Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বুধবার ১১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের চালান প্রবেশ করল ইসরায়েলে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বুধবার এ কথা জানিয়েছে। সিএনএনের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্র বহনকারী প্রথম বিমানটি মঙ্গলবার মধ্য রাতে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম এয়ারবেসে পৌঁছেছে। 

আইডিএফ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছে, যুদ্ধের সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একটি মূল অংশ। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চালান প্রবেশের আগমনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এক্সে তারা বলেছে, সরঞ্জামগুলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিওপিপি (উৎপাদন ও সংগ্রহ বিভাগ), ইউএস প্রকিউরমেন্ট মিশন এবং আন্তর্জাতিক পরিবহন ইউনিটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ইসরায়েলে আনা হয়েছে।’ 

মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি 

হামাসের হামলায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ফোনে তিনি ইসরায়েলের প্রতি তার দেশের অব্যাহত সমর্থন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে করা মন্তব্যে বাইডেন হামাসের নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি হামলায় ১৪ জন মার্কিন নাগরিক নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।

বাইডেন আরও বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলকে তার অঞ্চল এবং জনগণকে রক্ষা করতে সহায়তা করার জন্য আরও তহবিল অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসকে আহ্বান জানাবেন। তার প্রশাসন ইসরায়েলকে আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ এবং ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ করা অব্যাহত রাখবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর সাহায্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হানার আগেই হামাসের রকেট আকাশে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের মতে, শনিবার দক্ষিণ ইসরায়েলে তাদের অভিযানের পর হামাস যোদ্ধারা গাজা জুড়ে প্রায় ১৫০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে। হামাস বলেছে, ইসরায়েল যদি সতর্কতা ছাড়াই গাজায় লোকদের ওপর হামলা চালায় তবে তারা বেসামরিক জিম্মিদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা শুরু করবে। এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সংঘাতের পঞ্চম দিনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৫ জনে। আহত হয়েছে আরও ৫ হাজার ১০০ জনের বেশি। গাজায় আহতদের প্রায় ৬০ শতাংশই নারী ও শিশু।


আরও খবর



১৪১ উপজেলায় ভোট কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা গতকাল সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। এই ধাপের ১৪১ উপজেলায় আগামীকাল বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 


এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। তিনটি পদে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। 


তবে ভোটের আগেই এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। 


এদিকে, আজ মঙ্গলবার প্রথম ধাপের ভোট নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।



ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা পূর্বেই সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকে। সেই হিসেবে গতকাল রাত ১২টার পর থেকে প্রার্থীরা কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। 


ভোটে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধে হার্ডলাইনে ইসি। এ জন্য স্পিকারের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে।


 ইতিমধ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি। একইভাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের পুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের সন্ত্রাসী, অনৈতিক কার্যক্রম, মন্ত্রীর নাম ও ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ভোটে হস্তক্ষেপের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইসি।


 গতকাল ইসি পাংশা উপজেলা নির্বাচনের রািটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।


ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে স্বাভাবিক এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। 


এছাড়াও উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্ট গার্ড, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।


 ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবেন।


আরও খবর



ডলারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হতে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:



ব্যাংক সুদহার ‘বাজারভিত্তিক’ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যার ফলে সব ধরনের ঋণের ওপর সুদের হার আরো বেড়ে যাবে। বেড়েছে ডলারের দামও।


 ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে একবারে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা।



বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এসব সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানা। কিন্তু বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক না করে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করায় এটি কোনো কাজে আসবে না, এর ফলে ডলারের বাজার আরো অস্থির হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।



এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ক্রলিং পেগের নামে ডলারের যে দাম ধরে রাখার ব্যবস্থা করেছে তার কারণে মূল্যস্ফীতি কতটা কমবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 


তিনি বলেন, এতদিন ডলারে দর ১১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও ব্যাংকগুলো ১২০-২৩ টাকায় ক্রয় করেছে। এজন্য দেশে ডলারের মজুত বেড়েছে। কিন্তু এখন যদি ১১৬-১৮ টাকায় এটিকে আটকিয়ে রাখা হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই ডলারের মজুতে টান পড়বে। 


অর্থাৎ কম দরে ডলার কিনতে শুরু করলে বৈধ পথে ডলার আসা কমে যাবে। ডলারের মজুতও কমে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হওয়ার পাশাপাশি ডলার বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।


বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রলিং পেগ পদ্ধতি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, তাতে করে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো অব্যাহত থাকবে। 


হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা ঠিক রাখার জন্য ডলারের দাম শুধু বাড়াতেই থাকবে। ফলে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি না, তা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। 



আমদানিকারকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিদেশি মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী দর এক লাফেই ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। ডলারের এ বিনিময় হারে শুল্ক বৃদ্ধিসহ সব আমদানি পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিকেও উসকে দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।


বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ডলারের দাম বাড়াতে আমদানি খরচ বাড়বে। তাতে করে ব্যবসার উৎপাদন খরচ বাড়বে। ঋণের সুদহারের মতো ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। না হলে ডলারের ফ্লো বাড়বে না। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ বাড়বে।    


আবার ঋণের সুদহার ‘সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক’ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার নির্ধারণের সর্বশেষ পদ্ধতি স্মার্ট বিলুপ্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।


এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, এটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। দীর্ঘদিন থেকেই ঋণের সুদ ও বিনিময় হারকে বাজারভিত্তিক করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন অর্থনীতিবিদরা। দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদ হারকে বাজারভিত্তিক করেছে। এটি আরো আগে করা প্রয়োজন ছিল। 


