Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

দায়িত্ব পালন না করা পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১১২জন দেখেছেন

Image

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার এবং ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই–এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। রোববার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।  

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ও পুলিশের ভূমিকায় কতটুকু সন্তুষ্ট এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, খুব একটা না। যে কাজটা করা সম্ভব ছিল সেটা তারা করেনি। আইন করা এবং আইন বাস্তবায়ন করা যাদের দায়িত্ব তারা তা করছে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সাইন দেওয়া আছে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলার জন্য।

সেখানে ১০০ কিলোমিটারে গাড়ি চলছে। এটা দেখভাল করার দায়িত্বটা কার? পুলিশ কী এখানে দায়িত্ব পালন করছে? না করতে করতে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অন্যান্য দেশগুলো যদি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না? আমাদের মন্ত্রীরা বলেন, আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে! কপালে লেখা, আমাদের করার কিছু নাই। এগুলো সংসদে বলেছেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘ বলল, এটা কোনো অসুখ না। এটা মানুষের সৃষ্ট একটা সমস্যা।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। দেশব্যাপী সড়ক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শিক্ষকদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মশালা, যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত গোলটেবিল, মতবিনিময় কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। 

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮–এর প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইনে গতিসীমা লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান বর্ণিত থাকলেও গতিসীমা নির্ধারণ হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সড়ক দুর্ঘটনার আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকি যেমন—অতিরিক্ত গতি, স্টান্ডার্ড হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ-এর আলোকে যথাযথ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে। 

সংবাদ সম্মেলনে নিসচার মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুলী কাজী ও বেলায়েত হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তাওবার গুরুত্ব

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১০জন দেখেছেন

Image

ইসলাসিক ডেস্ক : গুনাহের প্রতি আসক্তি মানুষের স্বভাব জাত বিষয়। জেনে হোক, না জেনে হোক, বুঝে হোক, না বুঝে হোক, মানুষ গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মানুষের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা গুনাহ হয়ে গেলে মহান আল্লাহর কাছে তাওবা করে নেয়। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষ মাত্রই গুনাহগার (অপরাধী)। আর গুনাহ গারদের মধ্যে তাওবা কারীরাই উত্তম। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৯৯)

আর মানুষ যখন নিজের ভুল উপলব্ধি করে অনুতপ্ত হয় এবং আল্লাহর কাছে খাঁটি অন্তরে তাওবা করে, তখন মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। তাই গুনাহ হয়ে গেলে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহর দরবারে সিজদায় পড়ে যাওয়াই বুদ্ধি মানের কাজ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তবে যারা তাওবা করেছে এবং নিজেদের সংশোধন করেছে এবং সত্যকে সুস্পষ্ট ভাবে ব্যক্ত করেছে।

অতএব, এদের তাওবা আমি কবুল করব। আর আমি অধিক তাওবা কবুল কারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৬০)

অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর সীমা লঙ্ঘন করার পর কেউ তাওবা করলে এবং নিজেকে সংশোধন করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৩৯)

তাই গুনাহের পাল্লা যতই ভারী হোক না কেন, বান্দাকে প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছেই ফিরে যেতে হবে। গুনাহ হয়ে যাওয়ার পর অনুতপ্ত হবে, আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করবে—এটাই আল্লাহর বেশি পছন্দ। নবী-রাসুল ছাড়া কোনো বান্দার শতভাগ গুনাহ মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। এটা মহান আল্লাহর নিয়ম। এটাই দুনিয়া বাসীর জন্য পরীক্ষা।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে সত্তার হাতে আমার জীবন, আমি তাঁর কসম করে বলছি, তোমরা যদি পাপ না করতে তবে অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের নিশ্চিহ্ন করে এমন সম্প্রদায় বানাতেন, যারা পাপ করে ক্ষমা চাইত এবং তিনি তাদের মাফ করে দিতেন। (মুসলিম,  হাদিস : ৬৮৫৮)

এর মানে এই নয় যে গুনাহর ব্যাপারে আমাদের বেপরোয়া হয়ে পড়তে হবে। ইচ্ছাকৃত গুনাহে লিপ্ত হতে হবে, বরং প্রতিটি মানুষকে গুনাহ থেকে বিরত থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। তবু মানুষ হিসেবে গুনাহ হয়েই যাবে, গুনাহ হয়ে গেলে দ্রুত মহান আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে হবে। এটাই মহান আল্লাহর নির্দেশ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা তীব্র গতিতে চলো নিজেদের রবের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে, যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের সমান, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩)


