Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ২৪ ঘণ্টায় টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায়। তখন থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ি থেকে মোট ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১২ হাজার ২৪২টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ উড়াল পথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার সকাল ৬টায় উড়াল পথটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ধাপের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



রৌমারীতে প্রাণিসম্পদের এলডিডিপি প্রকল্পে অর্থ হরিলুট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image


এইচ এম মাহদী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট, ছাগল ও মুরগির ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজেই এসব কাজ করেন। সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে কাজগুলো উপকারভোগীদের সম্পাদন করার জন্য ব্যাংক হিসাবে টাকা দেয়া হয়েছিল, সেই টাকা কৌশলে প্রকল্পের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা তিনি নিজেই সেড নির্মাণ শুরু করেন।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট ও নানা অনিয়মে উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি অর্থ বছর ২০২২-২০২৩ এ বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই ঘর গুলো এতটাই নিম্ন মানের নির্মাণ করা হয়েছে যে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খচর হয়েছে মাত্র। বাকি টাকা আত্মাসাৎ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন। এদিকে উপকারভোগীদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

পওে একাউন্টে  টাকা আসলে চেকে সই করে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে টাকা গুলো নেন। যেখানে উপকারভোগীরা এই টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই কাজ করার কথা ছিল।

প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে পিজি সদস্যদের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়।

এমনকি ঘরের সাইন্ড বোর্ড এর জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শত থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। প্রকৃত ব্যয়ের সঙ্গে এসব ঘর নির্মাণ খরচের হিসাব কিংবা নেই কোনো ভাইচার।

তবে ১৩১ টি ঘর সকল ঘরের চিত্র একই। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

প্রতিটি সেড নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়  ৩৪ টি ঘরের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বাকি ৯৭ টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার করে ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এই দিয়ে মোট রৌমারী উপজেলায় ১৩১ টি ঘরের জন্য সর্বমোট ৩১ লক্ষ্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়।

অ্যাকাউন্ট-পে এই চেকের টাকা মালিক ছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষে উত্তোলন সম্ভব না। অথচ উপকারভোগী সদস্যদের কাছ থেকে চেক সই করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তার লোক দিয়ে এসব টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে রেখে তিনি নিজেই ঠিকাদার সেজে এসব ঘরের কাজ করেন।

অপর দিকে ইসলামী ব্যাংক রৌমারী শাখার পিজি সদস্যদের নামীয় অ্যাকাউন্টে এ টাকা দেয়া হয় মন্ত্রনালয় থেকে। সদস্যদের ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন দুই জন মিলে কৌশলে টাকাগুলো নিজেদের আয়ত্তে নেন। প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী নিজেরা সেড তৈরি করে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে সদস্যদের টাকা দিতে বাধ্য করেন।

তারা নিম্নমানের কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম দিয়ে নির্মাণকাজ করে কোনো মতে বুঝিয়ে দেন। কয়দিন যেতে না যেতে এসব ঘর গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এদিকে সেড ঘরের মেঝো পাকা করার কথা থাকলেও তা না করে অফিসের পক্ষ থেকে পাকা করার জন্য সদস্যদের সাড়ে পাচ হাজার করে টাকা চাপের মুখে পড়ে দেন ভুক্তভোগীদের।

এমন অনিয়মের আভাস পেয়ে এক সদস্য টাকা উত্তোলন করে তিনি নিজেই কাজ করেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দিয়ে টাকা আসলে চেকে সই করে টাকা উত্তোলন করেন।

পরে যে ঘর নির্মাণ করে দেন তা একে বারেই নিম্নমানের । একাধিক সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘরের পর্দা ও মুশরী দেওয়ার কথা তার কোনো খবর নেই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমাদের বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। তবে সেড নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তোর পাওয়া যায়নি।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। এলডিডিপি প্রকল্পের হরিলুট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ভিন্ন কথা বলে জানান যে, কোনো কাজ একশত পারসেন হয়না।

এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি ঠিকাদার সেজে কাজ করেন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ভিন্ন কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।


আরও খবর



আমতলীতে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image


মোঃ ইমরান হোসাইন আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ 


বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


 দীর্ঘদিন ধরে আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সৌদি রিয়াল ও ডলার বিক্রির কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এই চক্রটি।


রোববার (৫ মে) রাত ৯ টার দিকে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।


প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া পাতাকাটা নামক এলাকার মো. সানু ফকির (৫০), মো. তৈয়ব হাওলাদার (৬০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (৩০) একই ইউনিয়নের ঘটখালী নামক এলাকার মো. আল ইমরান ওরফে সুজন সিকদার (৩০) ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর নামক এলাকার মো. শাহিন বয়াতী (৩৫)। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. বশির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 


বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আমতলীতে দীর্ঘদিন ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে এবং বিক্রির কথা বলে একটি চক্র সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 


এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলমের নেতৃত্বে আমতলীর আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অল্প কিছু ডলার ও সৌদি রিয়ালসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত বিশেষ কায়দায় টাকার বান্ডিল সাজিয়ে গামছায় মোড়ানো পেপারের কাগজসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এবিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলম বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডলার বা সৌদি রিয়াল বিক্রির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রটিকে ধরতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে সুকৌশলে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। 


তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তাররা একাধিক প্রতারণা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের ধরতে অভিযান অব্যঅহত আছে ও গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image


জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটে ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেমের ছেলে মোস্তাক ও জসিমের ছেলে হাফিজার। এদের মধ্যে হারুন অর রশিদ পলাতক রয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দুর্গাদহ এলাকার ভ্যানচালক আবু সালামকে আসামিরা শ্বাসরোধে হত্যা করে কালাই পৌরসভার আওড়া এলাকার একটি পুরাতন কবরে লাশ লুকিয়ে রেখে ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

২০০৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয়রা ওই কবরে লাশের পা দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় কালাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক মির্জা মো. শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন : প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:



ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


 বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ।


নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 



১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।



 নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। 


প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।


এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।


প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ ও ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।


ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল করে শতকোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image



ক্রাইম রিপোর্টারঃ


জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস কাজ করতেন একটি সোনার দোকানে। ঢাকার মিরপুরের কোঅপারেটিভ মার্কেটে ওই দোকানের কর্মচারি ছিলেন তিনি। 


এরপর শহিদুল ইসলাম সবুজ নামের একজনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র। পরিস্থিতি বদলাতে তার সময় লাগেনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জয়নাল হয়ে যান শতকোটি টাকার মালিক।


দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র নিয়ে তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। 


এর আগে চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তাররা হলেন, জয়নাল আবেদীনের প্রধান সহযোগী মোঃ রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কেএম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মোঃ লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান ওরফে মিঠু (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে জয়নালসহ এ পর্যন্ত চক্রের মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


শনিবার (৪ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করেন জয়নাল। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির বেশি হিসাব খোলেন।


 এরপর জয়নাল ফ্ল্যাটের মালিকানার জাল দলিল তৈরি করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে হাতিয়ে নেয় শতকোটি টাকা।


জালিয়াতির টাকায় রাজধানীর বসুন্ধার আবাসিক এলাকায় ৭তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কিনেছেন জয়নাল। এ কাজে তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা।


সিআইডি প্রধান এডিশনাল আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “গোপন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্য একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে।


 পরবর্তীতে তারা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করে।


এরপর তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ঋণ নিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।



তিনি বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। চক্রের অন্য সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। 


এসব ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন।


এরপর তারা ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে তৈরি করেন জাল দলিল। জয়নাল আবেদীন জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ।


ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকা নেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ক্ষমতা অর্পণ দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন।


 এভাবে তারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন শত কোটি টাকা।


সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই জালিয়াতি চক্র ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে পথে বসিয়েছেন বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছেন নিঃস্ব।


শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ ও ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।


আরও খবর