Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮ টায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দীক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঈদের প্রধান জামাত আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে। তারা এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। 

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




ধ্বংসস্তুপ থেকে গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৮০ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


জাতিসংঘ বলেছে, গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ৮০ বছর সময় লাগবে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় আবারও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। 


অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া পশ্চিম তীরে শিশু হত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।


জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং স্বাভাবিক গতিতে সেখানে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল-পরিষেবাকেন্দ্র, রাস্তাঘাট ও আগেকার অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় সেক্ষেত্রে উপত্যকাকে ৭ অক্টোবরের হামলার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে ৮০ বছর। 


যদি পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি উন্নীত করা হয়, তাহলেও উপত্যকাকে আগের মতো বসবাসযোগ্য করে তুলতে ২০৪০ সাল পেরিয়ে যাবে।



বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক প্রকল্প ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)। সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের গোলা ও বোমা বর্ষণে নজিরবিহীনভাবে তছনছ হয়ে গেছে গাজা। 


উপত্যকার অন্তত ৮০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং গোটা উপত্যকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ভয়াবহভাবে। ইউএনডিপির প্রতিবেদনে অবশ্য গাজার ভবনগুলো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক অবস্থাকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেও ধরা হয়েছে।


ইউএনডিপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাশিম স্টেইনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাণহানি, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্যের ব্যাপক উল্লম্ফনের কারণে গাজায় সার্বিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। 


এই যুদ্ধ গাজার আগামী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যেক বিপদে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে গাজার মোট জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্রের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে যুদ্ধ ছয় মাস পেরিয়ে সাত মাসে পা দিয়েছে; যদি ৯ মাস পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে, তাহলে গাজায় দরিদ্রদের হার পৌঁছাবে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে।


 এর অর্থ, যুদ্ধ আর দুই মাস অব্যাহত থাকলে গাজায় মধ্যবিত্ত বলে কোনো শ্রেণির অবস্থান আর থাকবে না, প্রতিবেদনে বলেছে ইউএনডিপি। এদিকে এর আগে বুধবার জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনমাস) জানায়, রুশ বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ইউক্রেনে যত ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের অভিযানে যে পরিমাণ ধ্বংস্তূপ জমেছে, তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত দুই বছরে জমা ধ্বংস্তূপকে ছাড়িয়ে গেছে।



এদিকে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়। এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে।


 পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। 


তবে ইসরাইল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন ১ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।


অন্যদিকে গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় নিরবছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। 


২০২৩ সালে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এতে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর আগে সীমিত পরিসরে ইসরাইলের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তুরস্ক। 


কিন্তু এবার পুরোপুরিভাবে বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিল এরদোয়ান প্রশাসন। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, তার সরকার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


এদিকে পশ্চিম তীরে শিশু হত্যার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হচ্ছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর বিকালে কয়েক জন ফিলিস্তিনি বালক অধিকৃত পশ্চিম তীরের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। যেখানে তারা  প্রায়ই একসঙ্গে মিলে খেলত। 


কয়েক মিনিট পরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তাদের দুই জন বাসিল (১৫) ও আদম (৮)-এর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সামরিক দখলদারিত্বে থাকা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণ নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে বিবিসি দুই বালককে হত্যার ঐ দিনে কী ঘটেছিল তা খুঁজে বের করেছে।


 তাদের অনুসন্ধানে মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ফুটেজ, ইসরাইলি সেনাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, ঘটনাস্থলের বিস্তারিত তদন্তসহ সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। এতে বেরিয়ে এসেছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ। জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন সৌল বলছেন, আট বছর বয়সি বালক আদম হত্যা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই মনে হচ্ছে। আরেক আইন বিশেষজ্ঞ ড. লরেন্স হিল-কথর্ন গুলি চালানোকে ‘নির্বিচারে প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার’ বলেছেন। 


এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভাঙচুর, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অস্ত্রের ভয় দেখানো, এলাকা ছেড়ে পাশের দেশ জর্ডানে চলে যেতে বলা এবং সশস্ত্র এক ফিলিস্তিনির লাশ ছিন্নভিন্ন করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।


২৯ নভেম্বরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাসিল একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং দোকানের শাটার বন্ধ। যখন ইসরাইলি সেনারা আসে, তখন পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হলেও সেখানে গাজার মতো হামাসের শাসন নেই। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরের খুব কাছ থেকে ইসরাইলি সেনা অভিযানের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ফুটবল পাগল ও লিওনেল মেসির ভক্ত আদম তার ১৪ বছর বয়সি বড় ভাই বাহার সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। রাস্তায় মোট ৯ জন ছেলে ছিল, সবাইকেই সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছিল। এ ক্যামেরাতেই পরে কী ঘটেছিল তার প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। 


কয়েক শ মিটার দূরে অন্তত ছয়টি ইসরাইলি সাঁজোয়া যানের বহর মোড় ঘুরিয়ে ছেলেদের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।  এতে ছেলেরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। কয়েক জন ছেলে দৌড়ে সরে যেতে শুরু করে। ঠিক সে সময়েই একটি মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা যায়, একটি সাঁজোয়া গাড়ির দরজা সামনের দিক থেকে খুলে যায়। 


এর ভেতরে থাকা সেনা সরাসরি বালকদের দেখতে পাচ্ছিল।  রাস্তার মাঝখানে চলে গিয়েছিল বাসিল। সেনাদের থেকে ১২ মিটার দূরে ছিল আদম। সে দৌড়াচ্ছিল। এরপরই অন্তত ১১টি গুলির শব্দ হয়। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে বিবিসি দেখতে পায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এসব গুলি আঘাত হেনেছে।


 চারটি গুলি একটি ধাতব খুঁটিতে আঘাত করে, দুটি হার্ডওয়্যার স্টোরের শাটারে, একটি গুলি পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির বাম্পারের ভেতর দিয়ে চলে যায়। আরেকটি গুলি আঘাত করে সিঁড়ির হাতলে।খবর রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা।


আরও খবর



করোনা টিকা প্রত্যাহার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ


ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা বৈশ্বিকভাবে নিজেদের সব করোনা টিকা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।


 মঙ্গলবার (৭ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। খবর ডেইলি মেইল।


বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, করোনা মহামারির সময়ে যে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ছিল— এখন আর তা নেই। ‘করোনা ভাইরাস’ নামের যে ভাইরাসটির বিস্তার প্রতিরোধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ২০২০ সালের শেষ দিকে যে টিকা বাজারে এনেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেই ভাইরাসটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়, এমনকি মূল ভাইরাসটি থেকে যেসব ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে— সেগুলোও এখন আর প্রাণঘাতী নয়।



সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালতে ১০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের মামলা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মামলার কার্যক্রম চলার মধ্যেই এই ঘোষণা দিলো প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ।


গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অবশ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বোসিস উইদ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল।



টিটিএস হলো এমন একটি শারীরিক জটিলতা, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্ল্যাটিলেট কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।


মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, ‘নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। 


এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের। বিভিন্ন দেশের সরকার আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং করোনা মহামারি দূর করতে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে— তা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত।


‘কিন্তু বর্তমানে মূল করোনা ভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোও দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান। ইতিমধ্যে অংশীদারদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।’


আরও খবর



শনিবার খোলা রাখায় শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:


শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।


 আগামী শনিবার (১১ মে) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন তারা। এসময়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন শিক্ষকরা।


সোমবার (৬ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব এ ঘোষণা দেন।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না রাখার জন্য শিক্ষক সমাজের পক্ষে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণ সংক্ষুব্ধ।



এ পরিস্থিতিতে প্রতিবাদস্বরূপ ‌কর্মবিরতি পালনের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে প্রতি শনিবার পুরো কর্মদিবস ‘কর্মবিরতি’র মতো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।



শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতারা বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে, পূর্বেও হয়েছে। 


সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। 


একদিনের ছুটিতে যাবতীয় কাজ ও সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে করে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে।


নেতারা বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে, অথচ সেদিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণ করতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে।


 চলতি বছরে রমজানের ছুটি কমানো হয়েছে, যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।



আরও খবর



আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ বিকালে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্ক:



আজ রাজধানীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। 


শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় এই ঘোষণা দেন সেতুমন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। 


শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।


এর আগে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শেখকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফ।


১৮ শর্তে আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। আওয়ামী লীগকে দেওয়া শর্তগুলো হলো:


১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।


২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।


৩. অনুমোদিত স্থানেই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।


৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।


৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।


৬. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোভাবেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।


৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৯. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।


১০. শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।


১১. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।


১২. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।


১৩. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া করা যাবে না।


১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।


১৫. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।


১৬. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।


১৭. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।


১৮. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



সস্ত্রীক ওমরাহ করতে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে যাচ্ছেন তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম।


আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।



বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে আগামী ৮ মে বিএনপি মহাসচিব ও তার সহধর্মিণীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।


আরও খবর