Logo
আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে পাটের বাম্পার ফলন

ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৭২জন দেখেছেন

Image

মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ দেশে পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। দেশিয় অর্থনীতির কৃষিখাতে যার বড় একটি ভূমিকা সর্বদাই পরিলক্ষিত।

এছাড়া ভূমিকা রাখছে বস্ত্র শিল্পের মত অন্যান্য উৎপাদন শিল্পেও মাঝে কিছু সময় পাট চাষে দুর্দিন দেখা গেলেও অনুকুল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হওয়ার আশায় আবার নতুন করে পাটচাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষীরা। ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় সবকয়টি উপজেলাতেই রয়েছে পাটের আবাদ। মৌসুম ভেদে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকের জমিতে পাটের সবুজ ডগা দুলতে দেখা গিয়েছিলো এবার। সেই ডগা এখন কেটে ঘরে তোলার উপযোগী হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে।

আশানুরূপ বাজারমূল্য মিললে ঘুচবে দুঃখ, তাতে খুশি চাষীরা। এই খুশির মাঝে বাধ সেধেছে খড়া ও অনাবৃষ্টি । চলমান বর্ষা মৌসুমে কয়েকটি বিল এলাকায় কিছুটা পানি থাকলেও প্রচন্ড খরা আর অনাবৃষ্টির ফলে অন্যান্য এলাকাগুলোর অধিকাংশ নদী,নালা,খাল ও বিলে নেই পর্যাপ্ত পানি। যার কারণে পাট পঁচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চাষীরা।

এর ফলে সঠিক সময়ে ঘরে তোলা ও বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ফারাবাড়ি , হরিপুর উপজেলার জাদুরানি, রানীশংকৈল উপজেলার নেক মরদ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী, পীরগঞ্জ উপজেলার কোশানিগঞ্জ এলাকার চাষী  মোসারুল ইসলাম সাংবাদিক মজিবর রহমান শেখ কে বলেন, ৫-৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি।

ফলনও ভালোই হয়েছে কিন্তু নদী নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এগুলো পঁচানো সমস্যা হচ্ছে।  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের  চাষী রিয়াজুল ইসলাম নন্দ সাংবাদিক মজিবর রহমান শেখ কে  বলেন, অনেকদিন ধরে বেজায় খরা যাচ্ছে। নদী নালা সহ খালগুলিতেও পানি নাই। যার জন্য পাট ঘরে তোলা অসুবিধা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্রে জানা যায়, সমস্যাটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ জায়গায় আমরা পানি বিষয়ক সমস্যা অনেকটাই নিরসন করেছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টি হলেই এ সমস্যা সমাধান আরো সহজ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য ঠাকুরগাঁও জেলা কয়েকটি উপজেলাতেই পাটের আবাদ রয়েছে। বিশেষত হরিপুর, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী,ঠাকুরগাঁও সদর মত বিল এলাকায় এর বেশি আবাদ রয়েছে। সবমিলিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার মোট ৪৫ হাজার হেক্টরেরও অধিক জমিতে, পাট চাষাবাদ হয়েছে ।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে সড়কে ঝরল একই পরিবারের ৩ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন।


শনিবার (৪ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।


তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও স্থানীয়রা জানান নিহতরা একই পরিবারের সদস্য। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।


নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির (৩০) ও রাহেলা বেগম (৫০)। তাদের সবার বাড়ি চাঁদপুরে। দুর্ঘটনায় আহত ২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামী ১২ মে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে আগামী ১২ মে। 


এদিন সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।


গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ মে ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সম্মতি দিয়েছেন। 


প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ ইসমাত মাহমুদা এ সংক্রান্ত চিঠিতে সই করেছেন।


নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ও সময়সূচি নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন সময় দেন, সেদিন ফল প্রকাশে প্রস্তুতি নেওয়া হয়।


গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। সারাদেশে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়।



শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসএসসিতে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন, দাখিলে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। আর বিদেশের আট কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা, প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে রাসেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image



 সফিক ইসলাম:



আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাচনে  ভোট আগামী  ২১ মে।পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এলাকার সাধারণ ভোটারের ভালোবাসা ও উৎসাহ পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে প্রচারনা চালাচ্ছেন  গোলাম হাসনাইন রাসেল। 


সারা উপজেলায় এখন ভোটের আমেজ। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে প্রচারণা।  উৎসবে যেমন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ একযোগে অংশ নেয়, তেমনই ভোটের মাঠেও যোগ দিয়েছে সব বয়সের, সব শ্রেণির, সব পেশার মানুষ। 


গ্রামে, বাজারে, রাস্তায় পাড়া-মহল্লায়, শহরের অলিগলি  গোলাম হাসনাইন রাসেল ও কমিদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। গোলাম হাসনাইন রাসেলের  কর্মী-সমর্থকরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন।


 গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন তারা। পথসভা-উঠান বৈঠক করে  কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। 


চায়ের দোকান, মসজিদ-মন্দিরের আঙিনা এখন রাজনৈতিক আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। ব্যানার-পোস্টার দুলছে রাস্তায় বাঁধা রশিতে। শুধু মাঠে ময়দানেই নয়, প্রযুক্তির কল্যাণে টিভি চ্যানেল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ও  নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভোটের রাজনীতি।


গানে গানে ভোটের প্রচার: 


    প্রার্থীরা নিজেদের বার্তা ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে সম্ভাব্য সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন। এক্ষেত্রে গানে গানে ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেক প্রার্থী।সব মিলিয়ে ঘরের বাইরে কান পাতলেই এখন ভোটের আলোচনা ও ভোটের গান শোনা যায়।


 চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সর্বত্র এখন ভোট নিয়ে মানুষের আলাপ।এ উপজেলায় প্রার্থি চার জন থাকলেও প্রচার প্রচারনায় গোলাম হাসনাইন রাসেল এগিয়ে।


আরও খবর



বিশ্ব কবি রবী ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী আজ : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইনঃ


আজ পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী। ১৮৬১ সালের (বঙ্গাব্দ ১২৬৮) এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বকবি।


যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মা সারদা সুন্দরী দেবী। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ (৭ আগস্ট ১৯৪১) কলকাতায় পৈত্রিক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।


রবীন্দ্রনাথ একাধারে ছিলেন কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী-গল্পকার। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তার প্রথম লেখা কবিতা ‘অভিলাষ’ প্রকাশিত হয়।


 অসাধারণ সৃষ্টিশীল লেখক ও সাহিত্যিক হিসেবে সমসাময়িক বিশ্বে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় তার সাহিত্যকর্ম অনূদিত ও পাঠ্য সূচিতে সংযোজিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।


বিশ্বকবি ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রাহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কবিগুরু সেখানেই বসবাস করেন।


 ১৯০৫ সালে জড়িয়ে পড়েন বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে। ১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘শ্রীনিকেতন’ নামে সংস্থা। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘বিশ্বভারতী’।


১৮৯১ সাল থেকে বাবার আদেশে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে, পাবনা, নাটোরে ও উড়িষ্যায় জমিদারিগুলো তদারকি শুরু করেন। শিলাইদহে তিনি দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেন। এখানে জমিদার বাড়িতে রচনা করেন অসংখ্য কবিতা ও গান। ১৯০১ সালে শিলাইদহ থেকে সপরিবারে কবি বোলপুরে শান্তিনিকেতনে চলে যান।


রবী ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার দেওয়া বাণীতে বলেন, ছিল রবীন্দ্রনাথের জীবনবোধের প্রধান পাথেয় ছিল মনুষ্যত্বের বিকাশ, মানবমুক্তি ও মানবপ্রেম। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য অঙ্গনের এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার ও প্রবন্ধকার। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি।


রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি গেয়েছেন মানবতার জয়গান। শুধু সাহিত্য সাধনা নয়, পূর্ববঙ্গের জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি দরিদ্র প্রজাসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি ও মানবিক বিকাশের জন্য নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যে এক বিস্ময়কর প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, চিত্রশিল্পী, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক। তার হাতেই বাংলা কবিতা, গান, ছোট গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, গীতি নাট্য, নৃত্য নাট্য পূর্ণতা পেয়েছে। বাংলা সাহিত্য স্থান করে নিয়েছে বিশ্বসভায়।


 তিনিই প্রথম বাঙালি কবি, যিনি এশীয়দের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ শান্তি ও মানবতার কবি। বিশ্বমানবতার সংকটে তিনি সবসময় গভীর উদ্বেগ বোধ করতেন। রবীন্দ্র দর্শনের প্রধান বিষয় অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বিশ্বমানবতাবোধ ও মানুষে মানুষে মিলন। 


রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা বিজ্ঞানভিত্তিক, যা আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তার (রবীন্দ্রনাথের) রচনা আলোক শিখা হয়ে বাঙালিকে দেখিয়েছে মুক্তির পথ। বাঙালির সুখে-দুঃখে তার গান যেমন দিশা দিয়েছে, বাঙালির জাতীয় সংকটেও তার গান হয়ে উঠেছে একান্ত সহায়।


 ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান হয়ে উঠেছিল মুক্তিকামী বাঙালির চেতনা সঞ্চারী বিজয় মন্ত্র।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পতিসরে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। 


এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।


বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান মালা উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।


 রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে বেপরোয়া মন্ত্রী - এমপিরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ



উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 


আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।


আগামী ৮ মে যে ১৫০ উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে প্রায় ৭০ টিতেই মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তি রয়েছেন। সেই পছন্দের ব্যক্তিদেরকে জেতাতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনও এদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নির্বাচন কমিশন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ঠেকানোর জন্য করণীয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে। 



একাধিক উপজেলার খবর নিয়ে দেখা গেছে, সেখানে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে জেতানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। যেমন, তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।


 আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনে যারা প্রতিপক্ষ রয়েছে তাদেরকে নানা রকম হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের ভীতি দেখানোর জন্য সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। 


এই সমস্ত প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্র-এমপিদের স্বজন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে জেতানোর জন্য নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 


গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নমনীয় এবং সহনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের বহু মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজনরা আগে থেকেই রাজনৈতিক দল করে এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন কমিটিতে আছে।


 তাদেরকে আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে বাধা দেব। তার এই বক্তব্যের পর চাপে থাকা মন্ত্রী-এমপিরা এখন যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 



তারা মনে করছেন যে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেহেতু এখন তাদেরকে জিতিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা যেতে পারে। আর এই কারণেই তারা একের পর এক উপজেলাগুলোতে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।


 নিজস্ব প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা এলাকায় নানারকম কৌশল গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে তাদের পক্ষে আনার জন্য প্রলুদ্ধ করছেন। যা তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে উপজেলা নির্বাচন এখন কার্যত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। 


তবে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলছেন, এটা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নেতার লড়াই না। উপজেলা নির্বাচন এখন আসলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপির পছন্দের প্রার্থীর সাথে তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর লড়াইয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। 


যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবোধ করতে পারছেন। যেখানে তারা শক্তিশালী নন সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের কাছে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।



আরও খবর