Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিকিমে বন্যায় নিহত বেড়ে ৪০, আটকা পড়েছেন ৩০০০

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

ভারতের হিমালয়ার ছোট রাজ্য সিকিমে ব্যাপক বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয়জন সেনাও রয়েছেন। এছাড়া অন্তত তিন হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো ১৬ জন সেনাসহ ৭০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। সেইসঙ্গে দুই হাজার ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইতিমধ্যে অন্তত ১৪টি ব্রিজ ধসে গেছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও ভারত তিব্বত সীমা পুলিশের অনেকগুলি ছাউনি, গাড়ি এবং বহু বসতবাড়ি নদীর পানিতে ভেসে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সিকিমের তিস্তা নদীতে এমন ভয়াবহ পানির তোড় আর ধ্বংসলীলা তারা কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাচেন উপত্যকার লোনাক হ্রদের ওপরে একটা মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি হয় মঙ্গল ও বুধবার মাঝরাতের পরে। তার সঙ্গে গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিপাতও ছিল।

লোনাক হ্রদের ওপর ওই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে তিস্তায় পানির পরিমাণ হঠাৎই খুব বেড়ে যাওয়ায় চুংথাম বাঁধ খুলে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁধটির কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।

দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানাচ্ছে, কয়েকজন ট্রেকার, সেনা এবং ভারত-তিব্বত সীমা পুলিশের কয়েকজন সদস্যও নিখোঁজ রয়েছেন।


আরও খবর



পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:


চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন পাইলট আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত বিমানটি ইয়াকোভলেভ ইয়াক-১৩০ মডেলের।



তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনার স্পষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে সূত্র বলছে, জহুরুল হক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ শেষে নামার সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বিমানের নিচের অংশে আগুন ধরে যায়।


এক ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়ন্ত অবস্থায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেলে বিমানটি পানিতে পড়ে যায়। পানিতে পড়ার আগে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায়।



চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের বিপরীতে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যায়।


 দুইজন পাইলট আগেই প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে বের হয়েছিলেন। তারাও নদীতে পড়েন। স্থানীয় নৌকা তাদের উদ্ধার করে।


তিনি আরও বলেন, ধ্বংসাবশেষের অবস্থান শনাক্ত করতে হাইড্রোগ্রাফি জরিপ জাহাজ পাঠানো হয়েছে। তল্লাশি ও উদ্ধারের জন্য কোস্ট গার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। বন্দরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



প্রচন্ড দাবদাহের পর দেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইন, চীপ রিপোর্টার:


দীর্ঘ অসহনীয় অতি তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টিতে সহনীয় হয়ে আসছে তাপমাত্রা। গতকাল শুক্রবার যশোর-চূয়াডাঙ্গা,ঈশ্বরদী এবং মংলা বাদে সারাদেশের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির নীচে। 


বৃষ্টি হয়েছে অধিকাংশ অঞ্চলে। আজ থেকে বৃষ্টিপাতের আরো বিস্তৃতির পূর্বাভাস রয়েছে। শেষ হতে চলেছে খর বৈশাখ। মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও এপ্রিলের মত আর ভয়ংকর হবে না। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন,অর্ধ শত বর্ষের রেকর্ড ভাঙা টানা ৩৩ দিনের তীব্র তাপদাহের প্রতিক্রিয়া-বিকীরন এবং আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘লা নিনা’র সক্রিয়তার প্রভাবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অস্বাভাবিক অতি বৃষ্টিপাত এবং বড় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। 


দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলে প্রতি বছর যে বন্যা হয়, এবার তা ব্যাপক আকারে রূপ নিতে পারে বলে অভিমত আবহাওয়াবিদদের। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ঘটেছে এবারের এপ্রিলে, যার গড় ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। 


১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড এবং দেশের শুষ্কতম মাসও ছিল এপ্রিল। সার্বিক গড়ে ৮১ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে গেল এপ্রিল মাসে। এই টানা বৃষ্টিহীনতা এবং বজ্রঝড় না থাকায় অতিমাত্রায় গরমে পুড়েছে দেশ।