এখন খুচরা পর্যায়ে সুদের হার নির্ধারিত হবে ব্যাংক কাস্টমারের সম্পর্কের ভিত্তিতে। বলা হয়েছে, ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে একেক খাতে একেক সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। এর ফলে বাজারে স্বচ্ছতা বাড়বে। এতে কাস্টমাররা জানবে কোন খাতে কোন ব্যাংক কত সুদে ঋণ দিতে চাচ্ছে। 


সে অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতারা তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এতদিন যেসব খাতে ঝুঁকি বেশি ছিল ব্যাংকাররা সেসব খাতে ঋণ দিতে চাচ্ছিল না। এখন ঋণের বণ্টনে দক্ষতা আরো বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায়।


তিনি বলেন, সুদের হার বাড়লে ঋণের চাহিদা কমে যায়। আর ঋণের চাহিদা কমলে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকে। সুদের হার বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটা বড় অস্ত্র হচ্ছে সুদের হার বাড়ানো। 


এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করেছে। অর্থাৎ সুদের হার আরো বাড়বে। সুদের হার বাড়লে পণ্যমূল্য বেড়ে যায়। সুদের হার বাড়ার ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাধা তৈরি হয়।


ডলারের দাম একবারে সাত টাকা বাড়ার কারণে আরো চাপ তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামের ওপর। কারণ, ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত দরে ডলার কিনলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো পণ্য আমদানিতে এত দিন ১১০ টাকা দামে ডলার দিত বাংলাদেশ ব্যাংক।


ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন তারা যেহেতু বেশির ভাগ নিত্যপণ্যই আমদানি করেন সেহেতু আমদানি পণ্যে নিঃসন্দেহে বাড়বে, যার প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের ওপর। তারা বেশি টাকায় পণ্য কিনলে বেশি দামে বিক্রি করবে এটাই স্বাভাবিক।


আরও খবর



আফগানিস্তানে অতিবৃষ্টি-বন্যায় নিহত অন্তত ৬০

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :


আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন।


 ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই বন্যায় কমপক্ষে ১০০ জন আহত এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির তালেবান সরকারের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি।



আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার মানুষ। দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।



আবদুল মতিন রয়টার্সকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 


তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় সাহায্যকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।



স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি সেবাদানকর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আহত ও নিখোঁজদের সন্ধান করছেন। গৃহহীন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।


বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।


মূলত আফগানিস্তানে প্রতি বছর মুষলধারে বৃষ্টি এবং বন্যায় মানুষ মারা যায়। এছাড়া বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ এলাকায় দুর্বলভাবে নির্মিত ঘরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।


বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।


আরও খবর



৬ জেলায় ঝড় ও বজ্রপাতে ৯ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীসহ দেশের ছয় জেলায় গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার (৫ মে) কালবৈশাখী ও বজ্রপাতে মা-ছেলে ও স্কুলশিক্ষার্থীসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) রাতে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর হাজিপাড়া ঘোনারবাড়ি গ্রামে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে ছেলেসহ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়।

এতে আরও একজন আহত হন। মৃতরা হলেন- ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুপ তারা (৪৬) এবং তার ছেলে তাইজুল ইসলাম (৫)।

ঘাটাইলের ফতেরপাড়া-খিলপাড়া সড়কে গত শনিবার রাতে বৃষ্টিপাতে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়। ওয়াজেদ উপজেলার ২ নম্বর ঘাটাইল ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকার মৃত সোনা খার ছেলে।

ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের কটাপুর এলাকায় শনিবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে আব্দুল মজিদ (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। মজিদ ওই এলাকার বাসিন্দা।

দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের মধ্যবেতছড়ি গ্রামে রোববার ভোরে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে একটি টিনের ঘরে আগুন লেগে হাসিনা বেগম (৩০) ও ছেলে হানিফ মিয়ার (৮) মৃত্যু হয়।

একই দিন ভোরে বজ্রপাতে উপজেলার ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম হাজাছড়া (ডাক্তারপাড়া) এলাকায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বজ্রপাতে গংজ মার্মাসহ (৫০) দুটি গবাদিপশুর মৃত্যু হয়।

গংজ মার্মা দুর্গম হাজাছড়া এলাকার কংজ্র মার্মার ছেলে। একই সময় মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে সমিকা ত্রিপুরা (২৬) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।

কাউখালী উপজেলায় বজ্রপাতে আর্ষা চাকমা (১৪) নামে এক স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। রোববার সকালে উপজেলার দুর্গম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বার্মাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আর্ষা চাকমা বর্মাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন, নেভানোর চেষ্টায় বন কর্মীরা ।

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image



আনোয়ার হোসেন:


সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার (৪ মে) বিকাল ৪টা ৩০মিঃ দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমর বুনিয়া ও গুলশা খালীর মাঝামাঝি এলাকায় এই আগুনের ঘটনা ঘটেছে। 


বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট সহ বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে।


পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনেএই ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে বলেজানান তিনি।



বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃআবু তাহের মিয়া জানান আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা জুড়ে। অন্তত প্রায় দুই কিলোমিটার  আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা খুব কঠিনই হবে।


আনিসুর রহমান বলেন, ‘এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট সহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে তদারকির কাজ করছেন।


বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোঃসাইদুল আলম চৌধুরী জানান, ‘আগুনের খবর পেয়েই এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। 


আগুনের এই ঘটনায় বনের পশু ও ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।


এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি  গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর