Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শীতে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪১০জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে জলবায়ুর তাপমাত্রা কম থাকায় ঠান্ডা অনুভূত হয়। শীতকালে আবার শৈত্যপ্রবাহের কারণে সূর্যের তাপও কম থাকে।

আর এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে রোগ জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদির বংশবিস্তার ঘটে দ্রুত।

নানা ধরনের জীবাণুবাহিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শীতে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে এ সময় শারীরিক সমস্যা, চর্মরোগসহ ফুসফুসজনিত নানা সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। সব মিলিয়ে এ সময় সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের।

শীতে কোন কোন রোগ বাড়ে?

গলা ব্যথা ও কাশি
গলা খুসখুস করা, ঠান্ডায় কাশি হওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা দেয় শীতে। গরম ভাঁপ নিলে বা গড়গড়া করলে ও ঠান্ডা এড়িয়ে চললে অনেক সময় এর সমাধান মেলে।

অ্যালার্জি
শীতের সময় শুষ্কতার কারণে শরীরের ত্বক ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে অনেক সময় চুলকানি বা ব্যথা অনুভব হতে পারে। অ্যালার্জির কারণে অনেক সময় তীব্র শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কোল্ড বা ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা ছাড়াও শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।

নাক দিয়ে রক্ত ঝরা
শীতকালে বাতাস শুকনো হয়ে যায়, বাচ্চারা বারবার নাকে হাত দেয়, সর্দির বারবার নাক পরিষ্কার করা হলে এমন সমস্যা হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অভিভাবকদের অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

টনসিল
শীতের হিম বাতাসে টনসিল গ্রন্থির ক্ষতি হয়, ফলে প্রদাহ হয়ে ফুলে ওঠে, গলা ব্যথা, ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয়। টনসিল গ্রন্থিতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস দ্বারা ইনফেকশন হয়, প্রচন্ড ব্যথা হয় আবার এতে পুঁজও হয়। ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

মশাবাহিত রোগ
শীতকালে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগসহ নানা ভাইরাস জ্বরের রোগের প্রকোপ দেখা যায়। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর আসা, বারবার জ্বর আসা, গিঁটে ব্যথা ইত্যাদির লক্ষণ দেখা গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মলত্যাগে সমস্যা
হঠাৎ করে ঠান্ডার কারণে শিশুদের, অনেক সময় বড়দেরও পাতলা পায়খানা হতে দেখা যায়। বিশেষ করে যখন বেশি ঠান্ডা পড়ে, তখন বয়স্কদেরও পাতলা পায়খানা হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে বাইরের খাবার একেবারে খাওয়া উচিত না।

সাইনোসাইটিস
সাইনোসাইটিসের কারণে সাইনাস গ্রন্থিগুলোতে শ্লেষ্মা জমে বাতাস চলাচলের রাস্তা ব্লক হয়ে যায়। ফলে শ্বাসতন্ত্রের স্বাভাবিক কাজ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।

সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি বন্ধ নাক, মাথাব্যথা, চোখব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, গলার স্বর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন যন্ত্রণা ভোগ করেন।

স্নায়ুরোগ
শীতের সময় হাত-পা ঠান্ডা অবস্থায় রক্ত চলাচল কম হয়। এতে নার্ভ ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া রক্তশূন্যতার রোগী ও বৃদ্ধরাও শীতে নার্ভের জটিলতায় ভুগে থাকেন।

অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগালে নার্ভের পাশাপাশি মাংসপেশি ও হাঁড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নার্ভ, হাঁড় ও মাংসপেশির নানান অসুখ হয়।

টিনিটাস
শীতে ঠান্ডা লেগে নাক, কান ও গলার প্রদাহ থেকে টিনিটাস নামক একটি কষ্টকর সমস্যা সৃষ্টি হয় অনেকেরই। এতে আক্রান্ত কানে অনবরত বাঁশির মতো শব্দ হতে থাকে।


আরও খবর



বিশ্ব কবি রবী ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইনঃ


আজ পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী। ১৮৬১ সালের (বঙ্গাব্দ ১২৬৮) এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকবি।


যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মা সারদা সুন্দরী দেবী। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ (৭ আগস্ট ১৯৪১) কলকাতায় পৈত্রিক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।


রবীন্দ্রনাথ একাধারে ছিলেন কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়।


 অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে সমসাময়িক বিশ্বে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তার সাহিত্যকর্ম অনূদিত ও পাঠ্য সূচিতে সংযোজিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।


বিশ্বকবি ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রাহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কবিগুরু সেখানেই বসবাস করেন।


 ১৯০৫ সালে জড়িয়ে পড়েন বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘শ্রীনিকেতন’ নামে সংস্থা। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বিশ্বভারতী’।


১৮৯১ সাল থেকে বাবার আদেশে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে, পাবনা, নাটোরে ও উড়িষ্যায় জমিদারিগুলো তদারকি শুরু করেন। শিলাইদহে তিনি দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেন। এখানে জমিদার বাড়িতে রচনা করেন অসংখ্য কবিতা ও গান। ১৯০১ সালে শিলাইদহ থেকে সপরিবারে কবি বোলপুরে শান্তিনিকেতনে চলে যান।


রবী ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার দেওয়া বাণীতে বলেন, ছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনবোধের প্রধান পাথেয় ছিল মনুষ্যত্বের বিকাশ, মানবমুক্তি ও মানবপ্রেম। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য অঙ্গনের এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার ও প্রবন্ধকার। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি।


রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান। শুধু সাহিত্য সাধনা নয়, পূর্ববঙ্গের জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র প্রজাসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানবিক বিকাশের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক। তার হাতেই বাংলা কবিতা, গান, ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, গীতি নাট্য, নৃত্য নাট্য পূর্ণতা পেয়েছে। বাংলা সাহিত্য স্থান করে নিয়েছে বিশ্বসভায়।


 তিনিই প্রথম বাঙালি কবি, যিনি এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ শান্তি ও মানবতার কবি। বিশ্বমানবতার সংকটে তিনি সবসময় গভীর উদ্বেগ বোধ করতেন। রবীন্দ্র দর্শনের প্রধান বিষয় অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বিশ্বমানবতাবোধ ও মানুষে মানুষে মিলন। 


রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা বিজ্ঞানভিত্তিক, যা আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার (রবীন্দ্রনাথের) রচনা আলোক শিখা হয়ে বাঙালিকে দেখিয়েছে মুক্তির পথ। বাঙালির সুখে-দুঃখে তার গান যেমন দিশা দিয়েছে, বাঙালির জাতীয় সংকটেও তার গান হয়ে উঠেছে একান্ত সহায়।


 ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান হয়ে উঠেছিল মুক্তিকামী বাঙালির চেতনা সঞ্চারী বিজয় মন্ত্র।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। 


এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।


বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান মালা উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।


 রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।


আরও খবর

রাজধানীতে গ্রেফতার ২৩

সোমবার ১৩ মে ২০২৪




বাবা-মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন হায়দার আকবর খান রনো

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর জানাজা আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। 


জানানা শেষে বনানী কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।


জানা গেছে, সোমবার সকাল ১০টায় সিপিবি অফিসে তার মরদেহ নেওয়া হবে। পরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মরদেহ। 


বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।



সিপিবি সূত্র জানিয়েছেন, হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ ধানমন্ডিতে তার বাস বাসভবনে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মরদেহ সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে রাখা হবে। তার মেয়ে ও নাতি-নাতনী দেশে ফিরবেন বলে অপেক্ষা করা হচ্ছে। 


আগামী সোমবার বনানী কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।


 শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।



মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হায়দার আকবর খান রনোর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে।


বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দীর্ঘদিন থাকলেও ২০১০ সালে মতভিন্নতার কারণে দলটি ছেড়ে হায়দার আকবর খান সিপিবিতে যোগ দেন।


 ২০১২ সালে তাকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। এরপর তিনি সিপিবির উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।


আরও খবর



প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার দায় ইসির নয় : সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা।

সিইসি বলেন, যারা নির্বাচন করবে তাদের প্রার্থী বলা হয়। একজন, দুইজন, চারজন, পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে। আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচন মোটেই নিয়মরক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটা দেশের শাসনব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন।


আরও খবর

রাজধানীতে গ্রেফতার ২৩

সোমবার ১৩ মে ২০২৪




ভারতের দয়ায় নয়, নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইন:

ভারত আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তার এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভারতকে খুশি করার দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।


ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু, পরীক্ষিত বন্ধু। নির্বাচনের সময় যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন ভারত একটা কথাও বলেনি, কোনো ভূমিকা রাখেনি। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরদেরই মানায়।

বিএনপির ঘরে গণতন্ত্র নেই, বাইরেও গণতন্ত্র নেই দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায় বলে নির্বাচনে অংশ নেয় না। যারা বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করতে পারে তারা দেশের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই করতে পারে।

বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস ও রক্তপাত। কাজেই গোটা রাজধানীকে যদি তাদের ওপর ছেড়ে দেই তাহলে জনগণের জানমাল সুরক্ষায় সমস্যা হয়। সেজন্য আমাদের মাঠে থাকতে হয়। কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, জনগণের সুরক্ষার জন্যই আওয়ামী লীগকে মাঠে থাকতে হয়।

সমাবেশ থেকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যটাই বিএনপির রাজনীতি। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিএনপি সুযোগ পেলেই ফনা তুলে রাষ্ট্র ও জানমালের ক্ষতি করবে।


শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণ রেখেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ধান কাটার মৌসুম। আবার অনেক এলাকায় ঝড় তুফান হয়েছে। তাই ভোট কিছুটা কম পড়েছে। আমার প্রশ্ন, বিএনপির আমলে কোনো নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে?

ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ভোট বর্জনের আহ্বানকে দলের নেতাকর্মীরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দলটি যাদের বহিষ্কার করেছে তাদের মধ্যে অনেকেই নির্বাচিত হয়েছে।

কারণ তাদের কোনো নেতাকর্মী দলের সিদ্ধান্ত মানে না। যতদিন তারা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে না, ততদিন তারা জনবিচ্ছিন্ন হবেই বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আবার নৈরাজ্য করলে বিএনপি ডাবল শিক্ষা পাবে মন্তব্য করে কাদের বলেন, নৈরাজ্য করে বিএনপি নেতারা ‘একটা শিক্ষা’ পেয়েছে। আবার নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করলে এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়বো।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ চলছে। আমরা কয়েকবার বলেছি, দুষ্ট ছেলে ইসরায়েল এখন যুক্তরাষ্ট্রকেও মানে না। হিটলারের হলোকাস্টের মতো আজ নেতানিয়াহু গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও তারা একা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটি সারা বিশ্বের জন্য আতঙ্কের বিষয়। সারা বিশ্ব এ নিয়ে সোচ্চার। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে কর্মসূচি করছে মানুষ।

বিএনপি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলছে না। ছাত্রলীগ বড় সমাবেশ করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সভা আজ সোমবার বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।


 রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা ডাকা হয়েছে।



রবিবার (৫ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 



দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সৃভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।



সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।


আরও খবর