Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

পাঁচ বছর পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাকিব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৮জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


সালটা ২০১৯। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর কেটে গেছে প্রায় বছর পাঁচেক।


 দীর্ঘ এই সময়ে ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো পর্যায়েই তিন অঙ্কের ইনিংস খেলতে পারেননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর অবশেষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাকিব।


শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে সাকিবের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। এদিন ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সাকিব।



৭৯ বল মোকাবিলায় ৯ চার ও ৭ ছক্কায় হাঁকান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ৭৩ বলে তুলে এবারের ডিপিএলে নিজের প্রথম শতক। সেইসঙ্গে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর সেঞ্চুরি তুলে নেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।


 লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি সাকিবের দশম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৭৯ বলে ১০৭ রান করেন সাকিব।   


আরও খবর



মন্দিরা- রাজের প্রেম রসায়ন কি বাসর শয্যা রচনার পথে?

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইন:


নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’ সিনেমাটির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটেছে মন্দিরা চক্রবর্তীর। কাজলরেখার জন্য প্রশংসার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবন নিয়েও বেশ আলোচনায় রয়েছেন তিনি।


 গুঞ্জন চলছে অভিনেতা শরীফুল রাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ অভিনেত্রীর। মন্দিরাও এবার জানালেন তিনি প্রেম করছেন, তবে কার সঙ্গে সে নিয়ে রয়েছে রহস্য।


সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মন্দিরা। 



সেখানে সাংবাদিকরা তাকে প্রেম নিয়ে প্রশ্ন করলে রহস্যজনক জবাব দেন। মন্দিরার ভাষায়, প্রেম তো করছি, কার সঙ্গে করছি, কীভাবে করছি, এটা সাংবাদিকদের দায়িত্ব খুঁজে বের করার। আপনারাই খুঁজে বের করুন।


 

কার সঙ্গে প্রেম করছেন জানতে চাইলে মন্দিরা বলেন, আমি বাস্তব জীবনে প্রেম করছি। প্রেম ছাড়া তো একজন মানুষ থাকতে পারে না। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি, প্রেম করা উচিত। 


 

প্রেম করলে মন ভালো থাকে, শরীর ভালো থাকে। এখন বিয়ে করার কোনো ইনটেনশন একদম নেই, পরিবার থেকেও এখন প্রেশার নেই। এখন কাজে মনোযোগ দিতে চাই।


এছাড়া শরীফুল রাজের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মন্দিরা বলেন, ‘আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি, সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না। 



কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তার মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা। 


আগামী ঈদে ‘নীলচক্র’ নামে একটি সিনেমা মুক্তির কথা রয়েছে। সিনেমাটিতে মন্দিরা অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভর বিপরীতে। 


 


আরও খবর



পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৯জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক

পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুলে বোমা হামলা করেছে জঙ্গিরা। শুক্রবার দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের একটি মেয়েদের স্কুলের বোমা হামলা করেছে জঙ্গিরা। এর আগেও গত ৯ মে একটি মেয়েদের স্কুলে বোমা হামলা করা হয়েছিল।


জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলার কবলে রয়েছে। বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বিভিন্ন জেলার মেয়েদের স্কুল এই ধরনের হামলার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু।



শুক্রবার হামলার শিকার স্কুলটি ওয়ানা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত। এটি সোফিয়া নূর স্কুল নামে পরিচিত।


৯ মে উত্তর ওয়াজিরিস্তানের শেভা শহরে ইসলামিয়া গার্লস স্কুলে বোমা হামলা করা হয়। তবে বোমা হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


পরপর দুটি স্কুলে বিস্ফোরণের পর আতঙ্কে রয়েছেন প্রদেশের বাসিন্দারা। অতীতেও তারা বহুবার এ ধরনের হামলা দেখেছে।


পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য নিউজ অনুসারে, স্কুলের কয়েকটি ব্লকে নির্মাণকাজ চলছিল। খবর অনুযায়ী, ভোর ৩টার দিকে বিস্ফোরণে ভবনটির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, স্কুলের প্রশাসন চাঁদাবাজির চিঠি পেয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা তা অস্বীকার করেছেন।


