Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

সিকিমে বন্যায় নিহত বেড়ে ৪০, আটকা পড়েছেন ৩০০০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

ভারতের হিমালয়ার ছোট রাজ্য সিকিমে ব্যাপক বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয়জন সেনাও রয়েছেন। এছাড়া অন্তত তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো ১৬ জন সেনাসহ ৭০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। সেইসঙ্গে দুই হাজার ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতিমধ্যে অন্তত ১৪টি ব্রিজ ধসে গেছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও ভারত তিব্বত সীমা পুলিশের অনেকগুলি ছাউনি, গাড়ি এবং বহু বসতবাড়ি নদীর পানিতে ভেসে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সিকিমের তিস্তা নদীতে এমন ভয়াবহ পানির তোড় আর ধ্বংসলীলা তারা কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাচেন উপত্যকার লোনাক হ্রদের ওপরে একটা মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি হয় মঙ্গল ও বুধবার মাঝরাতের পরে। তার সঙ্গে গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিপাতও ছিল।

লোনাক হ্রদের ওপর ওই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে তিস্তায় পানির পরিমাণ হঠাৎই খুব বেড়ে যাওয়ায় চুংথাম বাঁধ খুলে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁধটির কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।

দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানাচ্ছে, কয়েকজন ট্রেকার, সেনা এবং ভারত-তিব্বত সীমা পুলিশের কয়েকজন সদস্যও নিখোঁজ রয়েছেন।


আরও খবর



আজ থেকে নতুন নোট মিলবে যেসব ব্যাংকে

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন শাখা, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যাংক শাখা থেকে পাওয়া যাবে টাকার নতুন নোট। এপ্রিলের ৯ তারিখ পর্যন্ত এ নতুন নোট পাওয়া যাবে। ৫, ১০, ২০, ৫০ এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের নতুন এসব নোট একজন গ্রাহক একবারই সংগ্রহ করতে পারবেন। গত ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনেকশন অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যে সব শাখাতে টাকার নতুন নোট পাওয়া যাবে : জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড করপোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব করপোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি করপোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের করপোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান শাখা (দিলকুশা), যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান শাখা।


আরও খবর



কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক চক্র উধাও

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের নামে অভিনব প্রতারণা ॥ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক চক্র উধাও

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের নামে অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর একটি প্রতারক চক্র। বিনিয়োগ করার এই ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সর্বস্ব হারিয়ে দেশের আইন আদালতের দারস্থ হলে মিলছে না প্রতিকার। কারণ ততদিনে প্রতারক চক্র উধাও। এমনই এক প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে রাজধানীর বাড্ডা থানায়। সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন ভূঁইয়া পাড়া এলাকার মৃত মেজবু’র ছেলে সাইদুজ্জামান (৩৫) একই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে আব্দুন নূর (৫০) এর সাথে দীর্ঘদিনের পরিচয় ও সুসম্পর্ক সুবাদে বিভিন্ন সময় পার্টনারে স্টক একচেঞ্জ (শেয়ার) ব্যবসা করার নিমিত্তে ছোট ছোট অংকের টাকা ধার নিতেন ও পরিশোধ করতেন। এভাবেই প্রতারক সাইদুজ্জামান বিশ^াস অর্জন করার পর একটি চেকের বিপরীতে সর্বমোট ২,৪০,৫০,০০০/= (দুই কোটি চল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়ে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আব্দুন নূর চেকের মেয়াদে চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে উল্লেখিত একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়ে যায়। প্রতারক সাইদুজ্জামানকে টাকা পরিশোধের জন্য বিগত ২৫/০৬/২০২৩ইং তারিখে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। কিন্তু ২৬/০৬/২০২৩ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ এর প্রাপ্তি স্বীকার করার ১ মাস পরেও পাওনা টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখান নাই প্রতারক সাইদুজ্জামান। পরবর্তীতে ২১/০৮/২০২৩ইং তারিখে আব্দুন নূর বাদী হয়ে সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ এসি এম এম-১ আদালত নং- ০২ ঢাকা বরাবরে ১৩৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ৩৭৬/২০২৩। 

