Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রায় যথার্থভাবে কার্যকর হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৪৬জন দেখেছেন

Image

বিডিআর বিদ্রোহে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, এখন এটার রায় কার্যকর করা হবে। মামলার যে বিষয়টি চলমান রয়েছে, সেটা খুব শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যথার্থ বিচারকার্যের মাধ্যমে একটি বিচার শেষ হয়েছে। আর একটি চলমান রয়েছে। বিচারে দীর্ঘসূত্রতার কারণ হচ্ছে, সব উপাদান সংগ্রহ করতে একটু সময় লেগেছে। এছাড়া সাক্ষী জোগাড় করতেও বেশ সময় লাগেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চাচ্ছিলাম এই ঘটনার সুন্দর, সুষ্টু ও নিরপেক্ষ বিচার যেন হয়, আর বিচারকরা তাই করেছেন। আর যেই মামলার বিষয়টি চলমান রয়েছে, সেটা খুব শীঘ্রই শেষ হবে। বিচার শেষ হওয়ার পরে আপিল করার একটি সুযোগ থাকে, সেটাও তারা করছেন। আমরা মনে করি এই প্রক্রিয়া শেষ হলে তারা ন্যায়বিচার পাবেন।’

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান বিজিবি) ঘটে এক মর্মান্তিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। 



টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ


আরও খবর



বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশিরা নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াই এনআইডি করতে পারবে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্কঃন

এখন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের দেশে এনআইডি করতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না।


 প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)।




সম্প্রতি এনআইডির সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।



এনআইডি শাখা জানিয়েছে, প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম সহজ করতে ও মাঠ পর্যায়ে সব অফিস থেকে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে।


নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:



১. নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫১; বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলী) আদেশ, ১৯৭২ অনুসারে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই।


 এই আইন ও আদেশ অনুযায়ী আবেদনকারীর পিতা/মাতা অথবা দাদা-দাদির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র/বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/অনলাইন জন্ম সনদ/অনলাইন মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদের কপি দাখিল করতে হবে।


২. কোনো বাংলদেশি প্রবাসী অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাকেও জাতীয় পরিচয় প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।


৩. বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলী) বিধান, ১৯৭৮ এর বিধান-৪ অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।


৪. বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার শর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, উক্ত বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে।


৫. প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ সাত কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে ডাটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।


৬. প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ সংক্রান্ত সব বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। 


নতুন এই পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল জারিকৃত স্মারকটি বাতিল করা হলো।


আরও খবর



স্টুডেন্ট ভিসায় ফের পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্ট:


স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয় দেখাতে হয়। কিন্তু এই সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 



তাছাড়া অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।


শুক্রবার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তত ১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে, এটি গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বৃদ্ধি। 


 অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।



করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বহু শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এতে দেশটিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তাই সম্প্রতি অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


গত মার্চে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে দীর্ঘদিন না থাকতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।


আরও খবর



আগামি সপ্তাহ থেকে আবারও তীব্র দাবদহের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image



বিডি ডেস্কঃ


গত দুই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশের অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।


গতকাল শনিবার দেশের তিনটি বিভাগে (খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর) মৃদু থেকে তীব্র দাববাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।



আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। 



দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। তবে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে গতকালও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।


চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।



গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরেই ছিল চুয়াডাঙ্গাতে ৪১.২। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২০.৭ ডিগ্রি।


আজ রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। 


সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।


কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আজ থেকে দেশের কিছু স্থানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে তা শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের ওপর দিয়ে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।


আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি। আগামীকাল ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



ভেস্তে গেল যুদ্ধবিরতির আলোচনা : রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্টঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তারা রাফা অঞ্চলে নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। এতে ওই অঞ্চল থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে।


শুক্রবার (১০ মে) বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।

এছাড়া নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকিতে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে দেশের জাতীয় বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকি পরিশোধে। 


অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পুরো অর্থবছরের মোট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারিতে সরকার খরচ করেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা।


 সুদ পরিশোধ ও ভর্তুকি বাবদ খরচ হয়েছে ৮৮ হাজার ২২৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ। খরচ মেটাতে সরকার আরো বেশি ঋণ নিচ্ছে। কারণ কর আদায় আশানুরূপ বাড়ছে না। 


জিডিপির অংশ হিসেবে দেশের রাজস্ব বর্তমানে জিডিপির ৮.২ শতাংশ। সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে দেশীয় ব্যাংকিং খাত, জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) বিক্রি ও বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সুদ মেটাতে হয়েছে ৬০ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ ১৫ শতাংশ বেড়ে ৫১ হাজার ২১৩ কোটি টাকা হয়েছে। বিদেশি ঋণের বিপরীতে তা তিন গুণ বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।


 ট্রেজারি বন্ড বিক্রি থেকে পাওয়া টাকার খরচও বেশি। তাই সুদের খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জুনে ট্রেজারি বন্ডের মুনাফার হার ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বর্তমানে কম। এর বিপরীতে সুদের হার কমেছে। তবে অনেক সঞ্চয়পত্র ম্যাচিউর হয়েছে। অর্থাত্, এই খাতে সরকারের খরচ বেড়েছে।



আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, এলএনজি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই গত অর্থবছর থেকে ভর্তুকিও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ভর্তুকি ছিল ২৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তা ছিল ২৬ হাজার ২১২ কোটি টাকা।


অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সুদ পরিশোধের হার বেড়েছে। বিদেশি ঋণের সুদের হার বেড়েছে। টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকৃত ভর্তুকি খরচ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। কারণ বাড়তি বকেয়া পরিশোধ করতে হয়েছে।


চলতি অর্থবছরে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণ খুব বেশি বাড়েনি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৩৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকঋণ ২৩ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।


সঞ্চয়পত্র বিক্রি কম হওয়ায় সরকারকে সঞ্চয়পত্র বাবদ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারিতে ৬ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা এবং গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। 


কয়েক বছর আগেও সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের আয়ের প্রাথমিক উত্স। তবে সুদের হার কম ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে। এদিকে গত জুলাই-জানুয়ারি রাজস্ব আদায় ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়।


 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ১২.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। তবে এনবিআর-বহির্ভূত কর রাজস্ব ৩.৪ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সাত মাসে করবহির্ভূত রাজস্ব ২১ শতাংশ বেড়েছে ২৭ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।


 গত সাত মাসে রাজস্ব বাজেট থেকে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ৪০.২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ৩৯.৭ শতাংশ। উন্নয়ন খরচ ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ২০ শতাংশ।


আরও খবর