Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

ফুসফুসে মাত্রাতিরিক্ত বাতাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ৩২৯জন দেখেছেন

Image

ফুসফুস হচ্ছে মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের নিশ্চয়তা প্রদান করে এ ফুসফুস। মানুষের শরীরে এ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটি আবার নানা রকম রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের ব্যাধির মধ্যে একটি জটিল ব্যাধি হচ্ছে এমফাইসিমা। এমফাইসিমার ফলে ফুসফুসে মাত্রাতিরিক্ত বাতাস জমা হয়। এটি প্রধানত একটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। কারণ যখন ফুসফুসের ভিতরের দিকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতাস জমা হয় তখন রোগীর বক্ষ, কাশির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট প্রকোপ আকার দেখা দেয়। এমফাইসিমা একটি কষ্টদায়ক ব্যাধি এ রোগ মানবদেহে একদিনে বাসা বাঁধে না। দীর্ঘ সময় নিয়ে এটি সৃষ্টি হয়। বাড়তি বাতাস জমা হলে ফুসফুস খুব দ্রুত ফুলে উঠে এবং এর অভ্যন্তরের অংশগুলো অকেজো হয়। কেউ যদি হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগী হয়ে থাকে, তবে তার এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ফুসফুসে এমফাইসিমা হতে পারে। কোনো কোনো শ্বাসকষ্টজনিত ব্যাধির কারণেও এমফাইসিমা হতে পারে। ধূমপান হচ্ছে ফুসফুসের সবচেয়ে বড় শত্রু। ধূমপায়ী ব্যক্তিদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু সংক্রমণের কারণেও এ রোগ হতে পারে। পরিবেশ দূষণ, কালো ধোঁয়াও ফুসফুসের এমফাইসিমা সৃষ্টির কারণ। আবার উপরের কারণগুলো ছাড়াও যে কোনো ব্যক্তি এ রোগ/ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণসমূহ : প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট। অল্প চলাফেরাতেই শ্বাসটানের উপক্রম হয় এবং দম ফুরিয়ে যায়। শ্বাস নেওয়ার সময় গলার শিরা ভরে যায়। পেটে এবং পায়ে পানি আসে। লিভারের আকার বৃদ্ধি পায়। কখনো কখনো এসব রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে। আবার রোগীর দেহ নীলও হয়ে যেতে পারে। বুকের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়। রোগী যখন ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে তখন শ্বাসযন্ত্র ও হার্টের অচলতার কারণে হার্ট অ্যাটাক (ফেইলিওর) হতে পারে। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের কারণে যদি এমফাইসিমা হয়ে থাকে প্রাথমিক অবস্থায় শ্বাসকষ্টের তীব্রতা দেখা যায় না। কিন্তু পরে হৃদযন্ত্রের ডান পাশের অংশ কার্যক্ষমতা হারিয়ে এক সময় হার্ট ফেইলিওর হয়।

প্রতিরোধ : এমফাইসিমা সম্পূর্ণ ভালো করার কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে ব্যাধিটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেহেতু এটি একটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ তাই ওষুধের দ্বারা শ্বাসকষ্টকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। শ্বাস নেওয়া এবং ছাড়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। ধূমপান পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে অনেকটাই জটিলতা এড়নো সম্ভব।


আরও খবর



উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


          প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় আজ। ভোট গণনা শেষে আসছে ফলাফল। সন্ধ্যা থেকে ফলাফল আসা শুরু হয়।


  বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে দেশের অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ। তবে কয়েক জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে।


ইসি সূত্রে জানা যায়, এ ধাপে মোট এক হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।


প্রথম ধাপে মোট ২৮ জন প্রার্থী এরইমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ১০ জন।


নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারাঃ


চট্টগ্রামঃ


সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু, ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম মহিউদ্দিন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহীনুর আক্তার বিউটি বিজয়ী হয়েছেন।


কক্সবাজারঃ


কক্সবাজারের তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নতুন ৩ মুখ। এদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, কুতুবদিয়া উপজেলায় ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম ও মহেশখালীতে দোয়াত কলম প্রতীকে মো. জয়নাল আবেদীন নির্বাচিত হয়েছেন।


