Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

নেইমার কী পেলে হতে পারবেন?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩০০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে নেইমারের আর্বিভাব হয়েছিল ঢাকঢোল পিটিয়ে। কেউ কেউ আদর করে তাকে ডাকত ‘নতুন পেলে’ বলে। পেলে হওয়ার মতো অমিয় প্রতিভাও তার ছিল। কিন্তু নেইমার ঈশ্বরপ্রদত্ত প্রতিভার সঠিক ব্যবহার করে এখনো পেলে হয়ে উঠতে পারেননি। কৈশোর-তারুণ্য পেরিয়ে এখন তার বয়স ৩০। এরই মধ্যে তিনি আভাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারকে ‘না’ বলে দেওয়ার। আসলেই নেইমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের বিদায়ঘণ্টা বাজাবেন কি না, সেটা বলবে সময়। তবে নেইমার এখনো পর্যন্ত ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি।

২০১৪ ও ২০১৮ দুটি বিশ্বকাপেই ব্রাজিলিয়ানরা ‘হেক্সা’র স্বপ্ন সাজিয়েছে নেইমারকে ঘিরে। কিন্তু নেইমার তা পূরণ করতে পারেননি। এতে অবশ্য ভাগ্যেরও দায় আছে। ২০১৪ সালে নিজেদের মাটির বিশ্বকাপে দুর্দান্তই খেলছিলেন নেইমার। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে গুরুতর চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েন। নেইমারবিহীন ব্রাজিল সেমিফাইনালে ১-৭ গোলে বিধ্বস্ত হয় জার্মানির কাছে। ২০১৮ বিশ্বকাপের আগেও চোটে ছিলেন নেইমার। তবে সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপে খেললেও কোয়ার্টার ফাইনালেই বেলজিয়ামের কাছে হেরে যায় তাদের ব্রাজিল।

নেইমারের আভাসমতো এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ! আর কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে নেইমারের আত্মবিশ্বাসের পারদটাও অনেক ওপরে। মজা করে ক্লাব সতীর্থ মেসিকে বলেছেন, তাদের হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতবেন। কিংবদন্তি পেলে থেকে শুরু করে ব্রাজিলের ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোমারিও, সবাই আশাবাদী এবার ‘হেক্সা’র স্বপ্ন পূরণ হবে। তবে স্বপ্নটাকে সত্য করতে হলে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে হবে নেইমারকে। তা ব্রাজিল তারকা দুর্দান্ত ফর্মেও আছেন। ক্লাব পিএসজির হয়ে এরই মধ্যে মৌসুমে ১৯ ম্যাচে করেছেন ১৫ গোল। ক্লাবের ফর্মটা তিনি কাতারে টেনে আনতে পারলে স্বপ্নপূরণের পথে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে ব্রাজিল। তাছাড়া কোচ তিতের অধীনে ব্রাজিলের এবারের দলটিও দুর্দান্ত।

গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, পেদ্রো, রদ্রিগো, অ্যান্তনি—ব্রাজিল দলে গোল দেওয়ার লোকের অভাব নেই। তবে দেশকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতাতে হলে মূল ভূমিকাটা পালন করতে হবে নেইমারকেই। নেইমার পারবেন ‘পেলে’ হয়ে নিজের এবং দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে?

জ্বলে ওঠার জন্য নেইমারের সামনে অন্য একটি উপলক্ষ্যও আছে। কিংবদন্তি পেলেকে টপকে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড। রেকর্ডটি থেকে মাত্র ৩টি গোল দূরে নেইমার। জাতীয় দলের হয়ে ১২১ ম্যাচে ৭৫ গোল করেছেন তিনি। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ গোল করেছেন পেলে। মানে কাতারে দুটি গোল করলেই নেইমার ছুঁয়ে ফেলবেন পেলেকে। ৩টি করলে গড়ে ফেলবেন নতুন রেকর্ড।



