Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শত্রুদের এক নম্বর টার্গেট আমি : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৪২জন দেখেছেন

Image

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। কারণ, তার সৈন্যরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপীয় এই রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় হামলায় রাশিয়ান সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধ ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। বিস্ফোরণ ও বন্দুকযুদ্ধের কারণে আনুমানিক এক লাখ মানুষ প্রধান শহরগুলো ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। বহু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মার্কিন ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার লক্ষ্য কিয়েভ দখল করে সরকারকে পতন করা। রাশিয়া বৃহস্পতিবার কিয়েভের উত্তরে চেরনোবিল সাবেক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দখল করে নেয়। 

আজ জেলেনস্কি একটি ভিডিওবার্তায় সতর্ক করে বলেছেন, ‌‘(শত্রু) আমাকে এক নম্বর টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আমার পরিবার দুই নম্বর টার্গেট। তারা রাষ্ট্রপ্রধানকে ধ্বংস করে রাজনৈতিকভাবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করতে চায়।’

‘আমি রাজধানীতেই থাকব। আমার পরিবারও ইউক্রেনে আছে।’


টুয়েন্টি থ্রি /নিউজ



আরও খবর



সংবাদ সম্মেলণে প্রধানমন্ত্রী : এবার বিদায় নিই?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image
সদরুল আইনঃ

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন।

 শুরুতে থাইল্যান্ড সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সরকারপ্রধান। লিখিত বক্তব্যের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রীর কথায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।


লিখিত বক্তব্যে শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার বিদায় নেই। তার এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন।

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন।


সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়াও, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।

আরও খবর



ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা, প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে রাসেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image



 সফিক ইসলাম:



আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচনে  ভোট আগামী  ২১ মে।পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এলাকার সাধারণ ভোটারের ভালোবাসা ও উৎসাহ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে প্রচারনা চালাচ্ছেন  গোলাম হাসনাইন রাসেল। 


সারা উপজেলায় এখন ভোটের আমেজ। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে প্রচারণা।  উৎসবে যেমন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একযোগে অংশ নেয়, তেমনই ভোটের মাঠেও যোগ দিয়েছে সব বয়সের, সব শ্রেণির, সব পেশার মানুষ। 


গ্রামে, বাজারে, রাস্তায় পাড়া-মহল্লায়, শহরের অলিগলি  গোলাম হাসনাইন রাসেল ও কমিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। গোলাম হাসনাইন রাসেলের  কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন।


 গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তারা। পথসভা-উঠান বৈঠক করে  কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। 


চায়ের দোকান, মসজিদ-মন্দিরের আঙিনা এখন রাজনৈতিক আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। ব্যানার-পোস্টার দুলছে রাস্তায় বাঁধা রশিতে। শুধু মাঠে ময়দানেই নয়, প্রযুক্তির কল্যাণে টিভি চ্যানেল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও  নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভোটের রাজনীতি।


গানে গানে ভোটের প্রচার: 


    প্রার্থীরা নিজেদের বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে সম্ভাব্য সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন। এক্ষেত্রে গানে গানে ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেক প্রার্থী।সব মিলিয়ে ঘরের বাইরে কান পাতলেই এখন ভোটের আলোচনা ও ভোটের গান শোনা যায়।


 চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সর্বত্র এখন ভোট নিয়ে মানুষের আলাপ।এ উপজেলায় প্রার্থি চার জন থাকলেও প্রচার প্রচারনায় গোলাম হাসনাইন রাসেল এগিয়ে।


আরও খবর



বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকিতে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ১০৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে দেশের জাতীয় বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকি পরিশোধে। 


অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পুরো অর্থবছরের মোট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারিতে সরকার খরচ করেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা।


 সুদ পরিশোধ ও ভর্তুকি বাবদ খরচ হয়েছে ৮৮ হাজার ২২৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ। খরচ মেটাতে সরকার আরো বেশি ঋণ নিচ্ছে। কারণ কর আদায় আশানুরূপ বাড়ছে না। 


