Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে শেখ হাসিনার জন্মদিনে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র পেল হতদদ্রিরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩০১জন দেখেছেন

Image

বদরুল আলম দুলাল, সিরাজগঞ্জ : আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী মানুষদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে।

বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ী আশ্রয়ন প্রকল্পে উপকারভোগীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি’র ব্যাক্তিগত অর্থায়নে ১৩৮টি পরিবারের মাঝে এই উপহারসামগ্রী বিতরন করা হয়।

বাঘাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় খাদ্য সামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ শেষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত  সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. কেএম হোসেন আলী হাসান, শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, সাধারন সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ লাভলু। এসময় অতিথিরা আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুড়ে সুবিধাভোগিদের সাথে কথা বলেন।

এছাড়াও সদর উপজেলা ও সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হতদরিদ্র মহিলাদের মধ্য সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। এরপর হাটিকুমরুল ইউনিয়নে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও সেলাই মেশিন বিতরন করেন এস এম কামাল হোসেন।

ক্যাপশন : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের আশ্রয়ন প্রকল্পে সুবিধাভোগিদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরন করছেন এস এম কামাল হোসেন ও প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা এমপি।



আরও খবর



রৌমারীতে প্রাণিসম্পদের এলডিডিপি প্রকল্পে অর্থ হরিলুট

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image


এইচ এম মাহদী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি অর্থায়নে ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপকারভোগীরা।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট, ছাগল ও মুরগির ঘর নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিজেই এসব কাজ করেন। সরেজমিনে গিয়ে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এসব তথ্য।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে কাজগুলো উপকারভোগীদের সম্পাদন করার জন্য ব্যাংক হিসাবে টাকা দেয়া হয়েছিল, সেই টাকা কৌশলে প্রকল্পের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তা তিনি নিজেই সেড নির্মাণ শুরু করেন।

এলডিডিপি প্রকল্পের অর্থ হরিলুট ও নানা অনিয়মে উপকারভোগীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে গঠিত প্রডিউসার গ্রুপে (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় ছাগল ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব সেড (ঘর) নির্মাণের জন্য এলডিডিপি অর্থ বছর ২০২২-২০২৩ এ বরাদ্দ দেয়া হয়।

এই ঘর গুলো এতটাই নিম্ন মানের নির্মাণ করা হয়েছে যে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খচর হয়েছে মাত্র। বাকি টাকা আত্মাসাৎ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন। এদিকে উপকারভোগীদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

পওে একাউন্টে  টাকা আসলে চেকে সই করে প্রাণিসম্পদ কর্মককর্তা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলে টাকা গুলো নেন। যেখানে উপকারভোগীরা এই টাকা দিয়ে তারা নিজেরাই কাজ করার কথা ছিল।

প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে পিজি সদস্যদের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। এমন কি স্ট্যাম্পের টাকাও উপকারভোগীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়।

এমনকি ঘরের সাইন্ড বোর্ড এর জন্য প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে ২ শত থেকে ৩ শত টাকা নেওয়া হয়। প্রকৃত ব্যয়ের সঙ্গে এসব ঘর নির্মাণ খরচের হিসাব কিংবা নেই কোনো ভাইচার।

তবে ১৩১ টি ঘর সকল ঘরের চিত্র একই। জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর বামনেরচর ৩৬ টি, জিগ্নীকান্দী ৩৩ টি, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরধনতল ২৮ টি ও হরিণধরা গ্রামে ৩৫ টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এলডিডিপির সহযোগীতায় বাস্তবায়ন করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল রৌমারী।

প্রতিটি সেড নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়  ৩৪ টি ঘরের জন্য ২০ হাজার টাকা করে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বাকি ৯৭ টি ঘরের জন্য ২৫ হাজার করে ২৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। এই দিয়ে মোট রৌমারী উপজেলায় ১৩১ টি ঘরের জন্য সর্বমোট ৩১ লক্ষ্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়।

অ্যাকাউন্ট-পে এই চেকের টাকা মালিক ছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষে উত্তোলন সম্ভব না। অথচ উপকারভোগী সদস্যদের কাছ থেকে চেক সই করে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তার লোক দিয়ে এসব টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে রেখে তিনি নিজেই ঠিকাদার সেজে এসব ঘরের কাজ করেন।

অপর দিকে ইসলামী ব্যাংক রৌমারী শাখার পিজি সদস্যদের নামীয় অ্যাকাউন্টে এ টাকা দেয়া হয় মন্ত্রনালয় থেকে। সদস্যদের ম্যানেজ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহমুদুন্নবী মিলন দুই জন মিলে কৌশলে টাকাগুলো নিজেদের আয়ত্তে নেন। প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী নিজেরা সেড তৈরি করে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে সদস্যদের টাকা দিতে বাধ্য করেন।

