Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকায় কৌশলগত সংলাপে বসছে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় দুই বছর বিরতির পর কৌশলগত সংলাপে বসছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এবারের সংলাপ হতে যাচ্ছে। সংলাপে দুই দেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি (এমএলএ) নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত মিলেছে। আলোচনায় লন্ডনের দিক থেকে স্থান পেতে পারে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গ। কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় হতে যাওয়া সংলাপ নিয়ে রোববার (২৭ আগস্ট) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনর নেতৃত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সঙ্গে সংলাপের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংলাপে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থায়ী আন্ডার সেক্রেটারি ফিলিপ বার্টন নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেবেন।

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে থাকা ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের চতুর্থ সংলাপ লন্ডনে হয়েছিল। সেসময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে অপরাধীদের যেন বিচারের আওতায় আনা যায় এ নিয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছিল। দুই দেশ এ সংক্রান্ত দুটি চুক্তি করতে রাজি হয়েছিল। চুক্তিটি করার বিষয়ে সংলাপে তাগিদ দেওয়া হতে পারে।

একাধিক মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাকে বাংলাদেশে হস্তান্তরের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। পাশাপাশি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি চৌধুরী মঈনুদ্দীন লন্ডনে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ। পলাতক থাকায় তার রায় কার্যকর করা যায়নি। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকা রাখার মামলায় সাজা হওয়া সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে।

ঢাকার এক কূটনীতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত কিছু বাংলাদেশি নাগরিক দেশবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি এবং পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি করা গেলে এসব অপপ্রচারকারীদের দেশে ফিরিয়ে শাস্তির আওতায় আনা সহজ হবে।

সংলাপে আলোচনার বিষয়ে কূটনীতিকরা বলছেন, উভয়পক্ষ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবে। এর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, রোহিঙ্গা ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনার টেবিলে থাকবে। এছাড়া বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থনের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় থাকতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশের নির্বাচন সামনে রেখে ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে নানা আলোচনা চলছে। এমন সময়ে হতে হওয়া সংলাপে লন্ডনের দিক থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা দেবে যুক্তরাজ্য। আর ঢাকার পক্ষ থেকে লন্ডনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতে পারে। এছাড়া লন্ডন মানবাধিকার, গণতন্ত্র, শ্রম অধিকার, বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে জোর দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-লন্ডনের চতুর্থ কৌশলগত সংলাপ ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন,প্রধান প্রতিবেদকঃ


ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। 


রিয়াজ মাহমুদকে সভাপতি ও সাগর আহমেদ শামীমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনুমোদন দিয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।


শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।



কমিটির অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’, ‘স্মার্ট মহানগর’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।


কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন ৬৮ জন। এছাড়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ১১ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন ১১ জন।


আরও খবর



ইউক্রেনের কারাবন্দিরা যোগ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীতে, সংসদে বিল পাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্টঃ



ইউক্রেনের পার্লামেন্ট এমন একটি বিল পাস করেছে যার ফলে কিছু বন্দি এখন থেকে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন। নামতে পারবেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও। বুধবার (৮ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।



মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ব্যাপকভাবে সৈন্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে এবং বিপরীতদিকে রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে।



ইউক্রেনের পার্লামেন্টে নেওয়া বুধবারের এই পদক্ষেপটিকে কিয়েভের দীর্ঘদিনের নীতির ইউ-টার্ন হিসেবে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কোনো ব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছিল এবং সেনা ঘাটতি পূরণের জন্য রুশ বন্দিদের লড়াইয়ের ময়দানে পাঠানোর বিষয়ে মস্কোর সমালোচনাও করে আসছিল কিয়েভ।


অবশ্য পার্লামেন্টে পাসের পর বিলটিকে আইনে পরিণত করার আগে পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন ভারখোভনা রাদা এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাক্ষর করতে হবে।



এদিকে জেলেনস্কির পার্টির প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘(বিলের পক্ষে) পার্লামেন্ট হ্যাঁ ভোট দিয়েছে। খসড়া আইনটি কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্য সেই সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে যারা প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তাদের দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’


তবে এই বন্দিদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান হবে স্বেচ্ছায় এবং এই সুযোগ শুধুমাত্র কিছু শ্রেণির বন্দিদের জন্যই উন্মুক্ত।


শুলিয়াক বলেন, যৌন সহিংসতা, দুই বা ততোধিক লোককে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি এবং সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তারা সামরিক বাহিনীতে সেবা করার যোগ্য নয় বলে বিবচিত হবে।


তিনি বলেন, যে সকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যোগ্য। এছাড়া অন্য যে কোনও বন্দি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাইলে তারা সেটি পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষমার পরিবর্তে প্যারোল মঞ্জুর করা হবে।


আরও খবর



ভেস্তে গেল যুদ্ধবিরতির আলোচনা : রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্টঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তারা রাফা অঞ্চলে নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। এতে ওই অঞ্চল থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে।


শুক্রবার (১০ মে) বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।

এছাড়া নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



বাবা-মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন হায়দার আকবর খান রনো

