Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম
নরসিংদীর কৃতি সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল

বীরউত্তম এ.এন.এম.নূরুজ্জামান এর স্বরনে স্মৃতিচারন ও দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৬১জন দেখেছেন

Image


বশির আহম্মেদ মোল্লা:  নরসিংদীর কৃতি সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বীরউত্তম এ.এন.এম.নূরুজ্জামান এর স্বরনে স্মৃতিচারন ও বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ স্টকহোমে তিনি পরলোক গমন করেন।

জানাগেছে,নরসিংদীর কৃতি সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ. এন. এম নূরুজ্জামান (১৯৩৮-১৯৯৩) সামরিক কর্মকর্তা ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি ১০ টি সাব-সেক্টর নিয়ে গঠিত ৩নং সেক্টরের 'সেক্টর কমান্ডার' হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে 'বীর উত্তম' খেতাব প্রদান করেন। ১৯৭৩ সালের গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ১০।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন এ.এন.এম. নূরুজ্জামান ১৯৩৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামের সাহেব বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম আবু আহাম্মদ এবং মায়ের নাম লুৎফুননেছা। বাবার চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ. এন. এম নূরুজ্জামানের শৈশব কেটেছে । স্কুল জীবন কেটেছে মাদারীপুর ইসলামিয়া হাইস্কুল, কুমিল্লা ইউসুফ স্কুল, শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী ও সুনামগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে।

সুনামগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং সিলেট এম.সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস.এম এ্যাথলেটিক সেক্রেটারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে ইতিহাসে অনার্সসহ স্নাতক পাস করেন।

কর্মজীবন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি পাকিস্থান মিলিটারি একাডেমীতে 'গ্রাজুয়েট কোর্স' এ যোগ দেন। ১৯৬০ সালের অক্টোবর মাসে সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন। কশিমন প্রাপ্তির পর তিনি যশোর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আসামী হিসেবে ১৯৬৮ সালেই তাকে বন্দী অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে আসা হয়। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ১৯৬৯ সালের ফেব্রæয়ারী মাসে মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি পান তিনি। কিন্তু তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

১৯৭১ সালে তিনি ব্যবসা করতেন। ২৫ মার্চ ঢাকায় ছিলেন। ২৭ মার্চ ঢাকা থেকে পালিয়ে নিজ এলাকায় গিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। নূরুজ্জামানকে পুনরায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পর্যায়ক্রমে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত হন। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে তাকে নবগঠিত জাতীয় রক্ষীবাহিনীর পরিচালক নিযুক্ত করা হয়। ১৯৭৫ সালের শেষ দিকে সরকার এ বাহিনী বিলুপ্ত করে। ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর তার চাকুরী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকুরীকালীন তিনি অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, সেনেগাল, কানাডা ও সুইডেনে কর্মরত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর ঢাকা থেকে অসংখ্য বাঙালি ইপিআর-আনসার-পুলিশ নরসিংদী জেলায় যান। এ এন এম নূরুজ্জামান নরসিংদীতে তাদের একাংশকে সংগঠিত করে কয়েক স্থানে পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করেন। এসব যুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৪-১৫ এপ্রিল নরসিংদীর পতন হয়।

এরপর তিনি ভারতে যান। ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় এবং ক্রমে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে উঠতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে ওঠার পর ৩ নম্বর সেক্টরের সহকারী সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান এ এন এম নূরুজ্জামান। সেক্টর কমান্ডার মেজর কে এম শফিউল্লাহ (বীর উত্তম, পরে সেনাপ্রধান ও মেজর জেনারেল) আগস্ট মাসে নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর জন্য একটি ব্রিগেড গঠনের দায়িত্ব পান। তখন এ এন এম নূরুজ্জামান ৩ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পান। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করেন।

তিন নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর জেলা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও নারায়ণগঞ্জ জেলার অংশবিশেষ এলাকা। এ এন এম নূরুজ্জামানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিচালনায় ৩ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অপারেশন করেন। তার সার্বিক নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সরাসরি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে আখাউড়ার যুদ্ধ অন্যতম।

মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে রেল যোগাযোগের জন্য আখাউড়া রেলজংশন ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর অবস্থান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে। ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা। আখাউড়া থেকে আগরতলা সড়কপথে সংযুক্ত। আখাউড়ার বিভিন্ন স্থানে ছিল পাকিস্থান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা অবস্থান। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে মুক্তি ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে সেখানে আক্রমণ করে। কয়েক দিন ধরে সেখানে যুদ্ধ হয়।

