Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঈশ্বরদীতে ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ। 

তিনি জানান, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঈশ্বরদী হতে খুলনাগামী তেলের খালি ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন রওনা করলে তা ঈশ্বরদী লেভেল ক্রসিং গেইট অতিক্রম করে বিপরীত দিক থেকে পুশিং এ আসা মালবাহী শানটিং ওয়াগনে আঘাত করে। এতে মালবাহী ২টি ওয়াগনের ৮ চাকা এবং লোকোমোটিভের সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন প্রথমে মালবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর তেলবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করা হয়। এখন সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দুই ট্রেনের দুই চালকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগির ৮ চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


আরও খবর



সৌদি আরবকে হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

হজ যাত্রীদের সবাই যাতে পবিত্র হজ পালন করতে পারেন সেজন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


আজ সোমবার সকালে গণভবনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ আহ্বান জানান।


বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন, সৌদি আরবের উচিত হজ যাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো যাতে, তারা পবিত্র হজ পালন করতে পারেন।



নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজ যাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, যে সব হজ যাত্রী এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পান নি তাদের ভিসা প্রদানের উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি।


সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। 


জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।


ফিলিস্তিন ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য আরেকটি চালান প্রস্তুত করছে এবং ইতোমধ্যে তার দেশ দুইবার সহায়তা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া পুরো বিশ্ব ফিলিস্তিনের সাথে রয়েছে।


সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।


এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ছিলেন।



আরও খবর



ইউপি চেয়ারম্যানের নাতির নামে কার্ড, মৃত ব্যক্তিও তুলছেন চাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image



আদমদীঘি (বগুড়া) সংবাদদাতা:


বগুড়ার আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ও চাল বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের তীর চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ডিলাদের দিকে। 


প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বঞ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যানের নাতির নামে দেওয়া হয়েছে কার্ড। বছরজুড়ে মৃত ব্যক্তির নামে তোলা হচ্ছে চাল। জীবিত ব্যক্তিদের কার্ডের চাল আত্মসাৎ, অনেকের নামে কার্ড থাকলেও তারা সেটি জানেই না।


 আবার পুরুষের নামের পাশে নারীর ছবি লাগিয়ে এবং প্রবাসীর নামে কার্ড বানিয়ে করা হচ্ছে চাল আত্মসাৎ।



জানা গেছে, উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বিহিগ্রাম সাহানাপাড়ার বাসিন্দা মোয়াজ্জিম হোসেন প্রায় এক বছর আগে মারা গেছেন। মৃত্যুর পরও একাধিকবার তার কার্ড দিয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি করে চাল ওঠানো হয়েছে। 


মোয়াজ্জিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, তিনি (মোয়াজ্জিম) গত এক বছর আগে মারা গেছেন।


এই কর্মসূচির ডিলার মাজেদুর রহমান মাজেদের দাবি, নাম বাদ না যাওয়ায় তার (মোয়াজ্জিম) নামে তার কোনো এক আত্মীয় চাল উঠিয়ে নেন। 


তবে সরেজমিনে গিয়ে ডিলারের কথার সঙ্গে মিল পাওয়া যায় না। চাল বিতরণের সময় দেখা যায়, মোয়াজ্জিমের চাল তুলছেন ডিলারের লোকজন। এমনকি আঙুলের ছাপও দিচ্ছেন তারাই।



ওই ইউনিয়নের বেজার গ্রামের গৃহবধূ লাভলী আক্তারের নামেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড রয়েছে। তবে তিনি জানেনই না তার নামে কার্ড রয়েছে। গৃহিণী হলেও তার পেশা দেওয়া আছে দিনমজুর। 


অনুসন্ধানে দেখা যায়, লাভলীর কার্ড দিয়ে একাধিকবার চাল ওঠানো হয়েছে। আর তা উঠিয়েছেন ডিলার নিজেই।


ভেনল্যা গ্রামের বাসিন্দা শাহিদুল ইসলামের নামেও রয়েছে একটি কার্ড। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডে শাহিদুল ইসলামের ছবির পরিবর্তে রয়েছে এক নারীর ছবি। স্থানীয়রা বলছেন, শাহিদুল ইসলাম প্রবাসে থাকেন এবং ছবিটি তার স্ত্রীর।


 নামের সঙ্গে ছবির অমিল থাকলেও শাহিদুলের স্ত্রী চাল পাওয়ায় এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।


চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের নাতি সোহাগ পারভেজ। চাল বিতরণের দায়িত্বে দেখা যায় তাকে। তবে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় রয়েছে সোহাগ পারভেজের নামও। 


নাতির নামে কার্ড রয়েছে, তা জানেন না ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কারা কারা কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহের দায়িত্ব থাকে ইউপি সদস্যদের। তারা আমার নাতিকে কার্ড দেওয়ার যোগ্য মনে করেছে, তাই হয়তো কার্ড দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।


সম্প্রতি ইউনিয়নের বিহিগ্রাম এলাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, ডিলারের নিয়োগ করা লোকেরা চালের পরিবর্তে টাকা বিতরণ করছেন। আবার কয়েকজন চাল নিলেও সেই চাল ডিলারের লোকদের কাছেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। চাল বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেখানে দেখা যায়নি।

 

