Logo
আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

সোমবার ২৫ মার্চ রাতে ১ মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

অন্যান্য বছরের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ১১টা থেকে ১১টা ১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাসমূহ এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

আগামী সোমবার ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। এছাড়া ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টায় গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। 

এছাড়া, স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা করা হবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ বিকালে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্ক:



আজ রাজধানীতে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। 


শনিবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় এই ঘোষণা দেন সেতুমন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। 


শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।


এর আগে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শেখকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) আবু ইউসুফ।


১৮ শর্তে আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। আওয়ামী লীগকে দেওয়া শর্তগুলো হলো:


১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।


২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।


৩. অনুমোদিত স্থানেই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।


৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।


৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।


৬. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোভাবেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।


৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৯. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।


১০. শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।


১১. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।


১২. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনও গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।


১৩. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া করা যাবে না।


১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।


১৫. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।


১৬. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।


১৭. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।


১৮. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:



নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় ২৫ বছর আগে করা মামলার রায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘোষণা করা হবে। 


ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন।


 গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এদিন ধার্য করেন।


এ মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আদনান সিদ্দিকী, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।



১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।


মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।


 ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

 সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ


মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। 


২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।


ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।



পরে বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর



বিএনপি'র আন্দোলণের সারথীরাও তারেকের উপর বিরক্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের জন্য বিএনপি কমবেশি অন্তত ৫০ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভিন্ন দফায় বৈঠক করেছিল। এই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। 


২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন ভালোই জমিয়ে তুলেছিল। এই সময় এই দলগুলোকে নিয়ে একটি জোটবদ্ধ আন্দোলন করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল।


 কিন্তু শেষপর্যন্ত জোটবদ্ধ আন্দোলন হয়নি। বরং সবাই তাদের নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২৮ অক্টোবর বিএনপির হঠকারিতা এবং ভুল রাজনীতির কারণে আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। 



নির্বাচনের পর শরিকদের পক্ষ থেকে আন্দোলনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে নির্বাচনের পরও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছিলেন শরিকরা।


 কিন্তু শেষ পর্যন্ত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া আন্দোলনের সঙ্গীদের বিশ্বাস করতে পারেননি। আর এই অবিশ্বাসের কারণে এখন শরিক দলগুলো মোটামুটি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।


 বিএনপির সাথে তাদের যোগাযোগ আলগা হয়ে গেছে। আর সে কারণেই এখন বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে তাদের উৎসাহ নেই। অনেকেই এখন ঘরে উঠেছেন এবং তারেক জিয়ার নেতৃত্বে তারা বিরক্ত হয়েছেন। এবং বিএনপির সঙ্গে নতুন করে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। 



জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সেই আন্দোলনের অন্যতম অংশী ছিলেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি অত্যন্ত সরব ছিলেন এবং এই আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি বিএনপির অন্যতম পরামর্শক হিসেবে বিবেচিত হতেন। কিন্তু এখন তিনি লাপাত্তা। 



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, মাহমুদুর রহমান মান্না তারেক জিয়ার ওপর অত্যন্ত বিরক্ত এবং বিএনপির কৌশল নিয়েও তিনি হতাশ। আর এ কারণেই নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। একই অবস্থা জেএসডির নেতা আ স ম আবদুর রবের। আবদুর রব মনে করছেন যে, বিএনপির রাজনীতির কৌশলই ভুল ছিল এবং এখন এই কৌশলের মাসুল দিতে হচ্ছে গোটা দেশকে।


 বিএনপি একদিকে যেমন সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না, অন্যদিকে শরিকদেরকেও বিশ্বাস করছে না। আর এ কারণে বিএনপির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন এই নেতা।



শরিকদের মধ্যে অন্যতম ছিল ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ। তারাও এখন নিজের আলাদা অবস্থান থেকে রাজনীতি করছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তারা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে নুর বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। 


শরিকদের যারা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে একমাত্র জোনায়েদ সাকি ছাড়া কেউই বিএনপির প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছেন না। বরং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। 


অন্যদিকে বিএনপির আদর্শিক জোট জামায়াত মাঝখানে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। কিন্তু আবার ঘনিষ্ঠতায় ছেদ ঘটেছে বলে জানা গেছে।



এ সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান অভিযোগ হলো তারেকের উদ্ভদ বিভ্রান্তিমূলক এবং অরাজনৈতিক সূলভ সিদ্ধান্ত। শরিকদের মধ্য থেকে একাধিক নেতা বলেছেন, তারেক জিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক পরিপক্কতার অভাব রয়েছে। হুটহাট তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিণতি এবং সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নেন।


 একজন রাজনৈতিক নেতার যে গুণাবলি থাকা উচিত তা কিছুই তার মধ্যে নেই। আর এ কারণেই শরিকরা এখন বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। একদিকে যেমন বিএনপির দলের মধ্যে হতাশা অন্যদিকে শরিকরাও এখন বিএনপির প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছে না।


