Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

রোমানিয়া থেকে দেশের পথে ২৮ বাংলাদেশি নাবিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩২৭জন দেখেছেন

Image

আটকে পড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিক রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তারা বুধবার দেশে ফিরবেন। 

রোমানিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২৮ জনের বোর্ডিং ও ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। ২৮ বাংলাদেশি নাবিক গত ৬ মার্চ ইউক্রেন থেকে মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় পৌঁছান। এই ২৮ নাবিক বাংলার সমৃদ্ধিতে কর্মরত ছিলেন।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বোমা হামলায় জাহাজটি অচল হয়ে যায়। একই সঙ্গে মারা যান জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। নিহত নাবিকের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে।  

বিএসসির মহাব্যবস্থাপক (চার্টারিং) ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বলেন, ‘একটি বিশেষ বিমানে সব নাবিক একসঙ্গে বুধবার সকালে দেশে পৌঁছবেন বলে আশা করছি। সেভাবে প্রক্রিয়া এগিয়েছে। এখন নিরাপদে তাঁরা দেশে ফিরলেই স্বস্তি ফিরবে।’ 



টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ




আরও খবর



বৈশ্বিক সংঘর্ষ নিয়ে পুতিনের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image



 ডেস্ক রিপোর্টঃ


পশ্চিমা দেশগুলোকে বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 


তিনি বলেছেন, কাউকেই বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।


 এদিকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া অস্বাভাবিক কিছু নয় বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নািস জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের বার্ষিকীতে তিনি এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এদিন বৈশ্বিক সংঘাতের ঝুঁকি সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেন এবং বলেছেন, কাউকে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।



বলা হচ্ছে, টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেনের পশ্চিমা-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিন ‘অহংকারী’ পশ্চিমা অভিজাত দেশগুলোকে নািস জার্মানিকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ভুলে যাওয়ার এবং বিশ্ব জুড়ে সংঘাত সৃষ্টি করার অভিযোগ এনেছেন।


পুতিন বৃহস্পতিবার মস্কোর রেড স্কোয়ারে বলেন, ‘আমরা জানি এই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার অত্যাধিকতা কোন দিকে নিয়ে যায়। রাশিয়া বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষ প্রতিরোধে সবকিছু করবে। তবে একই সঙ্গে, আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়ার সুযোগ দেব না।



 আমাদের কৌশলগত বাহিনী সবসময় যুদ্ধের প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে। ২০২২ সালে রুশ সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনে পাঠান পুতিন। সেই থেকে এই যুদ্ধ এখনো চলছে। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধকে তিনি পশ্চিমের সঙ্গে (রাশিয়ার) লড়াইয়ের অংশ হিসেবে নিয়েছেন। 


ইউক্রেন এবং পশ্চিমারা বলছে, পুতিন সাম্রাজ্যবাদী ধাঁচে ভূখণ্ড দখলের কাজে নিয়োজিত। তারা চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়াকে পরাজিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও বর্তমানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপসহ ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ এবং পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া। রাশিয়া বলেছে, এসব ভূখণ্ড একসময় রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং এখন এগুলো আবারও রাশিয়ার অংশ হবে।



উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ২৭ মিলিয়ন লোককে হারিয়েছিল। যার মধ্যে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষও ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নািস বাহিনীকে বার্লিনে হটিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানেই যেখানে হিটলার আত্মহত্যা করেছিলেন। এরপর ১৯৪৫ সালে রাইখস্ট্যাগের ওপরে লাল সোভিয়েত বিজয় ব্যানার উত্থাপিত হয়েছিল। 


এদিন পুতিন আরো বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষা ভুলে যেতে চাইবে। তবে নািস জার্মানির পরাজয়র সঙ্গে জড়িত সমস্ত মিত্রদের সম্মান জানিয়েছে রাশিয়া। তিনি জাপানি সামরিকবাদের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের লড়াইয়ের কথাও উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, ‘তবে আমরা মনে রেখেছি—মস্কো এবং লেনিনগ্রাদ, রজেভ, স্ট্যালিনগ্রাদ, কুরস্ক এবং খারকিভের কাছে, মিনস্ক, স্মোলেনস্ক এবং কিয়েভের কাছে, মুরমানস্ক থেকে ককেশাস এবং ক্রিমিয়া পর্যন্ত ভারী, রক্তক্ষক্ষী যুদ্ধগুলোতে মানবজাতির ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।


