Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

রমজানে দান-সদকার ফজিলত ও গুরুত্ব

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২০১জন দেখেছেন

Image

ইসলাম ধর্মে দান সদাকা ও অন্যকে সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। আর রমজান মাসে দানের গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক বেশি। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমান। আর একটি ফরজ ইবাদত করলে সত্তর গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। 

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে মানুষের উপকার করে’ (তাবারানি)। রসুল (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানশীল। আর রমজান মাসে তিনি সবচেয়ে বেশি দান সদাকা করতেন। জিবরাইল (আ.) এ সময়ে তাঁর কাছে আসতেন এবং পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। রসুল (সা.) তখন প্রবাহিত বাতাসের চেয়ে অধিক দান-খয়রাত করতেন (মুসলিম)। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি তোমাদের দানকে প্রকাশ করো ভালো কথা, তাতে কোনো দোষ নেই, তবে যদি তোমরা তা গোপন রাখো এবং চুপে চুপে তা অসহায়দের দিয়ে দাও, তবে তা হবে তোমাদের জন্য বেশি উত্তম। এ দানের কারণে আল্লাহ তোমাদের বহুবিধ গুনাহ খাতা মুছে দেবেন, আর তোমরা যাই কর না কেন, আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত আছেন’ (সুরা বাকারা-২৭১)। সুবহানাল্লাহ। সুতরাং বেশি বেশি দান-খয়রাত করা আমাদের উচিত। কখনো প্রকাশ্যে কখনো গোপনে। 

আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা যা দান-সদাকা কর তা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর, কারণ তোমরা তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই খরচ কর। তোমরা আজ যা কিছু দান করবে আগামীকাল তার পুরোপুরি বিনিময় আদায় করে দেওয়া হবে (সুরা বাকারা-২৭২)।’ যারা দিন রাত গোপনে প্রকাশ্যে নিজেদের মাল সম্পদ ব্যয় করে তাদের মালিকের দরবারে তাদের এ দানের প্রতিফল সুরক্ষিত রয়েছে। তাদের ওপর কোনোরকম ভয়ভীতি থাকবে না, তারা সেদিন চিন্তিতও হবে না (সুরা বাকারা-২৭৪)। সাহায্য-সহযোগিতা দান-সদাকা করতে হবে দীন-দরিদ্র, ফকির-মিসকিন, এতিম, অন্ধ, বিধবা, অসহায় ও গরিব আত্মীয়স্বজনকে। রসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাওয়া হলো দান সদাকার উপযুক্ত পাত্র কারা? 

আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘তারা তোমার কাছে জানতে চাইবে তারা কি খাতে খরচ করবে? তুমি তাদের বলে দাও, যা কিছুই তোমরা তোমাদের পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম, অসহায়, মিসকিন এবং মুসাফিরের জন্য খরচ করবে, তাই আল্লাহ গ্রহণ করবেন। যা ভালো তোমরা করবে, আল্লাহ তা অবশ্যই জানতে পারবেন’ (সুরা বাকারা-২১৫)। অসহায়দের প্রতি সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করে বিপুল সওয়াব লাভের শ্রেষ্ঠ সময় রমজান। আমাদের সমাজে অনেক গরিব-দুঃখী আছেন যারা দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে সাহরি ও ইফতারের সামান্য খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান। বছরের এই সময়ে তাদের জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া আমাদের প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের ধনসম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে একটি বীজের মতো, যে বীজটি বপন করার পর তা থেকে সাতটি শিস বেরোলো, এর প্রতিটি শিষে রয়েছে ১০০ করে শস্যদানা, আল্লাহ যাকে চান তার জন্য এটাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন’ (সুরা বাকারা - ২৬১)। এই রমজানে গরিব আত্মীয়স্বজনের খোঁজ নিন, তাদের মধ্যে কেউ আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলে তাকে সাহায্য করুন। আপনজনদের ভালোবাসুন। গরিবদের সম্মান করুন। রসুল (সা.) বলেছেন, যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ো, যে তোমার প্রতি অবিচার করে তাকে ক্ষমা কর’ (মুসলিম)। রহমত ও মাগফিরাতের মাসে দয়া ও ক্ষমার অনুশীলন করুন। এতিম, অসহায়, বিধবাদের খোঁজখবর নিন। তাদের মুক্তহস্তে দান করুন। তাহলে আল্লাহ খুশি হবেন। নাজাত পাওয়ার রাস্তা সহজ হবে। দান-খয়রাত সদাকা প্রাপকের হাতে পৌঁছে দিতে সচেষ্ট হোন।


আরও খবর



ঢাবি অধ্যাপকের পিএইচডি জালিয়াতি তদন্তে কমিটি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ


এমফিলের থিসিস নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


মঙ্গলবার (৭ মে) উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।


 নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 



পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে প্রধান করা হয়েছে। 


এছাড়াও সদস্য হিসেবে আছেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম জাভেদ আহমদ।


 কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বিএনপি'র ৫ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলের পাঁচ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।


শনিবার (৪ মে) বিকেলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া পাঁচ নেতাকর্মী হলেন, পঞ্চগড় জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও বোদা উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব এবং বোদা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কলস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, একই উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বিএনপির সদস্য ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, বোদা ময়দান দিঘী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাবিব আল-আমিন ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চশমা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম এবং দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও কাপ-পিরিচ মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল।