আরও খবর



পদত্যাগের গুঞ্জনের মাঝেই স্পেনে গেলেন লিওনেল স্কালোনি

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : মারাকানায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের সঙ্গে সুপার ক্লাসিকোতে জয়ের পরই আর্জেন্টাইনদের দুঃসংবাদ দেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। সাম্প্রতিক সময়ে আলবিসেলেস্তেদের হয়ে ইতিহাস গড়া এই কোচ লিওনেল মেসিদের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন। আর্জেন্টাইন গণমাধ্যমের খবর, দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের (এএফএ) প্রেসিডেন্ট ক্লদিও তাপিয়ার সঙ্গে নানা কারণে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এই মাস্টার মাইন্ডের। সে কারণে তিনি নাকি কোপা আমেরিকার ড্র অনুষ্ঠানেও থাকছেন না। এমন গুঞ্জনের মাঝেই স্পেনে উড়াল দিয়েছেন স্কালোনি।

দেশটির সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, আজ (রোববার) সকালে স্কালোনি আর্জেন্টিনা থেকে স্পেনের ম্যালোরকায় রওনা করেছেন। যেখানে তিনি কয়েক বছর ছিলেন, জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ার গুঞ্জনের মধ্যেই সেখানে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আর্জেন্টিনার সর্বশেষ ম্যাচ শেষে গত কয়েকদিন পুজাতোয় পরিবারের সঙ্গে ছিলেন এই বিশ্বকাপজয়ী কোচ। এরপর কর্দোবা বিমানবন্দরে ওয়াল্টার স্যামুয়েলকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দেশ ছাড়েন।

আগামী ৭ ডিসেম্বর আগামী কোপা আমেরিকার ড্র অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুষ্ঠানে স্কালোনি ও তার সহকারীরা থাকছেন না বলে এর আগে জানিয়েছিল টিওয়াইসি স্পোর্টস। যদিও কনমেবল ইভেন্টটির এখনও সপ্তাহ দুয়েকের মতো বাকি। এরমধ্যে স্কালোনির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে। কিন্তু তেমন কোনো পরিস্থিতি দেখছেন না বলেই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। ড্র অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি হিসেবে থাকতে পারেন ফিজিক্যাল ট্রেনার লুইস মার্টিন।

মারাকানার ম্যাচ শেষে কোচ স্কালোনি বলেছিলেন, ‘আমি কী করতে যাচ্ছি তা নিয়ে আমাকে ভাবতে হবে। এই দল আপনাকে পুরোদমে চায়, আপনার সর্বোচ্চ শক্তি থাকতে হবে। জাতীয় দলের এমন একজন কোচ দরকার যার সমস্ত শক্তি আছে। এটা বিদায় নয়, তবে দলের প্রত্যাশার মাত্রা বেশ উঁচু।

স্কালোনির বিদায়ের ঘোষণার পেছনে যেসব কারণ :

চুক্তি নবায়নে অনিশ্চয়তা : কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০২৬ বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত লিওনেল স্কালোনিকে রাখার বিষয়ে তোড়জোড় শোনা যাচ্ছিল। তবে দুপক্ষের আলোচনা বাস্তবিক অর্থে সেভাবে হয়নি। স্কালোনির সঙ্গে চুক্তি ধরে রাখার বিষয়ে এএফএ কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি : চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো এবং লজিস্টিক সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে স্কালোনি এবং এএফএ’র মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়। আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম ওলের সূত্রে খবর, দলের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ, সাধারণ নেতৃত্ব এবং কোচিং-স্টাফদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিয়ে তাপিয়ার সঙ্গে কিছুটা সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় স্ক্যালোনির। এছাড়া দলগঠন, পর্যাপ্ত সমর্থন নিয়েও খানিক অসন্তোষে ভুগছিলেন তিনি।

