Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম
ঠাকুরগাঁওয়ে পাটের বাম্পার ফলন

ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৮২জন দেখেছেন

Image

মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ দেশে পাটকে বলা হয় সোনালি আঁশ। দেশিয় অর্থনীতির কৃষিখাতে যার বড় একটি ভূমিকা সর্বদাই পরিলক্ষিত।

এছাড়া ভূমিকা রাখছে বস্ত্র শিল্পের মত অন্যান্য উৎপাদন শিল্পেও মাঝে কিছু সময় পাট চাষে দুর্দিন দেখা গেলেও অনুকুল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হওয়ার আশায় আবার নতুন করে পাটচাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষীরা। ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় সবকয়টি উপজেলাতেই রয়েছে পাটের আবাদ। মৌসুম ভেদে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কৃষকের জমিতে পাটের সবুজ ডগা দুলতে দেখা গিয়েছিলো এবার। সেই ডগা এখন কেটে ঘরে তোলার উপযোগী হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে।

আশানুরূপ বাজারমূল্য মিললে ঘুচবে দুঃখ, তাতে খুশি চাষীরা। এই খুশির মাঝে বাধ সেধেছে খড়া ও অনাবৃষ্টি । চলমান বর্ষা মৌসুমে কয়েকটি বিল এলাকায় কিছুটা পানি থাকলেও প্রচন্ড খরা আর অনাবৃষ্টির ফলে অন্যান্য এলাকাগুলোর অধিকাংশ নদী,নালা,খাল ও বিলে নেই পর্যাপ্ত পানি। যার কারণে পাট পঁচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে চাষীরা।

এর ফলে সঠিক সময়ে ঘরে তোলা ও বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা নিয়ে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ফারাবাড়ি , হরিপুর উপজেলার জাদুরানি, রানীশংকৈল উপজেলার নেক মরদ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী, পীরগঞ্জ উপজেলার কোশানিগঞ্জ এলাকার চাষী  মোসারুল ইসলাম সাংবাদিক মজিবর রহমান শেখ কে বলেন, ৫-৭ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছি।

ফলনও ভালোই হয়েছে কিন্তু নদী নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এগুলো পঁচানো সমস্যা হচ্ছে।  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের  চাষী রিয়াজুল ইসলাম নন্দ সাংবাদিক মজিবর রহমান শেখ কে  বলেন, অনেকদিন ধরে বেজায় খরা যাচ্ছে। নদী নালা সহ খালগুলিতেও পানি নাই। যার জন্য পাট ঘরে তোলা অসুবিধা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্রে জানা যায়, সমস্যাটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ জায়গায় আমরা পানি বিষয়ক সমস্যা অনেকটাই নিরসন করেছি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া বৃষ্টি হলেই এ সমস্যা সমাধান আরো সহজ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য ঠাকুরগাঁও জেলা কয়েকটি উপজেলাতেই পাটের আবাদ রয়েছে। বিশেষত হরিপুর, রানীশংকৈল, পীরগঞ্জ, বালিয়াডাঙ্গী,ঠাকুরগাঁও সদর মত বিল এলাকায় এর বেশি আবাদ রয়েছে। সবমিলিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার মোট ৪৫ হাজার হেক্টরেরও অধিক জমিতে, পাট চাষাবাদ হয়েছে ।


আরও খবর



শেখ হাসিনা-মোদির বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও একান্ত বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের অনিষ্পন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিশ্চিতকরণে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোদি।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হাসিনা-মোদির দ্বিপক্ষীয় এবং একান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৈঠক শেষে মোমেন জানিয়েছেন, হাসিনা-মোদি বৈঠকে তিস্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। কিছুক্ষণ তারা একান্তে আলোচনা করেছেন।

এই একান্ত বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কিনা- সে বিষয়ে কিছুই জানেন না মোমেন।

