Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

সোমালিয়ায় জাহাজ অপহরণ: অচিরেই সুসংবাদ পাওয়ার আশা নৌপ্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অচিরেই সুসংবাদ পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে কতদিনে তাদের উদ্ধার করা যাবে তার সময়সীমা জানাননি নৌপ্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের ডিপ্লোমেটিক যে চেইনগুলো আছে, সেগুলোতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। জলদস্যুদের হাত থেকে জাহাজ উদ্ধার করার জন্য পৃথিবীর অনেকগুলো সংস্থা ও গ্রুপ কাজ করে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। অচিরেই ফল আসবে বলে আশা করা যায়। রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিম্মি জাহাজের নাবিকরা এখনো নিরাপদে আছেন। তাদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকটি মাধ্যমেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে দস্যুদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি। যেহেতু জিম্মিকারীদের সঙ্গে ডিল করতে হবে, উদ্ধার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নাবিকরা অনেক অভিযান করে। সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর টহল রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করে। এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে তখন বিভিন্ন ধরনের আলোচনা আসে। 

এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বাংলামোটরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) প্রধান কার্যালয় ফেয়ারলি হাউজে ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সংগ্রামের নাম, একটি শক্তির নাম, উন্নয়নের নাম ও প্রেরণার নাম। 

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম। 

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শরিফ উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলম, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. মাহমুদুল মালেক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। 

রিক্যাপের ভাইস চেয়ার পুনর্নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ : রিজিওনাল কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট অন কম্বেটিং পাইরেসি অ্যান্ড আর্মড রোবারি অ্যাগেইনস্ট শিপস ইন এশিয়া (রিক্যাপ) ইনফরমেশন শেয়ারিং সেন্টারের ভাইস চেয়ার পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ১ এপ্রিল থেকে তিন বছর মেয়াদে বাংলাদেশ এ পদে কাজ করবে। ফিলিপাইন রিক্যাপের চেয়ারপারসন পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়, রিক্যাপের ১৮তম গভর্নিং কাউন্সিল সভায় তাদের পুনর্নির্বাচিত করা হয়। ১২ থেকে ১৫ মার্চ সিঙ্গাপুরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম ১৮তম কাউন্সিল সভায় যোগ দেন।


আরও খবর



ধ্বংসস্তুপ থেকে গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৮০ বছর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


জাতিসংঘ বলেছে, গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ৮০ বছর সময় লাগবে। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় আবারও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে প্রবেশ করেছে ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক। 


অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। এছাড়া পশ্চিম তীরে শিশু হত্যায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।


জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে যদি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং স্বাভাবিক গতিতে সেখানে ঘরবাড়ি, হাসপাতাল-পরিষেবাকেন্দ্র, রাস্তাঘাট ও আগেকার অন্যান্য অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় সেক্ষেত্রে উপত্যকাকে ৭ অক্টোবরের হামলার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সময় লাগবে ৮০ বছর। 


যদি পুনর্নির্মাণ ও পুনর্গঠনের কাজের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি উন্নীত করা হয়, তাহলেও উপত্যকাকে আগের মতো বসবাসযোগ্য করে তুলতে ২০৪০ সাল পেরিয়ে যাবে।



বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক প্রকল্প ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি)। সেখানে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের গোলা ও বোমা বর্ষণে নজিরবিহীনভাবে তছনছ হয়ে গেছে গাজা। 


উপত্যকার অন্তত ৮০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং গোটা উপত্যকায় দারিদ্র্য বেড়েছে ভয়াবহভাবে। ইউএনডিপির প্রতিবেদনে অবশ্য গাজার ভবনগুলো পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক অবস্থাকেও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকেও ধরা হয়েছে।


ইউএনডিপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা অ্যাশিম স্টেইনার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাণহানি, অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং দারিদ্র্যের ব্যাপক উল্লম্ফনের কারণে গাজায় সার্বিক যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা স্বল্প সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। 