তারা নিম্নমানের কাঠ, টিন, কনক্রিটের খাম দিয়ে নির্মাণকাজ করে কোনো মতে বুঝিয়ে দেন। কয়দিন যেতে না যেতে এসব ঘর গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এদিকে সেড ঘরের মেঝো পাকা করার কথা থাকলেও তা না করে অফিসের পক্ষ থেকে পাকা করার জন্য সদস্যদের সাড়ে পাচ হাজার করে টাকা চাপের মুখে পড়ে দেন ভুক্তভোগীদের।

এমন অনিয়মের আভাস পেয়ে এক সদস্য টাকা উত্তোলন করে তিনি নিজেই কাজ করেন।

রৌমারী সদর ইউনিয়নের চরবামনেরচর গ্রামের পিজি কমিটির সভাপতি ও সদস্য হোসনে আরা বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমাদের কাছ থেকে কাগজ পত্র নিয়ে তারাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলে দিয়ে টাকা আসলে চেকে সই করে টাকা উত্তোলন করেন।

পরে যে ঘর নির্মাণ করে দেন তা একে বারেই নিম্নমানের । একাধিক সদস্যদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘরের পর্দা ও মুশরী দেওয়ার কথা তার কোনো খবর নেই।

এব্যাপারে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ সম্পসারণ কর্মকর্তা মাহমুদন্নবী মিলন জানান, দেখা শুনার দ্বায়িত্বে ছিলাম এর বেশি কিছু জানিনা। আমাদের বড় স্যারের নির্দেশেনায় কাজ করেছি। তবে সেড নির্মাণের অনিয়মের বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তোর পাওয়া যায়নি।

রৌমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, সদস্যদের দ্বায়িত্ব দিলে এসব ঘরের কাজ ভালো ভাবে হবেনা তাই আমরা নিজেরাই করেছি। এলডিডিপি প্রকল্পের হরিলুট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ভিন্ন কথা বলে জানান যে, কোনো কাজ একশত পারসেন হয়না।

এক স্বাক্ষাৎকারে তিনি ঠিকাদার সেজে কাজ করেন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে ভিন্ন কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো মোনাক্কা আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, সেড নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে লেখেন আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।


আরও খবর



বনানীতে ২ ঘন্টা পর সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকেরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ

কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ ও বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বনানী এলাকায় সকাল থেকে দুই ঘণ্টা অবরোধের পর রাস্তা ছেড়েছে পোশাক শ্রমিকরা। 

এতে সড়ক থেকে শুরু করে আশপাশের সব সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

পুলিশের হস্তক্ষেপে শনিবার (৪ মে) সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বনানী থানার ওসি কাজী সাহান হক জানান, অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। 

 সকাল ৮টার পর থেকে বনানীর সৈনিক ক্লাবের সামনে অবরোধ করেন। সেখানে ১০টা পর্যন্ত ছিলেন তারা। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা সড়ক থেকে সরে যায়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সকাল ৮টার কিছু পর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন কারখানাটির শ্রমিকরা। এর ফলে বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে ব্যস্ততম এ এলাকার সবগুলো সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয় জোয়ার সাহারার জমজম রোডের ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা।



প্রগতি সরণির গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্ট অবরোধের ফলে রামপুরা-বাড্ডা-কুড়িল সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ যানজট এয়ারপোর্ট রোডেও বিস্তৃত হয়েছে।


বিক্ষুব্ধ গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।  


গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেড নামক একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। 


কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না সৃষ্টি হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে৷  


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং দুদিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।


 ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। 


আরও খবর



আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা কমানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২ মে) দাম কমানোর নতুন ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।



এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের আদালতে ৪৮ লক্ষ টাকা জরিমানা;

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক                                                                                                                  রাজধানী ঢাকার কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বিদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৮ লক্ষ টাকা জরিমানা; জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান।

 প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র‌্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র‌্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র‌্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

 এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকা হতে অদ্য ১৫ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ মাঝরাত ০৩:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ সময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৪৮,০০,০০০/- (আটচল্লিশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ১। প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেড’কে নগদ-১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা, ২। সিরাজ ট্রেডিং’কে নগদ-৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ৩। ইউনিলাইক প্রডাক্টস্ লিমিটেড’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ৪।  কিনবো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড’কে নগদ-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, ৫। ইউনাইটেড ইলেকট্রিকাল এক্সেসরিজ’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ৬। আলিফ পেইন্টস্ ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড’কে নগদ-২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৭। বিআইডব্লউি এন্ড মায়ের দোয়া সোলার পাওয়ার’কে নগদ-৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা,  ৮। গৌরনদী পেইন্টস’কে নগদ-২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৯। ম্যাক্স এনাজি ইন্টারন্যাশনাল’কে নগদ-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ও ১০। ইভানা ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজ’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ১১। কোয়ালিটি ক্যাবলস্  ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া  প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেড এর ১০ জন ব্যক্তিকে নগদ- ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে ০১ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য-সামগ্রী এবং অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।


আরও খবর