বেতন পরিশোধে বিলম্ব : ২০২২ সালে সাড়ে তিন দশকের আক্ষেপ ঘুচিয়ে আর্জেন্টিনাকে তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতান স্কালোনি। কিন্তু টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া প্রাইজ মানির অংশ কোচিং স্টাফদের মাঝে পরিশোধে বেশ সময় লেগে যায় বলে উল্লেখ করেছে টিওয়াইসি। এরপর থেকে যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে যান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের কোচিং স্টাফরা।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ইসমে আজমের গুরুত্ব ও অলৌকিকতা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : ‘ইসম’ শব্দের অর্থ হলো নাম। আর ‘আজম’ শব্দের অর্থ হলো মহান বা শ্রেষ্ঠ। যেসব নাম দিয়ে আল্লাহর বড়ত্ব বা শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশিত হয় সেগুলোই ইসমে আজম।

আল্লাহর অসংখ্য গুণবাচক নাম আছে।
এগুলোকে একত্রে ‘আল আসমাউল হুসনা’ বলা হয়। পবিত্র কোরআনের চারটি আয়াতে আল আসমাউল হুসনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসে আল্লাহর ৯৯টি নামের কথা বলা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলার ৯৯টি নাম আছে।

যে ব্যক্তি এ নামগুলো মুখস্থ করবে, সে জান্নাতে যাবে। (বুখারি, হাদিস : ২৭৩৬, ৭৩৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৬৭৭)

ইসমে আজমের মাধ্যমে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা কবুল করেন, বান্দার যেকোনো চাওয়া আল্লাহ তাআলা পূরণ করেন এবং যেকোনো বিপদাপদ দূরীভূত করেন।

আল্লাহ তাআলার উক্ত নামগুলোর মধ্যে কোনটি ইসমে আজম সে সম্পর্কে কয়েকটি হাদিসে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা আছে। ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.)-কে ইসমে আজম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ‌‘আদ-দুররুল মুনাজ্জাম ফিল ইসমিল আজম’ নামক গ্রন্থ রচনা করেন।

এ গ্রন্থে তিনি ইসমে আজমের ব্যাপারে ২০টি মতামত উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ ইসমে আজম ৪০ প্রকারের হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। কাসিম (রহ.) বলেন, আল্লাহর ইসমে আজম হলো যার মাধ্যমে দোয়া করলে তা কবুল হয়, তা তিনটি সুরায় আছে। সুরা বাকারাহ, সুরা আলে ইমরান ও সুরা ত্ব-হা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৫৬)

অন্য বর্ণনায় আছে, ইসমে আজম উক্ত তিন সুরার নিম্নোক্ত তিনটি আয়াতে আছে।

তা হলো :
১. সুরা বাকারাহর ২৫৫ নম্বর আয়াত তথা আয়াতুল কুরসিতে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকার মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।’
২. সুরা আলে ইমরানের প্রথম দুই আয়াতে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আলিফ, লাম, মীম। আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো সত্যিকার মাবুদ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী।’
৩. সুরা ত্ব-হার ১১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সম্মুখে সবাই হবে অধোমুখী।’ (আল মুসতাদরাক আলাস সহীহায়ন, ১/৫০৬)

ইসমে আজমের ফজিলত
আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মাধ্যমে তাঁর পরিচয় ও ক্ষমতার প্রকাশ ঘটে। মানুষ আল্লাহর নানা গুণাবলি সম্পর্কে জানতে পারে। তা মানুষকে উত্তম চরিত্রবান হতে অনুপ্রাণিত করে। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর বড়ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব জ্ঞাপক নামগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে ডাকতেন। সুলাইমান (আ.)-এর দরবারে একজন আসমানি কিতাবের জ্ঞানী আসেফ বিন বরখিয়া রানি বিলকিসের সিংহাসন চোখের পলক ফেলার আগেই নিয়ে এসেছিলেন। মুফাসসিররা বলেন, তিনি ইসমে আজম জানতেন।

ইমাম আবু জাফর তাবারি (রহ.) ও আবুল হাসান আশআরি (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলার প্রতিটি গুণবাচক নামই ইসমে আজমের অন্তর্ভুক্ত। একবার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ব্যক্তির কাছ দিয়ে গেলেন। সে বলছিল, ‘ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ অর্থাৎ হে মহিমাময় ও মহানুভব। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এসব শব্দ দিয়ে দোয়া করার দরুন তোমার জন্য আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতার দরজা খুলে গেছে। এখন তুমি যা ইচ্ছা তার কাছে চেয়ে নাও। (কানযুল উম্মাল, পৃষ্ঠা ১/২৯২)

