Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইসরায়েলে এক উৎসবেই হামাসের হামলায় নিহত ২৬০

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

নতুন নতুন সংঘর্ষে উত্তাল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল বাহিনী ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের লড়াই সহসাই থামার কোনো লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইসরায়েলে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠাচ্ছে। ইতিমধ্যে হামাসের হামলায়, ইসরায়েলের নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশিজন। 

এদিকে ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের হামলার পর ইসরায়েলে এক সংগীত উৎসব থেকে ২৬০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির রিমের কাছে সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে হামাস। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সৎ শুক্রবার ভোরে ওই অনুষ্ঠানে গানের সঙ্গে নাচছিলেন অংশগ্রহণকারীরা। এরপরেই শনিবার ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস। আরেক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফাঁকা মাঠে অনেকে ছোটাছুটি করছেন এবং পেছনে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। 

অন্যদিকে হামাসকে আরও সহযোগিতার পরিমাণ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ইরান। ইতিমধ্যে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তবে ওই দুই নেতার সঙ্গে ইব্রাহিম রাইসির আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি।

হামাস ইরানের সমর্থনপুষ্ট। দেশটি তাদের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে থাকে।


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেয়াল শেখ হাসিনা ভেঙে দিয়েছেন: কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক :


ভারতের সঙ্গে অবিশ্বাসের দেয়াল শেখ হাসিনা ভেঙে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 


তিনি বলেন, ২১ বছর ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়নি। বিএনপি শত্রুতা করে সংশয়, অবিশ্বাস সৃষ্টি করেছিলো। 


সে কারণে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। শেখ হাসিনা এসে এই সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন।


শনিবার (১১ মে) বিকালে মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।



ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু, আমরা কারো দাসত্ব করি না। আমাদের শক্তির উৎস এদেশের মানুষ, জনগণ। ভারতে কাছে আমাদের ক্ষমতা আমরা চাই না। বন্ধুত্ব চাই। কারণ এটা আমাদের স্বার্থেই দরকার। বিএনপি শত্রুতা করে আমাদের ক্ষতি করেছে ২১ বছর। আমরা সে অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না।’


তিনি বলেন, বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, গঙ্গার পানি শেখ হাসিনাই এনেছেন। পানির চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা। সীমান্ত সমস্যার চুক্তি কে করেছেন? শেখ হাসিনা ও ভারতে প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের মতো আরেকটি বাংলাদেশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে।’



বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল (১০ মে) পল্টনে বিএনপি গয়েশ্বর চন্দ্র এক পশরা মিথ্যাচার করে গেলেন। গয়েশ্বর বাবু কোথায় ছিলেন এতোদিন? কোথা থেকে এলেন? কোথায় পালিয়ে ছিলেন। 

ভারতে পালিয়ে ছিলেন? মাথায় উঠেছে গান্ধী টুপি। এখন ভণ্ডামি শুরু করেছেন। গয়েশ্বর কালকে পল্টনে দাঁড়িয়ে আমাদের বলে ভারতের দালাল। এই অপবাদ তো আইয়ুব খান, ইয়াহিয়াই দিয়েছে।’


কাদের বলেন, ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল, আপনি ভারত সফর করলেন গঙ্গার পানির কী হলো? তিনি বললেন— আমি তো ভুলে গেছি। দালাল কারা?


নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৪২ শতাংশ লোক আমাদের ভোট দিয়েছে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ ভোটার। 


এই নির্বাচনে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। উপজেলা নির্বাচন জনগণ নাকি প্রত্যাখান করেছে। তাহলে ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ লোক ভোট দিলো তারা কারা? তারা এই দেশের জনগণ। তার উন্নয়নে, অর্জনে মুগ্ধ।


আরও খবর



আমি সকলের জন্য নই

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন,বিনোদন ডেস্ক থেকেঃ


বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিয়ে সারেন দক্ষিণী তারকাযুগল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। 


যদিও বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুই তারকা। বিচ্ছেদের পর সামান্থা বা নাগা কেউই একে অপরের দিকে আঙুল তোলেননি। নিজেদের মতো করে জীবনে এগিয়ে এসেছেন।


তবে সম্প্রতি বিয়ের পোশাক কেটে সেই রাস্তা থেকে সরে আসেন সামান্থা! কিছুদিন ধরেই নাগার সঙ্গে শোভিতা ধুলিপালার প্রেমের খবর চাউর হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে, চর্চিত প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নাগা।


 এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করলেন সামান্থা। যা ঘিরে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় বইতে শুরু করেছে।


একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সামান্থা লিখেছেন, ‘বৃষ রাশিকে কখনোই হারাবেন না।’ আসলে সামান্থা বৃষ রাশি ব্যক্তিত্ব। অন্য পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকলের জন্য নই, চলো তাই ঠিক আছে।’ 


সামান্থার পোস্ট দেখে নেটিজেনরা অবশ্য নাগার বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন।


তবে সামান্থা ক’দিন ধরে অভিযোগের সুরে কথা বললেও নানা ঠিক উল্টো পথে চলছেন। প্রেম চর্চার মাঝেও নাগা স্বীকার করেছেন সামান্থার সঙ্গে তিনি অন্যায় করেছেন। 



