Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

পারিবারিক পুষ্টি বাগান বদলে দিয়েছে পরিবেশ, নোংরা দুর্গন্ধময় জায়গা এখন সবুজ ও সুরভিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৩৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ ‘বাড়ির সামনের এই জায়গাটুকু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো, ময়লা ফেলতাম। গরু ছাগল বেঁধে রাখতাম, প্রসাব পায়খানা করতো। দুর্গন্ধ হতো। এখন এই জায়গাটুকুতেই অনেক ধরণের শাক সবজি হচ্ছে’। 

কৃষি সুপারভাইজার ভাইয়ের বুদ্ধি পরামর্শ নিয়ে নিজের আঙ্গিনায় শাক সবজি উৎপাদন করতে পারছি। আমার বাগান থেকেই টাটকা সবজি সংগ্রহ করে খেতে পারছি।’ এই বাগান হয়ে অনেক ভালো হয়েছে।উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মোত্তর কুতুপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী নার্গিস আক্তার। রবিবার (৭ আগস্ট) ব্রহ্মোত্তর গ্রামে গেলে তিনি সংবাদকর্মীদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, দেড় শতক জায়গা এখন আমার কাছে অনেক সম্পদ মনে হচ্ছে। লাউ, বেগুন, শিম, বরবটি, পেঁপে, ঝিংগা, চিচিংগা, করলা, কায়তা, পাটশাক, লালশাক, সবুজশাক প্রভৃতি আবাদ করছি।বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জায়গায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তুলেছেন সরকারপাড়ার আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী জোহরা বেগম।

তিনি বলেন, ‘এখন আর আমাদের বাজার থেকে শাক-সবিজ কিনতে হয় না। নিজেদের বাগানে শাক-সবজি জৈব সার দিয়ে চাষ করছি। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক ব্যবহার করছি না। মুরগির বিষ্ঠা, মাছের পানি, উচ্ছিষ্ট সার হিসেবে ব্যবহার করছি। ‘শুধু আমরা খাই তা কিন্তু নয়, অনেকে কিনে নিয়ে যান সবজি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছি আমরা, এটাই বড় বিষয়।’

কোরানীপাড়া এলাকার দিনমজুর এনামুল হক। তিনিও বাড়ির পাশে দেড় শতক জায়গাজুড়ে গড়ে তুলেছেন সবজির বাগান। বলেন, ‘আমি চিন্তাও করিনি এতটুকু জায়গায় এত ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোমিনুর মোস্তফা জামানের উদ্যোগেই এটি সম্ভব হয়েছে।’

‘তিনি আমাদের বীজ দিয়েছেন, কোথায় কী বীজ দিতে হবে, কিভাবে জাংলা (মাচান) দিতে হবে, সব শিখিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে এ ধরনের বাগান করা সম্ভব হয়েছে।’ ৩৫টি বাড়ি নিয়ে গড়ে ওঠা ব্রোক্ষ্মোত্তরপাড়াটি এখন সবজি গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যে কাউকে বললেই দেখিয়ে দেবে সবজি গ্রামের লোকেশন। এই এলাকার মানুষ এখন আর সরকারপাড়া, কোরানীপাড়া কিংবা কুতুপাড়ার মানুষ হিসেবে নন, পুষ্টি গ্রামের মানুষ হিসেবে পরিচিত।

ওই এলাকার বাসিন্দা পোষাক কারখানার শ্রমিক খাদিজাতুল জান্নাত বলেন, আমিও পারিবারিক পুষ্টি বাগান করার জন্য যোগাযোগ করছি কৃষি কর্মকর্তার সাথে। সামনের দিনে আমিও করবো। এর অনেক উপকারীতা দেখছি চোখের সামনে। 

তিনি আরও বলেন, এলাকার রাস্তা দিয়ে হাঁটলে এখন আর প্রসাব, পায়খানা কিংবা নোংরা আবর্জনা চোখে পড়ে না। চোখে পড়বে লাউ, শিম, বরবটি, পেঁপে, বেগুন প্রভৃতির সবুজ দৃশ্য। সেইসাথে অনেক ধরণের ফুল ফলের সুবাস। ফলে একসময়ের দুর্গন্ধময় জায়গায় এখন সুরভিত পরিবেশ। 