ইসমে আজম সম্পর্কে হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনা আছে। যেমন :
এক হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে বসা ছিলাম, তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল। যখন সে রুকু, সিজদা ও তাশাহুদ পড়ে দোয়া করতে শুরু করল তখন সে তার দোয়ায় বলল, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদ, লা ইলাহা ইল্লা আনতাল মান্নানু বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুম ইন্নি আসআলুকা।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এই অসিলায় যেসব প্রশংসা তোমারই, তুমি ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই। তুমি পরম অনুগ্রহদাতা, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা। হে মহিমাময় এবং মহানুভব, হে চিরঞ্জীব অবিনশ্বর! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। (নাসাঈ, হাদিস : ১৩০০; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৪৪)

আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা (রহ.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক ব্যক্তিকে এরূপ দোয়া করতে শোনেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আনতাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি এবং আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি যে তুমিই আল্লাহ এবং তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমি একক এবং অমুখাপেক্ষী, যাঁর কোনো সন্তান নেই এবং যিনি কারো সন্তান নন, যাঁর সমকক্ষ কেউই নেই।

তখন তিনি বলেন, তুমিই আল্লাহর কাছে তাঁর নাম ধরে প্রার্থনা করেছ, এভাবে কেউ চাইলে তখন আল্লাহ তা প্রদান করেন এবং এভাবে দোয়া করলে তিনি তা কবুল করে থাকেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৯৩)

হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, (ইসমে আজমের) যতগুলো বর্ণিত হাদিস আছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বিশুদ্ধ। আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসমে আজম এ দুটি আয়াতে আছে : এক. তোমাদের ইলাহ একমাত্র ইলাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি অতি দয়ালু ও মেহেরবান। (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৬৩)

দুই. সুরা আলে ইমরানের প্রথমাংশ, আলিফ-লাম-মীম, তিনিই সেই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৯৬)

ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) বলেন, আমি ইমাম আবু হানিফা (রহ.) থেকে শুনেছি, আল্লাহ তাআলার ইসমে আজম হলো ‘আল্লাহ’ (জাল্লাজালালুহু)। কেননা এটি তাঁর সত্তাগত নাম। কোরআন মজিদে এই নামটিই দুই হাজার ৬৯৭ বার এসেছে। আসমাউল হুসনার মধ্যে তাঁর অন্য কোনো নাম এত বেশি উল্লেখ করা হয়নি।

আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) বলেন, ইসমে আজম হলো ‘আল্লাহ’ শব্দ। তবে শর্ত হলো তা পূর্ণ একাগ্রতা ও ইখলাসের সঙ্গে বলতে হবে। (মিরকাতুল মাফাতিহ, ১/৬)


আরও খবর



তোদের জ্বলবে, আমার তাতেই চলবে: শবনম বুবলী

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি গান বাংলা চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনে বিতর্কের মুখে পড়েছেন ঢালিউড অভিনেত্রী শবনম বুবলী। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুবলীকে কটাক্ষ করে পোস্টও করেছিলেন অভিনেত্রী পরীমণি। এছাড়া অপু বিশ্বাসও বিভিন্ন আকার ইঙ্গিতে দিচ্ছেন খোঁচা। এবার সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সরব হলেন বুবলী। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ফুরফুরে মেজাজে নাচের ভঙ্গিমায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন বুবলী। ওয়াইন কালার লেহেঙ্গায় নায়িকার চোখে-মুখে ছিল ব্যাপক উচ্ছ্বাস। পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছিল একটি গান। আর এই গানের মাধ্যমেই সমালোচকদের কটাক্ষের জবাব দেন বুবলী।

ওই ভিডিওতে চলছিল নেটদুনিয়ার ভাইরাল গান ‘তোদের জ্বলবে, আমার তাতেই চলবে’র কিছু অংশ। যেখানে শোনা যায়, হ্যা, আমায় দেখে জ্বলছে যারা চাইছি তাদের বলতে। পিএনপিসি না করে তুই তোর চরকায় তেল দে। যাদের ভাবি বড্ড কাছের, আমার আপনজন, তারাই আবার করছে কাঠি। সামনে প্রিয়জন যতই করিস হিংসা তোরা, আমি বড়োই বেপরোয়া ভয়ডর নেই। যে যা বলুক, বলবে। তোদের জ্বলবে, আমার তাতেই চলবে'।

