Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল খালাসের যুগে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে তেল খালাসের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সৌদি আরব থেকে আনা ৮২ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক খালাসের মধ্য দিয়ে এই অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে লাল সবুজের বাংলাদেশ। 

বার্তা সংস্থা বাসস-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জানান, সৌদি আরব থেকে আনা ৮২ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েলের পরীক্ষামূলক খালাস শুরু হয়েছে গভীর বঙ্গোপসাগরে। ১১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন দিয়ে এই তেল আসবে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে। ৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কারণে তেল খালাসের সিস্টেম লস ও খরচ কমার পাশাপাশি সময় ২৫ দিন কমে মাত্র ২ দিনে নেমে আসবে।


চট্টগ্রাম বন্দরের বর্তমান অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এবং কর্ণফুলী নদীর চ্যানেলের নাব্যতা কম হওয়ায় মাদার অয়েল ট্যাংকারগুলো সরাসরি খালাস করা যায় না। এর ফলে এসব ট্যাংকার গভীর সমুদ্রে নোঙর করে ছোট ছোট লাইটারেজ ভেসেলের মাধ্যমে অপরিশোধিত তেল খালাস করতে হয়। তাতে এক লাখ ডিডব্লিউটি ট্যাংকার খালাস করতে সময় লাগে ১১ দিন। এই পদ্ধতি ঝুঁকিপূর্ণ, ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ হওয়ায় এইচএসডি স্থানান্তরের জন্য ২০১৫ সালে পাইপলাইন বসানোর প্রকল্পটি (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) হাতে নেওয়া হয়েছিল।


বর্তমানে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি বছরে ১৫ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন করতে পারে। এর দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে পরিশোধন সক্ষমতা ৩০ লাখ টন বেড়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। 


আরও খবর



ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


প্রয়োজনে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 


শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। 


বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। কারণ ধীরে ধীরে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার।



নসরুল হামিদ আরও বলেন, সামনের হিটওয়েভের জন্য প্রস্তুতি আছে। সময়মতো অর্থের জোগান দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।


তিনি আরও বলেন, তিতাসের পুরানো লাইন সংস্কারের পরিকল্পনা আছে। এই সংস্কার করানো গেলে গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে। 


এছাড়া আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট দুটো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। 



ডলারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। 


আরও খবর



ভেঙ্গে দেওয়া হল কুয়েতের পার্লামেন্ট

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। 


দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ শুক্রবার (১০ মে) এক টেলিভিশন বক্তৃতায় এই ঘোষণা দিয়েছেন। 


একইসঙ্গে সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত করেছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।


পার্লামেন্ট স্থগিতের পাশাপাশি কিছু সাংবিধানিক অনুচ্ছেদকে চার বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।



এ সময় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির এবং দেশটির মন্ত্রিসভা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি।


আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ বলেছেন, ‘কুয়েত সম্প্রতি বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে ... যার ফলে দেশ বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা বা বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই।’



কুয়েতের আইনসভা অন্যান্য উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের দেশগুলোর আইনসভা বা অনুরূপ সংস্থাগুলোর তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। 


কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দেশটিতে এর আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



তিন মামলায় আটকে যাচ্ছেন মিল্টন খন্দকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image
সদরুল আইনঃ

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান আটক মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

বুধবার (১ মে) রাতেই মিরপুর মডেল থানায় এসব মামলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর মডেল থানায় তিনটি অভিযোগে মামলা হবে মিল্টনের বিরুদ্ধে। মামলাগুলো এজাহারভুক্ত হওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আটক করে মিল্টন সমাদ্দারকে।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি তার বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন।

তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং একাধিক মামলা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগের ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। সেখানে ওষুধ চুরি করে ব্রিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়।

 এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।

এর আগে মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও।

 যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

আরও খবর



ডিবির সংবাদ সম্মেলন : ‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মদকাশক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।



তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন যায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে ফেলতেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

 শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।

রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হতে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:



ব্যাংক সুদহার ‘বাজারভিত্তিক’ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে সব ধরনের ঋণের ওপর সুদের হার আরো বেড়ে যাবে। বেড়েছে ডলারের দামও।


 ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে একবারে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা।



বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এসব সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা। কিন্তু বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক না করে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করায় এটি কোনো কাজে আসবে না, এর ফলে ডলারের বাজার আরো অস্থির হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।



এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ক্রলিং পেগের নামে ডলারের যে দাম ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে তার কারণে মূল্যস্ফীতি কতটা কমবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 


তিনি বলেন, এতদিন ডলারে দর ১১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১২০-২৩ টাকায় ক্রয় করেছে। এজন্য দেশে ডলারের মজুত বেড়েছে। কিন্তু এখন যদি ১১৬-১৮ টাকায় এটিকে আটকিয়ে রাখা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ডলারের মজুতে টান পড়বে। 


অর্থাৎ কম দরে ডলার কিনতে শুরু করলে বৈধ পথে ডলার আসা কমে যাবে। ডলারের মজুতও কমে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হওয়ার পাশাপাশি ডলার বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, তাতে করে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত থাকবে। 


হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা ঠিক রাখার জন্য ডলারের দাম শুধু বাড়াতেই থাকবে। ফলে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। 



আমদানিকারকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী দর এক লাফেই ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। ডলারের এ বিনিময় হারে শুল্ক বৃদ্ধিসহ সব আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিকেও উসকে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।


বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ডলারের দাম বাড়াতে আমদানি খরচ বাড়বে। তাতে করে ব্যবসার উৎপাদন খরচ বাড়বে। ঋণের সুদহারের মতো ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। না হলে ডলারের ফ্লো বাড়বে না। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে।    


আবার ঋণের সুদহার ‘সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক’ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণের সর্বশেষ পদ্ধতি স্মার্ট বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন থেকেই ঋণের সুদ ও বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন অর্থনীতিবিদরা। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদ হারকে বাজারভিত্তিক করেছে। এটি আরো আগে করা প্রয়োজন ছিল। 


এখন খুচরা পর্যায়ে সুদের হার নির্ধারিত হবে ব্যাংক কাস্টমারের সম্পর্কের ভিত্তিতে। বলা হয়েছে, ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে একেক খাতে একেক সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে বাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে। এতে কাস্টমাররা জানবে কোন খাতে কোন ব্যাংক কত সুদে ঋণ দিতে চাচ্ছে। 


সে অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এতদিন যেসব খাতে ঝুঁকি বেশি ছিল ব্যাংকাররা সেসব খাতে ঋণ দিতে চাচ্ছিল না। এখন ঋণের বণ্টনে দক্ষতা আরো বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায়।


তিনি বলেন, সুদের হার বাড়লে ঋণের চাহিদা কমে যায়। আর ঋণের চাহিদা কমলে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকে। সুদের হার বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটা বড় অস্ত্র হচ্ছে সুদের হার বাড়ানো। 


এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করেছে। অর্থাৎ সুদের হার আরো বাড়বে। সুদের হার বাড়লে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। সুদের হার বাড়ার ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা তৈরি হয়।


ডলারের দাম একবারে সাত টাকা বাড়ার কারণে আরো চাপ তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামের ওপর। কারণ, ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত দরে ডলার কিনলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো পণ্য আমদানিতে এত দিন ১১০ টাকা দামে ডলার দিত বাংলাদেশ ব্যাংক।


ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন তারা যেহেতু বেশির ভাগ নিত্যপণ্যই আমদানি করেন সেহেতু আমদানি পণ্যে নিঃসন্দেহে বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। তারা বেশি টাকায় পণ্য কিনলে বেশি দামে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক।


আরও খবর