এই যুদ্ধ গাজার আগামী কয়েক প্রজন্মের ভবিষ্যেক বিপদে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেদনে ইউএনডিপি বলেছে, যুদ্ধের মধ্যে ২০৩০ সালের ডিসেম্বরে গাজার মোট জনসংখ্যার মধ্যে দরিদ্রের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বর্তমানে যুদ্ধ ছয় মাস পেরিয়ে সাত মাসে পা দিয়েছে; যদি ৯ মাস পর্যন্ত এই অবস্থা থাকে, তাহলে গাজায় দরিদ্রদের হার পৌঁছাবে ৬০ দশমিক ৭ শতাংশে।


 এর অর্থ, যুদ্ধ আর দুই মাস অব্যাহত থাকলে গাজায় মধ্যবিত্ত বলে কোনো শ্রেণির অবস্থান আর থাকবে না, প্রতিবেদনে বলেছে ইউএনডিপি। এদিকে এর আগে বুধবার জাতিসংঘের আরেক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনমাস) জানায়, রুশ বাহিনীর গত দুই বছরের অভিযানে ইউক্রেনে যত ধ্বংসস্তূপ হয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গত সাত মাসের অভিযানে যে পরিমাণ ধ্বংস্তূপ জমেছে, তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গত দুই বছরে জমা ধ্বংস্তূপকে ছাড়িয়ে গেছে।



এদিকে গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়। এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে।


 পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। 


তবে ইসরাইল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন ১ হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।


অন্যদিকে গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় নিরবছিন্ন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। 


২০২৩ সালে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। এতে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে স্বৈরশাসকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এর আগে সীমিত পরিসরে ইসরাইলের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তুরস্ক। 


কিন্তু এবার পুরোপুরিভাবে বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিল এরদোয়ান প্রশাসন। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, তার সরকার ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


এদিকে পশ্চিম তীরে শিশু হত্যার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হচ্ছে। গত বছর ২৯ নভেম্বর বিকালে কয়েক জন ফিলিস্তিনি বালক অধিকৃত পশ্চিম তীরের রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। যেখানে তারা  প্রায়ই একসঙ্গে মিলে খেলত। 


কয়েক মিনিট পরই ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তাদের দুই জন বাসিল (১৫) ও আদম (৮)-এর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সামরিক দখলদারিত্বে থাকা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর আচরণ নিয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে বিবিসি দুই বালককে হত্যার ঐ দিনে কী ঘটেছিল তা খুঁজে বের করেছে।


 তাদের অনুসন্ধানে মোবাইল ফোন, সিসিটিভি ফুটেজ, ইসরাইলি সেনাদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, ঘটনাস্থলের বিস্তারিত তদন্তসহ সব বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। এতে বেরিয়ে এসেছে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ। জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন সৌল বলছেন, আট বছর বয়সি বালক আদম হত্যা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলেই মনে হচ্ছে। আরেক আইন বিশেষজ্ঞ ড. লরেন্স হিল-কথর্ন গুলি চালানোকে ‘নির্বিচারে প্রাণঘাতী শক্তির ব্যবহার’ বলেছেন। 


এছাড়া ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ভাঙচুর, ফিলিস্তিনি নাগরিকদের অস্ত্রের ভয় দেখানো, এলাকা ছেড়ে পাশের দেশ জর্ডানে চলে যেতে বলা এবং সশস্ত্র এক ফিলিস্তিনির লাশ ছিন্নভিন্ন করার প্রমাণও পাওয়া গেছে।


২৯ নভেম্বরের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বাসিল একটি হার্ডওয়্যারের দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এবং দোকানের শাটার বন্ধ। যখন ইসরাইলি সেনারা আসে, তখন পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড হলেও সেখানে গাজার মতো হামাসের শাসন নেই। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরের খুব কাছ থেকে ইসরাইলি সেনা অভিযানের গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ফুটবল পাগল ও লিওনেল মেসির ভক্ত আদম তার ১৪ বছর বয়সি বড় ভাই বাহার সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। রাস্তায় মোট ৯ জন ছেলে ছিল, সবাইকেই সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছিল। এ ক্যামেরাতেই পরে কী ঘটেছিল তার প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। 


