Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

কোটালীপাড়ায় বাবাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পুত্রসহ গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৩০জন দেখেছেন

Image

মাহাবুব সুলতান,কোটালীপাড়া প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পিতাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পুত্রসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গত বুধবার দিবাগত রাত ৮টায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশ পৌর মার্কেট এলাকা থেকে পুত্র উজ্জল দাস (৩২)সহ ৪জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী উজ্জল দাস পৌরসভার ডহরপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বিমল দাস (৬০) এর একমাত্র পুত্র। 

গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন, পশ্চিম কয়খা গ্রামের রিয়াজুল খন্দকারের ছেলে ফিরোজ খন্দকার (২৭), একই গ্রামের নিখিল দাসের ছেলে সুজন দাস (২৫) ও সোহরাব হাওলাদারের ছেলে রমজান হাওলাদার (২৪)। 

জানাগেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে উজ্জল দাস ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পিতা ব্যবসায়ী বিমল দাসকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় বিমল দাস গুরুতর আহত হয়। এরপর বিমল দাসের ভাই কালা চাঁদ দাসের অভিযোগে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে বিমল দাসকে হত্যা চেষ্টার মূলপরিকল্পনাকারী হিসেবে উজ্জল দাসের নাম জানতে পারে পুলিশ। পরবর্তীতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ উজ্জল দাস ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারে মাঠে নামে। 

বুধবার রাতে বিমল দাসকে দ্বিতীয় দফায় হত্যা চেষ্টার পরিকল্পনা করার সময় পৌর মার্কেট এলাকা থেকে উজ্জল দাসহ ৪জনকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। 

কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ বলেন, ব্যবসায়ী বিমল দাস হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তার ভাই কালা চাঁদ দাস (৪৩) বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে এই মামলার প্রধান আসামী উজ্জল দাসসহ ৪জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

মামলার বাদী কালা চাঁদ দাস বলেন, আমার ভাই বিমল দাস তার ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে কিছু জায়গা বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই জমি বিক্রির কথা শুনে উজ্জল দাস তার পিতা বিমল দাসের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা করেছি। পুলিশ ইতোমধ্যে উজ্জল দাসসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছেন। 

ব্যবসায়ী বিমল দাস বলেন, গত মাসের ১৮ তারিখ রাতে কিছু সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা করেছিল। এ ঘটনায় আমি ৩ দিন খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তবে কারা আমার উপর হামলা চালিয়েছিল তাহা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আমার ভাই কালা চাঁদ দাস বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে বলে আমি শুনেছি। 


আরও খবর



রাফায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image


দেশবাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের কাছে রকেট হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠা হামাস।

এরপরই রাফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা রোববার গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিংয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় তিন সেনা নিহতের দাবি করেছে ইসরায়েল।


ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ১০টি প্রজেক্টাইল দক্ষিণ গাজার রাফা থেকে ক্রসিং এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ক্রসিংটি বর্তমানে ত্রাণে গাড়ি প্রবেশের সুাবধার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য ক্রসিং খোলা ছিল।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ করেছে, তবে তারা কোথা থেকে গুলি করেছে তা নিশ্চিত করেনি। হামাস মিডিয়া গ্রুপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, বাণিজ্যিক ক্রসিং হামলার লক্ষ্য ছিল না।


মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিনি চিকিত্সকরা বলেছেন, হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরেই রাফা শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে গোষ্ঠীটির সামরিক কাঠামোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘রাফা ক্রসিং সংলগ্ন হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার রয়েছে। গোষ্ঠীটি মানবিক সুবিধা ও স্থানগুলোকে ব্যবহার করছে। তারা গাজার বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।’

তবে বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফা শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নতুন হামলার ফলে রোববার কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

রাফায় সামরিক অভিযান চালানো ও হামাসকে উচ্ছেদ করতে বদ্ধপরিকর ইসরায়েল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এই অঞ্চলে স্থল অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধামন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।


আরও খবর



পাঁচ দেশ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image

পাঁচ দেশ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন

বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:


যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, গত বছর আন্তর্জাতিক সহায়তা কমেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর গতকাল তারা এক যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানে তারা আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম-এর চলতি বছরের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানকে সমর্থনের আহ্বান জানান। তারা মনে করেন, সবাই এগিয়ে না এলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য, বাসস্থান ও সুরক্ষার সংকট তৈরি হবে।


জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চাহিদার তুলনায় ৩০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর এই তহবিল কমার কারণে রোহিঙ্গাদের খাদ্য, রেশন কমানো হয়েছে, যা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি দল ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের সুরক্ষা এবং সমর্থনের আহ্বান জানানো জরুরি মনে করছি।


আমরা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় দেখেছি, তাদের মানবিক সম্পদ কমে যাচ্ছে। এবং আগুন ও সামনে বর্ষাকালে খারাপ আবহাওয়ার কারণে কমপক্ষে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন।’


এভাবে সহায়তা কমতে থাকলে কমপক্ষে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী খাদ্য, নিরাপদ পানীয় জল, বাসস্থান, সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো পাবে না। জ্বালানি তেল ও গ্যাস (এলপিজি)-র অভাবে এক লাখ পরিবার জ্বালানির জন্য কাঠের ওপর নির্ভরশীল হবে।

তাদের মাসে ১৪ হাজার টন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে হবে। ফলে বন উজাড় হবে এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অবশ্যই কাজ করতে পারি এবং করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং সংলগ্ন এলাকার তিন লাখ ৪৬ হাজার বাংলাদেশিকে তাদের জীবন রক্ষায় সহায়তা অব্যাহত আছে।


কিন্তু সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে তাদের আত্মনির্ভরশীলতা, জীবিকার সুযোগ তৈরি করা জরুরি।’

রোহিঙ্গাদের জন্য আরো মানবিক ও টেকসই সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ২০২৪ সালের জয়েন্ট রেসপন্স পরিকল্পনাকে সমর্থন জানাতে হবে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ১.৩৫ মিলিয়ন (সাড়ে ১৩ লাখ) মানুষের জন্য ৮৫২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, প্রতি জনের জন্য ৬৩০ ডলার সংগ্রহ করা।

তারা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। এই মানবিক কার্যক্রমে যারা সামনের সারিতে আছেন, তাদের প্রতিও আমাদের সমর্থন অব্যাহত আছে। আমরা অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারকেও মানবিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’

তাদের কথা, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা এবং জীবন বাঁচাতে এই জরুরি সহায়তা খুবই প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আগমনের সাত বছর হয়েছে। সংকটময় এই সময়ে যখন তাদের রক্ষায় আরো সহায়তা প্রয়োজন, তখন নাটকীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা কমে গেছে। তাই সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয় এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭.৬ মিলিয়ন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে, জাপান দিয়েছে ২.৬ মিলিয়ন ডলার। নরওয়েও ৬.৫ মিলিয়ন ক্রোনার দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে। সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানকে সমর্থন জানিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।তারা গত রোববার (১২ মে) দুপুরে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সংসদীয় কমিটির সদস্যরা জাতিসংঘের সংস্থা ডাব্লিউএফপি, আইএমওসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম দেখেন এবং ক্যাম্প-৫-এর সিআইসি অফিসের কনফারেন্স রুমে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তারা ঘুমধুমের নতুন ট্রানজিট ক্যাম্প, ১৮ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার, কুতুপালং সিআইসি অফিস পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান ও সাইমুম সরওয়ার কমল, জারা জাবিন মাহমুদ।

কুতুপালং ক্যাম্পের আমীর হোসেন বলেন, ‘আগে রেশনের জন্য আমাদের মাসে এক হাজার ২০০ টাকা দিতো। কয়েক মাস আগে কমিয়ে ৮৫০ টাকা দেয়া শুরু করে। এ মাসে আবার এক হাজার টাকা দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে আমরা কম দামে রেশন শপ থেকে খাদ্য কিনি। কিন্তু তাতে আমাদের হয় না। আমার পরিবারে ছয়জন সদস্য। অনেক কষ্ট হয়।’