নোটিশে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম কাচ্চু জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সকল নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের সকল নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের আন্দোলন চলমান।

কিন্তু এর মাঝে যারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে না মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের বহিষ্কার করেছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মিসর থেকে বোয়িংয়ের দুই উড়োজাহাজ লিজ গ্রহণ ও রি-ডেলিভারি পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক এ চার্জশিট দাখিল করেন।

২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৩ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার।

তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত ২৩ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নতুন করে অপর সাতজনকে অভিযুক্ত করে আসামি হিসেবে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন জন স্টিল, সাবেক পরিচালক ফ্লাইট অপারেশনস ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, সাবেক ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল আলম সিদ্দিক (মো. এস এ সিদ্দিক), সার্ভিসেস অ্যান্ড অডিটের সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার দেবেশ চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া, প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার (স্ট্রাকচার) শরীফ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, সাবেক ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা হীরালাল চক্রবর্তী, লুৎফর রহমান ও প্রিন্সিপাল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার অশোক কুমার সর্দার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (এওসি-এয়ারওয়ার্দিনেস) মোহাম্মদ সফিউল আজম, সহকারী পরিচালক (এরোস্পেস/ এভিয়নিক্স) দেওয়ান রাশেদ উদ্দিন, উপ-পরিচালক আব্দুল কাদির ও এয়ারওয়ার্থনেস কনসালটেন্ট গোলাম সারওয়ার।

অন্যদিকে, এজাহারভুক্ত যে ১৪ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহমান ফারুকী, ডিজিএম কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ক্যাপ্টেন মো. নজরুল ইসলাম শামিম, উপ-মহাব্যবস্থাপক জিয়া আহমেদ, সাবেক চিফ পার্সার কাজী মোসাদ্দেক আলী, ফ্লাইট পার্সার শহিদুল্লাহ কায়সার ডিউক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আজাদ রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদির, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক বসুনিয়া, ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান, চিফ পার্সার মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল হক (শাহিন), ফ্লাইট পার্সার শাহনাজ বেগম ঝর্ণা ও সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবাল।

চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দুটি লিজ নিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।


উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে ফের ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়।

সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি উভয়কেই অর্থ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে।

ফলে উড়োজাহাজ দুটির জন্য রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় ১ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা।

 


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




পিস্তল ঠেকিয়ে স্বর্ণালংকার লুট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়নি আদালত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image



ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে নারীর কপালে পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।


 সোমবার (১৩ মে) বন্যা বেগম নামের ওই ভুক্তভোগী নারী এ অভিযোগ করেন। তবে মামলাটি নথিভুক্ত করেনি আদালত।


বাদীপক্ষের আইনজীবী শওকত আলী জানান, মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমসহ তার ৮ সহকর্মীকে আসামি করা হয়। তবে সহকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় বন্যা বেগমের স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদীপক্ষের কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। 


মূল আসামি হলেন এনামুল কবীর, যিনি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে এ ঘটনা ঘটান। সোমবার (১৩ মে) দুপুরের দিকে মামলার কপি আদালতে জমা দেওয়া হয়। তবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (দ্রুত বিচার আইন) এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি কিংবা শুনানি বিষয়েও কিছু বলেননি। ফলে, মামলাটি নথিভুক্ত হয়নি।



এদিকে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম সোমবার সকাল থেকে শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ওসি ক্রাইম হাবিবুল্লাহ বাহার।


মামলার আবেদন ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল আলম নুরুর বিরুদ্ধে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়। 


এতে অভিযোগ আনা হয়, নুরুল ইসলাম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন।


সেই মামলায় গত শুক্রবার বিকালে প্রবাসী নুরুল ইসলামকে ধরতে সাদা পোশাকে অভিযানে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিমসহ আরও কয়েকজন। প্রবাসী নুরুকে না পেয়ে বাড়িতে থাকা নারীসহ উপস্থিত মেহমানদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। তারা নুরুল ইসলামের স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। 


একপর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিম প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরে থানা নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।


তবে অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিমের দাবি, প্রবাসী নুরুল ইসলামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে তার পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির সময় তার হাতে পিস্তল ছিল। তবে কারও দিকে পিস্তল তাক ও মারধর করা হয়নি।


তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামি ধরা, সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশনে যাইনি।


তদন্ত টিমের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা মো. জয়নাল আবেদীন জানান, তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনাটির আইনগত সব বিষয় দেখছি। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। তারা কীভাবে ঘটনাস্থলে গিয়েছে সে সব দেখা হচ্ছে। আশা করছি ৩ কার্যদিবসেই প্রতিবেদন দিতে পারব। 


পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল রিপোর্ট,:


দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 


রোববার (১২ মে) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখের ১৫ নং মামলা হতে উদ্ভূত মেট্রো বিশেষ মামলা নং-০৩/২০২৪-এ ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ, ঢাকা কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় এবং একই তারিখে তাকে হাজতে প্রেরণ করায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৩৯-এর উপধারা ২ অনুযায়ী উক্ত তারিখ থেকে তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। 


সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি নিবন্ধন অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্ত হবেন।


উল্লেখ্য, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক।


তার বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের মিথ্যা তথ্য বা ভিত্তিহীন তথ্য দাখিল এবং জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ২১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।


এর আগে গত ৩০ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