ইমরান খান, স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার সাভারে বাসে যাত্রী বেশে গরু ব্যবসায়ীর ১৯ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় নাছির (৩৮) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডাকাতিতে ব্যবহৃত বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে লুন্ঠিত ২০ হাজার টাকা। এরমধ্যে গ্রেপ্তার ডাকাত নাছির দায় স্বীকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সাভারে গরু ব্যবসায়ীর টাকা লুট, ডাকাত গ্রেপ্তার
তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র হলেন সাদিক খান
লন্ডন প্রতিনিধিঃ
টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন সাদিক খান। অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জয়লাভ করেছেন।
৪৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সোসান হল পেয়েছেন ৩২.৬ শতাংশ ভোট।
২০১৬ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন সাদিক খান। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন তিনি।
কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচারণার মাধ্যমেই সাদিক খান জয়লাভ করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি লন্ডনের সাবেক মন্ত্রী পল স্কুলিসহ আরও হাইপ্রোফাইল টরি প্রার্থীদের পেছনে ফেলেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাপ-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।
তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে।
ছোটবেলা থেকেই সাদিক খান নিজে যে আদর্শে বিশ্বাসী তা নিয়ে লড়তে এবং সাফল্যের জন্য সব প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে পিছপা হননি।
সাদিক খানের বাবা আমানুল্লাহ খান এবং মা সেহেরুন খান পাকিস্তান থেকে লন্ডনে আসেন ১৯৭০ সালে- সাদিক খানের জন্মের কিছুদিন আগে।
সাদিক খান তাদের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে পঞ্চম। তারা সাত ভাই এবং এক বোন। দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের যে তিন-কামরার ফ্ল্যাটে তারা থাকতেন, সেখানে তাদের বড় পরিবারকে গাদাগাদি করে থাকতে হতো।
স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে তিনি পড়তেন এবং সেখানেই ১৫ বছর বয়সে তিনি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং লেবার পার্টিতে যোগ দেন। আর্নেস্ট বেভিন কলেজ নামে ওই স্কুলের প্রধান ছিলেন যুক্তরাজ্যের কোনো মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম মুসলমান প্রধান শিক্ষক।
সাদিক খান ছোটবেলা থেকেই মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে লালন করেছেন এবং তিনি বলেছেন বাবা-মার কাছ থেকে এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন যে ‘কোথাও অন্যায় কিছু দেখলে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করা তোমার কর্তব্য।’
তিনি লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন, ফুটবল, বক্সিং এবং ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন। এমনকী তরুণ হিসেবে তিনি সারে কাউন্টি ক্রিকেট দলেও কিছুদিন ট্রেনিং নিয়েছিলেন।
তবে তিনি বলেছেন ফুটবল মাঠে কীভাবে তাকে ও তার ভাইকে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে, যার কারণে তিনি ঘরে বসে খেলা দেখাই ‘নিরাপদ’ মনে করতেন। পরে তিনি লিভারপুল দলের ভক্ত হয়ে ওঠেন।
প্রথমদিকে তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছিলেন- ভেবেছিলেন দন্ত চিকিৎসক হবেন। পরে একজন শিক্ষকের পরামর্শে তিনি আইন পড়তে যান। ওই শিক্ষক তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি সবসময় তর্ক করো।’
১৯৯৪ সালে তিনি একটি আইন সংস্থায় মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও বিবাহ। সাদিয়াও আইন পড়তেন এবং কাকতালীয়ভাবে তিনিও বাসচালকের কন্যা।তাদের দুই কন্য সন্তান আছে - আনিসা আর আম্মারা।
সাদিক খান স্থানীয় প্রশাসনে ১২ বছর কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে আইনজীবীর কাজ ছেড়ে তিনি পুরো সময়ের জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন।২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে তার সমসাময়িকরা বলেছেন সাদিক খান ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত’ এবং ‘একগুঁয়ে ব্যক্তি এবং ‘তার যুক্তি খারিজ করে দেয়া প্রায়ই কঠিন’।
২০১০ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছিলেন ‘আমি উদ্ধত কোনো মন্তব্য করতে চাই না- তবে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, খুব কম মুসলমানকে বলতে শোনা যায় ‘আমি একইসঙ্গে ব্রিটিশ, মুসলমান এবং লন্ডনবাসী- তা নিয়ে আমি গর্বিত।’
রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলেন বেলোসভ
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
ভেঙ্গে দেওয়া হল কুয়েতের পার্লামেন্ট
শনিবার ১১ মে ২০২৪
ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
সদরুল আইন, নিউজ চীপঃ
ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।
আজ রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচি শুরু করবেন।
জানা গেছে, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা বাংলাদেশে আসবেন।
আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম।
এ ছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।
ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
অ্যামি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।
এর আগে তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের এমপিকে ইসির তলব
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা
সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা।
প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ।
এতে আমজেদ আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে।
পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।
সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রাখা হয়েছিল।
ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ।
তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।
বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি।
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান।
এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।
সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ‘ট্রিগার হ্যাপি’ নামে এক প্রতিবেদনে সীমান্তে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়।
কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষার প্রয়োজনে প্রথমে সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হবে। যদি এতে হামলাকারী নিবৃত না হয় এবং জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে গুলি ছোড়া যাবে, তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই হাঁটুর নিচের অংশে।
কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কাই যেন নেই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ফেলানী হত্যার দৃশ্যই কি মনে করিয়ে দেয় না, বিএসএফ গুলি ছোড়ে স্রেফ হত্যার উদ্দেশ্যেই। বিএসএফ কোনো ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেনি যে, হতাহতের শিকার মানুষগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।
সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার একশ্রেণির মানুষ কৃষি ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।
এই হত্যার শিকার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান কর্মের সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ বিএসএফের। কিন্তু দুই দেশের আইন অনুযায়ী, কেউ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে, কাঁটাতার কাটলে বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে ওই দেশের আইনানুযায়ী বিচার করতে হবে।
কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোড়া বা নির্যাতন করা যাবে না।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের এমপিকে ইসির তলব
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
বাংলাদেশের জলসীমানায় এ প্রবেশ করেছে এমভি আবদুল্লাহ
ডিজিটাল ডেস্ক:
সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে।
তবে জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম শনিবার (১১ মে) এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আব্দুল্লাহ। ১৩ মে বিকাল নাগাদ আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছাতে পারে বলে তিনি জানান। সেখানে কিছু পণ্য খালাস করবে। এতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তারপর চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাকি পণ্য খালাস করবে।
এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম যাবেন, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মিজানুল ইসলাম।
জাহাজের মালিকপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছাতে পারে ১২ মে। জাহাজে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর রয়েছে।
জাহাজ চলচাল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিটাইম ট্রাফিক এর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ শ্রীলঙ্কার কাছেই বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। ভারতের পূর্ব উপকূলে জাহাজের অবস্থান দেখানো হয় মেরিটাইম ট্রাফিকের ওয়েব ম্যাপে।
১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয়।
এর ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। এর পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয় এটি।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের এমপিকে ইসির তলব
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
পিস্তল ঠেকিয়ে স্বর্ণালংকার লুট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়নি আদালত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে নারীর কপালে পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বন্যা বেগম নামের ওই ভুক্তভোগী নারী এ অভিযোগ করেন। তবে মামলাটি নথিভুক্ত করেনি আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শওকত আলী জানান, মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমসহ তার ৮ সহকর্মীকে আসামি করা হয়। তবে সহকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় বন্যা বেগমের স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদীপক্ষের কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে।
মূল আসামি হলেন এনামুল কবীর, যিনি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসে এ ঘটনা ঘটান। সোমবার (১৩ মে) দুপুরের দিকে মামলার কপি আদালতে জমা দেওয়া হয়। তবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (দ্রুত বিচার আইন) এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি কিংবা শুনানি বিষয়েও কিছু বলেননি। ফলে, মামলাটি নথিভুক্ত হয়নি।
এদিকে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম সোমবার সকাল থেকে শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ওসি ক্রাইম হাবিবুল্লাহ বাহার।
মামলার আবেদন ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নুরুল আলম নুরুর বিরুদ্ধে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়।
এতে অভিযোগ আনা হয়, নুরুল ইসলাম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলা করেন।
সেই মামলায় গত শুক্রবার বিকালে প্রবাসী নুরুল ইসলামকে ধরতে সাদা পোশাকে অভিযানে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিমসহ আরও কয়েকজন। প্রবাসী নুরুকে না পেয়ে বাড়িতে থাকা নারীসহ উপস্থিত মেহমানদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। তারা নুরুল ইসলামের স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে।
একপর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিম প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরে থানা নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
তবে অভিযুক্ত গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিমের দাবি, প্রবাসী নুরুল ইসলামকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে তার পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ধস্তাধস্তির সময় তার হাতে পিস্তল ছিল। তবে কারও দিকে পিস্তল তাক ও মারধর করা হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামি ধরা, সেই লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশনে যাইনি।
তদন্ত টিমের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ শাখা মো. জয়নাল আবেদীন জানান, তদন্ত শুরু করেছি। ঘটনাটির আইনগত সব বিষয় দেখছি। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। তারা কীভাবে ঘটনাস্থলে গিয়েছে সে সব দেখা হচ্ছে। আশা করছি ৩ কার্যদিবসেই প্রতিবেদন দিতে পারব।
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারী বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা,নাকাল নগরবাসি
শনিবার ১১ মে ২০২৪