আরও খবর



তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র হলেন সাদিক খান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image



লন্ডন প্রতিনিধিঃ


টানা তৃতীয়বারের মতো লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড গড়েছেন সাদিক খান। অপরাধ দমন ও বিশুদ্ধ বায়ুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জয়লাভ করেছেন।


৪৩.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সোসান হল পেয়েছেন ৩২.৬ শতাংশ ভোট।



২০১৬ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন সাদিক খান। পরে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন তিনি।


কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলের বিরুদ্ধে তুমুল প্রচারণার মাধ্যমেই সাদিক খান জয়লাভ করেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি লন্ডনের সাবেক মন্ত্রী পল স্কুলিসহ আরও হাইপ্রোফাইল টরি প্রার্থীদের পেছনে ফেলেই নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।


পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান সুযোগ-বঞ্চিত পরিবারের ছেলে। সাদিক খান তার বাপ-মায়ের আট সন্তানের একজন। পাকিস্তান থেকে আসা সাদিক খানের বাবা ছিলেন বাস ড্রাইভার এবং মা জীবিকা নির্বাহের জন্য সেলাইয়ের কাজ করতেন।


তারা থাকতেন দক্ষিণ লন্ডনের একটি এলাকায় দরিদ্রদের জন্য তৈরি সরকারি কাউন্সিল ফ্ল্যাটে।


ছোটবেলা থেকেই সাদিক খান নিজে যে আদর্শে বিশ্বাসী তা নিয়ে লড়তে এবং সাফল্যের জন্য সব প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে পিছপা হননি।


সাদিক খানের বাবা আমানুল্লাহ খান এবং মা সেহেরুন খান পাকিস্তান থেকে লন্ডনে আসেন ১৯৭০ সালে- সাদিক খানের জন্মের কিছুদিন আগে।


সাদিক খান তাদের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে পঞ্চম। তারা সাত ভাই এবং এক বোন। দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনের যে তিন-কামরার ফ্ল্যাটে তারা থাকতেন, সেখানে তাদের বড় পরিবারকে গাদাগাদি করে থাকতে হতো।


স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলে তিনি পড়তেন এবং সেখানেই ১৫ বছর বয়সে তিনি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং লেবার পার্টিতে যোগ দেন। আর্নেস্ট বেভিন কলেজ নামে ওই স্কুলের প্রধান ছিলেন যুক্তরাজ্যের কোনো মাধ্যমিক স্কুলের প্রথম মুসলমান প্রধান শিক্ষক।


সাদিক খান ছোটবেলা থেকেই মুসলিম ধর্মবিশ্বাসকে লালন করেছেন এবং তিনি বলেছেন বাবা-মার কাছ থেকে এই শিক্ষা তিনি পেয়েছিলেন যে ‘কোথাও অন্যায় কিছু দেখলে তা পরিবর্তনের চেষ্টা করা তোমার কর্তব্য।’


তিনি লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন, ফুটবল, বক্সিং এবং ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন। এমনকী তরুণ হিসেবে তিনি সারে কাউন্টি ক্রিকেট দলেও কিছুদিন ট্রেনিং নিয়েছিলেন।


তবে তিনি বলেছেন ফুটবল মাঠে কীভাবে তাকে ও তার ভাইকে বর্ণবাদী মন্তব্য শুনতে হয়েছে, যার কারণে তিনি ঘরে বসে খেলা দেখাই ‘নিরাপদ’ মনে করতেন। পরে তিনি লিভারপুল দলের ভক্ত হয়ে ওঠেন।


প্রথমদিকে তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়েছিলেন- ভেবেছিলেন দন্ত চিকিৎসক হবেন। পরে একজন শিক্ষকের পরামর্শে তিনি আইন পড়তে যান। ওই শিক্ষক তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি সবসময় তর্ক করো।’


