Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো-নাঈম (১৯), যুবরাজ (১৯), দিপু (২০) ও পিয়াস (২০)। 

গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৮টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল তাতখানা সৈয়দপুর এলাকার রোহানের ২য় তলা বাড়ির ছাদের এ ঘটনা ঘটে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গত ২৯ জুন ঘটনার পর গতকাল বুধবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করলে রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত চারজনকে বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।

ওসি আরো জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়ের সাথে গ্রেফতারকৃত নাঈমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। এরই সূত্র ধরে তাকে এনে সংবদ্ধভাবে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।


আরও খবর



আবারও প্রশ্নের মুখে তানজিন তিশা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৬২জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন, বিনোদন ডেস্কঃ


টানা কয়েক বছর দাপটের সঙ্গে অভিনয় করা ছোট পর্দার মডেল অভিনেত্রী তানজিন তিশার সময়টা ভালো যাচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। 


মূলত গত বছরের শেষের দিক থেকেই ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ মন্দা সময় পার করছেন তিনি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনায় ছিলেন এই আভিনেত্রী। নতুন বছরের শুরু থেকেই কোনো না কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। 


সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারই অঙ্গনের একজন ‘অপরাধী’র কথা শেয়ার করতে চান জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। তিশার এই পোস্টটি নিয়ে যখন আলোচনা শুরু হয়, তখন সেটি তিনি সরিয়ে নেন। পরের দিন সকাল থেকে তানজিন তিশার সেই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে না।



কিন্তু এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তানজিন তিশার দেওয়া পোস্টটির স্ক্রিন শট ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তানজিন তিশা লিখেছেন, ‘আমি যদি চাই আমাদের অঙ্গনের একজন ক্রিমিনালের গল্প শেয়ার করতে পারি। শুধু তাই নয়, আমার সেই সাহস যেমন আছে, তেমনি আমার কাছে যাবতীয় প্রমাণও আছে।


 মনে রাখবে, আমি তোমাকে সবার কাছ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছি, তোমার খারাপ কাজ কাউকে জানতে দিইনি। একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার আগে সবচেয়ে জরুরি যে বিষয় তা হচ্ছে, একজন ভালো মানুষ হওয়া এবং বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া।’


ইংরেজিতে লেখা এই পোস্ট কিংবা হুমকি আসলে কাকে নিয়ে? এমন প্রশ্নে তুলকালাম মিডিয়া। তানজিন তিশার কথায় এটা পরিষ্কার, তিনি তার কোনো সহকর্মী অভিনয়শিল্পীর কথা বলেছেন, যার সঙ্গে তার সম্পর্কটা ব্যক্তিগত। নাটকসংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, তানজিন তিশা তার অভিনয়শিল্পী প্রেমিককে সবার সামনে হুমকি দেখাতে এমন পোস্ট গভীর রাতে দিয়েছেন। এরপর তাদের বোঝাপড়া হয়তো ঠিক হয়েছে, তাই পোস্ট সরিয়ে নিয়েছেন।


গুঞ্জন উঠেছে অনেক দিন ধরেই অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে রয়েছে তার প্রেমময় অসহিষ্ণু একটা সম্পর্ক। যার জেরে কয়েক দফা জেরবার হতে দেখা গেছে তানজিন তিশাকে। মিটেও গেছে সেটি। যেমনটা মিটল এবারও। রাতের আঁধার কাটার আগেই অভিনেত্রী মুছে নিলেন পোস্ট। বলে যাননি, অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প। দেখালেন না সাহস।


তানজিন তিশা আপাতত দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে টের পাওয়া গেছে তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলের দৌলতে। গত সপ্তাহেই চেক-ইন মিলেছে দুবাই হয়ে কুয়ালালামপুরে।


আরও খবর



ডিবির সংবাদ সম্মেলন : ‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মদকাশক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।



তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন যায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে ফেলতেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

 শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে আগামীকাল রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।

রাজধানীর মিরপুর থেকে গত বুধবার রাতে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিম। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মিরপুর মডেল থানায় ৩টি মামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বৃহস্পতিবার মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে জাল মৃত্যুসনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ দিতে কোম্পানিগুলো প্রস্তাব দিল সরকারকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

