Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু টানেলের শতভাগ কাজ সম্পন্ন ; উদ্বোধন ২৮ শে অক্টোবর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। টানেলটি এখন যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে টানেলটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরে টানেলটি খুলে দেওয়া হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১৪ আগস্ট জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলতে পারে।

টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে, যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে টানেলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে আনবে। এই টানেলে যানবাহন ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে বলে প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে।

১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক দুই শতাংশ হারে সুদে ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এবং বাকি অংশের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


নিজ বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একদিনের সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়ক পথে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জে পৌঁছান তিনি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোন বোন শেখ রেহানা, ভাই শেখ হেলালসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে 'আমার বাড়ি আমার খামার' কর্মসূচির আওতায় দাঁড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর বিকেলে ঢাকায় ফিরে আসবেন শেখ হাসিনা।

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়াসহ জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।


আরও খবর



বাংলাদেশে পরবর্তী মা‌র্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:


ঢাকায় পিটার হাসের উত্তরসূরি হচ্ছেন ডেভিড মিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনয়ন দিয়েছেন। 


বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউজ এ মনোনয়নের কথা জানায়। 


ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ভিড স্লেটন মিলের নাম ঘোষণা ক‌রেন।



বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলের ম‌নোনয়ন এরই মধ্যে সি‌নেটে পাঠা‌নো হয়েছে। সি‌নে‌টে শুনানির পর মিলকে যোগ্য ম‌নে হ‌লে ত‌বেই ম‌নোনয়ন চূড়ান্ত ক‌রে রাষ্ট্রদূত ক‌রে তা‌কে ঢাকায় পাঠা‌নো হ‌বে। 


মিল ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হ‌লে বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হা‌সের স্থলা‌ভি‌ষিক্ত হ‌বেন।


হোয়াইট হাউজের তথ্য অনুযায়ী, ডেভিড মিলি প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকায় মার্কিন মিশন উপপ্রধান ছিলেন। ডেভিড স্লেটন মিলি মার্কিন ফরেন সার্ভিসের মিনিস্টার-কাউন্সেলর পদমর্যাদার জেষ্ঠ কর্মকর্তা।


 বর্তমানে তিনি চীনের বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।


 তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক ও ব্যবসাবিষয়ক ব্যুরোর বাণিজ্য নীতিবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ছিলেন।


আরও খবর



মিজানুর রহমান খান মহিলা কলেজ : কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: মাহফুজুল হকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান খান মহিলা কল


সদরুল আইনঃ


          গাজীপুরের শ্রীপুরে ঐতিহ্যবাহী মিজানুর রহমান খান মহিলা ডিগ্রী কলেজের কথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উচ্চমাধ্যমিকের রসায়নের শিক্ষক মো: মাহফুজুল হক( ইকবাল) দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই বলে লিখিত চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি'র পক্ষে কলেজ পরিদর্শক ফাহিমা সুলতানা সাক্ষরিত এক চিঠিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।


চিঠিতে বলা হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত বেসরকারি চাকুরির শর্তাবলী ২০১৯ এর ধারা ৪-(খ) এর ২ এর এক ও দুই ধারা মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষ বা জেষ্ঠতম ৫ জনের মধ্য থেকে যে কোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকলেও কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নিগার সুলতানা ঝুমা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিধানকে তোয়াক্কা করেননি।


এছাড়াও তিনি উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে একের পর এক বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছে মত নিয়োগ, কলেজ ফান্ডের টাকা উত্তোলন করে চলেছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।


উক্ত চিঠিতে আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুসারে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে ৫ জনের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত রেজুলেশন,এমপিও সীটের কপি,দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত চিঠি,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ অধিভূক্তি নবায়নের কপিসহ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরে কলেজটিতে নানা রকমের অচলাবস্থা বিদ্যমান রয়েছে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নানা ধরনের স্বেচ্চাচারি সিদ্ধান্তের কারনে।এখানে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত মানছে না সভাপতি,আদালতে মুছলেকা দিয়েও সেই নির্দেশের তোয়াক্কা করছেন না তিনি।


 টাকার বিনিময়ে একজন চিহ্নিত ছাত্রি ধর্ষককে যার বিরুদ্ধে তৎকালিন সময়ে ধর্ষণের রেজুলেশণ রয়েছে এমন ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ  নিয়োগ দেওয়া,কলেজের ব্যাংক হিসেব থেকে বিপুল অংকের টাকা উত্তোলন করে আত্মাসাত,গ্রুপিং তৈরি করে মনগড়াভাবে কলেজ পরিচালনা করে ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠকে কলঙ্কিত করার মত অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে।