১৯৯৪ সালে তিনি একটি আইন সংস্থায় মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ওই বছরই তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদের সঙ্গে তার পরিচয় ও বিবাহ। সাদিয়াও আইন পড়তেন এবং কাকতালীয়ভাবে তিনিও বাসচালকের কন্যা।তাদের দুই কন্য সন্তান আছে - আনিসা আর আম্মারা।


সাদিক খান স্থানীয় প্রশাসনে ১২ বছর কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে আইনজীবীর কাজ ছেড়ে তিনি পুরো সময়ের জন্য রাজনীতিতে যোগ দেন।২০০৫ সালে তিনি দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে তার সমসাময়িকরা বলেছেন সাদিক খান ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত’ এবং ‘একগুঁয়ে ব্যক্তি এবং ‘তার যুক্তি খারিজ করে দেয়া প্রায়ই কঠিন’।


২০১০ সালে গার্ডিয়ান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাদিক খান বলেছিলেন ‘আমি উদ্ধত কোনো মন্তব্য করতে চাই না- তবে ব্রিটিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতে পারে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, খুব কম মুসলমানকে বলতে শোনা যায় ‘আমি একইসঙ্গে ব্রিটিশ, মুসলমান এবং লন্ডনবাসী- তা নিয়ে আমি গর্বিত।’  


আরও খবর



গাজায় যুদ্ধ শেষ না হলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না হামাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৪জন দেখেছেন

Image



আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ


প্রায় সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।


 চলমান এই যুদ্ধের বিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে চলছে আলাপ-আলোচনাও। তবে, গাজায় যুদ্ধ শেষ না হলে কোনও যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না বলে জানিয়েছে হামাস।


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা শনিবার রাতে জানিয়েছেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনও প্রস্তাবে ‘কোনও পরিস্থিতিতেই একমত হবে না’ যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা থাকবে না।


 

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার ছাড়া কোনও চুক্তিই হবে না।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে’ কেবল বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে চুক্তি করার বিষয়ে ইসরাইলের  প্রচেষ্টার নিন্দাও করেছেন।

 

এর আগে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।’

 

ইসরাইলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, জিম্মি চুক্তির  বিষয়ে ‘ইতিবাচক ইঙ্গিত’ পেলেই কেবলমাত্র তারা কায়রোতে প্রতিনিধি দল পাঠাবে। যদিও এমন কিছু এখনও ঘটেছে বলে মনে হয়নি।



আরও খবর



আমি সকলের জন্য নই

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন,বিনোদন ডেস্ক থেকেঃ


বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে বিয়ে সারেন দক্ষিণী তারকাযুগল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। 


যদিও বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুই তারকা। বিচ্ছেদের পর সামান্থা বা নাগা কেউই একে অপরের দিকে আঙুল তোলেননি। নিজেদের মতো করে জীবনে এগিয়ে এসেছেন।


তবে সম্প্রতি বিয়ের পোশাক কেটে সেই রাস্তা থেকে সরে আসেন সামান্থা! কিছুদিন ধরেই নাগার সঙ্গে শোভিতা ধুলিপালার প্রেমের খবর চাউর হয়েছে। এবার শোনা যাচ্ছে, চর্চিত প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নাগা।


 এমন সময়ই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করলেন সামান্থা। যা ঘিরে নেটদুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় বইতে শুরু করেছে।


একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সামান্থা লিখেছেন, ‘বৃষ রাশিকে কখনোই হারাবেন না।’ আসলে সামান্থা বৃষ রাশি ব্যক্তিত্ব। অন্য পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি সকলের জন্য নই, চলো তাই ঠিক আছে।’ 


সামান্থার পোস্ট দেখে নেটিজেনরা অবশ্য নাগার বিয়ের গুঞ্জন নিয়ে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন।


তবে সামান্থা ক’দিন ধরে অভিযোগের সুরে কথা বললেও নানা ঠিক উল্টো পথে চলছেন। প্রেম চর্চার মাঝেও নাগা স্বীকার করেছেন সামান্থার সঙ্গে তিনি অন্যায় করেছেন। 