ওয়ানা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যারা স্কুলে হামলা করেছে তারা ওয়াজিরিস্তানের জনগণকে শিক্ষা ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখতে চায়। তবে এতে আমারা দমে যাব না। আমরা নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’


তিনি বলেন, তাদের সংগঠন প্রায় এক মাস আগে একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির চিঠি পেয়েছিল।


অ্যাসোসিয়েশনের একজন সিনিয়র সদস্য এএফপিকে বলেন, ‘এর কিছুদিন পর আমাদের অফিসে আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে ১ কোটি রুপি দিতে বলা হয়। এর পরে আমাদের কাছে আফগান নম্বর থেকে হুমকিমূলক কল আসতে শুরু করে। তারা কলে টাকা দাবি করতো।’


সদস্যদের অভিযোগ, স্থানীয় তালেবান গোষ্ঠীর থেকে চাঁদা দাবি করা হতো বলে স্কুল প্রশাসনকে বলা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা ব্যর্থ।


নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন জেলা সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, তালেবান দলগুলো ওই এলাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে। 


যারা টাকা দিতে রাজি না হয় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়, তাদের বাড়িঘরে হামলা বা তাদের নিজেদেকেই হত্যা করা হয়। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও হত্যা করা হয়েছে।




আরও খবর



নিষ্ক্রিয়তার বৃত্তে বিএনপি'র সরোব নেতারা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


বিএনপির আন্দোলন এখন হতাশার চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা। আর এই হতাশা এখন সংক্রমিত হয়েছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে।


 স্থায়ী কমিটির নেতারা এখন নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছেন এবং হতাশায় তারা আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন:


মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর:


 বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে যাচ্ছেন ওমরাহ পালন করতেন। তিনি দুদিন আগেই পয়লা মে জনসভায় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন মে দিবসের জনসভায়। 


আর সেই ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি সৌদি আরবে চলে গেলেন। দলের মূল চালিকাশক্তি যখন বিদেশে চলে যান তখন দলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা এবং হতাশা তৈরি হয় এটাই স্বাভাবিক। 



বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, তারা স্বীকার করেছেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন মানসিক ভাবে দলের নেতৃত্ব এগিয়ে নিতে প্রস্তুত নন। তিনি বারবার নেতাকর্মীদের কাছে বলছেন, আমি থাকতে চাচ্ছি না। 


আমাকে জোর করে রাখা হচ্ছে। অনীহা সত্ত্বেও বিকল্প কোন মহাসচিব না করার কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এখনও রাখা হয়েছে। আর তিনি দলে যতটা না সময় দিচ্ছেন তার চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে।


বিএনপির বিভিন্ন নেতা মনে করেন যে, আন্দোলনের ব্যর্থতা এবং ভুল নেতৃত্ব, তারেক জিয়ার বাড়াবাড়ি ইত্যাদি কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম হতাশ এবং এ কারণেই তিনি আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। নির্বাচনের আগেও ২৮ অক্টোবর আগ পর্যন্ত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যেভাবে সরব এবং সক্রিয় দেখা গিয়েছিল এখন তার ছিঁটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না এবং এটি বিএনপির মধ্যে একটি বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: 


        কারাগার থেকে বের হওয়ার পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে অনেকটা নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। বিভিন্ন দূতাবাসের অনুষ্ঠানে যোগদান ছাড়া আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়া তাকে খুব একটা দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে চলে গেছেন। 


বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, তিনি দলের কার্যক্রমে বিরক্ত হতাশ। এ কারণে তিনি তার সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তিনি কারাগার থেকে বেরোনোর পর খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না। 


নজরুল ইসলাম খান: 


  নজরুল ইসলাম খান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই সময় নজরুল ইসলাম খানকেও খুব একটা পাদপ্রদীপে দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তিনি থাকছেন না। নজরুল ইসলাম খান অবশ্য বলছেন, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। 


যতটুকু তার পক্ষে সম্ভব ততটুকু চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপির নেতারাই বলছেন, নজরুল ইসলাম খানকে তারা যে অবস্থায় দেখেছেন অতীতে তার ধারেকাছেও এখন তিনি নেই। 


মির্জা আব্বাস: 


