Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ইউক্রেন সীমান্তে এখনও দেড় লাখ রুশ সেনা আছে; দাবি বাইডেনের

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৩৩১জন দেখেছেন

Image

ইউক্রেন সীমান্তে এখনও প্রায় দেড় লাখ রুশ সেনা মোতায়েন আছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, ইউক্রেনে এখনও রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা আছে। আর যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের উদ্যোগের জবাব দিতে প্রস্তুত।

টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বাইডেন বলেন, রুশ বাহিনীর চলে যাওয়াটা ভালো হবে। কিন্তু, আমরা এখনও তা যাচাই করিনি। আমরা এখনও জানি না রাশিয়ার সামরিক ইউনিটগুলো তাদের নিজ ঘাঁটিতে ফিরে গেছে কিনা। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এখনও হামলার আশঙ্কা আছে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোর নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বাইডেন এ কথা বলেন। এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কিছু সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বাইডেন বলছেন, বিষয়টি যাচাই করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি



আরও খবর



সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা।

প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ।

এতে আমজেদ আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে।

পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রাখা হয়েছিল।

ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ।

তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি।

নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান।

এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ‘ট্রিগার হ্যাপি’ নামে এক প্রতিবেদনে সীমান্তে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়।

কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষার প্রয়োজনে প্রথমে সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হবে। যদি এতে হামলাকারী নিবৃত না হয় এবং জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে গুলি ছোড়া যাবে, তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই হাঁটুর নিচের অংশে।

কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কাই যেন নেই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ফেলানী হত্যার দৃশ্যই কি মনে করিয়ে দেয় না, বিএসএফ গুলি ছোড়ে স্রেফ হত্যার উদ্দেশ্যেই। বিএসএফ কোনো ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেনি যে, হতাহতের শিকার মানুষগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার একশ্রেণির মানুষ কৃষি ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।

এই হত্যার শিকার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান কর্মের সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ বিএসএফের। কিন্তু দুই দেশের আইন অনুযায়ী, কেউ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে, কাঁটাতার কাটলে বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে ওই দেশের আইনানুযায়ী বিচার করতে হবে।

কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোড়া বা নির্যাতন করা যাবে না।


আরও খবর



এসএসসির ফল প্রকাশ কাল, জানা যাবে যেভাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image


 ডিজিটাল ডেস্কঃ



এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে আগামীকাল রোববার (১২ মে)।


 এ দিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।


সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 


জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা এ সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন।



নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ও সময়সূচি নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন, সেদিন ফল প্রকাশে প্রস্তুতি নেওয়া হয়।


গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।


শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


যেভাবে জানবেন ফল:


শিক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, পরীক্ষার নাম, বছর ও শিক্ষা বোর্ড সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে ফল জানা যাবে।


মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম ৩ অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে ফল।


আরও খবর



স্টুডেন্ট ভিসায় ফের পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্ট:


স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয় দেখাতে হয়। কিন্তু এই সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 



তাছাড়া অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।


শুক্রবার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তত ১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে, এটি গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বৃদ্ধি। 


 অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।



করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বহু শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এতে দেশটিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তাই সম্প্রতি অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


গত মার্চে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে দীর্ঘদিন না থাকতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image


দেশবাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের কাছে রকেট হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠা হামাস।

এরপরই রাফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা রোববার গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিংয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় তিন সেনা নিহতের দাবি করেছে ইসরায়েল।


ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ১০টি প্রজেক্টাইল দক্ষিণ গাজার রাফা থেকে ক্রসিং এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ক্রসিংটি বর্তমানে ত্রাণে গাড়ি প্রবেশের সুাবধার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য ক্রসিং খোলা ছিল।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ করেছে, তবে তারা কোথা থেকে গুলি করেছে তা নিশ্চিত করেনি। হামাস মিডিয়া গ্রুপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, বাণিজ্যিক ক্রসিং হামলার লক্ষ্য ছিল না।


মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিনি চিকিত্সকরা বলেছেন, হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরেই রাফা শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে গোষ্ঠীটির সামরিক কাঠামোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘রাফা ক্রসিং সংলগ্ন হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার রয়েছে। গোষ্ঠীটি মানবিক সুবিধা ও স্থানগুলোকে ব্যবহার করছে। তারা গাজার বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।’

তবে বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফা শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নতুন হামলার ফলে রোববার কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

রাফায় সামরিক অভিযান চালানো ও হামাসকে উচ্ছেদ করতে বদ্ধপরিকর ইসরায়েল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এই অঞ্চলে স্থল অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধামন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।


আরও খবর



শনিবার খোলা রাখায় শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:


শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।


 আগামী শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। এসময়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন শিক্ষকরা।


সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব এ ঘোষণা দেন।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণ সংক্ষুব্ধ।



এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস ‘কর্মবিরতি’র মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।



শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, পূর্বেও হয়েছে। 


সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। 


একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে করে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।


নেতারা বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


 চলতি বছরে রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।



আরও খবর