ঘটনার অনুসন্ধানে গিয়ে সাইদুজ্জামান সম্পর্কে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যায় প্রতারণার বাণিজ্য করতে এক সময়ের মসজিদের ক্যাশিয়ার এই সাইদুজ্জামান গড়ে তুলেছেন একটি চক্র। আর এই চক্রের মাধ্যমেই তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে একই কায়দায় আত্মসাৎ করেছে কোটি কোটি টাকা। যাদের নাম এবং টাকার পরিমান ক্রমানুযায়ী দেওয়া হলো: (১) নূর হোসেন- ৫ লক্ষ টাকা, (২) তারিফ সরকার- ২১ লক্ষ টাকা, (৩) হামিদা আক্তার- ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, (৪) রনি- ৩৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, (৫) মফিজুল- ৫০ লক্ষ টাকা, (৬) হাফিজা- ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (৭) আল-আমিন- ৬ লক্ষ টাকা, (৮) সাইদ- ৬০ লক্ষ টাকা, (৯) শিপন- ৫ লক্ষ টাকা, (১০) মমিনুল- ৯ লক্ষ টাকা, (১১) ইকবাল গং- ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (১২) আল আমিন- ২৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, (১৩) ইয়াজ মোহাম্মদ- ১৮ লক্ষ টাকা, (১৪) ফাহিমা- ৭ লক্ষ টাকা, (১৫) তাজ মোহাম্মদ- ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, (১৬) রাজু আহমেদ- ৫ লক্ষ টাকা, (১৭) চকন গং- ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (১৮) হাবিব- ৭০ লক্ষ টাকা, (১৯) শাহিন- ২৭ লক্ষ টাকা, (২০) কাউসার- ২০ লক্ষ টাকা, (২১) আমিনুল- ৫ লক্ষ টাকা, (২২) নাদিম- ৫ লক্ষ টাকা, (২৩) রবিন- ১০ লক্ষ টাকা, (২৪) রনি- ৩৭ লক্ষ টাকা, (২৫) আবুল কালাম- ৫লক্ষ টাকা, (২৬) তাইজুল ইসলাম- ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (২৭) আলম- ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, (২৮) সুমন- ৩৫ লক্ষ টাকা, (২৯) রাশেদুল- ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (৩০) মোঃ রাজিব হোসেন- ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, (৩১) আসলামুজ্জামান স্বপন- ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, (৩২) হাফিজুল্লাহ্- ৬ লক্ষ টাকা, (৩৩) দ্বীন মোহাম্মদ- ৬ লক্ষ টাকা, (৩৪) উজ্জ্বল- ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (৩৫) ফয়সাল- ২৬ লক্ষ টাকা, (৩৬) হোসনে আরা- ৮ লক্ষ টাকা, (৩৭) মোঃ কবির হোসেনÑ ৬ লক্ষ টাকা ও (৩৮) আমিন- ১৮ লক্ষ টাকা।

প্রতারক সাইদুজ্জামান এর এই চক্রের আরো সদস্য হলেন (১) আয়েশা বেগম ও (২) সোহেল যারা সবই বর্তমানে ওয়েরেন্টভুক্ত আসামী। সাইদুজ্জামানকে ধরিয়ে দিতে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারের ঘোষনা দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এ প্রতারক চক্রের মূল হোতা সাইদুজ্জামানসহ তাদের সহকারীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবীর জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা। 



আরও খবর



ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরাইলের হামলা, নিহত ১৭

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩০ জন। রবিবার সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এর আগে ওই প্রতিবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের সংখ্যা ১২ বলে জানানো হয়েছিল। পরে তা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গাজার আল কুয়েত গোলচত্ত্বরে ত্রাণের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা ফিলিস্তিনিদের ভিড়ে গুলিবর্ষণ করে ইসরায়েলি দখলদাররা। সাহায্য চাওয়া ফিলিস্তিনিরা জানুয়ারি থেকেই ওই গোলচত্ত্বরে জড়ো হচ্ছেন এবং ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকটি চলন্ত ট্রাক থেকে খাবার পেতে চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায় এবং এতে বহু লোক হতাহত হন। হামলার পর কিছু আহত লোক মাটিতেও পড়ে ছিল।  

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর আগে খাদ্য ও সহায়তা সরঞ্জাম সরবরাহকারী ট্রাকের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিক বার বড় পরিসরে হামলা চালিয়েছে এবং এতে বহু সাহায্যপ্রার্থী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গত শুক্রবারেও কুয়েত গোলচত্ত্বরে হামলা চালায় ইসরায়েলিরা। সেদিন ত্রাণের পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলি সেখানে জড়ো হয়েছিল। এটি দেখে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সেখানে ভিড় জমায়। এরপর সাহায্য বিতরণের সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন।


আরও খবর



অন্তরের মরিচা দূর করতে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

গুনাহ মানুষের অন্তরে মরিচা ফেলে। ফলে মানুষের অন্তর পাপপ্রবণ হয়ে ওঠে। ইবাদতে অনিহা সৃষ্টি হয়। ভালো কাজে অবহেলা বাড়ে, মন্দ কাজে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

তাই অন্তরে যাতে মরিচা না পড়ে কিংবা পড়লেও তা যাতে দ্রুত পরিষ্কার করা যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। অন্তরের মরিচা দূর করার পদ্ধতিও নবীজি (সা.) শিখিয়ে দিয়েছেন। নিম্নে তার কয়েকটি তুলে ধরা হলো : বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফার করা : ইস্তেগফার অন্তরের মরিচা দূর করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। তাই মুমিনের উচিত, অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। 

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও এই আমল করতেন। ইরশাদ হয়েছে, আগার আল-মুজানি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, কখনো কখনো আমার অন্তরের ওপরও মরিচা পড়ে। তাই আমি দৈনিক এক শবার ক্ষমা চাই। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১৫) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা যখন একটি গুনাহ করে তখন তার অন্তরের মধ্যে একটি কালো চিহ্ন পড়ে।