একসঙ্গে দুটি সম্পর্কে ছিলেন। ভাইরাল হওয়া পুরনো একটি ভিডিওতে নাগা বলেছেন, ‘একটাই জীবন। সব রকম অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। তবে এখন বয়স হয়েছে। নিজেকে বুঝেছি। তাই এখন সেটল ডাউন করতে চাই। তবে হ্যাঁ, সম্পর্কে থাকার সময় আমি ঠকিয়েছি।’


আরও খবর



জামায়াতকে একমঞ্চে চায় ১২ দলীয় জোট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইন:


সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দাবিতে আগামীর আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে একমঞ্চে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট। 


তাদের পরামর্শ, বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত শক্তিশালী। তাই মাঠের আন্দোলন সফল করতে হলে জামায়াতসহ বাম-ডান ও ইসলামী ঘরানার সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।



তারা বলেন, ২৮ অক্টোবরের আগে একমঞ্চ থেকে আন্দোলন পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা তখন একমঞ্চে প্রায় চলেও এসেছিলাম। কিন্তু যুগপতেরই দুএকটি শরিক দল ও জোটের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। 


২৮ অক্টোবর জামায়াতও মাঠে ছিল। কিন্তু পৃথকভাবে তারা কর্মসূচি করেছে। ওইদিন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।


রোববার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তাদের এমন পরামর্শ দেন ১২ দলের কয়েকজন নেতা।



দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একদফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও যুগপৎভাবে কোনো কর্মসূচি মাঠে গড়ায়নি। 


এমন প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে মিত্রদের পরামর্শ নিতে তাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে এ দিন ১২ দলের পর একই স্থানে এলডিপির সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি।


গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের পর ১২ ও ১৩ জানুয়ারি যুগপতের শরিকদের সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ডের ভার্চুয়ালি সিরিজ বৈঠক হয়। যেটাকে তখন বিএনপি ও শরিকদের পক্ষ থেকে ‘সৌজন্য বৈঠক’ বলা হয়েছিল।


 সেখানে সরকারি নানামুখী চাপ ও প্রলোভন সত্ত্বেও নির্বাচনে না যাওয়া এবং যুগপৎ আন্দোলন অব্যাহত রাখায় বিএনপির পক্ষ থেকে মিত্রদের সাধুবাদ জানানো হয়।


জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নতুন কী কর্মসূচি নেওয়া যায়- সে ব্যাপারে ১২ দল নেতাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। 


তখন জোটের কয়েকজন নেতা নির্বাচন বর্জন করে যুগপৎ কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সবাইকে নিয়ে ঈদুল আজহার পর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার পরামর্শ দেন। এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে দুএকজন নেতা ঢাকায় একমঞ্চ থেকে সমাবেশ এবং ঢাকার বাইরে সব মহানগরে একই আদলে সমাবেশের মতো কর্মসূচির প্রস্তাব করেন।



বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করেছে। এটা আমাদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। 


আমরা মাঝে মাঝেই বসি, আলোচনা করি। দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মানুষের দুর্ভোগ, দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা, দুর্নীতি-অনাচার, সীমান্ত সংকট, সীমান্তে মানুষ হত্যা, সীমান্তে অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।


১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীতে আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।



 বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা চেয়েছে। আমরা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করব।


আরও খবর



প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার দায় ইসির নয় : সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না। নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা।

সিইসি বলেন, যারা নির্বাচন করবে তাদের প্রার্থী বলা হয়। একজন, দুইজন, চারজন, পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে। আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী। প্রার্থীকে ভোট দেবে।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উপজেলা নির্বাচন মোটেই নিয়মরক্ষার ভোট না। নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। কোনো একটা দেশের শাসনব্যবস্থাকে চালু রাখতে হলে নির্বাচন প্রয়োজন।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