কয়েক শ মিটার দূরে অন্তত ছয়টি ইসরাইলি সাঁজোয়া যানের বহর মোড় ঘুরিয়ে ছেলেদের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে।  এতে ছেলেরা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। কয়েক জন ছেলে দৌড়ে সরে যেতে শুরু করে। ঠিক সে সময়েই একটি মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা যায়, একটি সাঁজোয়া গাড়ির দরজা সামনের দিক থেকে খুলে যায়। 


এর ভেতরে থাকা সেনা সরাসরি বালকদের দেখতে পাচ্ছিল।  রাস্তার মাঝখানে চলে গিয়েছিল বাসিল। সেনাদের থেকে ১২ মিটার দূরে ছিল আদম। সে দৌড়াচ্ছিল। এরপরই অন্তত ১১টি গুলির শব্দ হয়। ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে বিবিসি দেখতে পায়, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এসব গুলি আঘাত হেনেছে।


 চারটি গুলি একটি ধাতব খুঁটিতে আঘাত করে, দুটি হার্ডওয়্যার স্টোরের শাটারে, একটি গুলি পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির বাম্পারের ভেতর দিয়ে চলে যায়। আরেকটি গুলি আঘাত করে সিঁড়ির হাতলে।খবর রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরা।


আরও খবর



জাতির পিতার স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে সেনাবাহিনীকে আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী করছে সরকার

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image


স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্নকে হৃদয়ে ধারণ করে দেশের অন্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলেছে বর্তমান সরকার।

আজ রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তারা ছিলেন।


আরও খবর



আমতলীতে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image


মোঃ ইমরান হোসাইন আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ 


বরগুনার আমতলী উপজেলায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।


 দীর্ঘদিন ধরে আমতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় সৌদি রিয়াল ও ডলার বিক্রির কথা বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে এই চক্রটি।


রোববার (৫ মে) রাত ৯ টার দিকে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।


প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া পাতাকাটা নামক এলাকার মো. সানু ফকির (৫০), মো. তৈয়ব হাওলাদার (৬০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (৩০) একই ইউনিয়নের ঘটখালী নামক এলাকার মো. আল ইমরান ওরফে সুজন সিকদার (৩০) ও কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর নামক এলাকার মো. শাহিন বয়াতী (৩৫)। বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. বশির আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 


বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আমতলীতে দীর্ঘদিন ধরে ডলার ও সৌদি রিয়াল দেখিয়ে এবং বিক্রির কথা বলে একটি চক্র সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 


এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চক্রটির অবস্থান শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলমের নেতৃত্বে আমতলীর আঠারো গাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর নামক এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অল্প কিছু ডলার ও সৌদি রিয়ালসহ প্রতারণায় ব্যবহৃত বিশেষ কায়দায় টাকার বান্ডিল সাজিয়ে গামছায় মোড়ানো পেপারের কাগজসহ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এবিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বশির আলম বলেন, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ডলার বা সৌদি রিয়াল বিক্রির কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রটিকে ধরতে আমরা বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করে সুকৌশলে পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। 


তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে গ্রেপ্তাররা একাধিক প্রতারণা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের ধরতে অভিযান অব্যঅহত আছে ও গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।


আরও খবর



বিএনপি'র আন্দোলণের সারথীরাও তারেকের উপর বিরক্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের জন্য বিএনপি কমবেশি অন্তত ৫০ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভিন্ন দফায় বৈঠক করেছিল। এই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। 


২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন ভালোই জমিয়ে তুলেছিল। এই সময় এই দলগুলোকে নিয়ে একটি জোটবদ্ধ আন্দোলন করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল।


 কিন্তু শেষপর্যন্ত জোটবদ্ধ আন্দোলন হয়নি। বরং সবাই তাদের নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৮ অক্টোবর বিএনপির হঠকারিতা এবং ভুল রাজনীতির কারণে আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 



নির্বাচনের পর শরিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে নির্বাচনের পরও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছিলেন শরিকরা।