অতঃপর যখন সে গুনাহর কাজ পরিহার করে, ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাওবা করে, তার অন্তর তখন পরিষ্কার ও দাগমুক্ত হয়ে যায়। সে আবার পাপ করলে তার অন্তরে দাগ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তার পুরো অন্তর এভাবে কালো দাগে ঢেকে যায়। এটাই সেই মরিচা, আল্লাহ তাআলা যার বর্ণনা করেছেন, ‘কখনো নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের মনে জং (মরিচা) ধরিয়েছে।’ (সুরা মুত্বাফফিফীন : ১৪)।  (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৩৪)

মৃত্যুর স্মরণ ও কোরআন তিলাওয়াত : এ দুটি আমলও অন্তরের মরিচা পরিষ্কার করে।অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি করে। তাই নবীজি (সা.) অন্তরের শুদ্ধতার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি এই আমলগুলো করার তাগিদ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সা.) বলেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কোরআন তিলাওয়াত করা। (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ১৮৫৯)

ফিতনা এড়িয়ে চলা : ফিতনা-ফাসাদ মানুষের অন্তরকে কলুষিত করে। মুমিনের উচিত সর্বদা ফিতনা এড়িয়ে চলা। অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার চেষ্টা করা। হুজাইফা (রা.) বলেন, একদিন আমরা উমার (রা.)-এর কাছে ছিলাম। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-কে ফিতনা সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছ? উপস্থিত একদল বলেন, আমরা শুনেছি। উমার (রা.) বলেন, তোমরা হয়তো একজনের পরিবার ও প্রতিবেশীর ফিতনার কথা মনে করেছ। তারা বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, নামাজ, রোজা ও সদকার মাধ্যমে এগুলোর কাফফারাহ হয়ে যায়। কিন্তু তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.) থেকে বড় বড় ফিতনার কথা বর্ণনা করতে শুনেছ, যা সমুদ্র তরঙ্গের মতো ধেয়ে আসবে। হুজাইফা (রা.) বলেন, প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। আমি বললাম, আমি (শুনেছি)। উমার (রা.) বলেন, তুমি শুনেছ, মাশাআল্লাহ। 

হুজাইফা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, চাটাই বুননের মতো এক এক করে ফিতনা মানুষের অন্তরে আসতে থাকে। যে অন্তরে তা গেঁথে যায় তাতে একটি করে কালো দাগ পড়ে। আর যে অন্তর তা প্রত্যাখ্যান করবে তাতে একটি উজ্জ্বল দাগ পড়বে। এমনি করে দুটি অন্তর দুই ধরনের হয়ে যায়। এটি সাদা পাথরের মতো; আসমান ও জমিন যত দিন থাকবে তত দিন কোনো ফিতনা তার কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আর অপরটি হয়ে যায় উল্টানো সাদা মিশ্রিত কলসির মতো, তার প্রবৃত্তির মধ্যে যা গেছে তা ছাড়া ভালো-মন্দ বলতে সে কিছুই চিনে না।


আরও খবর



এমপি-নেতারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা কাউকেই প্রার্থী করতে পারবেন না। দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল কোনো নেতাও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে দল থেকে কোনো অবস্থায়ই কাউকে সমর্থন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রংপুরের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের ডাকা হয়েছে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ, উন্মুক্ত নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিরাসহ স্থানীয় নেতারা যার যার মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে উপজেলায় পছন্দের নেতাদের প্রার্থী করার এই প্রবণতাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা এলো। 

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বৈঠকের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানান। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কঠোর তাগিদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন। 

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামীতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তাই এসব নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন কর্মককাণ্ড ম্লান না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, রংপুর মহানগরসহ রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগাছায় আওয়ামী লীগে আগে থেকেই অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায়ও নতুন করে কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দল নিরসনসহ দল গোছাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিশেষ দুর্গম চরাঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

সূত্রমতে, বৈঠকে রংপুর মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা খর্ব করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের, যা এখন কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। একইভাবে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রংপুর মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহানগরের ছয় থানা কমিটি গঠনের এক বছর পার হলেও অনুমোদন না দেওয়া, আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করাসহ নানা কারণে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা বিরাজ করে, নেতকর্মীর মাঝেও দেখা দেয় বিভক্তি। গতকালের বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে স্থানীয় নেতারা এর অবসানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান। এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে থানা কমিটি অনুমোদনের ওই সিদ্ধান্ত আসে। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সমকালকে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে। যেখানে দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দলের পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। 

দলের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ বিভাগের কিছু কিছু সাংগঠনিক জেলায় সমস্যা আছে। যার সমাধানে বৈঠকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া থানা বা উপজেলা কমিটি গঠন বা ভাঙতেও কেন্দ্রের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নীলফামারী জেলা সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি জানান, বৈঠকে দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 

দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, আগামী নির্বাচনগুলো যাতে করে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকাসহ সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষণ্ন কিংবা হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই রকম কথা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ও কুড়িগ্রাম জেলার সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান।


আরও খবর