এ যুদ্ধে এ এন এম নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন নম্বর সেক্টরের এক দল মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। নিয়মিত মুক্তিবাহিনীর এস ফোর্সের একদল (১১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) মুক্তিযোদ্ধা আখাউড়ার উত্তর দিকে ব¥কিং পজিশন তৈরি করেন। এর ফলে সীমান্তসংলগ্ন সড়ক ও রেলপথ পাকিস্থানিদের জন্য রুদ্ধ হয়ে যায়। এস ফোর্সের আরেক দল (দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) মুক্তিযোদ্ধা একই দিক থেকে আক্রমণ পরিচালনা করেন।

এ এন এম নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৩ নম্বর সেক্টরের এক দল মুক্তিযোদ্ধা আগরতলা এয়ারফিল্ডের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান নিয়ে পাকিস্থানিদের ওপর আক্রমণ চালান। ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত আখাউড়ায় ভয়াবহ যুদ্ধ চলে। দুপুরে আখাউড়া মুক্ত হয়। এ.এন.এম. নূরুজ্জামান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয়াভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ৩নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

মৃত্যু সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ স্টকহোমে তিনি পরলোক গমন করেন। তাকে ঢাকার সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

বীরউত্তম এ.এন.এম.নূরুজ্জামান স্মৃতি সংসদ এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব অব:) বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: মনিরুজ্জামান নিসার জানান, পুরস্কার ও সম্মাননা বীর উত্তম ঢাকা সিটি কর্পোরেশন তার নামে ঢাকার একটি সড়কের নামকরণ করেছে বীরউত্তম এ.এন.এম.নূরুজ্জামান সড়ক।

তার নিজ গ্রামের সায়দাবাদ খেয়াঘাট থেকে কালিপুর ব্রিজ পর্যন্ত বীরউত্তম এ.এন.এম.নূরুজ্জামান সড়ক ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তার স্ত্রী দিল আফরোজ জামান সহ তার পরিবার বর্গগন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালিন  বিশেষ করে নিজ উপজেলার কয়েক হাজার বেকার যুবকদের চাকুরি দিয়ে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছেন। এই দিনে এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে তার নামে স্বরন সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।



টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ


আরও খবর



হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:


চলতি মৌসুমের পবিত্র হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন। এ তথ্য জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।



সোমবার (৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, এবার জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। 


ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হাজি পরিবহনের করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হাজি পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। 


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।


এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। 


এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।



আরও খবর



২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে, প্রথমিকে ক্লাস কাল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


তীব্র তাপপ্রবাহের ছুটি শেষে আজ শনিবার থেকে খুলবে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ২৫টি জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


গতকাল শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে চলমান দাবদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সব জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ শনিবার বন্ধ থাকবে।’


এসব জেলার বাইরে সব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ শনিবার খোলা থাকবে। এছাড়াও দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলবে আগামীকাল রোববার থেকে।


ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সারা দেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  খোলার কথা ছিল। তবে ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। পরদিন ২৯ এপ্রিল হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধের আদেশ দেন।


এদিকে, একই দিনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে।


আদালতের আদেশ হাতে না পাওয়ায় কোনো নির্দেশনা দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আদালতের নির্দেশনা মেনে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।


 রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।



রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 



দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।



সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর



বাবা-মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন হায়দার আকবর খান রনো

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। 


জানানা শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।


জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় সিপিবি অফিসে তার মরদেহ নেওয়া হবে। পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মরদেহ। 


বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।



সিপিবি সূত্র জানিয়েছেন, হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ ধানমন্ডিতে তার বাস বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে রাখা হবে। তার মেয়ে ও নাতি-নাতনী দেশে ফিরবেন বলে অপেক্ষা করা হচ্ছে। 


আগামী সোমবার বনানী কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।


 শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।



মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।


বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন।


 ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।


আরও খবর



স্টুডেন্ট ভিসায় ফের পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্ট:


স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয় দেখাতে হয়। কিন্তু এই সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 



তাছাড়া অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।


শুক্রবার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তত ১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে, এটি গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বৃদ্ধি। 


 অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।



করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বহু শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এতে দেশটিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তাই সম্প্রতি অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


গত মার্চে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে দীর্ঘদিন না থাকতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।


আরও খবর