অভিযোগের বিষয়ে ডিলার মাজেদ বলেন, যাদের কার্ড আছে, আমি তাদের বা তাদের কার্ড কেউ নিয়ে এলে চাল দিই। চালের বদলে টাকা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।


চাঁপাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ইউপি সদস্যরা যাদের নাম দিয়েছেন, তাদের নামেই কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। ডিলার চাল দিচ্ছেন নাকি টাকা দিচ্ছেন এসব খতিয়ে দেখব। আর নাম একজনের, ছবি অন্যজনের এটা হতে পারে না। কার্ড করার সময় সবাইকে পরিষদে আসতে হয়েছিল। এমন কিছু হওয়ার কথা না।


আদমদিঘী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, বিষয়গুলো জানা ছিল না। তবে চাল বিতরণের সময় ওই এলাকায় একজন ট্যাগ অফিসার দেওয়া হয়। অনিয়মের অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আরও খবর



হজের প্রথম ফ্লাইট ৯ মে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:


চলতি মৌসুমের পবিত্র হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন। এ তথ্য জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।



সোমবার (৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানায়, এবার জেদ্দা ও মদিনায় পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় হজ অফিসে বিমান বোর্ডিং এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। 


ঢাকা হজ অফিসে বিমানের সেলস কাউন্টার এ ব্যালটি হাজিদের টিকিট ইস্যু এবং নন-ব্যালটি হাজিদের টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের সুবিধা রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হাজি পরিবহনের করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হাজি পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। 


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।


এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। 


এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।



আরও খবর



আফগানিস্তানে অতিবৃষ্টি-বন্যায় নিহত অন্তত ৬০

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :


আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন।


 ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই বন্যায় কমপক্ষে ১০০ জন আহত এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির তালেবান সরকারের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি।



আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার মানুষ। দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।



আবদুল মতিন রয়টার্সকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 


তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় সাহায্যকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।



স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি সেবাদানকর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আহত ও নিখোঁজদের সন্ধান করছেন। গৃহহীন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।


বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।


মূলত আফগানিস্তানে প্রতি বছর মুষলধারে বৃষ্টি এবং বন্যায় মানুষ মারা যায়। এছাড়া বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ এলাকায় দুর্বলভাবে নির্মিত ঘরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।


বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।


আরও খবর



প্রচন্ড দাবদাহের পর দেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইন, চীপ রিপোর্টার:


দীর্ঘ অসহনীয় অতি তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে সহনীয় হয়ে আসছে তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার যশোর-চূয়াডাঙ্গা,ঈশ্বরদী এবং মংলা বাদে সারাদেশের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নীচে। 


বৃষ্টি হয়েছে অধিকাংশ অঞ্চলে। আজ থেকে বৃষ্টিপাতের আরো বিস্তৃতির পূর্বাভাস রয়েছে। শেষ হতে চলেছে খর বৈশাখ। মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও এপ্রিলের মত আর ভয়ংকর হবে না। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,অর্ধ শত বর্ষের রেকর্ড ভাঙা টানা ৩৩ দিনের তীব্র তাপদাহের প্রতিক্রিয়া-বিকীরন এবং আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র সক্রিয়তার প্রভাবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক অতি বৃষ্টিপাত এবং বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। 


দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলে প্রতি বছর যে বন্যা হয়, এবার তা ব্যাপক আকারে রূপ নিতে পারে বলে অভিমত আবহাওয়াবিদদের। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ঘটেছে এবারের এপ্রিলে, যার গড় ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। 


১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবং দেশের শুষ্কতম মাসও ছিল এপ্রিল। সার্বিক গড়ে ৮১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে গেল এপ্রিল মাসে। এই টানা বৃষ্টিহীনতা এবং বজ্রঝড় না থাকায় অতিমাত্রায় গরমে পুড়েছে দেশ।


জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বর্তমানে বিরাজমান। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা। আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়ে। অপরদিকে ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়। 


এর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়। আবার দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 


দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।



বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল। বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মধ্য ভূটানের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।


আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ জানায়,২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) লা নিনার কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।


এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, এবারের বর্ষায় বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। এ দেশে বর্ষায় বৃষ্টিপাত যেমন বেশি হবে, তেমনি বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।


এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।


 নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল ও হাওর এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। ৫ মে থেকে ৭ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বর্ষাকালের মতো একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। 


সিলেট ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা করা হচ্ছে। ৩০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের বেশিভাগ হাওর এলাকা প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।


এদিকে আমাদের সিলেট অফিস থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে হঠাত্ই খরস্রোতা হয়ে উঠেছে সিলেটের নদীগুলো। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপতসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,এ আবস্থা থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে। শুক্রবার  সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য নিশ্চিত করে। পাউবো জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১. ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 


এদিকে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাতে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলেও বাড়তে শুরু করেছে পানির উচ্চতা। এতে প্ল­াবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কোনো কোনো নদী দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব কারণে কৃষকের  ফসলও ডুবতে বসেছে। তবে কৃষকেরা দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তুলছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,  গত বৃহসপতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে।


 এদিকে কৃষি বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রবল বৃষ্টি, ঢল ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছে, কৃষকরা যেন দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে নিয়ে যান এবং খড় নিরাপদ উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর