Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ


মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে তার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে গেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।


আল হুমাইদি আল হারবি নামের ঐ বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ঐ হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।


কিন্তু ঐ সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ঐ বাবা। সেই অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।


ঐ বাবা জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। 


ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ঐ বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অন্যান্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।



আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে ব্যস্ততম এ এলাকার সবগুলো সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয় জোয়ার সাহারার জমজম রোডের ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা।



প্রগতি সরণির গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্ট অবরোধের ফলে রামপুরা-বাড্ডা-কুড়িল সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ যানজট এয়ারপোর্ট রোডেও বিস্তৃত হয়েছে।


বিক্ষুব্ধ গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।  


গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেড নামক একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। 


কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না সৃষ্টি হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে৷  


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং দুদিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।


 ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। 


আরও খবর



ভাবনার গরু সমাচার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪৪জন দেখেছেন

Image



বিনোদন ডেস্ক:


অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা সম্প্রতি একটি গরুর ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবির ক্যাপশন দিয়েছিলেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে? এই ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। 


একই সঙ্গে ভাবনাকে কটাক্ষ শুরু করেন নেটিজেনরা। এবার ভাবনা সেই ছবি পোস্টের ব্যাখ্যা দিলেন। 


ফেসবুকে ভাবনা বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝেই ছবি তুলতে পছন্দ করি , যখন কোনও দৃশ্য আমাকে ভাবতে বাধ্য করে, সেটা মাঝে মাঝে ফেসবুকেও শেয়ার করি।



আমার একটি ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পিকআপ ভ্যানে রোদে দাড়িয়ে একটি গরু। তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে পানি। সেদিন ছিল তীব্র দাবদাহ, গরমে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে অবলা প্রাণীটি ভীষণ ভাবে কাঁদছিলো। বোবা প্রাণের কান্না আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল। ছবি তুলে আমার অনুভূতি প্রকাশ করি আমি।’


এরপরই তীব্র কটাক্ষের শিকার হন জানিয়ে ভাবনা বলেন, ‘আমি ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছি “আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে।” ব্যাস এতটুকুই। তারপর কিছু মানুষ শুরু করলেন আমাকে হেয় করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ,লিখতে শুরু করলেন—আমি চামড়ার ব্যাবসায়ী! আমি নিজে একটা গাভী! আমাকে লাথি মারতে মারতে ইন্ডিয়া পাঠানো উচিত! আরও কত নোংরা নোংরা কথা। 


ভাবনা আরও বলেন, আমি ২০১৬ সালে কবে গরুর তেহারি খেয়েছি, কোনও ইন্টারভিউতে গিয়ে বলেছি আমি গরুর মাংস রান্না করতে পারি। কবে বিফ স্টেক খেয়েছি এইসব। 


আমি কোথাও লিখিনি আমি গরুর মাংস খাই না, বা বলিনি আপনারা গরুর মাংস খাবেন না, একজন প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন এটাই স্বাভাবিক, আর আমি প্রকৃতি প্রেমি বা প্রাণীপ্রেমি কি না সেটার প্রমান আমি কোথাও দিবো না। আমার ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর প্রমাণ হবে না আমি কে?


এই অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘অবশ্যই এই ছবিটি নিয়ে আমি আরও লিখবো, হয়তো কোন কবিতায় বা গল্পে ,বা অন্য কোথাও বা আমার পরবর্তী ক্যানভাসে। শিল্পীর বেদনা গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ আমার দিকে ছুঁড়ে দেয়া সকল তির আমি সাদরে গ্রহণ করলাম।’




আরও খবর



রাজধানীর ২২ স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

দেশবাংলা ডেস্কঃ

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দুটি স্থায়ীসহ মোট ২২টি পশুর হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের।

এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গাবতলীতে স্থায়ী হাট ব্যবহারের পাশাপাশি ৯টি অস্থায়ী হাটের আয়োজন করবে।

এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সারুলিয়ায় স্থায়ী মার্কেটের পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী হাট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, ৯টি হাট স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে ইজারা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও হাট বাতিল বা সংযোজনের অধিকার কর্তৃপক্ষের রয়েছে।


প্রাথমিকভাবে ১১টি হাটের ইজারা দেওয়া এবং অফিসিয়াল মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সমন্বয় করার ক্ষমতা রাখে।

ডিএনসিসির আওতায় হাটের জন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো হলো:

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খোলা জায়গা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া ব্যাপারীপাড়া রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকা এবং খিলক্ষেতের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্তুল চেকপোস্ট।


ভাটারার সুতিভোলা খালের কাছের খোলা জায়গা, উত্তরার ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, বউবাজার এলাকা এবং বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ, এল, এম, এন।

এছাড়াও মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টার্ন হাউজিং ওপেন স্পেস) এবং মোহাম্মদপুরের বসিলায় ৪০ ফুট রাস্তার পাশের খোলা জায়গায়ও হাট বসানো হবে।

ডিএসসিসির যেসব জায়গায় হাট বসতে যাচ্ছে:

যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন ১ ও ২ এর নিকটবর্তী খোলা জায়গা।

আমুলিয়া মডেল টাউন, রহমতগঞ্জ ক্লাব, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার, ইনস্টিটিউট লেদার টেকনোলজি কলেজ, পোস্তগোলা খোলা মাঠ, মেরাদিয়া বাজার এবং কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন স্থান। এছাড়াও বিশ্ব রোডের কাছে লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবের পাশের একটি অঞ্চলে হাট বসবে।

ইজারা মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবিধান:

দুই সিটি করপোরেশনই ইজারার মাধ্যমে ভাড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ বছর ডিএনসিসির আওতাধীন উত্তরার বউবাজার এলাকার হাটের জন্য সবচেয়ে বেশি ভাড়া এবং কাঁচকুড়া এলাকার জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।

সীমান্তবিষয়ক সমস্যা থাকায় একটি সমন্বিত কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে আফতাবনগর হাটের জন্য পৃথক ইজারা নোটিশ জারি করেছে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসি। সূত্র: ইউএনবি


আরও খবর



আজ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আশঙ্কা, ৬ জেলায় সতর্কসংকেত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১১জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


দেশের ছয় জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।


এতে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দুপুর ১টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


এ অবস্থায় এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আবহাওয়ার আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


এ ছাড়া রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।



আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




পাঁচ দেশ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image

পাঁচ দেশ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানালেন

বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:


যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, গত বছর আন্তর্জাতিক সহায়তা কমেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে।

সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর গতকাল তারা এক যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানে তারা আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম-এর চলতি বছরের জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানকে সমর্থনের আহ্বান জানান। তারা মনে করেন, সবাই এগিয়ে না এলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য, বাসস্থান ও সুরক্ষার সংকট তৈরি হবে।


জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চাহিদার তুলনায় ৩০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর এই তহবিল কমার কারণে রোহিঙ্গাদের খাদ্য, রেশন কমানো হয়েছে, যা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি দল ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দাতাদের সুরক্ষা এবং সমর্থনের আহ্বান জানানো জরুরি মনে করছি।


আমরা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় দেখেছি, তাদের মানবিক সম্পদ কমে যাচ্ছে। এবং আগুন ও সামনে বর্ষাকালে খারাপ আবহাওয়ার কারণে কমপক্ষে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন।’


এভাবে সহায়তা কমতে থাকলে কমপক্ষে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী খাদ্য, নিরাপদ পানীয় জল, বাসস্থান, সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো পাবে না। জ্বালানি তেল ও গ্যাস (এলপিজি)-র অভাবে এক লাখ পরিবার জ্বালানির জন্য কাঠের ওপর নির্ভরশীল হবে।

তাদের মাসে ১৪ হাজার টন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে হবে। ফলে বন উজাড় হবে এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য অবশ্যই কাজ করতে পারি এবং করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং সংলগ্ন এলাকার তিন লাখ ৪৬ হাজার বাংলাদেশিকে তাদের জীবন রক্ষায় সহায়তা অব্যাহত আছে।


কিন্তু সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে তাদের আত্মনির্ভরশীলতা, জীবিকার সুযোগ তৈরি করা জরুরি।’

রোহিঙ্গাদের জন্য আরো মানবিক ও টেকসই সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ২০২৪ সালের জয়েন্ট রেসপন্স পরিকল্পনাকে সমর্থন জানাতে হবে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ১.৩৫ মিলিয়ন (সাড়ে ১৩ লাখ) মানুষের জন্য ৮৫২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, প্রতি জনের জন্য ৬৩০ ডলার সংগ্রহ করা।

তারা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। এই মানবিক কার্যক্রমে যারা সামনের সারিতে আছেন, তাদের প্রতিও আমাদের সমর্থন অব্যাহত আছে। আমরা অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকারকেও মানবিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’

