Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোজা ফরজ হওয়ার রহস্য ও তাৎপর্য

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২০৫জন দেখেছেন

Image

মহান প্রভু কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া (খোদাভীতি) অর্জন করতে পার। (সুরা বাকারা-১৮৩)। 

তাকওয়া অর্জন হওয়ার জন্য রোজা ফরজ করা হয়েছে। তাকওয়া আরবি শব্দ। এর ভাবার্থ হলো, খোদাভীতি, আত্মরক্ষা ইত্যাদি। শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি নিয়ে তাঁর নির্দেশসমূহ পালন করা এবং নিষেধাজ্ঞাসমূহ থেকে বেঁচে থাকার নাম হলো, ‘তাকওয়া’। যে ব্যক্তির তাকওয়া যত বেশি আল্লাহর কাছে তার সম্মান ততই বেশি। 

আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা সম্মানিত ওই ব্যক্তি যে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা তাকওয়ার অধিকারী’। (সুরা হুজরাত-১৩)। তাকওয়া এবং খোদাভীতি মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, আলোকিত করে, সৎকাজে উৎসাহ জোগায় এবং পাপাচার বর্জন করার প্রেরণা সৃষ্টি করে। তাকওয়া অর্জনের ফলে একটি মানুষ অন্যায়-অনাচার, সুদ-ঘুষ বর্জন করতে পারে। গড়ে উঠতে পারে একটি আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা। আর এই মহৎ গুণটি অর্জনের শ্রেষ্ঠ ও সহজ উপায় হলো রোজা রাখা। 

কারণ রোজা হলো নির্দিষ্ট সময়ে কিছু কাজ বর্জন করা। যে ব্যক্তি দিনের বেলায় ওই কাজগুলো বর্জন করবে সে সত্যিকারার্থে আল্লাহর ভয়েই বর্জন করবে। এভাবে তার অন্তরে আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম ভয়ভীতি বৃদ্ধি পাবে। এক পর্যায়ে তার অন্তরে আল্লাহর ভয়ভীতি জাগ্রত হওয়ার ফলে সে সব ধরনের অন্যায় ও পাপাচার বর্জনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়ে রমজানের রোজা আদায় করতে সক্ষম হলে সার্থক হবে আমাদের সাধনা। 

সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা). ফরমান, যেদিন তোমাদের কেউ রোজা রাখে, তখন রোজা অবস্থায় সে যেন অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে না যায়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা হত্যা করে তখন সে বলবে আমি রোজাদার মানুষ। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)। 

অপর হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও এ অনুযায়ী কর্মত্যাগ করেনি তার পানাহার বর্জন করা আল্লাহর জন্য কোনো প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারি)। এই পবিত্র রমজান মাসে যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগি যথাযথভাবে পালন করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করতে হবে। নিজেকে বিরত রাখতে হবে সব ধরনের দুর্নীতি, পাপাচার, মিথ্যা এবং অন্যায় অপকর্ম থেকে।

এ মাসের প্রতিটা মুহূর্তই সংযম সাধনায় নিবেদিত করতে হবে। বিশেষ করে কোরআন অবতরণের এই মাসে কোরআনে কারিমের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত হলো উত্তম একটি আমল। আর দিনের বেলায় রোজা এবং রাতে তারাবির নামাজ আদায়ে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে। ফেরেশতাকুল সম্রাট জিবরাইল (আ.) প্রতি বছর রমজানে মহানবী (সা.)-এর কাছে আগমন করতেন, রসুলুল্লাহ (সা.) তাকে কোরআন শুনাতেন। (সহিহ মুসলিম)

মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে পুণ্য হিসেবে রমজানের রোজা পালন করবে তার পেছনের সব পাপ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি সহিহ মুসলিম)। অপর হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের স্বার্থে পুণ্য হিসেবে রমজানের নামাজ (তারাবিহ) আদায় করবে তার পেছনের সব পাপ ক্ষমা করা হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)।


আরও খবর

অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪




বাংলাদেশের জলসীমানায় এ প্রবেশ করেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image

  ডিজিটাল ডেস্ক:

সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। 


তবে জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে।



জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম শনিবার (১১ মে) এই তথ্য জানিয়েছেন।



তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। ১৩ মে বিকাল নাগাদ আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাকি পণ্য খালাস করবে।


এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।



জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর রয়েছে।


জাহাজ চলচাল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিক এর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলঙ্কার কাছেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে।


১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়।


 এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এর পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয় এটি। 


আরও খবর



গাজায় যুদ্ধ শেষ না হলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না হামাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ


প্রায় সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।


 চলমান এই যুদ্ধের বিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে চলছে আলাপ-আলোচনাও। তবে, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হলে কোনও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা শনিবার রাতে জানিয়েছেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনও প্রস্তাবে ‘কোনও পরিস্থিতিতেই একমত হবে না’ যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা থাকবে না।


 

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার ছাড়া কোনও চুক্তিই হবে না।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে’ কেবল বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি করার বিষয়ে ইসরাইলের  প্রচেষ্টার নিন্দাও করেছেন।

 