মোমেন বলেন, মোদির আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা দিল্লি সফর করছেন। তিনি দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছান। সাড়ে ৫টায় মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়। একান্ত বৈঠকও হয়।

মোমেন আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রণের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে জি-২০তে তুলে ধরার জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদিও জি-২০তে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য হাসিনাকে সাধুবাদ জানান।

মোমেন বলেন, শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, ভারত হলো বাংলাদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৃহত্তম  অংশীদার। ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধও তিনি মোদিকে করেছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র সই হয়েছে। কৃষি গবেষণা ও শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রকল্প ২০২৩ থেকে ২৫ এবং দুই দেশের মুদ্রার বিনিময় সহজতর করা নিয়ে।

এদিকে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় টুইট করে বলেন, আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।’

মোদি বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত নয় বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।


আরও খবর



অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে অনেক কিছুর দামই বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি বন্ধ না করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ন্যায্য দামে মানুষের কাছে পণ্য সরবরাহ করতে হবে৷ এক্ষেত্রে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’ 

 বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠে সেপ্টেম্বর মাসের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীদের টিসিবির পণ্য সাশ্রয় মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন৷ 

টিপু মুনশি বলেন, ‘আবশ্যিক কারণে বিভিন্নভাবে দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে৷ বিশেষ করে আমদানি নির্ভর তেল ও ডালের দাম বেড়েছে৷ এগুলো দেশে যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন না হওয়ায় বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়৷ প্রায় ৯০ ভাগ খাবার তেল ও প্রায় ৯৯ ভাগ চিনি আমদানি করতে হয়৷ এছাড়া ডালও আমদানি করতে হয়৷ বিশ্ব বাজারে এগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশে দাম বেড়েছে৷’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানুষের কষ্ট অনুভব করে এক কোটি মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন৷ এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাগব হবে। আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি, প্রতিনিয়ত তা করব৷’  

তিনি বলেন, ‘এ মাসে এক কোটি পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল-ডাল, তেল-চিনিসহ অনান্য সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ প্রতি মাসেই এ কার্যক্রম পরিচালনা করে টিসিবি৷ যারা এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য তাদের হাতেই পণ্য দিতে হবে৷ সামনে যেহেতু ডিজিটাল কার্ড সরবরাহ করা হবে তাই এ বিষয় নিয়ে আর দুশ্চিন্তা থাকবে না৷’ 


আরও খবর



'গাদার ২'র মতো সিনেমা জনপ্রিয় হচ্ছে, এটা ক্ষতিকর: নাসিরুদ্দিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : যেকোনো বিষয়ে স্পষ্ট মতামত দেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। সময়ে সময়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এবার তিনি মুখ খুলেছেন ‘গদর ২’, ‘দ্য কাশ্মির ফাইলস’, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মতো ব্লকবাস্টার হিটের খ্যাতি পাওয়া সিনেমা নিয়ে। সিনেমাগুলোতে তিনি বলিউডের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন।

নাসিরুদ্দিনের দাবি, এসব ছবির বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া উদ্বেগজনক। ‘ম্যান উওম্যান ম্যান উওম্যান’র কারণে বর্তমানে খবরে রয়েছেন তিনি। যা দিয়ে প্রায় ১৭ বছর পর পরিচালনায় ফিরছেন। এ সিনেমায় দেখা যাবে নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী রত্না পাঠককেও।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নাসিরকে বলিউডের সিনেমা নির্মাণের ধারার যে পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাব, জনপ্রিয়তা এখন জিঙ্গোইজম দ্বারা চালিত। যা ক্ষতিকারক। নাসিরুদ্দিন বলেন, এখন আপনি যত বেশি জিঙ্গোইস্ট হবেন, তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। কারণ এ ভাবনাই এখন চলছে। দেশকে ভালোবাসা স্পষ্ট নয়, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে। লোকে বুঝতে পারে না যে, তারা যা করছে তা খুব ক্ষতিকারক। এই যেমন, ‘কেরালা স্টোরি’ এবং ‘গদর ২’-এর মতো ছবি, এ ধরনের ছবি এখন মানুষ দেখছে। আমি সেগুলো দেখিনি তবে আমি জানি সেগুলো কী।