ব্রহ্মোত্তর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোমিনুর মোস্তফা জামান বলেন, ‘চলতি বছরের শুরু থেকে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন শুরু হয়। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে প্রশিক্ষণ, বীজ ও সার দিয়ে পরিকল্পনামাফিক এ বাগান তৈরি করা হয়। এর সুফল পাচ্ছেন বাগান মালিক ও এলাকার বাসিন্দারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাগানের মালিকরা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শাক-সবজি গ্রহণ করতে পারছেন, উৎপাদনে মনোনিবেশ তৈরি হচ্ছে এবং সংসারের কাজের ফাঁকে তারা কৃষিতে সময় দিতে পারছেন। এটি কৃষি বিভাগের একটি সফলতা।’

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আশা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিভাগের উদ্যোগে পারিবারিক পুষ্টি বাগান কার্যক্রমের মাধ্যমে বাড়ীর আশেপাশের পরিত্যক্ত, ময়লা আবর্জনাযুক্ত অপ্রয়োজনীয় জায়গা কৃষির আওতায় এনে কাজে লাগানো হয়েছে। এতে ছোট ছোট পরিসরেই নিজস্ব বাগানে নানা ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি, ফলের চাষ করে দরিদ্র ব্যক্তিরা বেশ উপকৃত হচ্ছেন। 

তিনি বলেন, অনেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত শাক-সবজি ও ফল বিক্রি করছেন। এতে যেমন নিজের দৈনন্দিন ব্যয় কমেছে। তেমনি বাড়তি আয়ের ব্যবস্থাও হয়েছে। ফলে কারও কারও অভাব ঘুচানোর উৎস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বাগান। আবার কেউ কেউ বাগানের মাঝেই ছোট গর্ত করে তাতে মাছ চাষ করায় আমিষের সাথে প্রোটিনেরও  ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। অর্থাভাবে যারা তরকারী ছাড়াই কোনরকমে লবন মরিচ দিয়ে ভাত খেয়ে দিনাতিপাত করতো তারাও এখন তিন বেলায়ই কোন না কোন শাক-সবজি দিয়ে খাবার খেতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই বেশ কিছু পাড়া মহল্লায় এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান করা হয়েছে। এতে প্রায়  শতাধিক পরিবার উপকৃত হয়েছেন। তাদের দেখে আরও অনেকেই নিজ আগ্রহে বাগান করছেন। সবাইকে আমরা বীজ, সার, কীটনাশক দেয়াসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সার্বিক সহযোগীতা করছি। অনেককে চাষ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে সফল কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছি। আশাকরি এই উদ্যোগ কৃষি বিপ্লব হিসেবে পরিগণিত হবে এবং সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, ‘উপজেলায় ৬০০টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে ২৮৬টি বাগান তৈরি হয়েছে। কামার পুকুর ইউনিয়নের ব্রহ্মোত্তরপাড়ায় ৩৫টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হয়েছে। এলাকাটি এখন পুষ্টি গ্রাম হিসেবেই পরিচিত।

ওই এলাকার বাসিন্দারা এখন নিরাপদ সবজি গ্রহণ করছেন। সরকারিভাবে বীজ, সার ও চারা দেয়া হচ্ছে। শাক-সবজির পাশাপাশি কমলা, পেয়ারা, মাল্টা ও লেবুও উৎপাদন করছেন বাগানিরা।  



আরও খবর

দিনাজপুরে মৌপালন প্রশিক্ষণ

মঙ্গলবার ১৮ এপ্রিল ২০২৩




এসএমইতে লেনদেনে বিনিয়োগ থাকতে হবে ৩০ লাখ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ছোট মূলধনী কোম্পানির জন্য গঠিত এসএমই মার্কেটে লেনদেন করতে হলে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এমন বিধান বহাল রেখেছে উচ্চ আদালত।