এর আগে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।’

 

ইসরাইলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, জিম্মি চুক্তির  বিষয়ে ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ পেলেই কেবলমাত্র তারা কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে। যদিও এমন কিছু এখনও ঘটেছে বলে মনে হয়নি।



আরও খবর



ধ্বংসস্তুপ থেকে গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৮০ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


জাতিসংঘ বলেছে, গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ৮০ বছর সময় লাগবে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় আবারও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। 


অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া পশ্চিম তীরে শিশু হত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।


জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং স্বাভাবিক গতিতে সেখানে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল-পরিষেবাকেন্দ্র, রাস্তাঘাট ও আগেকার অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় সেক্ষেত্রে উপত্যকাকে ৭ অক্টোবরের হামলার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে ৮০ বছর। 


যদি পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি উন্নীত করা হয়, তাহলেও উপত্যকাকে আগের মতো বসবাসযোগ্য করে তুলতে ২০৪০ সাল পেরিয়ে যাবে।



বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক প্রকল্প ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)। সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের গোলা ও বোমা বর্ষণে নজিরবিহীনভাবে তছনছ হয়ে গেছে গাজা। 


উপত্যকার অন্তত ৮০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং গোটা উপত্যকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ভয়াবহভাবে। ইউএনডিপির প্রতিবেদনে অবশ্য গাজার ভবনগুলো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক অবস্থাকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেও ধরা হয়েছে।


ইউএনডিপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাশিম স্টেইনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাণহানি, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্যের ব্যাপক উল্লম্ফনের কারণে গাজায় সার্বিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। 


এই যুদ্ধ গাজার আগামী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যেক বিপদে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে গাজার মোট জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্রের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে যুদ্ধ ছয় মাস পেরিয়ে সাত মাসে পা দিয়েছে; যদি ৯ মাস পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে, তাহলে গাজায় দরিদ্রদের হার পৌঁছাবে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে।


 এর অর্থ, যুদ্ধ আর দুই মাস অব্যাহত থাকলে গাজায় মধ্যবিত্ত বলে কোনো শ্রেণির অবস্থান আর থাকবে না, প্রতিবেদনে বলেছে ইউএনডিপি। এদিকে এর আগে বুধবার জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনমাস) জানায়, রুশ বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ইউক্রেনে যত ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের অভিযানে যে পরিমাণ ধ্বংস্তূপ জমেছে, তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত দুই বছরে জমা ধ্বংস্তূপকে ছাড়িয়ে গেছে।



এদিকে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়। এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে।


 পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। 


তবে ইসরাইল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন ১ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।


অন্যদিকে গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় নিরবছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। 


২০২৩ সালে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এতে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর আগে সীমিত পরিসরে ইসরাইলের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তুরস্ক। 


কিন্তু এবার পুরোপুরিভাবে বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিল এরদোয়ান প্রশাসন। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, তার সরকার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


এদিকে পশ্চিম তীরে শিশু হত্যার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হচ্ছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর বিকালে কয়েক জন ফিলিস্তিনি বালক অধিকৃত পশ্চিম তীরের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। যেখানে তারা  প্রায়ই একসঙ্গে মিলে খেলত। 


কয়েক মিনিট পরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তাদের দুই জন বাসিল (১৫) ও আদম (৮)-এর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সামরিক দখলদারিত্বে থাকা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণ নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে বিবিসি দুই বালককে হত্যার ঐ দিনে কী ঘটেছিল তা খুঁজে বের করেছে।


 তাদের অনুসন্ধানে মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ফুটেজ, ইসরাইলি সেনাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, ঘটনাস্থলের বিস্তারিত তদন্তসহ সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। এতে বেরিয়ে এসেছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ। জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন সৌল বলছেন, আট বছর বয়সি বালক আদম হত্যা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই মনে হচ্ছে। আরেক আইন বিশেষজ্ঞ ড. লরেন্স হিল-কথর্ন গুলি চালানোকে ‘নির্বিচারে প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার’ বলেছেন। 


এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভাঙচুর, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অস্ত্রের ভয় দেখানো, এলাকা ছেড়ে পাশের দেশ জর্ডানে চলে যেতে বলা এবং সশস্ত্র এক ফিলিস্তিনির লাশ ছিন্নভিন্ন করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।


২৯ নভেম্বরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাসিল একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং দোকানের শাটার বন্ধ। যখন ইসরাইলি সেনারা আসে, তখন পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হলেও সেখানে গাজার মতো হামাসের শাসন নেই। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরের খুব কাছ থেকে ইসরাইলি সেনা অভিযানের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ফুটবল পাগল ও লিওনেল মেসির ভক্ত আদম তার ১৪ বছর বয়সি বড় ভাই বাহার সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। রাস্তায় মোট ৯ জন ছেলে ছিল, সবাইকেই সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছিল। এ ক্যামেরাতেই পরে কী ঘটেছিল তার প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। 


