Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

শীতে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭০১জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতে শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে জলবায়ুর তাপমাত্রা কম থাকায় ঠান্ডা অনুভূত হয়। শীতকালে আবার শৈত্যপ্রবাহের কারণে সূর্যের তাপও কম থাকে।

আর এ কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে রোগ জীবাণু যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদির বংশবিস্তার ঘটে দ্রুত।

নানা ধরনের জীবাণুবাহিত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শীতে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে এ সময় শারীরিক সমস্যা, চর্মরোগসহ ফুসফুসজনিত নানা সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। সব মিলিয়ে এ সময় সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের।

শীতে কোন কোন রোগ বাড়ে?

গলা ব্যথা ও কাশি
গলা খুসখুস করা, ঠান্ডায় কাশি হওয়া থেকে শুরু করে রাতে ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা দেয় শীতে। গরম ভাঁপ নিলে বা গড়গড়া করলে ও ঠান্ডা এড়িয়ে চললে অনেক সময় এর সমাধান মেলে।

অ্যালার্জি
শীতের সময় শুষ্কতার কারণে শরীরের ত্বক ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে অনেক সময় চুলকানি বা ব্যথা অনুভব হতে পারে। অ্যালার্জির কারণে অনেক সময় তীব্র শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কোল্ড বা ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা ছাড়াও শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়।

নাক দিয়ে রক্ত ঝরা
শীতকালে বাতাস শুকনো হয়ে যায়, বাচ্চারা বারবার নাকে হাত দেয়, সর্দির বারবার নাক পরিষ্কার করা হলে এমন সমস্যা হয়। নাক দিয়ে রক্ত পড়লে অভিভাবকদের অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

টনসিল
শীতের হিম বাতাসে টনসিল গ্রন্থির ক্ষতি হয়, ফলে প্রদাহ হয়ে ফুলে ওঠে, গলা ব্যথা, ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয়। টনসিল গ্রন্থিতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস দ্বারা ইনফেকশন হয়, প্রচন্ড ব্যথা হয় আবার এতে পুঁজও হয়। ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

মশাবাহিত রোগ
শীতকালে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগসহ নানা ভাইরাস জ্বরের রোগের প্রকোপ দেখা যায়। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর আসা, বারবার জ্বর আসা, গিঁটে ব্যথা ইত্যাদির লক্ষণ দেখা গেলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মলত্যাগে সমস্যা
হঠাৎ করে ঠান্ডার কারণে শিশুদের, অনেক সময় বড়দেরও পাতলা পায়খানা হতে দেখা যায়। বিশেষ করে যখন বেশি ঠান্ডা পড়ে, তখন বয়স্কদেরও পাতলা পায়খানা হতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে বাইরের খাবার একেবারে খাওয়া উচিত না।

সাইনোসাইটিস
সাইনোসাইটিসের কারণে সাইনাস গ্রন্থিগুলোতে শ্লেষ্মা জমে বাতাস চলাচলের রাস্তা ব্লক হয়ে যায়। ফলে শ্বাসতন্ত্রের স্বাভাবিক কাজ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।

সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি বন্ধ নাক, মাথাব্যথা, চোখব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, গলার স্বর পরিবর্তনসহ বিভিন্ন যন্ত্রণা ভোগ করেন।

স্নায়ুরোগ
শীতের সময় হাত-পা ঠান্ডা অবস্থায় রক্ত চলাচল কম হয়। এতে নার্ভ ঝুঁকিতে থাকে। এছাড়া রক্তশূন্যতার রোগী ও বৃদ্ধরাও শীতে নার্ভের জটিলতায় ভুগে থাকেন।

অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগালে নার্ভের পাশাপাশি মাংসপেশি ও হাঁড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নার্ভ, হাঁড় ও মাংসপেশির নানান অসুখ হয়।

টিনিটাস
শীতে ঠান্ডা লেগে নাক, কান ও গলার প্রদাহ থেকে টিনিটাস নামক একটি কষ্টকর সমস্যা সৃষ্টি হয় অনেকেরই। এতে আক্রান্ত কানে অনবরত বাঁশির মতো শব্দ হতে থাকে।


আরও খবর

মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিমেইল অ্যাকাউন্ট খালি করার টিপস