অন্যদিকে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানায়, পুতিন বলেছেন, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের অনুশীলনে অস্বাভাবিকতার কিছুই নেই। এটি একটি পরিকল্পিত কাজ। 


৭ মে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এ কথা বলেন তিনি। বেলারুশকে পরামর্শ দিয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়ার পারমাণবিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে বেলারুশ। আমরা সবসময় তাদেরকে সঙ্গে রাখি। পুতিন আরো বলেন, এই মহড়া তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। এর দ্বিতীয় ধাপে বেলারুশিয়ান সহকর্মীরা যৌথ মহড়ায় যোগদান করবেন।


বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, এটি তৃতীয় প্রশিক্ষণ অনুশীলন। রাশিয়ায় আমাদের বেশ কয়েক জন কর্মী রয়েছেন। তাই আমরা রাশিয়ার সঙ্গে মিলে কাজ করছি। তিনি আরো বলেন, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, কর্মীরা ইতিমধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছেন।


 রাশিয়া সোমবার বলে, সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অনুশীলন করবে তারা। ফ্রান্স, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুমকির কথা বলে এই মহড়া চালাচ্ছে দেশটি।


আরও খবর



গাজীপুরের ৩ উপজেলায় ১৫৪ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামীকাল বুধবার গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এই তিনটি উপজেলায় নিরাপত্তার দিক থেকে পুলিশ কম গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করেছে। এই তিনটি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৮টি।

এর মধ্যেও ১৫৪টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) আর কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৪টি। গাজীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এর তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট ৪৯টি ভোটকেন্দ্রর মধ্যে ২০টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ ও ২৯টি কম গুরুত্বপূর্ণ।

কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ১১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ২৭টি, কম গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি ভোট কেন্দ্র।

কালিগঞ্জ উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে মোট ৯০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি গুরুত্বপূর্ণ ও কম গুরুত্বপূর্ণ ৪৫টি কেন্দ্র রয়েছে।

এসব ভোটকেন্দ্রে র্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।

এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে র্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোট কেন্দ্রসমূহে মোবাইল টিম কাজ করবে, থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।


আরও খবর



মনিটরিং সেলে ভোট পর্যবেক্ষণে ইসি

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image


নিউজ ডেস্ক থেকে:


চলছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ।



 ভোটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও প্রভাবমুক্ত রাখতে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল থেকে চলছে ভোট পর্যবেক্ষণ।



ভোটে অনিয়মের অভিযোগ গ্রহণ ও এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে। আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এ অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।



মনিটরিং সেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের আগে মধ্যরাত ১টায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 


অভিযোগ ওঠে প্রার্থীর পক্ষে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের প্রচারণার।


এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজনকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।


এদিকে ভোটের ব্যালট পৌঁছানোর পর সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মে) কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারধর ও পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানানো হয় মনিটরিং সেল থেকে। 



এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যানকে মারধরের ঘটনায় তিনজন এবং ২৪ লাখ টাকাসহ সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যানকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।



প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 


এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। 



প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।


আরও খবর



মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

 নিউজ ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০২৩-এ বলা হয়েছে, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারেনি বাংলাদেশ।


২০২২ সালের মতো গত বছরও বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের ব্যাপারে সরকারের দায়মুক্তির সংস্কৃতি বিরাজ করছে এখানে। দেশের অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীরা এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।


মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ওই প্রতিবেদনে বলেছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওইসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত ও শাস্তি দিতে সরকার বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উল্টো তাদেরকে ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি দেওয়ার অসংখ্য খবর রয়েছে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।


এছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের হাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনের ক্ষমতা নেই বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘২০২৩ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাক্টিসেস: বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বাধীন মতপ্রকাশে বাধা, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে যে, গত বছর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ নির্বিচারে বেআইনি হত্যার ঘটনা, গুম, সরকারের নির্যাতন বা নিষ্ঠুরতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার-আটক, অমানবিক ও অসম্মানজনক আচরণ এবং কারাগারের কঠিন ও জীবনের জন্য হুমকির পরিবেশের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে।