 জানা গেছে, কলেজ ফান্ডের বিপুল টাকা অবৈধ পন্থায় উত্তোলন,টাকার বিনিময়ে নিয়োগ,উচ্চ আদালতের মুছলেকার শর্তাবলী ভঙ্গসহ নানা রকম অনিয়ম ও স্বেচ্চাচারিতার বিষয়ে তুলে ধরে কলেজটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ফকির,উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাতন আকন্দের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা  রয়েছে।


আরও খবর



কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, রাজশাহীতে চার পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image


নিজস্ব প্রতিনিধি,রাজশাহীঃ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক কিশোরকে (১৬) তুলে নিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশের চার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকালে তাদের রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে রাজশাহী পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়।

প্রত্যাহার হওয়া চার সদস্যরা হলেন, প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল করিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম ও মিলন হোসেন।

গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম গ্রাম থেকে ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে যান কয়েকজন। ওই কিশোরকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার বাবা মো. মুর্ত্তজা একজন কাপড় ব্যবসায়ী।


ওই কিশোর ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোর তার বাবার কাপড়ের দোকান বন্ধ করে। পরে সে তার দুই বন্ধুর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। এই সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন তাদের সামনে আসে।

তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের তিনজনের মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তারা জোর করে ওই কিশোরকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে চলে যায়।

রাত ৯টার দিকে তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়। এরপর তাকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

এ সময় তারা তাকে বলেন, ‘তোর বাপকে ফোন দিয়ে টাকা আনতে বল, নইলে মাদক মামলায় চালান দিয়ে দিব।’ এই সময় কিশোরটির মোবাইলে তার মা-বাবার মোবাইল থেকে বারবার ফোন আসছিল।

কিন্তু তারা তাকে তার মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেয়নি। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বসন্তপুরে ফাঁকা রাস্তার পাশে সোহানুরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ওই কিশোর একা গোগ্রাম বাজারে চলে যায়।

ভুক্তভোগী কিশোর জানায়, তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়েছে। তাদের আচরণ পুলিশের মতোই। তবে তাদের পরনে পুলিশের কোনো পোশাক ছিল না। বারবার ফোন আসছিল আর ‘স্যার স্যার’ বলছিলেন। তাদের একজনের হাতে থাকা হাতকড়া তাকে পরিয়ে দেওয়া হয়।

পরে তারা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে গাড়ি এনে থানায় নিয়ে চালান দিয়ে দেবেন বলেও তারা তাকে হুমকি দেন। সে ভয় না পেয়ে তাদের সঙ্গে থানায় যেতে চায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

কিশোরটি আরও জানায়, ওই চারজন তার মোবাইলে থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে পিন নম্বর নিয়ে তার সামনেই তিন হাজারের মতো টাকা তুলে নেন। তাকে ছেড়ে দেওয়ার আগেই দুজন পুলিশ সদস্য সেখান থেকে চলে যান। বাকি দুজন তাকে ফাঁকা রাস্তায় নামিয়ে দেন।

এরিমধ্যে ভুক্তভোগীকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় তার পরিবার তাকে খুঁজতে থাকে। থানা-পুলিশকেও ফোন করা হয়। এ সময় এএসআই আনোয়ারুলকে সাদা পোশাকে গোগ্রাম বাজারে দেখতে পান স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন তার কাছে ভুক্তভোগীর বিষয়ে জানতে চান।

একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে অবরুদ্ধ করেন। পরে খবর পেয়ে প্রেমতলী তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গণি অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়েই স্থানীয় লোকজনকে লাঠিপেটা করেন তিনি। এতে সাত–আটজন আহত হন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন লোকজন।

পরে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আবদুল মতিন ও গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এএসআই আনোয়ারুলকে নিয়ে চলে যান।

ওই কিশোরকে তুলে নিয়ে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এএসআই আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার পর তাকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চারজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।’


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:


কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে নিজঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।


সোমবার (১৩ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মো. ইলিয়াস (৪৩) রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর ‘সি’ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসাইন।


স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মো. ইলিয়াস। 


ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানেই ইলিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।


ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি আভিযানিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। 


পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর