Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন,

সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এ এগিয়ে মোছা : কামরুন্নাহার আলো

প্রকাশিত:রবিবার ০২ অক্টোবর 2০২2 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩১০জন দেখেছেন

Image

বদরুল আলম দুলাল: জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী প্রার্থীরা  নিজ কর্মি-সমর্থকদের সাথে নিয়ে ছুটছেন ভোটার জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এ প্রচার প্রচারনা এগিয়ে রয়েছেন মোছা: কামরুন্নাহার আলো। নারী সংগঠক ও নারীনেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করা ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের এই সদস্যের স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, অভিঙ্গতা ও পরিচিতি প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ভোটার ও সংশ্লিদের অভিমত ফুটবল প্রতিকে মোছা: কামরুন্নাহার আলোর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জের উল্পালাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মোছা: কামরুন্নাহার আলো। বিগত জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে স্বল্প সময় দায়িত্ব পালন করেছেন সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের দিকনির্দেশনায় জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে এই সময়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।

উপজেলাটির ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য কামরুন্নাহার আলোর স্বামী বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা প্রয়াত মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নু। ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া প্রয়াত মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নু বৈরি সময়ে উল্লাপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।

উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে দুই যুগ দায়িত্ব পালন করা এই নেতা উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক থাকাবস্থায় মারা যান। এছাড়াও তিনি উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। 

কামরুন্নাহার আলো ও প্রয়াত মীর শহিদুল ইসলাম পুন্নুর সন্তানেরাও জড়িয়ে আছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। বড়ছেলে মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল উল্লাপাড়া সরকারি কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন, ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা। এরপর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে একাধারে উল্লাপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জল। ছোট ছেলে মীর অপু’ও জড়িত আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। 

উল্লাপাড়া উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি এলাকাগুলোতে রয়েছে কামরুন্নাহার আলো ও তার পরিবারের ব্যাপক পরিচিতি ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তি। যা তার নির্বাচিত হওয়াকে অনেকটাই সহজ করে তুলেছে। 

উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান পান্না বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, পৌরসভাসহ রায়গঞ্জ ও তাড়াশ উপজেলা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এর আওতাভুক্ত। এই ওয়ার্ডে সদস্য পদে কামরুন্নাহার আলো ছাড়াও আরো দুইজন প্রতিদ্বন্দি রয়েছেন। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য, স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, পরিচিত ও অভিঙ্গতায় কামরুন্নাহার আলো এগিয়ে। জেলা পরিষদের এই ওয়ার্ডের জন্য কামরুন্নাহার আলো সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।

মনিরুজ্জামান পান্না আরো বলেন, আমি নিজে একজন ভোটার, আমি কামরুন্নাহার আলোর জন্য কাজ করছি, ভোটার জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য ভোটারদের আহ্বান জানাবো এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের স্বার্থে কামরুন্নাহার আলোকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে মোছা: কামরুন্নাহার আলো বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, একজন রাজনৈতিক কর্মি। পারিবারিকভাবেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা পেয়েছি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালিন সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার রান্না করে দিয়েছি। আমি আশাবাদি সন্মানিত ভোটারেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, আমাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

কামরুন্নাহার আলো আরো বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।


আরও খবর



আমি সকলের জন্য নই

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন,বিনোদন ডেস্ক থেকেঃ


বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিয়ে সারেন দক্ষিণী তারকাযুগল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। 


যদিও বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুই তারকা। বিচ্ছেদের পর সামান্থা বা নাগা কেউই একে অপরের দিকে আঙুল তোলেননি। নিজেদের মতো করে জীবনে এগিয়ে এসেছেন।


তবে সম্প্রতি বিয়ের পোশাক কেটে সেই রাস্তা থেকে সরে আসেন সামান্থা! কিছুদিন ধরেই নাগার সঙ্গে শোভিতা ধুলিপালার প্রেমের খবর চাউর হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে, চর্চিত প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নাগা।


 এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করলেন সামান্থা। যা ঘিরে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় বইতে শুরু করেছে।


একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সামান্থা লিখেছেন, ‘বৃষ রাশিকে কখনোই হারাবেন না।’ আসলে সামান্থা বৃষ রাশি ব্যক্তিত্ব। অন্য পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকলের জন্য নই, চলো তাই ঠিক আছে।’ 


সামান্থার পোস্ট দেখে নেটিজেনরা অবশ্য নাগার বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন।


তবে সামান্থা ক’দিন ধরে অভিযোগের সুরে কথা বললেও নানা ঠিক উল্টো পথে চলছেন। প্রেম চর্চার মাঝেও নাগা স্বীকার করেছেন সামান্থার সঙ্গে তিনি অন্যায় করেছেন। 



একসঙ্গে দুটি সম্পর্কে ছিলেন। ভাইরাল হওয়া পুরনো একটি ভিডিওতে নাগা বলেছেন, ‘একটাই জীবন। সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে। নিজেকে বুঝেছি। তাই এখন সেটল ডাউন করতে চাই। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি।’


আরও খবর



বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকিতে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে দেশের জাতীয় বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকি পরিশোধে। 


অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পুরো অর্থবছরের মোট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারিতে সরকার খরচ করেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা।


 সুদ পরিশোধ ও ভর্তুকি বাবদ খরচ হয়েছে ৮৮ হাজার ২২৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ। খরচ মেটাতে সরকার আরো বেশি ঋণ নিচ্ছে। কারণ কর আদায় আশানুরূপ বাড়ছে না। 


জিডিপির অংশ হিসেবে দেশের রাজস্ব বর্তমানে জিডিপির ৮.২ শতাংশ। সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে দেশীয় ব্যাংকিং খাত, জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) বিক্রি ও বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সুদ মেটাতে হয়েছে ৬০ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ ১৫ শতাংশ বেড়ে ৫১ হাজার ২১৩ কোটি টাকা হয়েছে। বিদেশি ঋণের বিপরীতে তা তিন গুণ বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।


 ট্রেজারি বন্ড বিক্রি থেকে পাওয়া টাকার খরচও বেশি। তাই সুদের খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জুনে ট্রেজারি বন্ডের মুনাফার হার ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বর্তমানে কম। এর বিপরীতে সুদের হার কমেছে। তবে অনেক সঞ্চয়পত্র ম্যাচিউর হয়েছে। অর্থাত্, এই খাতে সরকারের খরচ বেড়েছে।



আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, এলএনজি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই গত অর্থবছর থেকে ভর্তুকিও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ভর্তুকি ছিল ২৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তা ছিল ২৬ হাজার ২১২ কোটি টাকা।


অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সুদ পরিশোধের হার বেড়েছে। বিদেশি ঋণের সুদের হার বেড়েছে। টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকৃত ভর্তুকি খরচ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। কারণ বাড়তি বকেয়া পরিশোধ করতে হয়েছে।


চলতি অর্থবছরে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণ খুব বেশি বাড়েনি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৩৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকঋণ ২৩ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।


সঞ্চয়পত্র বিক্রি কম হওয়ায় সরকারকে সঞ্চয়পত্র বাবদ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারিতে ৬ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা এবং গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। 


কয়েক বছর আগেও সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের আয়ের প্রাথমিক উত্স। তবে সুদের হার কম ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে। এদিকে গত জুলাই-জানুয়ারি রাজস্ব আদায় ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়।


 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ১২.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। তবে এনবিআর-বহির্ভূত কর রাজস্ব ৩.৪ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সাত মাসে করবহির্ভূত রাজস্ব ২১ শতাংশ বেড়েছে ২৭ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।


 গত সাত মাসে রাজস্ব বাজেট থেকে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ৪০.২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ৩৯.৭ শতাংশ। উন্নয়ন খরচ ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ২০ শতাংশ।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের আদালতে ৪৮ লক্ষ টাকা জরিমানা;