তাদের কথা, রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা এবং জীবন বাঁচাতে এই জরুরি সহায়তা খুবই প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আগমনের সাত বছর হয়েছে। সংকটময় এই সময়ে যখন তাদের রক্ষায় আরো সহায়তা প্রয়োজন, তখন নাটকীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা কমে গেছে। তাই সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয় এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৭.৬ মিলিয়ন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে, জাপান দিয়েছে ২.৬ মিলিয়ন ডলার। নরওয়েও ৬.৫ মিলিয়ন ক্রোনার দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে। সুইডেন এবং সুইজারল্যান্ড জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানকে সমর্থন জানিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।তারা গত রোববার (১২ মে) দুপুরে উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সংসদীয় কমিটির সদস্যরা জাতিসংঘের সংস্থা ডাব্লিউএফপি, আইএমওসহ বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম দেখেন এবং ক্যাম্প-৫-এর সিআইসি অফিসের কনফারেন্স রুমে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তারা ঘুমধুমের নতুন ট্রানজিট ক্যাম্প, ১৮ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার, কুতুপালং সিআইসি অফিস পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান ও সাইমুম সরওয়ার কমল, জারা জাবিন মাহমুদ।

কুতুপালং ক্যাম্পের আমীর হোসেন বলেন, ‘আগে রেশনের জন্য আমাদের মাসে এক হাজার ২০০ টাকা দিতো। কয়েক মাস আগে কমিয়ে ৮৫০ টাকা দেয়া শুরু করে। এ মাসে আবার এক হাজার টাকা দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে আমরা কম দামে রেশন শপ থেকে খাদ্য কিনি। কিন্তু তাতে আমাদের হয় না। আমার পরিবারে ছয়জন সদস্য। অনেক কষ্ট হয়।’

‘রান্নার জন্য যে এলপি গ্যাস দেয় তাতে ১৫ দিনের বেশি চলে না। বাকি ১৫ দিন আমাদের ম্যানেজ করতে হয়। চিকিৎসা, ওষুধ এগুলোও পর্যাপ্ত নয়,’ বলেন তিনি।তার কথা, ‘আমাদের বাইরে যাওয়া বা কাজ করার কোনো সুযোগ নাই। যারা ভিতরে এনজিওর সঙ্গে কাজ করেন তাদের কিছু বাড়তি আয় আছে।’

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে মেজর জেনারেল (অব.) শহীদুল হক বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা দাতাদের নজর এখন ইউরোপের শরণার্থীদের দিকে। এরপর এখন গাজা পরিস্থিতির কারণে সেখানেও নজর দিতে হচ্ছে দাতাদের। ফলে রোহিঙ্গাদের ওপর নজর কমছে। সহায়তা কমছে।’

‘এই পাঁচ দেশের আহ্বানের কারণে পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হবে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের আরো তৎপর হতে হবে। বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা না বাড়ায় তাহলে এটা বাংলাদেশের জন্যই আরো সমস্যা ডেকে আনবে,’ বলেন তিনি।

তার কথা, ‘ওখানে খাদ্য সংকট হলে নানা সমস্যা তৈরি হবে। ক্যাম্পে অপরাধ বেড়ে যাবে। তারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে তাদের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করবে। তখন নতুন সংকট তৈরি হতে পারে। চাপটা পড়বে বাংলাদেশের ওপরে।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি না ডোনাল্ড লুর এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যু কতটা গুরুত্ব পেয়েছে। তবে বাংলাদেশের এটা শীর্ষে রাখা উচিত।’

আর সংসদীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘তাদের প্রতিমাসে ১০ ডলার করে সহায়তা দেয়ার কথা। এটা আরো বাড়ানো প্রয়োজন। তাদের পাঁচজনের পরিবার হিসাব করে এই সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আসলে এই অর্থে তাদের ঠিক মতো চলে না। তাদের পুষ্টির হিসাব করে এটা দেয়া হয়।’ তার আশা, সহায়তা আরো বাড়বে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদিনই নতুন শিশুর জন্ম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সহায়তা না বাড়লে যে সমস্ত লোকজন সেখানে আছেন, তারা কষ্টের মুখে পড়বেন।’ তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াই হচ্ছে আসল সমাধান। আমরা সেটা নিয়েও কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সে কথা বলেছি।’

(ডয়চে ভেলে বাংলা সংস্করণের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা)


আরও খবর