‘রান্নার জন্য যে এলপি গ্যাস দেয় তাতে ১৫ দিনের বেশি চলে না। বাকি ১৫ দিন আমাদের ম্যানেজ করতে হয়। চিকিৎসা, ওষুধ এগুলোও পর্যাপ্ত নয়,’ বলেন তিনি।তার কথা, ‘আমাদের বাইরে যাওয়া বা কাজ করার কোনো সুযোগ নাই। যারা ভিতরে এনজিওর সঙ্গে কাজ করেন তাদের কিছু বাড়তি আয় আছে।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দাতাদের নজর এখন ইউরোপের শরণার্থীদের দিকে। এরপর এখন গাজা পরিস্থিতির কারণে সেখানেও নজর দিতে হচ্ছে দাতাদের। ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর নজর কমছে। সহায়তা কমছে।’

‘এই পাঁচ দেশের আহ্বানের কারণে পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হবে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের আরো তৎপর হতে হবে। বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা না বাড়ায় তাহলে এটা বাংলাদেশের জন্যই আরো সমস্যা ডেকে আনবে,’ বলেন তিনি।

তার কথা, ‘ওখানে খাদ্য সংকট হলে নানা সমস্যা তৈরি হবে। ক্যাম্পে অপরাধ বেড়ে যাবে। তারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে তাদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করবে। তখন নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। চাপটা পড়বে বাংলাদেশের ওপরে।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না ডোনাল্ড লুর এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু কতটা গুরুত্ব পেয়েছে। তবে বাংলাদেশের এটা শীর্ষে রাখা উচিত।’

আর সংসদীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘তাদের প্রতিমাসে ১০ ডলার করে সহায়তা দেয়ার কথা। এটা আরো বাড়ানো প্রয়োজন। তাদের পাঁচজনের পরিবার হিসাব করে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আসলে এই অর্থে তাদের ঠিক মতো চলে না। তাদের পুষ্টির হিসাব করে এটা দেয়া হয়।’ তার আশা, সহায়তা আরো বাড়বে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনই নতুন শিশুর জন্ম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সহায়তা না বাড়লে যে সমস্ত লোকজন সেখানে আছেন, তারা কষ্টের মুখে পড়বেন।’ তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াই হচ্ছে আসল সমাধান। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সে কথা বলেছি।’

(ডয়চে ভেলে বাংলা সংস্করণের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা)


আরও খবর



ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইন, নিউজ চীপঃ

ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

আজ রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচি শুরু করবেন।


জানা গেছে, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা বাংলাদেশে আসবেন।

আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম।


এ ছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

ঢাকা সফরকালে আইওএম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

অ্যামি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।


২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন।

এর আগে তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।


২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রতিনিধি:


কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে নিজঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।


সোমবার (১৩ মে) ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক্সটেনশনের হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মো. ইলিয়াস (৪৩) রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর ‘সি’ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে।


বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম হোসাইন।


স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, উখিয়ার আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনের ‘সি’-এর ৩ নম্বর ব্লকে থাকতেন রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি মো. ইলিয়াস। 


ভোরের দিকে তার ঘরের দরজা ভেঙে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী প্রবেশ করে তাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে হ্যান্ডিক্যাপ অফিসের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানেই ইলিয়াসকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।


ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের একটি আভিযানিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মো. ইলিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করে। 


পরে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তার মরদেহ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বর্তমানে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



তিন মামলায় আটকে যাচ্ছেন মিল্টন খন্দকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image
সদরুল আইনঃ

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান আটক মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

বুধবার (১ মে) রাতেই মিরপুর মডেল থানায় এসব মামলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর মডেল থানায় তিনটি অভিযোগে মামলা হবে মিল্টনের বিরুদ্ধে। মামলাগুলো এজাহারভুক্ত হওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল আটক করে মিল্টন সমাদ্দারকে।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। তিনি তার বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসেন।

তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং একাধিক মামলা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে।

হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগের ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। সেখানে ওষুধ চুরি করে ব্রিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়।

 এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন।

এর আগে মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও।

 যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