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৫৯জন দেখেছেন

Image

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নগরভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ঢাকা মহানগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম অনুষ্ঠিত হয়। আজকের সভায় গত ২৭তম সভার সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়নে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতাধীন নগর পরিবহনের রুটে যদি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তবে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই রোডগুলো বিশেষ কারও জন্য বা বিশেষ কোনো পরিবহনের জন্য আমরা বরাদ্দ রাখতে চাই না। আমরা চাই যেকোনো উপায়ে এই রুটগুলোতে শৃঙ্খলিতভাবে গণপরিবহনগুলো চলাচল করুক। আর এর জন্য যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার, আমরা সবগুলোই পদক্ষেপ নেবো।

তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যা অনুযায়ী কোনো রুটে কতক্ষণ পর পর কয়টি বাস চলাচল করবে সেসব বিষয়ে আমরা আরো বিস্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি নগর পরিবহন সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য আরো কতটা আধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব করা যায় সে সব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এছাড়া আগের যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেগুলোর সমাধানের মাধ্যমে আমরা ওভারকাম করতে পারব। 

নগর পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ের বিষয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে আজকে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। এই বিষয়টি যদি কারো কোনো অভিযোগ থাকে, অথবা পরামর্শ থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তী সভায় আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী। এছাড়া বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য-সচিব এবং ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতারসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সব শেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৭ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঢাকা নগর পরিবহনের বহরে ১০০টি ইলেকট্রিক বাস সংযোজন করা হবে। এছাড়া নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ন রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক রুটভিত্তিক কোম্পানির অধীনে বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। পরে ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পান ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি ১১টি সভা করেছেন। এরপর মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস কমিটির দায়িত্ব পান। তার তত্ত্বাবধানে ২৭তম সভা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১২ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশপনের প্রশাসকের সভাপতিত্বে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৮তম সভা অনুষ্ঠিত হলো।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যমুনায় চলছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের (কেবিনেট) বৈঠক চলছে।


বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও কার্যালয় যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এ বৈঠক শুরু হয়েছে। 



এর আগে, সকাল ১০টা থেকে উপদেষ্টাদের যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বৈঠকটি চলবে বলে জানা গেছে।


গত ২৭ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানসহ পাঁচ উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহামদ ইউনূস ছয়টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন।



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। 


গত ৮ আগস্ট বঙ্গভবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।


ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ। পরদিন ৯ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।


পরে ১১ আগস্ট শপথ নেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।


সবশেষ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে নতুন করে আরও চার উপদেষ্টা শপথ নেন। নতুন উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। ওইদিন অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হয়।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, শত শত রোগীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৬৯জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালের শত শত রোগী।

এদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের পরিচালক সব বিভাগের প্রধানসহ চিকিৎসকদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেছেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তবে রোগীর স্বজনরা অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসক ও ওয়ার্ড বয়দের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করছি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মানিক বলেন, আমার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত। হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাইনি। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।

ইরফান নামে আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আমার স্ত্রীর আজ সকালে ডেলিভারি হওয়ার কথা। কিন্তু এখানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। আমার স্ত্রীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমার স্ত্রীর কিছু হলে সব দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমাধানের জন্য আলোচনা করছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম চালু হবে।


আরও খবর

৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার তেলের দাম কম। সেই সঙ্গে যেসব রুশ কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা নেই, ভারত তাদের কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। ভারতের তেলমন্ত্রী হরদীপ সিং এ কথা বলেছেন।

ইউক্রেনের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম বেঁধে দেওয়া। তবে ভারত যার কাছ থেকে সস্তায় তেল পাবে, তার কাছ থেকেই তেল কিনবে বলে জানিয়েছে দেশটির তেলমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে গ্যাসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন হরদীপ সিং। খবর ইকোনমিক টাইমস।

মঙ্গলবার ভারতের তেলমন্ত্রী বলেন, কোনো কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এবং তারা যদি সস্তায় তেল দিতে পারে, তাহলে ভারত অবশ্যই তাদের কাছ থেকে তেল কিনবে। সবচেয়ে সস্তা দরে যারা তেল দেবে, তাদের কাছ থেকে তেল কেনা হবে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপের দেশ ও জাপানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে, ভারত একাই কিনছে না।

ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল আমদানিকারী দেশ। চাহিদার ৮৮ শতাংশ আমদানি করতে হয় তাদের। ভারতের তেলমন্ত্রী মনে করেন, ভারতের জ্বালানির চাহিদা আরও বাড়বে। তেলের পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাস ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকেও ভারতের জ্বালানি ব্যবহার বাড়বে।

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। দেশটির বার্ষিক তেল পরিশোধন সক্ষমতা ২৫২ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন বা প্রতিদিন পাঁচ লাখ চার হাজার ব্যারেল। দেশটি তেল পরিশোধন সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।

ভারতের তেলমন্ত্রী বলেন, এখন তেল পরিশোধন সক্ষমতা ৩০০ মিলিয়ন বা ৩০ কোটি মেট্রিক টন পর্যন্ত উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রকল্প চলমান আছে। তিনি আরও বলেন, তেল পরিশোধন সক্ষমতা ৪০ থেকে ৪৫ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হরদীপ সিং বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দিয়েছে এবং ভারত যেকোনো উৎস থেকে সর্বনিম্ন দামে তেল ও গ্যাস কিনতে প্রস্তুত।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ভারতের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস কেনার গতি কমে গেছে। বর্তমানে জ্বালানির মাত্র ৬ শতাংশ গ্যাস ব্যবহার করে তারা। ২০৩০ সালের মধ্যে তারা সেটিকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার চিন্তা করছে, যদিও বিষয়টি নির্ভর করছে দামের ওপর।

হরদীপ সিং বলেন, গ্যাসের দাম স্থিতিশীল হলে বা কমলে জ্বালানি ব্যবহারে গ্যাসের অনুপাত বাড়বে। এদিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের নতুন সুযোগ খুঁজছে। তেলমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত গায়ানার সঙ্গে আলোচনা করেছে, যেখানে ১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ব্যারেলেরও বেশি পুনরুদ্ধারযোগ্য তেলসম্পদ আছে।

সাক্ষাৎকারে হরদীপ সিং আরও বলেন, ভারত নিজ দেশে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম তেল ও গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে।


আরও খবর

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একনেকে বসতে যাচ্ছে ইউনূস সরকার

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ক্ষমতাচ্যুতরা চুপচাপ বসে থাকবে না : ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

তিনি বলেন, ‘এতদিন চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিলো। তাদের স্বপ্ন শিক্ষার্থীরা ভেঙে দিয়েছে। তারা কী এখন চুপচাপ বসে থাকবে? মোটেও না। খুব চেষ্টা করবে তোমাদেরকে যেন দুঃস্বপ্নের লুকিয়ে দেওয়ার। তারা চেষ্টার ত্রুটি করবে না। যেটা শুরু করছো সেই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে বেরিয়ে যেও না।’

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে এই সুযোগ আর আসেনি। যে সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ এটা যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাত ছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না। এটা শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্রে যেন পরিণত হয়।শিক্ষার্থীদের দেখছি আর ভাবছি, কী একটা স্বপ্ন আমাদের সামনে, জাতির সামনে তোমরা নিয়ে এসেছ।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকে স্মরণ করে তিনি বলেন, যারা শহীদ হয়েছে আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ তাদেরকে দেওয়া হয়নি। যখন হাসপাতালে আহতদের দেখার জন্য যাই তাকাতে কষ্ট হয়। একজন তরুণকে যখন দেখতে যাই তখন সে জিজ্ঞেস করে স্যার, ক্রিকেট খেলব কীভাবে? ক্রিকেট তার মাথা থেকে সরছে না। যতবার দেখি, মনে প্রশ্ন জাগে এটাই আমরা বাংলাদেশ বানিয়েছি?

‘কালকে একটা হাসপাতালে গেলাম, আবার সেই দৃশ্য। তরুণ প্রাণ, অনেকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। অনেকের শরীরে গুলি রয়ে গেছে। বেঁচে আছে।’ 

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যতবার শুনি, যতবার দেখি, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সেই স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করব। এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতের সময় যে দৃশ্য দেখছি সেটা তো সবাই দেখছে না। যারা হাসপাতালে আসছেন তারা হয়তো অনুধাবন করতে পারছে। মানুষকে জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। কি নৃশংসতা ছিল।


আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