এছাড়া অন্য দেশে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন চালানোর তথ্যও তারা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে হাজার হাজার কথিত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং জোরপূর্বক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করার জন্য পরিচিত মানবাধিকার সংস্থা অধিকার-এর একজন পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলান প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এই ধরণের প্রতিবেদনগুলো জনসচেতনতা বাড়ায়, জনগণকে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সম্পর্কে আরও সচেতন করে তোলে, যা অপরিহার্য।


২০২২ সালে বাংলাদেশ সরকার অধিকারকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছিল। পরে সংস্থাটির লাইসেন্স প্রত্যাহার এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নাসিরুদ্দিন ও সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তাদের দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য ভয়েস অফ আমেরিকার কল, ম্যাসেজ এবং ইমেইলের অনুরোধের জবাব দেয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদন 'ত্রুটিপূর্ণ' বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, এটি একটি মনগড়া রিপোর্ট এবং এখানে সত্যের হার খুবই কম। প্রতিবেদনে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে মার্কিন সরকারের কাছে তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির যে চিত্র উঠে এসেছে, দীর্ঘমেয়াদে সেটি দেশটির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


আরও খবর



আজিজ মোহাম্মদ ভাই : পর্দার আড়ালের রহস্যময় মাফিয়া ডন ও নারী খাদক যিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


                 নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন আদেশ দিয়েছেন আদালত।


 আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করেন।


কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 


এছাড়া বাকি ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ও আদনান সিদ্দিকী।


বাংলাদেশের রহস্যময় ব্যক্তিদের তালিকা করলে এর প্রথমদিকেই যাদের নাম থাকবে তাদের একজন এই আজিজ মোহাম্মদ ভাই। যাকে নিয়ে আছে নানা গল্প, নানা রহস্য। 


আর এসব গল্পের বেশিরভাগই চলচ্চিত্র জগতের নারী ও হত্যা কেন্দ্রিক। এসব গল্পের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মুখরোচক মিথ্যা সে নিয়েও আছে নানা মত।


নামের সঙ্গে ‘ভাই’ শব্দটি থাকার কারণে অনেকেই মনে করেন গডফাদার বলেই তাকে ভাই বলা হয়। সাধারনত মাফিয়া ডন বা গডফাদারদেরকে ভাই ডাকে তাদের অনুগতরা। 


কিন্তু আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের নামে ‘ভাই’ শব্দটি মূলত তাদের বংশপদবী। তাঁদের পরিবারের সকলেরই নামের শেষে ভাই পদবী আছে। এমনকি নারীদের নামের সঙ্গেও ভাই দেখতে পাবেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ ভাই। মায়ের নাম খাদিজা মোহাম্মদ ভাই।


১৯৪৭ এ ভারত ভাগের পর তাদের পরিবার ভারতের গুজরাট থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশে আসে। তাদের পরিবার মূলত পারস্য বংশোদ্ভুত। 


তারা ‘বাহাইয়ান’ সম্প্রদায়ের লোক। বাহাইয়ান’ কে সংক্ষেপে ‘বাহাই’ বলা হয়। উপমহাদেশের উচ্চারণে এই ‘বাহাই’ পরবর্তীতে ‘ভাই’ হয়ে যায়।


ধনাঢ্য এই পরিবার পুরান ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ১৯৬২ সালে আজিজ মোহম্মদ ভাইয়ের জন্ম হয় আরমানিটোলায়। পারিবারিক সূত্রে আজিজ মোহাম্মদ ভাই নিজেও শুরু করে ব্যবসা। দিনে দিনে বাড়তে থাকে তার  অর্থ সম্পদ।


 অলিম্পিক ব্যাটারি, অলিম্পিক বলপেন, অলিম্পিক ব্রেড ও বিস্কুট, এমবি ফার্মাসিটিউক্যাল, এমবি ফিল্ম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি। এছাড়াও মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুরে রয়েছে তার হোটেল ও রিসোর্ট ব্যাবসা। আবার মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে। 


তিনি সার্ক চেম্বারের আজীবন সদস্য। কথিত আছে, ভারতের পলাতক ডন দাউদ ইব্রাহিমের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।


ব্যবসার পাশাপাশি ৯০ এর দশকে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এমবি ফিল্মসের ব্যানারে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় আসেন। চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা থেকে নাকি নায়িকাদের রূপের মোহে নাকি কালো টাকা সাদা করতে নাকি শুধুই ব্যবসায়িক মানসিকতায় অথবা মিডিয়ার মনযোগ কাড়তে প্রযোজনায় আসলেন- সেটা নিয়ে তর্ক করাই যায়।