এর আগে, গত বছর এসএমই মার্কেটে বিনিয়োগের সর্বনিম্ন বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ১৩ নভেম্বর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন রাজু হাসান নামের একজন বিনিয়োগকারী।

তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যূনতম ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের নিয়ম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল নিষ্পত্তি শেষে বিএসইসির আদেশ বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর দেওয়া তথ্য মতে, ডিএসইর এসএমই মার্কেটে যোগ্য বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তারা শেয়ার বিক্রি করেন। এখন থেকে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করতে হলে ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকতে হবে ৩০ লাখ টাকা। তবে কেবল তারা এসএমই মার্কেটে লেনদেন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এসএমই মার্কেটে বেঙ্গল বিস্কুটস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স, এপেক্স ওয়েভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস, মাস্টারফিড অ্যাগ্রোটেক, অরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ও হিমাদ্রি লিমিটেডসহ ১৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে বেঙ্গল বিস্কুটস, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়স, এপেক্স ওয়েভিং, হিমাদ্রি লিমিটেড ও ইউসূফ ফ্লাওয়ার মিলসকে ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমই প্লাটফর্মে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ১২টি কোম্পানি এ মার্কেটে কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে নতুন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে।


আরও খবর



দায়িত্ব পালন না করা পুলিশের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে: ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৪২জন দেখেছেন

Image

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার এবং ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই–এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। রোববার (১ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।  

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ও পুলিশের ভূমিকায় কতটুকু সন্তুষ্ট এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, খুব একটা না। যে কাজটা করা সম্ভব ছিল সেটা তারা করেনি। আইন করা এবং আইন বাস্তবায়ন করা যাদের দায়িত্ব তারা তা করছে না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সাইন দেওয়া আছে ৬০ কিলোমিটার গতিতে চলার জন্য।

সেখানে ১০০ কিলোমিটারে গাড়ি চলছে। এটা দেখভাল করার দায়িত্বটা কার? পুলিশ কী এখানে দায়িত্ব পালন করছে? না করতে করতে এটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অন্যান্য দেশগুলো যদি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না? আমাদের মন্ত্রীরা বলেন, আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে! কপালে লেখা, আমাদের করার কিছু নাই। এগুলো সংসদে বলেছেন। ২০১০ সালে জাতিসংঘ বলল, এটা কোনো অসুখ না। এটা মানুষের সৃষ্ট একটা সমস্যা।

সংবাদ সম্মেলনে আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। দেশব্যাপী সড়ক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম, সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, চালক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, শিক্ষকদের মাঝে সড়ক নিরাপত্তামূলক কর্মশালা, যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত গোলটেবিল, মতবিনিময় কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি। 

সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮–এর প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইনে গতিসীমা লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান বর্ণিত থাকলেও গতিসীমা নির্ধারণ হয়নি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সড়ক দুর্ঘটনার আচরণগত পাঁচটি মূল ঝুঁকি যেমন—অতিরিক্ত গতি, স্টান্ডার্ড হেলমেট ও সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি বিবেচনায় রেখে সার্বিকভাবে সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ-এর আলোকে যথাযথ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়িত হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে। 

সংবাদ সম্মেলনে নিসচার মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুলী কাজী ও বেলায়েত হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাতে দেশের পথে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | জন দেখেছেন

Image

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) লন্ডন থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (লন্ডন সময়) লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসবে।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাবেন। ফ্লাইটটি ৪ অক্টোবর (বাংলাদেশ সময়) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। 

প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজর একটি বিমানযোগে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছান।

লন্ডনে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের দ্বারা একটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ বিষয়ক এপিপিজি-এর চেয়ার ও রোহিঙ্গা এবং বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ড. রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) একটি প্রতিনিধিদলেরসহ কয়েকজন বিশিষ্টজনের সঙ্গে কয়েকটি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ২ অক্টোবর।