তিনি বলেন, এটা বিরক্তিকর যে ‘কাশ্মির ফাইলস’র মতো চলচ্চিত্রগুলো এত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় যেখানে সুধীর মিশ্র, অনুভব সিনহা এবং হনসল মেহতা, যারা তাদের সময়ের সত্য ঘটনা চিত্রিত করার চেষ্টা করছেন, তাদের তৈরি করা চলচ্চিত্রগুলো লোক দেখে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যে এই চলচ্চিত্র নির্মাতারা সাহস না হারিয়ে গল্প বলা চালিয়ে যাবেন। ১০০ বছর পর লোক যখন ‘ভিড়’ দেখবে আর ‘গদর ২’ দেখবে, তখন বুঝতে পারবে কোন সিনেমাটি বর্তমান সময়ের সত্যি কথা আসলেই বলেছিল। কারণ সিনেমাই একমাত্র মাধ্যম, যা এটা করতে পারে। বর্তমানে যা ঘটছে তাকে রিগ্রেসিভ বললেও কম বলা হবে। কোনো কারণ ছাড়াই কোনো সম্প্রদায়কে ছোট করা একটা বিপজ্জনক প্রবণতা।

ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রবাদ-প্রতিম ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন শাহ। শেষবার তাকে দেখা গেছে ‘তাজ : রেইন অব রিভেঞ্জ’ সিরিজে।


আরও খবর

দুই আসনে লড়তে চান মাহিয়া মাহি

মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩




ডেঙ্গু প্রতিরোধে যুবলীগের ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলার পৌরসভায় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী যুবলীগ।

রোববার বিকেলে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলার পৌরসভায় সপ্তাহব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচি পালনের জন্য যুবলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

যুবলীগ ঘোষিত কর্মসূচি

* সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ।

* মশারি বিতরণ।

*ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল মহানগর ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন কার্যক্রম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

*ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতার জন্য রক্ত দান কর্মসূচি।

* চিকিৎসকবৃন্দের সমন্বয়ে কেন্দ্র এবং সকল মহানগর ও জেলায় মেডিকেল টিম গঠন।

* ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশের সকল মহানগর ও জেলাসমূহে একটি হটলাইন চালু করতে হবে (এই হটলাইনটি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা ও রক্তদান কার্যক্রমে সহায়তা করবে)।

* সচেতনতামূলক বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ই-পোস্টার প্রকাশ ও প্রচার।


আরও খবর



মরক্কোয় ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মরক্কোয় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিক ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে ২৯৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, মাটির ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহর মারাখেস।

মারাখেসের ৩৩ বছর বাসিন্দা আব্দেলহক এল আমরানি বার্তাসংস্থা এএফপিকে টেলিফোনে বলেছেন, ‘আমরা খুবিই শক্তিশালী কম্পন অনুভব করি। আর আমি বুঝতে পারি এটি ভূমিকম্প। আমি ভবন নড়তে দেখছিলাম। তখন আমি বাইরে বের হয়ে দেখি রাস্তায় অসংখ্য মানুষ। মানুষ আতঙ্কিত ও হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল। শিশুরা কান্নাকাটি করছিল; বাবা-মায়েরা এতে বিরক্ত হচ্ছিল।’

মরক্কোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটলাস পরবর্তমালার কিছু এলাকায় সব বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। আর সেসব এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। তবে ওই পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আব্দেলহক এল আমরানি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ১০ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চলে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ আসলেও কেউ আর নিজ ঘরের ভেতর যাননি।

এই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ সাধারণত মধ্যরাতে যেসব ভূমিকম্প সংঘটিত হয় সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে কিছুটা সময় লাগে।


আরও খবর