 তবে এসেই নিজের আধিপত্য বিস্তার করে ফেললেন। পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, মিডিয়া মালিক ও সাংবাদিকরা সমীহ করে চলতো তাকে। ৫০টির মত চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই।  দেশের বিজ্ঞাপন জগতে গ্লামার আনতেও তার ভূমিকা ছিল। 


নিজের প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক ব্যাটারির ‘আলো আলো বেশি আলো’ বিজ্ঞাপনে মিতা নূরের ঝলমলে উপস্থিতি তখন বেশ নজর কেড়েছিল।


এরশাদের আমলে একবার তিনি গ্রেপ্তার হন। প্রচলিত আছে এক নারী নিয়ে দন্দ্বের কারনেই এরশাদ তাকে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন। এরশাদ এক নারীকে পছন্দ করেন, একই নারীর প্রতি আকাঙ্খা ছিল আজিজ এর।


 অবশ্য দ্রুতই প্রিন্স আব্দুল করিম আগা খানের সুপারিশে মুক্তি পান আজিজ মোহাম্মদ ভাই।


চলচ্চিত্র নায়িকাসহ বিভিন্ন নারীর সাথে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক গল্প ছড়াতে থাকে। একজন পত্রিকা সম্পাদককে হত্যার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে কিন্তু সেটাকে পরে হার্ট অ্যাটাক বলে প্রচার করা হয়।  


তবে তিনি ব্যাপক ভাবে আলোচনায় আসেন ১৯৯৭ সালে। সেসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে  হত্যা করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু সেটাকে আত্নহত্যা বলেই প্রচার করা হয়। 


যদিও সালমান শাহ এর পরিবার ও তার ভক্তদের ধারণা এটা হত্যাকান্ড।  পারিপার্শিক আলামতেও এটাকে হত্যাকান্ড হিসেবেই মনে হয়। আবার আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর মত সালমানের স্ত্রী সামিরারও থাইল্যান্ড এ বসবাস সন্দেহকে বাড়িয়েই দেয়।


শোনা যায় সালমান শাহ নিহত হওয়ার আগে একটি পার্টিতে সালমানের স্ত্রী সামিরাকে চুমু দেয় আজিজ।  এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সকলের সামনে আজিজকে চড় মারে সালমান। এটাকে মোটিভ হিসেবে ধরেন অনেকেই। যদিও হত্যাকাণ্ডের সময় থাইল্যান্ডে ছিলেন আজিজ। সালমান হত্যাকান্ড নিয়ে দুইবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় আজিজকে। কিন্তু কোন প্রমাণ না পাওয়া পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।


এর দুই বছর পর ঢাকা ক্লাবে খুন করা হয় আরেক চিত্র নায়ক সোহেল চৌধুরী কে। এ হত্যাকাণ্ডেও আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও তার পরিবারের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। সে সময় সোহেল চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল ঢাকার ডিশ ব্যবসা। এই ব্যবসা নিজেদের কব্জায় নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয় বলে ধারনা।


তবে বারবারই প্রমাণের অভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছেন আজিজ। এবং আজিজ মোহাম্মদ ভাই দাবী করার সুযোগ পেয়েছেন তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, মিডিয়াই তাকে ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে বারবার। ২০১২ সালে মাদক ব্যবসার অপরাধে আজিজের ভাতিজা, ইয়াবা সম্রাট বলে খ্যাত আমিন হুদার ৭৯ বছরের জেল হয়েছে।


বর্তমানে আজিজ মোহাম্মদ ভাই সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন। সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। আনন্দ ফূর্তি করে সময় কাটাতে পছন্দ করা এই লোককে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পার্টিতে, ক্লাবে নারীদের সাথে ফূর্তিরত অবস্থায় দেখা যায়। 


তার স্ত্রী নওরিন মোহাম্মদ ভাই দেশে এসে ব্যবসা দেখেন। পরিবারে আর আছে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে।


উইকিপিডিয়া বলছে, আজিজ মোহাম্মদ ভাই একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি হত্যা ও মাদক পাচারসহ বেশ কয়েকটি গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


আরও খবর