১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশন এবং অন্যান্য উচ্চ-পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপাক্ষিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন। সূত্র: বাসস


আরও খবর



১৫৯ আরোহী নিয়ে শস্যখেতে জরুরি অবতরণ করল উড়োজাহাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ৫০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৫৯ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ায় একটি শস্যখেতে জরুরি অবতরণ করেছে একটি বিমান। রাশিয়ার ইউরাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি দেশটির সোচি শহর থেকে ওমস্কে যাচ্ছিল এবং মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির মুখে পড়ার পর পশ্চিম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে এটি জরুরি অবতরণ করে।

বেশ কয়েকটি বার্তাসংস্থার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ইউরাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ১৫৯ জন আরোহী নিয়ে সোচি থেকে ওমস্কের দিকে যাওয়ার সময় পশ্চিম সাইবেরিয়ার নোভোসিবিরস্ক অঞ্চলে জরুরি অবতরণ করেছে বলে রাশিয়ান সংস্থাগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে।

অবশ্য এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কারও আহত হওয়ার কোনও খবর বা জরুরি অবতরণের কারণও জানা যায়নি।

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৫৯ জন আরোহী ছিলেন। এর আগে আরেক বার্তাসংস্থা তাস জানায়, জরুরি অবতরণ করা বিমানটিতে আরোহীর সংখ্যা ছিল ১৫৬ জন।

পৃথক প্রতিবেদনে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, সোচি থেকে ওমস্ক যাওয়ার পথে এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের একটি বিমান মঙ্গলবার সকালে মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং সেটিকে নোভোসিবিরস্কের একটি এয়ারফিল্ডে অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিমানটি সেখানেও পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় বলে জরুরি পরিষেবাগুলো রাশিয়ান মিডিয়াকে জানিয়েছে।

পরে বিমানটি নোভোসিবিরস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে একটি মাঠে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হাইড্রলিক্সের ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আরটি বলছে, ইউরাল এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইটে ২৩ শিশুসহ ১৭০ জন লোক ছিল। প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জরুর অবতরণের ঘটনায় যাত্রী বা ক্রুদের কেউই গুরুতর আহত হননি। কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি অবতরণ করার পরে প্লেনের বডিতে কোনও ফাঁটল বা ভাঙন দেখা দেয়নি এবং আগুনও ধরে যায়নি।

শস্যখেতে অবতরণের পর জরুরি স্লাইড ব্যবহার করে সবাই নিরাপদে বিমানটি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

রুশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেল ঘটনাস্থল থেকে ওই বিমানের ছবি শেয়ার করেছে। এসব ছবিতে অবতরণের পর ঘটনাস্থলে প্রথম উপস্থিত হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে বেষ্টিত অবস্থায় শস্যখেতের মধ্যে জরুরি নির্গমণের স্লাইডসহ বিমানটিকে দেখা যাচ্ছে।

অন্যান্য ছবিতে যাত্রীদের একটি দলকেও কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও খবর



সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ৩০০ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে ওয়ালটন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৫৮জন দেখেছেন

Image

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। অর্থাৎ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা লভ্যাংশ বাবাদ এ মুনাফা দেওয়া হবে। জুলাই ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পূর্ব ঘোষিত পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সভায় উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের শেয়ার প্রতি ৯ টাকা করে মুনাফা দেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

বিদায়ী বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৪ পয়সা। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩০ টাকা আর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের জন্য ৯ টাকা করে মুনাফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগের বছর ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪০ টাকা ১৬ পয়সা। সে বছর শেয়ার সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছিল। এর আগের বছর ২০২১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৫০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন ডিজিটাল মাধ্যমে কোম্পানিটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। তার জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর।

গত ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৪৩ টাকা ৭৩ পয়সা। এই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১১১ টাকা ৮৪ পয়সা। যা আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৯১ পয়সা।

২০২০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির বর্তমান শেয়ার সংখ‍্যা ৩০ কোটি ২৯লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। বৃহস্পতিবার সেই শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায়।


আরও খবর