জিডিপির অংশ হিসেবে দেশের রাজস্ব বর্তমানে জিডিপির ৮.২ শতাংশ। সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে দেশীয় ব্যাংকিং খাত, জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) বিক্রি ও বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সুদ মেটাতে হয়েছে ৬০ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ ১৫ শতাংশ বেড়ে ৫১ হাজার ২১৩ কোটি টাকা হয়েছে। বিদেশি ঋণের বিপরীতে তা তিন গুণ বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।


 ট্রেজারি বন্ড বিক্রি থেকে পাওয়া টাকার খরচও বেশি। তাই সুদের খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জুনে ট্রেজারি বন্ডের মুনাফার হার ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বর্তমানে কম। এর বিপরীতে সুদের হার কমেছে। তবে অনেক সঞ্চয়পত্র ম্যাচিউর হয়েছে। অর্থাত্, এই খাতে সরকারের খরচ বেড়েছে।



আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, এলএনজি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই গত অর্থবছর থেকে ভর্তুকিও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ভর্তুকি ছিল ২৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তা ছিল ২৬ হাজার ২১২ কোটি টাকা।


অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সুদ পরিশোধের হার বেড়েছে। বিদেশি ঋণের সুদের হার বেড়েছে। টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকৃত ভর্তুকি খরচ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। কারণ বাড়তি বকেয়া পরিশোধ করতে হয়েছে।


চলতি অর্থবছরে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণ খুব বেশি বাড়েনি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৩৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকঋণ ২৩ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।


সঞ্চয়পত্র বিক্রি কম হওয়ায় সরকারকে সঞ্চয়পত্র বাবদ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারিতে ৬ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা এবং গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। 


কয়েক বছর আগেও সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের আয়ের প্রাথমিক উত্স। তবে সুদের হার কম ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে। এদিকে গত জুলাই-জানুয়ারি রাজস্ব আদায় ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়।


 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ১২.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। তবে এনবিআর-বহির্ভূত কর রাজস্ব ৩.৪ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সাত মাসে করবহির্ভূত রাজস্ব ২১ শতাংশ বেড়েছে ২৭ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।


 গত সাত মাসে রাজস্ব বাজেট থেকে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ৪০.২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ৩৯.৭ শতাংশ। উন্নয়ন খরচ ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ২০ শতাংশ।


আরও খবর



আফগানিস্তানে অতিবৃষ্টি-বন্যায় নিহত অন্তত ৬০

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :


আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলের বাঘলান প্রদেশে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন।


 ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট এই বন্যায় কমপক্ষে ১০০ জন আহত এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির তালেবান সরকারের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি।



আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল মতিন কানি বলেছেন, যারা মারা গেছেন তারা বাঘলান প্রদেশের বোরকা জেলার মানুষ। দুই শতাধিক মানুষ তাদের ঘরের মধ্যে আটকা পড়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।



আবদুল মতিন রয়টার্সকে বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাঘলান প্রদেশের পাঁচটির বেশি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 


তিনি জানান, দুর্গত এলাকায় সাহায্যকারী দল ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।



স্থানীয় কর্মকর্তা হেদায়তুল্লাহ হামদর্দ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সেনাবাহিনীসহ জরুরি সেবাদানকর্মীরা কাদা ও ধ্বংসস্তূপের নিচে আহত ও নিখোঁজদের সন্ধান করছেন। গৃহহীন কিছু পরিবারকে তাঁবু, কম্বল এবং খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।


বন্যার জেরে কাবুলের সাথে উত্তর আফগানিস্তানের সংযোগকারী প্রধান সড়কটিও বন্ধ রয়েছে।


মূলত আফগানিস্তানে প্রতি বছর মুষলধারে বৃষ্টি এবং বন্যায় মানুষ মারা যায়। এছাড়া বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ এলাকায় দুর্বলভাবে নির্মিত ঘরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।


বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্য, অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:

২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট করেন। এ রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।



২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

 

রিটে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। 


একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

 

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন।

 

অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

 

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে, যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। 


যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

 

ব্লুমবার্গের প্রায় আড়াই হাজার শব্দের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে, ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।

 

এ অভিযোগের পর ২ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর বলেন নিজের বিরুদ্ধে এক টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

 

লন্ডনে পৈতৃক ব্যবসার কথা উল্লেখ করে বিদেশে নিজের ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেন।


 তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।


আরও খবর