 কিন্তু শেষ পর্যন্ত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আন্দোলনের সঙ্গীদের বিশ্বাস করতে পারেননি। আর এই অবিশ্বাসের কারণে এখন শরিক দলগুলো মোটামুটি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।


 বিএনপির সাথে তাদের যোগাযোগ আলগা হয়ে গেছে। আর সে কারণেই এখন বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তাদের উৎসাহ নেই। অনেকেই এখন ঘরে উঠেছেন এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্বে তারা বিরক্ত হয়েছেন। এবং বিএনপির সঙ্গে নতুন করে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। 



জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম অংশী ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি অত্যন্ত সরব ছিলেন এবং এই আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি বিএনপির অন্যতম পরামর্শক হিসেবে বিবেচিত হতেন। কিন্তু এখন তিনি লাপাত্তা। 



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মাহমুদুর রহমান মান্না তারেক জিয়ার ওপর অত্যন্ত বিরক্ত এবং বিএনপির কৌশল নিয়েও তিনি হতাশ। আর এ কারণেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। একই অবস্থা জেএসডির নেতা আ স ম আবদুর রবের। আবদুর রব মনে করছেন যে, বিএনপির রাজনীতির কৌশলই ভুল ছিল এবং এখন এই কৌশলের মাসুল দিতে হচ্ছে গোটা দেশকে।


 বিএনপি একদিকে যেমন সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, অন্যদিকে শরিকদেরকেও বিশ্বাস করছে না। আর এ কারণে বিএনপির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন এই নেতা।



শরিকদের মধ্যে অন্যতম ছিল ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ। তারাও এখন নিজের আলাদা অবস্থান থেকে রাজনীতি করছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তারা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে নুর বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। 


শরিকদের যারা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে একমাত্র জোনায়েদ সাকি ছাড়া কেউই বিএনপির প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছেন না। বরং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। 


অন্যদিকে বিএনপির আদর্শিক জোট জামায়াত মাঝখানে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। কিন্তু আবার ঘনিষ্ঠতায় ছেদ ঘটেছে বলে জানা গেছে।



এ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান অভিযোগ হলো তারেকের উদ্ভদ বিভ্রান্তিমূলক এবং অরাজনৈতিক সূলভ সিদ্ধান্ত। শরিকদের মধ্য থেকে একাধিক নেতা বলেছেন, তারেক জিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক পরিপক্কতার অভাব রয়েছে। হুটহাট তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিণতি এবং সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নেন।


 একজন রাজনৈতিক নেতার যে গুণাবলি থাকা উচিত তা কিছুই তার মধ্যে নেই। আর এ কারণেই শরিকরা এখন বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন বিএনপির দলের মধ্যে হতাশা অন্যদিকে শরিকরাও এখন বিএনপির প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছে না।


আরও খবর



হজের প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়লেন ৪১৯ যাত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩০জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:


চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে প্রথম ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন ৪১৯ হজযাত্রী।



বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়ে।


ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান উপস্থিত থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করেন।


এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৬ হাজার ৫২৭ জন হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৫০ শতাংশ হজযাত্রী পরিবহন করবে, যার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। 


বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রি-হজে মোট ১১৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে জেদ্দায় ৮২টি, চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দায় ১৭টি, সিলেট থেকে জেদ্দায় ৫টি, ঢাকা থেকে মদিনায় ৯টি, চট্টগ্রাম থেকে মদিনায় ২টি এবং সিলেট থেকে মদিনায় একটি।


এ ছাড়া হজ শেষে পোস্ট হজে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট ১২৫টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে জেদ্দা থেকে ঢাকাতে ৭৩টি, জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে ১৫টি, জেদ্দা থেকে সিলেটে ২টি, এছাড়া মদিনা থেকে ঢাকা ২২টি, মদিনা থেকে চট্টগ্রামে ৯টি এবং মদিনা থেকে সিলেটে ৪টি।


 বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবারের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুন। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন।


আরও খবর