জলবায়ু পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস গ্রুপ (সাসকোফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা এল নিনো বর্তমানে বিরাজমান। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজমান থাকবে। এরপর শুরু হবে লা নিনা। আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে অতিরিক্ত গরম পড়ে। অপরদিকে ‘লা নিনার’ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি, ঝড় ও বন্যা হয়ে থাকে। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়। 


এর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়। আবার দীর্ঘকালীন গড় তাপমাত্রা সীমার ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় ‘লা নিনা’ আর ওপরে গেলে বলা হয় এল নিনো। সচরাচর এই অবস্থা ৯ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। কখনো কখনো ৩ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 


দুই থেকে সাত বছর পরপর এই চক্র ফিরে আসতে পারে। সাধারণত এল নিনো শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লা নিনার গঠন শুরু হয়।



বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই অঞ্চলটিতে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে পরিচিত নয় অঞ্চলগুলোর মানুষ। গ্রীষ্মের শেষে বর্ষাকাল আসলেও এতে কোনো সুখবর থাকছে না। তীব্র গরমের পর তীব্র বৃষ্টিতে নাকাল হবে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল। বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মধ্য ভূটানের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।


আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা ‘সাউথ এশিয়া ক্লাইমেট আউটলুক’ জানায়,২০২৪ সালে দক্ষিণপূর্ব বর্ষা মৌসুমে (জুন-সেপ্টেম্বর) লা নিনার কারণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।


এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, এবারের বর্ষায় বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত। এ দেশে বর্ষায় বৃষ্টিপাত যেমন বেশি হবে, তেমনি বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।


এদিকে বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যার সতর্কতা জারি করেছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোর নদীগুলোতে পানির স্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে।


 নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও মৌলভীবাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর নদীর তীরে পানি ওঠায় দ্রুতই প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল ও হাওর এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। ৫ মে থেকে ৭ ই মে পর্যন্ত সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বর্ষাকালের মতো একনাগাড়ে ২ থেকে ৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। 


সিলেট ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের আশংকা করা হচ্ছে। ৩০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাত হতে পারে। পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের বেশিভাগ হাওর এলাকা প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সিলেট ও কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।


এদিকে আমাদের সিলেট অফিস থেকে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে হঠাত্ই খরস্রোতা হয়ে উঠেছে সিলেটের নদীগুলো। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপতসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,এ আবস্থা থাকলে বন্যা দেখা দিতে পারে। শুক্রবার  সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য নিশ্চিত করে। পাউবো জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১. ০৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 


এদিকে সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাতে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলেও বাড়তে শুরু করেছে পানির উচ্চতা। এতে প্ল­াবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কোনো কোনো নদী দিয়ে বিপত্সীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব কারণে কৃষকের  ফসলও ডুবতে বসেছে। তবে কৃষকেরা দ্রুত ফসল কেটে ঘরে তুলছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,  গত বৃহসপতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে।


 এদিকে কৃষি বিভাগ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে প্রবল বৃষ্টি, ঢল ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বলেছে, কৃষকরা যেন দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে নিয়ে যান এবং খড় নিরাপদ উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করেন।


আরও খবর



পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারত সরকার। তবে এবার সেই অবস্থান থেকে সরে এলো দেশটি।


শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিজিএফটি এক প্রজ্ঞাপনে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।


এছাড়া প্রজ্ঞাপনে প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।


প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এমন পদক্ষেপে স্বস্তি মিলবে সেখানের ব্যবসায়ীদের।



মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীরা অনেক আগে থেকেই পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালেও ভারত সরকার সীমিত আকারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে।


আরও খবর



রৌমারীতে প্রাণিসম্পদের এলডিডিপি প্রকল্পে অর্থ হরিলুট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image


এইচ এম মাহদী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট, ছাগল ও মুরগির ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজেই এসব কাজ করেন। সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে কাজগুলো উপকারভোগীদের সম্পাদন করার জন্য ব্যাংক হিসাবে টাকা দেয়া হয়েছিল, সেই টাকা কৌশলে প্রকল্পের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা তিনি নিজেই সেড নির্মাণ শুরু করেন।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট ও নানা অনিয়মে উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি অর্থ বছর ২০২২-২০২৩ এ বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই ঘর গুলো এতটাই নিম্ন মানের নির্মাণ করা হয়েছে যে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খচর হয়েছে মাত্র। বাকি টাকা আত্মাসাৎ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন। এদিকে উপকারভোগীদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

পওে একাউন্টে  টাকা আসলে চেকে সই করে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে টাকা গুলো নেন। যেখানে উপকারভোগীরা এই টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই কাজ করার কথা ছিল।

প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে পিজি সদস্যদের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়।

এমনকি ঘরের সাইন্ড বোর্ড এর জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শত থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। প্রকৃত ব্যয়ের সঙ্গে এসব ঘর নির্মাণ খরচের হিসাব কিংবা নেই কোনো ভাইচার।

তবে ১৩১ টি ঘর সকল ঘরের চিত্র একই। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

প্রতিটি সেড নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়  ৩৪ টি ঘরের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বাকি ৯৭ টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার করে ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এই দিয়ে মোট রৌমারী উপজেলায় ১৩১ টি ঘরের জন্য সর্বমোট ৩১ লক্ষ্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়।

অ্যাকাউন্ট-পে এই চেকের টাকা মালিক ছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষে উত্তোলন সম্ভব না। অথচ উপকারভোগী সদস্যদের কাছ থেকে চেক সই করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তার লোক দিয়ে এসব টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে রেখে তিনি নিজেই ঠিকাদার সেজে এসব ঘরের কাজ করেন।

অপর দিকে ইসলামী ব্যাংক রৌমারী শাখার পিজি সদস্যদের নামীয় অ্যাকাউন্টে এ টাকা দেয়া হয় মন্ত্রনালয় থেকে। সদস্যদের ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন দুই জন মিলে কৌশলে টাকাগুলো নিজেদের আয়ত্তে নেন। প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী নিজেরা সেড তৈরি করে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে সদস্যদের টাকা দিতে বাধ্য করেন।

তারা নিম্নমানের কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম দিয়ে নির্মাণকাজ করে কোনো মতে বুঝিয়ে দেন। কয়দিন যেতে না যেতে এসব ঘর গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এদিকে সেড ঘরের মেঝো পাকা করার কথা থাকলেও তা না করে অফিসের পক্ষ থেকে পাকা করার জন্য সদস্যদের সাড়ে পাচ হাজার করে টাকা চাপের মুখে পড়ে দেন ভুক্তভোগীদের।

এমন অনিয়মের আভাস পেয়ে এক সদস্য টাকা উত্তোলন করে তিনি নিজেই কাজ করেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দিয়ে টাকা আসলে চেকে সই করে টাকা উত্তোলন করেন।

পরে যে ঘর নির্মাণ করে দেন তা একে বারেই নিম্নমানের । একাধিক সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘরের পর্দা ও মুশরী দেওয়ার কথা তার কোনো খবর নেই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমাদের বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। তবে সেড নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তোর পাওয়া যায়নি।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। এলডিডিপি প্রকল্পের হরিলুট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ভিন্ন কথা বলে জানান যে, কোনো কাজ একশত পারসেন হয়না।

এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি ঠিকাদার সেজে কাজ করেন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ভিন্ন কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।


আরও খবর



কারখানা বন্ধ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৮১জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। 


শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বনানীর সৈনিক ক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।


বনানী থানার ওসি কাজী সাহান হক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার পোশাক কারখানা অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা আজ সকালে কাজে এসে দেখেন কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলছে। এর প্রতিবাদে তারা সৈনিক ক্লাবের সড়ক অবরোধ করেন।



ওসি বলেন, শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কখনও তাদের জানানো হয়নি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় আছেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেছি।


 তারা মহাখালী থেকে বিমানবন্দর লেনের একাংশ ছেড়ে দিয়েছে, যান চলাচলও শুরু হয়েছে। তবে তারা ফিরে যাননি, অধিকাংশ শ্রমিক এখনো ফুটপাতে অবস্থান করছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে




আরও খবর