       মির্জা আব্বাস বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা এবং ঢাকা মহানগরীর অন্যতম চালিকাশক্তি মনে করা হয় মির্জা আব্বাসকে। কিন্তু মির্জা আব্বাসও এখন নিষ্ক্রিয়। কারাগার থেকে বেরোনোর পর তার কর্মসূচি তিনি সীমিত করেছেন। এখন দলের কার্যক্রমে তাকে উদ্যোগী দেখা যায় না। উদ্যোগ নিয়ে তিনি কোন কিছু করেনও না। দলের যে সমস্ত কর্মসূচি গুলো ঘোষিত হয় সেখানে রুটিন উপস্থিতির মাধ্যমে তিনি তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেন।



গয়েশ্বর চন্দ্র রায়: 


   গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক জন সদস্য। কিছু দিন আগ পর্যন্ত তাকে অত্যন্ত সরব দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এখন তিনি আস্তে আস্তে যেন পর্দার আড়ালে চলে যাচ্ছেন। 


তাকে কোন আগ বাড়িয়ে কর্মসূচি পালনের জন্য দেখা যাচ্ছে না। কোন বিবৃতি দিতেও তিনি আগ্রহী নন। এক ধরনের হতাশা থেকে তিনি আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।


স্থায়ী কমিটির পাঁচ জন সদস্য অনুপস্থিতি। আর পাঁচ জনের অবস্থা এ রকম। কয়েকজন একেবারেই অসুস্থ। এই অবস্থায় বিএনপি এখন স্থায়ী কমিটি শূন্য হয়ে পড়ছে। 


আরও খবর



১ কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৫৩জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

নোবেল জয়ী বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমাকে দেখলে কি মনে হয়, আমি জোচ্চুরি করার জন্য এই ব্যবসায় নেমেছি? আমি ১ কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি।

 বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ জামিন শুনানি শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আজকে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। দুর্নীতি দমন কমিশন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে দুর্নীতির। আমি জালিয়াতি করেছি, অর্থ আত্মসাৎ করেছি, অর্থ পাচার করেছি—এ রকম বহু ভয়াবহ শব্দ আমার অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে।’


সুদ যদি গ্রহণ করে থাকে, সেই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকেরাই গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বলেন, ‘আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চিনছেন, এ অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মতো অপরাধ কি না আপনারাই বিবেচনা করবেন। আগে যে রকম আপনারা বিবেচনা করেছেন। 

আমাকে বলা হয়েছে, আমি সুদখোর, বহুবার বলা হয়েছে। আপনারা সেটা গ্রহণ করেন নাই। কারণ গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি না। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকে, সেই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকেরাই গ্রহণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আমাকে যখন বের করে দেওয়া হয়, তখন গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা আমাদের সদস্যদের কাছে ছিল। সুদ যদি গ্রহণ করে থাকেন, তারাই গ্রহণ করেছেন। 

আমি একজন কর্মচারী মাত্র, সেটা আপনারা জানতেন। আমি গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক ছিলাম না কখনো। কাজেই আপনারা (গণমাধ্যম) সেটা গ্রহণ করেননি কখনো।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে, আমি গরিবের রক্তচোষা। সেটাও আপনারা গ্রহণ করেননি। রক্ত চুষতে হলে যেটা করতে হয়, সে রকম কাজ আমি করি নাই—আপনারা দেখেছেন। 

আমি এক কোটি গরিব মানুষকে একটা ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। তাদেরকে মালিকানা দিয়েছি, আর কেউ তো দেয় নাই এ পর্যন্ত। এটা তো সত্যি ঘটনা। এখনো আছে তারা মালিক। 

পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি বলেন, ‘বলা হয়েছে, আমি পদ্মা সেতু বানচাল করে দিয়েছি, বিশ্ব ব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দিয়েছি; আমাকে পদ্মা নদীতে চুবানো দরকার—বহুবার বলা হয়েছে। বড় বড় অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে। আপনারা সেটা গ্রহণ করেন নাই।’

আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:


কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে নিজঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।


সোমবার (১৩ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মো. ইলিয়াস (৪৩) রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর ‘সি’ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসাইন।


স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মো. ইলিয়াস। 


ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানেই ইলিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।


ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি আভিযানিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। 


পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর