Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

চাঁদার টাকা না দেয়ায় হামলা ও বাড়ির গেটে তালা,থানায় মামলা

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: চাঁদার টাকা পরিপূর্ণ না দেওয়াই রাজধানীর কদমতলীতে নির্মানাধীন বাড়িতে হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে বাড়ির গেটে তালা সহ মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর কদমতলী থানা দিন পূর্ব ধোলাইপাড় ২ নং গলির শেষ মাথায় ঢাকা সিটি জরিপের দাগ নং ১৯৬/১ সদ্য ক্রয়কৃত ২ শতাংশ জমির উপর খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের নির্মাণাধীন বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটে।

হামলায় বাড়ির মালিক খন্দকার রাবেয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মুহাম্মদ মফিজুর রহমান গুরুতর আহত হলে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিন (৫২) বাদী হয়ে কদমতলি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-৭, তারিখ ০৪-০৩-২০২৪ ।

কিন্তু বাদী পক্ষের অভিযোগ মামলা করার পর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার শুভর নেতৃত্বে আসামিরা তাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা রকম ভয়-ভীতিসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে । এমনকি মামলা তুলে না নিলে বাদীসহ তার পরিবারের সদস্যকে মাদক দিয়ে ফাসিয়ে মাদক মামলার দেয়ার ও হুমকি দেয়া হচ্ছে ।

মামলা সুত্রে জানা যায় , খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ক্রয়কৃত জমির উপর ভবন নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে । এবং নির্মান কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় সন্ত্রাসী কিছু চাঁদাবাজ ক্রমাগত ভাবে ১০,০০০,০০ (দশ লক্ষ) টাকা চাদা দাবি করে আসছে ।

চাদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকিতে ভয় পেয়ে রাবিয়া নাসরিন বিভিন্ন তারিখে তাদেরকে ৩,০০০,০০ (তিন লক্ষ) টাকা দেয় । কিন্তু ঘটনার দিন ২৯-০২-২০২৪ বৃহস্পতিবার বাকি ৭,০০০,০০ (সাত লক্ষ) টাকা চাদার দাবিতে চাদাবাজ আলী আকবর উল্লাস (৩৫)পিতা- হাজী জয়নাল আবেদীন, রাসেল আহমেদ বাবু- পিতা- মৃত এম এ মজিদ মিয়া, আবুল হোসেন ওরফে আবুল, মোহাম্মদ রুবেলসহ আরও ৪/৫ জন আনুমানিক বিকেল তিনটার সময় নির্মানাধীন বাড়ির ভিতরে ঢুকে রাজমিস্ত্রি ও হেল্পার কে এলো পাথাড়িভাবে মারধর করে তাদের যন্ত্রপাতি ও গ্রেডিং মেশিন ছিনিয়ে নেয় ।

পরবর্তীতে বাড়ির মালিক খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের উপর হামলা চালালে তার স্বামী মোঃ মফিজুল ইসলাম অসুস্থ থাকায় নির্মাণাধীন ভবন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা খন্দকার রাবিয়া নাসরিনের ছোট বোনের স্বামী মো: মফিজুর রহমান এগিয়ে আসলে আলী আকবর উল্লাস পিস্তলের বাট দিয়ে মফিজের মাথার ডান পাশে আঘাত করার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মাটিতে পড়া অবস্থায় বাবু, উল্লাস, আবুল, রুবেল সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজগণ এলোপাতাড়ি ভাবে লাঠি, কাঠের ঢাসা, ইট দ্বারা অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ির বাইরে ফেলে দেয় ।

বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিনকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে মেন গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, তাৎক্ষণিক ৯৯৯ এ কল করলে স্থানীয় থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে বাসার মেন গেটের তালা ভেঙ্গে তাদেরকে বাসায় ঢোকার সুযোগ করে দেয় এবং মো: মফিজুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে পাঠানো হয় । এছাড়া সরোজমিনে খবর নিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে ।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক রাবিয়া নাসরিন বলেন, চাদার টাকা না দেওয়ার জন্য তারা আমাদের উপর এমন নির্যাতন চালিয়েছে, এবং এখন বিভিন্ন সময়ে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে আমি আমার স্বামী এবং আমার ছেলে মেয়ে সবাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তাই আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তাসহ চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এডিবি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৯জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিন।

আজ সকালে গণভবনে তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এসময় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে এডিবি কর্তৃক প্রকাশিত 'বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর ডেভলপমেন্ট হাইলাইটস' বইটি তুলে দেন। 

এশীয় উন্নয়ন ব্যাকের (এডিবি) একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল এসময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এমপি-নেতারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা কাউকেই প্রার্থী করতে পারবেন না। দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল কোনো নেতাও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে দল থেকে কোনো অবস্থায়ই কাউকে সমর্থন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রংপুরের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের ডাকা হয়েছে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ, উন্মুক্ত নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিরাসহ স্থানীয় নেতারা যার যার মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে উপজেলায় পছন্দের নেতাদের প্রার্থী করার এই প্রবণতাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা এলো। 

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বৈঠকের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানান। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কঠোর তাগিদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন। 

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামীতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তাই এসব নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন কর্মককাণ্ড ম্লান না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, রংপুর মহানগরসহ রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগাছায় আওয়ামী লীগে আগে থেকেই অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায়ও নতুন করে কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দল নিরসনসহ দল গোছাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিশেষ দুর্গম চরাঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

সূত্রমতে, বৈঠকে রংপুর মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা খর্ব করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের, যা এখন কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। একইভাবে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রংপুর মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহানগরের ছয় থানা কমিটি গঠনের এক বছর পার হলেও অনুমোদন না দেওয়া, আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করাসহ নানা কারণে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা বিরাজ করে, নেতকর্মীর মাঝেও দেখা দেয় বিভক্তি। গতকালের বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে স্থানীয় নেতারা এর অবসানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান। এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে থানা কমিটি অনুমোদনের ওই সিদ্ধান্ত আসে। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সমকালকে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে। যেখানে দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দলের পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। 

দলের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ বিভাগের কিছু কিছু সাংগঠনিক জেলায় সমস্যা আছে। যার সমাধানে বৈঠকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া থানা বা উপজেলা কমিটি গঠন বা ভাঙতেও কেন্দ্রের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নীলফামারী জেলা সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি জানান, বৈঠকে দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 

দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, আগামী নির্বাচনগুলো যাতে করে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকাসহ সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষণ্ন কিংবা হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই রকম কথা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ও কুড়িগ্রাম জেলার সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান।


আরও খবর



প্রাক্তন-বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে আরবাজ, হঠাৎ কেন এক হলেন তারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ২৩০জন দেখেছেন

Image

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সুরা খানের সঙ্গে নতুন সংসার পেতেছেন মালাইকা আরোরার সাবেক স্বামী আরবাজ খান। সুরাকে বিয়ে করার পর মালাইকাকে ইনস্টাগ্রামে ‘আনফলো’ করেছেন তিনি। 

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই নিজের নামের পাশ থেকে ‘খান’ পদবি সরিয়েছেন মালাইকা। কিন্তু শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের এক রেস্তোরাঁয় দেখা গেল একেবারে অন্য এক চিত্র। বর্তমান স্ত্রী সুরার হাত ধরে এলেন আরবাজ। পিছু পিছু এলেন মালাইকা। 

১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় আরবাজ-মালাইকার। যদিও সন্তান আরহানের দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা। আর সন্তানের জন্যই ফের কাছাকাছি এলেন এই সাবেক দম্পতি। সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শো শুরু করেছেন আরহান। তারই উদযাপনের খাওয়া দওয়া ছিল। ছেলের কথা ভেবেই এদিন এক হলেন আরোরা ও খান পরিবার।

আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১২ বছরের ছোট অর্জুন কপূরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মালাইকা। প্রথম দিকে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে জনসমক্ষে মুখ না খুললেও এখন আর কোনও লুকোচুরি নেই। তবে আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে নানা ভাবে সামাজিক হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে মালাইকাকে।

কিন্তু ছেলের বিশেষ দিনে আরহানের মা-বাবা ছাড়াও ছিলেন আরবাজের বাবা সেলিম খান, মালাইকার মা জয়েস, বোন অমৃতাসহ অন্যরা। গত সপ্তাহেই প্রকাশ্যে এসেছে আরহানে পডকাস্ট ‘দম বিরিয়ানি’র টিজার। সেখানে খান পরিবারের সকল সদস্যের দেখা মিলেছে। সালমান খানও উৎসাহ দিয়েছেন ভাতিজাকে।


আরও খবর



আজ থেকে নতুন নোট মিলবে যেসব ব্যাংকে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শাখা, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক শাখা থেকে পাওয়া যাবে টাকার নতুন নোট। এপ্রিলের ৯ তারিখ পর্যন্ত এ নতুন নোট পাওয়া যাবে। ৫, ১০, ২০, ৫০ এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন এসব নোট একজন গ্রাহক একবারই সংগ্রহ করতে পারবেন। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনেকশন অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যে সব শাখাতে টাকার নতুন নোট পাওয়া যাবে : জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব করপোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি করপোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের করপোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।


আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরাইলের হামলা, নিহত ১৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। রবিবার সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এর আগে ওই প্রতিবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছিল। পরে তা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি দখলদাররা। সাহায্য চাওয়া ফিলিস্তিনিরা জানুয়ারি থেকেই ওই গোলচত্ত্বরে জড়ো হচ্ছেন এবং ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি চলন্ত ট্রাক থেকে খাবার পেতে চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় এবং এতে বহু লোক হতাহত হন। হামলার পর কিছু আহত লোক মাটিতেও পড়ে ছিল।  

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য ও সহায়তা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিক বার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে এবং এতে বহু সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবারেও কুয়েত গোলচত্ত্বরে হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। সেদিন ত্রাণের পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলি সেখানে জড়ো হয়েছিল। এটি দেখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেখানে ভিড় জমায়। এরপর সাহায্য বিতরণের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন।


আরও খবর