বান্দরবানঃ


সদর উপজেলায় আব্দুল কুদ্দুস এবং আলীকদমে জামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কুদ্দুস জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের উপদেষ্টা। সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা বিজয়ী হয়েছেন। আলীকদমে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের রিটন। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিনা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।


ফেনীঃ


ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমজাদ হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল বনিক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


চাঁদপুরঃ


চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। মতলব উত্তর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ মানিক। মতলব দক্ষিণে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা আক্তার আঁখি নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শওকত হোসেন বাদল। মতলব উত্তরে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন লাভলী চৌধুরী।


লক্ষ্মীপুরঃ


লক্ষ্মীপুরে দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কমলনগর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও বর্তমান বহিষ্কৃত খালেদ সাইফুল্লাহ ও রামগতি উপজেলা কাপ পিরিচ প্রতীকে শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বেসরকারি ফলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ


সরাইলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে (ঘোড়া) পরাজিত করে জয়ী হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শের আলম।নাসিরনগর উপজেলায় প্রথম বারের মত নারী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার।


গোপালগঞ্জঃ


টুঙ্গীপাড়া উপজেলা পরিষদে ৩১টি কেন্দ্রে ৪০ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. বাবুল শেখ (দোয়াত—কলম)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গাজী মাসুদুল হক (আনারস) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫১ ভোট।


নরসিংদীঃ


নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনোয়ার হোসেন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৭২৩১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। পলাশ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ভাবে তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন পলাশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেন। কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে সৈয়দ জাবেদ হোসেন পান ৩১৩৪৩ ভোট।


গাজীপুরঃ


গাজীপুর সদরে সদ্য বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন পেয়েছেন ১০ হাজার ২০৮ ভোট।


শরীয়তপুরঃ


ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে ওয়াছেল কবির এবং নড়িয়া উপজেলা পরিষদে এ কে এম ইসমাইল হক বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। ইসমাইল হক বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।


হবিগঞ্জঃ


হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইকবাল হোসেন খান চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৪৩৩ ভোট।


দিনাজপুরঃ


দিনাজপুরের হাকিমপুরে কামাল হোসেন রাজ চেয়ারম্যান, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় শাহিনুর রহমান ভাইস চেয়ারম্যান এবং পারুল বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিরামপুরে বিপুল ভোটে পারভেজ কবির চেয়ারম্যান, আতাউর রহমান (চশমা) ভাইস চেয়ারম্যান ও আমেনা খাতুন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


মাগুরাঃ


মাগুরা সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের সাগঠনিক সম্পাদক রানা আমির ওসমান ও শ্রীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শরিয়ত উল্লাহ রাজন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।


মেহেরপুরঃ


মেহেরপুর সদরে আনারুল ইসলাম চেয়ারম্যান, হাশেম আলী ভাইস চেয়ারম্যান এবং লতিফুন্নেছা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে, মুজিবনগরে আমাম হোসেন মিলু চেয়ারম্যান, বি এম জাহিদ হাসান রাজীব ভাইস চেয়ারম্যান এবং তকলিমা খাতুন।


আরও খবর



আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা কমানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২ মে) দাম কমানোর নতুন ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।



এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



লাইসেন্সবিহীন টিভি চ্যানেল বন্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত ১০টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।


সিদ্ধান্তগুলো হলো:

১. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলগুলো গ্রাহকের কাছে বিতরণ করতে পারবে।

২. ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনও চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩. সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪. টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসগুলো ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থপাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনও অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

৬. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ছাড়া অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বিধায় কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবা প্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ছাড়া নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডির মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না।

আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮. কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীরা ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯. অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এই সিদ্ধান্তগুলো তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০. আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

 


আরও খবর



উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:


কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে নিজঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।


সোমবার (১৩ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মো. ইলিয়াস (৪৩) রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর ‘সি’ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসাইন।


স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মো. ইলিয়াস। 


ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানেই ইলিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।


ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি আভিযানিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। 


পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



কারিগরির সনদ জালিয়াতি : অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কারিগরির শামসুজ্জামানের মুখোমুখি করা হতে পারে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image

  ডিজিটাল রিপোর্টঃ


সার্টিফিকেট জালিয়াত চক্রের মূলহোতা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান যেসব সাংবাদিকের নাম বলেছেন সেসব সাংবাদিক চাইলে তার মুখোমুখি হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


শনিবার (১১ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিবি প্রধান।


মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেছেন এ কে এম শামসুজ্জামান। 


সার্টিফিকেট জালিয়াতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সাংবাদিক, দুদক কর্মকর্তা ও বোর্ডের চেয়ারম্যানের আশপাশে থাকা দালাল শ্রেণির লোকদের মোটা অংকের দিতেন তিনি।


ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

ডিবি প্রধান বলেন, সাংবাদিকরা ডিবির শত্রু বা প্রতিপক্ষ নয়। 


আমরা অন্যায়ভাবে কোনো সাংবাদিকদের নাম বলতে চায় না। শামসুজ্জামান গুটি কয়েক সাংবাদিকের নাম বলেছেন। কখন কোন সাংবাদিককে কোথায় কত টাকা দিয়েছেন তা সবকিছু স্বীকার করেছেন তিনি।



মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যেসব সাংবাদিকদের নাম এসেছে তারা চাইলে শামসুজ্জামানের মুখোমুখি হতে পারেন অথবা ডিবির মুখোমুখিও হতে পারেন। যদি তাদের (সাংবাদিকদের) স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ থাকে, তা উপস্থাপন করতে পারেন। 


যাদের নাম এসেছে প্রয়োজন হলে আমরাও তাদের সঙ্গে কথা বলবো। সার্টিফিকেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাবো।


বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান

শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ঈদের আগে যখন প্রথম রিমান্ডে ছিল তখন এক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে বলেন, ঈদ চলে এসেছে টাকা কবে দেবেন? 


সেই মুহূর্তে শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তোমার কাছে সাংবাদিক টাকা চাইছে কেন? তখন শামসুজ্জামান আমাদের কাছে খোলামেলা জানান, তার এ পদ ধরে রাখার জন্য তাকে অনেককে ম্যানেজ করতে হয়েছে। তাদের ম্যানেজ না করলে এ পদ থেকে সরিয়ে দিতো।


রিমান্ডে থাকা শামসুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিবির কাছে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের সবকিছু জানানো হবে। এছাড়া বুয়েটের অভিজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে কতগুলো সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করে তারা বিক্রি করেছেন সবগুলো বিষয় তদন্তে চলবে।


 

ডিবি প্রধান বলেন, জালিয়াতির অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। উচ্চপর্যায়ের এ তদন্ত কমিটির কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ডিজিটাল তথ্য থাকার পরেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব করে। 


অভিযুক্ত শামসুজ্জামান কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চাকরিচ্যুত ফয়সালকে দিয়ে একটি বাসা ভাড়া করে সার্টিফিকেট ও মার্কশিট তৈরি করছিল। জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বোর্ডের ওয়েবসাইটে তারা আপলোড করেন। যা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যাচাইয়ের জন্য বৈধ বলে ওয়েবসাইট থেকে প্রমাণ করতো।


 হারুন অর রশীদ বলেন, দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি রয়েছে। দুদক সম্পর্কে শামসুজ্জামান যা বলেছেন যদি সেগুলো দুদক যাচাই-বাছাই করতে চায় তবে তারা প্রয়োজন মনে করলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।


 

দুদকের কর্মকর্তারা কীভাবে জড়িত। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের চারপাশে দালাল শ্রেণির লোক, শিক্ষা বিটের সাংবাদিক এবং দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা যদি শামসুজ্জামানের সঙ্গে থাকে তবে সে তার সার্টিফিকেট বাণিজ্য আরও বড় আকারে করতে পারে। 


এ উদ্দেশ্যে সে ফয়সালকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসার ভেতর সার্টিফিকেট বাণিজ্যের কারখানা গড়ে তুলেছিল।


আরও খবর