কয়েক শ মিটার দূরে অন্তত ছয়টি ইসরাইলি সাঁজোয়া যানের বহর মোড় ঘুরিয়ে ছেলেদের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।  এতে ছেলেরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। কয়েক জন ছেলে দৌড়ে সরে যেতে শুরু করে। ঠিক সে সময়েই একটি মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা যায়, একটি সাঁজোয়া গাড়ির দরজা সামনের দিক থেকে খুলে যায়। 


এর ভেতরে থাকা সেনা সরাসরি বালকদের দেখতে পাচ্ছিল।  রাস্তার মাঝখানে চলে গিয়েছিল বাসিল। সেনাদের থেকে ১২ মিটার দূরে ছিল আদম। সে দৌড়াচ্ছিল। এরপরই অন্তত ১১টি গুলির শব্দ হয়। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে বিবিসি দেখতে পায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এসব গুলি আঘাত হেনেছে।


 চারটি গুলি একটি ধাতব খুঁটিতে আঘাত করে, দুটি হার্ডওয়্যার স্টোরের শাটারে, একটি গুলি পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির বাম্পারের ভেতর দিয়ে চলে যায়। আরেকটি গুলি আঘাত করে সিঁড়ির হাতলে।খবর রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা।


আরও খবর



আমি সকলের জন্য নই

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন,বিনোদন ডেস্ক থেকেঃ


বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিয়ে সারেন দক্ষিণী তারকাযুগল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। 


যদিও বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুই তারকা। বিচ্ছেদের পর সামান্থা বা নাগা কেউই একে অপরের দিকে আঙুল তোলেননি। নিজেদের মতো করে জীবনে এগিয়ে এসেছেন।


তবে সম্প্রতি বিয়ের পোশাক কেটে সেই রাস্তা থেকে সরে আসেন সামান্থা! কিছুদিন ধরেই নাগার সঙ্গে শোভিতা ধুলিপালার প্রেমের খবর চাউর হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে, চর্চিত প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নাগা।


 এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করলেন সামান্থা। যা ঘিরে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় বইতে শুরু করেছে।


একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সামান্থা লিখেছেন, ‘বৃষ রাশিকে কখনোই হারাবেন না।’ আসলে সামান্থা বৃষ রাশি ব্যক্তিত্ব। অন্য পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকলের জন্য নই, চলো তাই ঠিক আছে।’ 


সামান্থার পোস্ট দেখে নেটিজেনরা অবশ্য নাগার বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন।


তবে সামান্থা ক’দিন ধরে অভিযোগের সুরে কথা বললেও নানা ঠিক উল্টো পথে চলছেন। প্রেম চর্চার মাঝেও নাগা স্বীকার করেছেন সামান্থার সঙ্গে তিনি অন্যায় করেছেন। 



একসঙ্গে দুটি সম্পর্কে ছিলেন। ভাইরাল হওয়া পুরনো একটি ভিডিওতে নাগা বলেছেন, ‘একটাই জীবন। সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে। নিজেকে বুঝেছি। তাই এখন সেটল ডাউন করতে চাই। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি।’


আরও খবর



বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশিরা নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াই এনআইডি করতে পারবে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্কঃন

এখন থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি কোনো নাগরিকের দেশে এনআইডি করতে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ লাগবে না।


 প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দিতে মাঠ কর্মকর্তাদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি)।




সম্প্রতি এনআইডির সহকারী পরিচালক মুহা. সরওয়ার হোসেন সই করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।



এনআইডি শাখা জানিয়েছে, প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম সহজ করতে ও মাঠ পর্যায়ে সব অফিস থেকে বিড়ম্বনামুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে।


নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:



১. নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫১; বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলী) আদেশ, ১৯৭২ অনুসারে যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক তাদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ দাখিলের প্রয়োজন নেই।


 এই আইন ও আদেশ অনুযায়ী আবেদনকারীর পিতা/মাতা অথবা দাদা-দাদির বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র/বাংলাদেশি পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/অনলাইন জন্ম সনদ/অনলাইন মৃত্যু সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদের কপি দাখিল করতে হবে।


২. কোনো বাংলদেশি প্রবাসী অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে ইস্যুকৃত দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে তাকেও জাতীয় পরিচয় প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।


৩. বাংলাদেশ নাগরিকত্ব (অস্থায়ী বিধানাবলী) বিধান, ১৯৭৮ এর বিধান-৪ অনুযায়ী বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অর্জনকারী বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে ইস্যুকৃত নাগরিক সনদ, বিবাহের প্রমাণপত্র ও স্বামী/স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে।


৪. বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার শর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, উক্ত বিষয়টি উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন ওই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করে ভোটার তালিকা হতে তার নাম কর্তন করা জন্য নির্দেশনা দিতে পারবে।


৫. প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো প্রাপ্তির পর বায়োমেট্রিক তথ্য গ্রহণসহ সাত কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে ডাটা আপলোড নিশ্চিত করতে হবে।


৬. প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান, নাগরিকত্ব আইন, ভোটার তালিকা আইন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন এবং এ সংক্রান্ত সব বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। 


নতুন এই পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল জারিকৃত স্মারকটি বাতিল করা হলো।


আরও খবর