথমদিকে তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছিলেন- ভেবেছিলেন দন্ত চিকিৎসক হবেন। পরে একজন শিক্ষকের পরামর্শে তিনি আইন পড়তে যান। ওই শিক্ষক তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি সবসময় তর্ক করো।’


১৯৯৪ সালে তিনি একটি আইন সংস্থায় মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও বিবাহ। সাদিয়াও আইন পড়তেন এবং কাকতালীয়ভাবে তিনিও বাসচালকের কন্যা।তাদের দুই কন্য সন্তান আছে - আনিসা আর আম্মারা।


সাদিক খান স্থানীয় প্রশাসনে ১২ বছর কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে আইনজীবীর কাজ ছেড়ে তিনি পুরো সময়ের জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন।২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে তার সমসাময়িকরা বলেছেন সাদিক খান ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত’ এবং ‘একগুঁয়ে ব্যক্তি এবং ‘তার যুক্তি খারিজ করে দেয়া প্রায়ই কঠিন’।


২০১০ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছিলেন ‘আমি উদ্ধত কোনো মন্তব্য করতে চাই না- তবে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, খুব কম মুসলমানকে বলতে শোনা যায় ‘আমি একইসঙ্গে ব্রিটিশ, মুসলমান এবং লন্ডনবাসী- তা নিয়ে আমি গর্বিত।’  


আরও খবর



আমি সকলের জন্য নই

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন,বিনোদন ডেস্ক থেকেঃ


বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিয়ে সারেন দক্ষিণী তারকাযুগল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। 


যদিও বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুই তারকা। বিচ্ছেদের পর সামান্থা বা নাগা কেউই একে অপরের দিকে আঙুল তোলেননি। নিজেদের মতো করে জীবনে এগিয়ে এসেছেন।


তবে সম্প্রতি বিয়ের পোশাক কেটে সেই রাস্তা থেকে সরে আসেন সামান্থা! কিছুদিন ধরেই নাগার সঙ্গে শোভিতা ধুলিপালার প্রেমের খবর চাউর হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে, চর্চিত প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নাগা।


 এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করলেন সামান্থা। যা ঘিরে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় বইতে শুরু করেছে।


একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সামান্থা লিখেছেন, ‘বৃষ রাশিকে কখনোই হারাবেন না।’ আসলে সামান্থা বৃষ রাশি ব্যক্তিত্ব। অন্য পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকলের জন্য নই, চলো তাই ঠিক আছে।’ 


সামান্থার পোস্ট দেখে নেটিজেনরা অবশ্য নাগার বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন।


তবে সামান্থা ক’দিন ধরে অভিযোগের সুরে কথা বললেও নানা ঠিক উল্টো পথে চলছেন। প্রেম চর্চার মাঝেও নাগা স্বীকার করেছেন সামান্থার সঙ্গে তিনি অন্যায় করেছেন। 



একসঙ্গে দুটি সম্পর্কে ছিলেন। ভাইরাল হওয়া পুরনো একটি ভিডিওতে নাগা বলেছেন, ‘একটাই জীবন। সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে। নিজেকে বুঝেছি। তাই এখন সেটল ডাউন করতে চাই। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি।’


আরও খবর