আরও খবর



আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগ দিতে কোম্পানিগুলো প্রস্তাব দিল সরকারকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

 নিউজ ডেস্কঃ

দেশে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বিতরণ কোম্পানিগুলোসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কিন্তু অবৈধ গ্যাস-সংযোগের সংখ্যা কমে আসলেও তা বন্ধ বা নির্মূল হচ্ছে না। একদিকে উচ্ছেদ-হওয়া অবৈধ লাইনে পুনরায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে অনেক এলাকায়, অন্যদিকে নতুন অবৈধ সংযোগও কম নয়।

এমন বাস্তবতায় আবাসিক খাতে বা গৃহস্থালিতে সীমিত আকারে গ্যাস-সংযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

এ প্রসঙ্গে এ খাতের সবচেয়ে বড় বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নাগরিক চাহিদা বিশ্লেষণ এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের সক্ষমতা বিশ্লেষণ করে দেখেছি- বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গ্যাস-সংযোগ নির্মূল করা সম্ভব নয়।

কারণ- যে ভবনগুলোতে আগেই সংযোগ রয়েছে সেগুলোর তলা (ফ্লোর) বৃদ্ধি পেলে ভবনমালিকদের বড় অংশ অবৈধ সংযোগ নেয়। এক্ষেত্রে বিতরণ কোম্পানির স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনেক সময় অন্যায় সহযোগিতা করে।

প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মকর্তারও এতে সায় থাকে। আবার প্রভাবশালীদের তদবিরে ও দাপটেও অনেক সময় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা যায় না। নতুন এলাকায় বা ভবনে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বন্ধ বা বিচ্ছিন্ন করা কিছুটা সহজ। কিন্তু সংযোগ থাকা বিদ্যমান ভবনে তা কঠিন।

তাই যে ভবনগুলোতে তিতাসের সংযোগ রয়েছে সেগুলোর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হলে নতুন সংযোগ দিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে।


তবে পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক নতুন-পুরনো ভবনে গ্যাস কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে অগণিত অবৈধ সংযোগ দিয়েছে একাধিক দুষ্টচক্র।

সেগুলোকে বৈধ করতে তাদের গ্রাহকদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। সেই চাপ সরাতে এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী ভবনের সম্প্রসারিত অংশে গ্যাস-সংযোগ দিতে প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছে। তবে আবাসিকে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বাস্তবায়ন করে নতুন গ্যাস-সংযোগ দেওয়া গেলে তা মন্দ হবে না। গ্যাসের চুরি ও অপচয় অন্তত : রোধ করা যাবে। আর সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

তিতাস গ্যাস সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে ৮ লাখ অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিতাস গত দুই বছরে ৩৩৬টি শিল্প, ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ৯৭টি ক্যাপটিভ পাওয়ার, ১৩টি সিএনজি স্টেশন এবং ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন লাইন অপসারণ করেছে। মোট ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আবার অনেক অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মারধরের শিকার এবং ধাওয়া খাওয়ার ঘটনাও রয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল কাওরানবাজারে তিতাস কার্যালয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তিতাসের কর্মকর্তারা আগে থেকেই যে সব গ্রাহকদের অনুমোদিত গ্যাস-সংযোগ রয়েছে তাদের চুলা বা বার্নার বৃদ্ধির অনুমোদন যাতে দেওয়া হয় সেই প্রস্তাব করেন ঐ বৈঠকে।

তারা বলেন, ঢাকার অধিকাংশ বাড়িতে অনুমোদনহীন চুলা রয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে বা ঘুষ দিয়ে অনুমোদনহীন সংযোগ নেওয়াদের মধ্যে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই রয়েছেন। তাই সংযোগ থাকা যে ভবনগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে সেগুলোতে বৈধ সংযোগ দেওয়া গেলে রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।

এ প্রস্তাব গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনাটি উপস্থাপন করা হবে। তিনি অনুমোদন দিলে সেটি অনুমোদিত হবে।


আরও খবর



আ.লীগকে ১৮ শর্তে সমাবেশের অনুমতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১৩জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক  রিপোর্টঃ


রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে আগামীকাল শনিবার দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগকে ১৮ শর্তে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।


বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মো. আবু ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।


যেসব শর্ত মানতে হবে। তা হলো:


১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।



২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।


৩. অনুমোদিত স্থানেই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।


৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।


৫. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।


৬. শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনোভাবেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।


৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।


৯. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।


১০. শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের কার্যক্রম ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না।


১১. কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।


১২. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।


১৩. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া করা যাবে না।


১৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।


১৫. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।


১৬. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।


১৭. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।


১৮. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।


আরও খবর