একসঙ্গে দুটি সম্পর্কে ছিলেন। ভাইরাল হওয়া পুরনো একটি ভিডিওতে নাগা বলেছেন, ‘একটাই জীবন। সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে। নিজেকে বুঝেছি। তাই এখন সেটল ডাউন করতে চাই। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি।’


আরও খবর



ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হতে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:



ব্যাংক সুদহার ‘বাজারভিত্তিক’ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে সব ধরনের ঋণের ওপর সুদের হার আরো বেড়ে যাবে। বেড়েছে ডলারের দামও।


 ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে একবারে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা।



বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এসব সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা। কিন্তু বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক না করে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করায় এটি কোনো কাজে আসবে না, এর ফলে ডলারের বাজার আরো অস্থির হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।



এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ক্রলিং পেগের নামে ডলারের যে দাম ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে তার কারণে মূল্যস্ফীতি কতটা কমবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 


তিনি বলেন, এতদিন ডলারে দর ১১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১২০-২৩ টাকায় ক্রয় করেছে। এজন্য দেশে ডলারের মজুত বেড়েছে। কিন্তু এখন যদি ১১৬-১৮ টাকায় এটিকে আটকিয়ে রাখা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ডলারের মজুতে টান পড়বে। 


অর্থাৎ কম দরে ডলার কিনতে শুরু করলে বৈধ পথে ডলার আসা কমে যাবে। ডলারের মজুতও কমে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হওয়ার পাশাপাশি ডলার বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, তাতে করে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত থাকবে। 


হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা ঠিক রাখার জন্য ডলারের দাম শুধু বাড়াতেই থাকবে। ফলে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। 



আমদানিকারকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী দর এক লাফেই ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। ডলারের এ বিনিময় হারে শুল্ক বৃদ্ধিসহ সব আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিকেও উসকে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।


বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ডলারের দাম বাড়াতে আমদানি খরচ বাড়বে। তাতে করে ব্যবসার উৎপাদন খরচ বাড়বে। ঋণের সুদহারের মতো ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। না হলে ডলারের ফ্লো বাড়বে না। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে।    


আবার ঋণের সুদহার ‘সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক’ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণের সর্বশেষ পদ্ধতি স্মার্ট বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন থেকেই ঋণের সুদ ও বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন অর্থনীতিবিদরা। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদ হারকে বাজারভিত্তিক করেছে। এটি আরো আগে করা প্রয়োজন ছিল। 


এখন খুচরা পর্যায়ে সুদের হার নির্ধারিত হবে ব্যাংক কাস্টমারের সম্পর্কের ভিত্তিতে। বলা হয়েছে, ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে একেক খাতে একেক সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে বাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে। এতে কাস্টমাররা জানবে কোন খাতে কোন ব্যাংক কত সুদে ঋণ দিতে চাচ্ছে। 


সে অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এতদিন যেসব খাতে ঝুঁকি বেশি ছিল ব্যাংকাররা সেসব খাতে ঋণ দিতে চাচ্ছিল না। এখন ঋণের বণ্টনে দক্ষতা আরো বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায়।


তিনি বলেন, সুদের হার বাড়লে ঋণের চাহিদা কমে যায়। আর ঋণের চাহিদা কমলে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকে। সুদের হার বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটা বড় অস্ত্র হচ্ছে সুদের হার বাড়ানো। 


এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করেছে। অর্থাৎ সুদের হার আরো বাড়বে। সুদের হার বাড়লে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। সুদের হার বাড়ার ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা তৈরি হয়।


ডলারের দাম একবারে সাত টাকা বাড়ার কারণে আরো চাপ তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামের ওপর। কারণ, ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত দরে ডলার কিনলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো পণ্য আমদানিতে এত দিন ১১০ টাকা দামে ডলার দিত বাংলাদেশ ব্যাংক।


ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন তারা যেহেতু বেশির ভাগ নিত্যপণ্যই আমদানি করেন সেহেতু আমদানি পণ্যে নিঃসন্দেহে বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। তারা বেশি টাকায় পণ্য কিনলে বেশি দামে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন : প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি:



ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।


 বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ।


নির্বাচন কমিশন (ইসি) তথ্য অনুযায়ী- উপজেলায় এ পর্বে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন দুই কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ। প্রায় সব উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। 



১৩৯টি উপজেলা পরিষদে প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ১৬০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।



 নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হচ্ছে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। 


প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।


এদিকে, যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।


প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ ও ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।


ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৬৫তম বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের ২০২৪ সংস্করণ প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স।


 এই সূচকে গত বছরের তুলনায় আরও দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর ২৭ দশমিক ৬৪ স্কোর নিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। 


বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) আজ শুক্রবার এ সূচক প্রকাশ করেছে।


 এতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। 


গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৫ দশমিক ৩১। তখন এর অবস্থান ছিল ১৬৩। ২০২২ সালে ৩৬ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৬২তম অবস্থানে এবং ২০২১ সালে ৫০ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ১৫২তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।


বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।


আর দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। 


এদিকে ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে। এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। 


দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম। গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত। 


আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯।


প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে।


বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেয়া হয়। এগুলো হলো-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।


আরও খবর