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। 


জানানা শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।


জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় সিপিবি অফিসে তার মরদেহ নেওয়া হবে। পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মরদেহ। 


বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।



সিপিবি সূত্র জানিয়েছেন, হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ ধানমন্ডিতে তার বাস বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে রাখা হবে। তার মেয়ে ও নাতি-নাতনী দেশে ফিরবেন বলে অপেক্ষা করা হচ্ছে। 


আগামী সোমবার বনানী কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।


 শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।



মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।


বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন।


 ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।


আরও খবর



সুন্দরবনের দেড় কি.মি. এলাকা জুড়ে আগুন : ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image


বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির অদূরে লতিফের ছিলা নামক স্থানে আগুন নেভানোর কাজ রবিবার (৫ মে) ভোর থেকে আবার শুরু হয়েছে।

বাগেরহাট, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট বনরক্ষী ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

রবিবার ভোরে ঘটনাস্থল থেকে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জনকণ্ঠকে জানান, আমরা ঘটনাস্থালে রয়েছি। আগুন নেভাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।

ঘটনাস্থলের চারপাশে ফায়ার লাইন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখা হচ্ছে। এই মুহুর্তে ঠিক কত জায়গা জুড়ে আগুন ছড়িয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগুন লাগার কারন ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে কাজ শুরু করেছে।

রাতে বনের মধ্যে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। তবে খুব ভোর থেকে আবার অগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে।


ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষনিক ২/৩ শত লোক নিয়ে বনে যাই এবং বনকর্মীসহ আমরা সবাই মিলে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি।

এসয়য় উর্দ্ধতন বন কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনা স্থলে আসেন। আনুমানিক ১০ একর জায়গা জুড়ে আগুন জ্বলছে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় আগুন নেভাতে পর্যাপ্ত পনির অভাব রয়েছে। একটি নালা ও ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সোমবার দ্বিতীয় দিনেও ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীদের আমরা স্থানীয় লোকজন এ কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, দশ একর জায়গা হলেও এর ব্যপ্তি প্রায় দেড় কিলোমিটার হবে। আগুন লাগা স্থানটি ঘুরে আসতে আমার প্রায় আধাঘন্টা সময় লেগেছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির বনকর্মী মনিময় মন্ডল জনকণ্ঠকে বলেন, বনের লতিফের ছিলা নামকস্থানে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় তা দ্রুত বনের শুকনো লতাপাতায় ছড়িয়ে পড়ে।

আমরা বনরক্ষীরা সাথে সাথে স্থানীয় এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় আগুন নেভাতে সাধ্যমত চেষ্টা করি। বনের একটি বড় এলাকা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন জ্বলছে। ফায়ার ব্রিগেডের একাধিক ইউনিট ঘটনা স্থলে পৌছে আগুন নেভাতে চেষ্টা করছে। সাথে স্থানীয়রা রয়েছেন।

এদিকে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপি সদস্য আবু তাহের মিয়াবলেন, আমুর বুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। প্রায় দেড়/দুই কিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়াইছে। সবাই চেষ্টা করছি নেভাতে। যেভাবে লাগছে তাতে আগুন থামানো কঠিন। পাশে পর্যাপ্ত পানি নেই।

রাতে অন্ধকারের জন্য কাজ বন্ধ ছিল সোমবার সকাল থেকে আবার আগুন নেভানোর শুরু হয়েছে।

পশ্চিম আমুরবুনিয়া গ্রামের কৃষক ও বাওয়ালী পিন্টু মিস্ত্রিী জনকণ্ঠকে বলেন, আমার বাড়ির পূর্বদিকে বনের ২ থেকে আড়াই কি:মি: মধ্যে এ দিন বিকেলে আগুনের সুত্রপাত হয়। বর্তমানে মধু আহরণের মৌসুম চলছে।

মধু সংগ্রহ করতে ওই স্থান থেকে মধু সংগ্রহকরীরা বনে যায়। ধারণা করছি তাদের ফেলে দেওয়া আগুনের সলতে (মশাল) থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় পানির সংকটের কারনে আগুন নেভাতে কষ্ঠ হচ্ছে।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া এলাকার লতিফের ছিলা নামক স্থানে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান।


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, আগুন লাগার খবর পরে বনকর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে।

ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট পৌচেছে। আমিও ঘটনাস্থলে আছি। রাতে কাজ বন্ধ থাকলেও খুব ভোর থেকে আবার আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

তবে কি কারণে আগুন লেগেছে বা কি পরিমাণ জায়গা আগুন ছড়িয়েছে সে বিষয়ে জানতে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- রেঞ্জের জিউধার স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) রবিউল ইসলাম।

কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারণ ও ক্ষক্ষতি নিরুপনসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া, এ ব্যাপারে স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া নানামুখী তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আশা করি প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

বন বিভাগের সূত্র মতে, সুন্দরবনে গত ১৮ বছরে ২৮ বার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আগুনে প্রায় ৮০ একর বনভূমি পুড়েছে।


আরও খবর