বুবলী ওই ভিডিওটি পোস্ট করার পর কমেন্টবক্সেও ভক্তরা জানান, নিন্দুকদের এই গান দিয়ে জবাব দিলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে এটাও বোঝালেন, তাকে নিয়ে নিন্দুকেরা যতোই কটাক্ষ করুক, বুবলী আছেন তার মতো করেই। সমালোচকদেরকে নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যথাই নেই। এমনকি কাউকে তিনি ভয়ও পান না।


আরও খবর



আল্লাহ তাঁর বিশেষ বান্দাদের ইহকাল ও পরকালীন জীবনে সুসংবাদ দিয়েছেন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মানুষ নানা কারণে মানসিকভাবে ভয় ও দুশ্চিন্তায় ভোগে। পবিত্র কোরআনে একাধিকবার মুমিনদের নির্ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্তির সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাঁর বিশেষ বান্দাদের ইহকাল ও পরকালীন জীবনে এই সুসংবাদ দিয়েছেন। নিম্নে তাদের সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :

১. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও তাঁর নির্দেশনা পালন মানুষকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখে। কারণ বিশ্বাস ইহকাল ও পরকালীন মুক্তির মূলভিত্তি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার হেদায়াত অনুসরণ করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’
(সুরা: বাকারা, আয়াত : ৩৮)

২. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের পাশাপাশি ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষ নির্ভয় জীবন যাপন করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও আখিরাতের ওপর বিশ্বাস করে এবং ভালো কাজ করে তাদের রবের কাছে তাদের জন্য মহাপ্রতিদান রয়েছে এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৬২)

৩. ইসলাম পালনের পাশাপাশি নিপুণভাবে কাজ করলে মহা প্রতিদান রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই, কেউ আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করলে এবং ভালো কাজ করলে তার প্রতিদান তার রবের কাছে রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১২)

৪. গরিব-দুঃখীদের জন্য খরচের মাধ্যমে ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা যায়। তবে দান করে কাউকে কষ্ট দেওয়া বা খোঁটা দেওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ ব্যয় করে, অতঃপর যা ব্যয় করে তার কথা বলে বেড়ায় না এবং কষ্ট দেয় না, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬২)

৫. সব সময় ও সব স্থানে অকাতরে দানকারীর জন্য সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা তাদের সম্পদ রাত ও দিনে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের জন্য তাদের রবের কাছে প্রতিদান রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৪)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনবে, ভালো কাজ করবে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করবে, জাকাত দেবে তাদের জন্য তাদের রবের কাছে প্রতিদান রয়েছে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা: বাকারা, আয়াত : ২৭৭)

৬. যারা আল্লাহর পথে দ্বিনের সাহায্যে জীবন বিলিয়ে দেবে তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে মারা যায় তাদের তোমরা মৃত মনে কোরো না, বরং তারা জীবিত এবং তারা তাদের রবের কাছে রিজিক লাভ করে। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দিয়েছেন তারা তাতে আনন্দিত এবং তাদের পেছনে যারা এখনো তাদের সঙ্গে মিলিত হয়নি তাদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। কারণ তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা: আলে ইমরান, আয়াত : ১৬৯-১৭০)

৭. নবী-রাসুলদের নির্দেশিত পথে যারা সমাজের সংস্কার করবে তাদের জন্যও দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ঈমান আনবে এবং সংশোধন করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৪৮)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘যে তাকওয়া তথা আল্লাহভীরুতা অর্জন করবে এবং সংশোধন করবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৫)

৮. শর্তহীন ভালোবাসা ও আনুগত্যের মাধ্যমে যারা আল্লাহর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে তাদের উদ্দেশে মহান আল্লাহ বলেন, ‘শোনো, নিশ্চয়ই আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’
(সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৬২)

৯. যারা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখবে এবং এর ওপর অবিচল থাকবে তাদের জন্য বিশেষ সুসংবাদ আছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা বলবে, আমাদের রব আল্লাহ, অতঃপর এর ওপর অটল থাকবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবে না।’


আরও খবর