 নিউজ ডেস্কঃ

দেশে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কিন্তু অবৈধ গ্যাস-সংযোগের সংখ্যা কমে আসলেও তা বন্ধ বা নির্মূল হচ্ছে না। একদিকে উচ্ছেদ-হওয়া অবৈধ লাইনে পুনরায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে অনেক এলাকায়, অন্যদিকে নতুন অবৈধ সংযোগও কম নয়।

এমন বাস্তবতায় আবাসিক খাতে বা গৃহস্থালিতে সীমিত আকারে গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

এ প্রসঙ্গে এ খাতের সবচেয়ে বড় বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নাগরিক চাহিদা বিশ্লেষণ এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সক্ষমতা বিশ্লেষণ করে দেখেছি- বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গ্যাস-সংযোগ নির্মূল করা সম্ভব নয়।

কারণ- যে ভবনগুলোতে আগেই সংযোগ রয়েছে সেগুলোর তলা (ফ্লোর) বৃদ্ধি পেলে ভবনমালিকদের বড় অংশ অবৈধ সংযোগ নেয়। এক্ষেত্রে বিতরণ কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনেক সময় অন্যায় সহযোগিতা করে।

প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মকর্তারও এতে সায় থাকে। আবার প্রভাবশালীদের তদবিরে ও দাপটেও অনেক সময় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা যায় না। নতুন এলাকায় বা ভবনে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বন্ধ বা বিচ্ছিন্ন করা কিছুটা সহজ। কিন্তু সংযোগ থাকা বিদ্যমান ভবনে তা কঠিন।

তাই যে ভবনগুলোতে তিতাসের সংযোগ রয়েছে সেগুলোর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হলে নতুন সংযোগ দিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে।


তবে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক নতুন-পুরনো ভবনে গ্যাস কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অগণিত অবৈধ সংযোগ দিয়েছে একাধিক দুষ্টচক্র।

সেগুলোকে বৈধ করতে তাদের গ্রাহকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। সেই চাপ সরাতে এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ভবনের সম্প্রসারিত অংশে গ্যাস-সংযোগ দিতে প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছে। তবে আবাসিকে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাস্তবায়ন করে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেওয়া গেলে তা মন্দ হবে না। গ্যাসের চুরি ও অপচয় অন্তত : রোধ করা যাবে। আর সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

তিতাস গ্যাস সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে ৮ লাখ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিতাস গত দুই বছরে ৩৩৬টি শিল্প, ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ৯৭টি ক্যাপটিভ পাওয়ার, ১৩টি সিএনজি স্টেশন এবং ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন লাইন অপসারণ করেছে। মোট ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আবার অনেক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মারধরের শিকার এবং ধাওয়া খাওয়ার ঘটনাও রয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল কাওরানবাজারে তিতাস কার্যালয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তিতাসের কর্মকর্তারা আগে থেকেই যে সব গ্রাহকদের অনুমোদিত গ্যাস-সংযোগ রয়েছে তাদের চুলা বা বার্নার বৃদ্ধির অনুমোদন যাতে দেওয়া হয় সেই প্রস্তাব করেন ঐ বৈঠকে।

তারা বলেন, ঢাকার অধিকাংশ বাড়িতে অনুমোদনহীন চুলা রয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে বা ঘুষ দিয়ে অনুমোদনহীন সংযোগ নেওয়াদের মধ্যে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই রয়েছেন। তাই সংযোগ থাকা যে ভবনগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে সেগুলোতে বৈধ সংযোগ দেওয়া গেলে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

এ প্রস্তাব গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনাটি উপস্থাপন করা হবে। তিনি অনুমোদন দিলে সেটি অনুমোদিত হবে।


আরও খবর



লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে।

২. ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনও চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩. সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪. টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থপাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনও অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

৬. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ছাড়া অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বিধায় কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবা প্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ছাড়া নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না।

আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীরা ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯. অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০. আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

 


আরও খবর



চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image


রাজনৈতিক প্রতিবেদক:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন।

এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।

আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

১. শিক্ষামন্ত্রী:

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন।


বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন।

যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী:

গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে।

এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী:

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।

 

 


আরও খবর