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক                                                                                                                  রাজধানী ঢাকার কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বিদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৮ লক্ষ টাকা জরিমানা; জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় একটি প্রতিষ্ঠানের দশজনকে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান।

 প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র‌্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র‌্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র‌্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।

 এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০:০০ ঘটিকা হতে অদ্য ১৫ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ মাঝরাত ০৩:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও র‌্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার কদমতলী ও কেরাণীগঞ্জ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ সময় বিএসটিআই এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লেখিত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৪৮,০০,০০০/- (আটচল্লিশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন। যার মধ্যে ১। প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেড’কে নগদ-১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা, ২। সিরাজ ট্রেডিং’কে নগদ-৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, ৩। ইউনিলাইক প্রডাক্টস্ লিমিটেড’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ৪।  কিনবো ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড’কে নগদ-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা, ৫। ইউনাইটেড ইলেকট্রিকাল এক্সেসরিজ’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, ৬। আলিফ পেইন্টস্ ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড’কে নগদ-২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৭। বিআইডব্লউি এন্ড মায়ের দোয়া সোলার পাওয়ার’কে নগদ-৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা,  ৮। গৌরনদী পেইন্টস’কে নগদ-২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, ৯। ম্যাক্স এনাজি ইন্টারন্যাশনাল’কে নগদ-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ও ১০। ইভানা ক্যাবলস্ ইন্ডাস্ট্রিজ’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ১১। কোয়ালিটি ক্যাবলস্  ইন্ডাস্ট্রিজ  লিমিটেড’কে নগদ-৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। এছাড়া  প্যাটেলকো কোম্পানি লিমিটেড এর ১০ জন ব্যক্তিকে নগদ- ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা জরিমানা প্রদান করেন, জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় তাদেরকে ০১ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য-সামগ্রী এবং অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি এবং নকল রং উৎপাদন, মজুদ ও বাজারজাত করে আসছিল।


আরও খবর



আমতলীতে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image


মোঃ ইমরান হোসাইন আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ 


বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


 দীর্ঘদিন ধরে আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সৌদি রিয়াল ও ডলার বিক্রির কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এই চক্রটি।


রোববার (৫ মে) রাত ৯ টার দিকে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।


প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া পাতাকাটা নামক এলাকার মো. সানু ফকির (৫০), মো. তৈয়ব হাওলাদার (৬০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (৩০) একই ইউনিয়নের ঘটখালী নামক এলাকার মো. আল ইমরান ওরফে সুজন সিকদার (৩০) ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর নামক এলাকার মো. শাহিন বয়াতী (৩৫)। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. বশির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 


বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আমতলীতে দীর্ঘদিন ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে এবং বিক্রির কথা বলে একটি চক্র সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 


এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলমের নেতৃত্বে আমতলীর আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অল্প কিছু ডলার ও সৌদি রিয়ালসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত বিশেষ কায়দায় টাকার বান্ডিল সাজিয়ে গামছায় মোড়ানো পেপারের কাগজসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এবিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলম বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডলার বা সৌদি রিয়াল বিক্রির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রটিকে ধরতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে সুকৌশলে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। 


তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তাররা একাধিক প্রতারণা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের ধরতে অভিযান অব্যঅহত আছে ও গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে ব্যস্ততম এ এলাকার সবগুলো সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয় জোয়ার সাহারার জমজম রোডের ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা।



প্রগতি সরণির গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্ট অবরোধের ফলে রামপুরা-বাড্ডা-কুড়িল সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ যানজট এয়ারপোর্ট রোডেও বিস্তৃত হয়েছে।


বিক্ষুব্ধ গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।  


গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেড নামক একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। 


কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না সৃষ্টি হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে৷  


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং দুদিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।


 ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। 


আরও খবর