Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে শোকজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৮৬জন দেখেছেন

Image

সৈকত শতদল, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হককে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি রাজবাড়ী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছে। তার প্রতীক ঈগল।

শোকজের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ হোসাগ হোসেন।

নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শাহিনুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশটি মঙ্গবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রদান করা হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ্য করা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ২৫/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী রাজবাড়ী- ২. সংসদীয় আসন নং- ২১০, এর পক্ষে প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট জনাব এ.কে. এম শফিকুল মোরশেদ কর্তৃক দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানতে পারি আপনি সংসদীয় আসন নং- ২১০ (রাজবাড়ী-২) এর নির্বাচনি এলাকায় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত ব্যক্তির মাধ্যমে প্রচারনার অংশ হিসেবে আপনার মনোনীত মোঃ হাসিবুল ইসলাম শান্ত, পিতা- মঙ্গল মল্লিক, সাং- বিনোদপুর, থানা- রাজবাড়ী সদর, জেলা, রাজবাড়ী দ্বারা পরিচালিত মিনি পিকভাপে প্রচার প্রচারণাকালে মিনি ট্রাকের উপরে লম্বা বাঁশ বেঁধে মুগী- সাওরাইল রাস্তা দিয়ে প্রচারনাকালে উক্ত বাস্তাব দুইপাশে লম্বা-লম্বি মাটি হতে প্রায় ১০ ফুট উপরে নৌকা প্রার্থীর পোস্টার লাগানো থাকাকালে দড়িসহ ছিড়ে ফেলেন।

যেহেতু পিকআপ পরিচালনাকারী ব্যক্তি আপনার মনোনীত এবং উক্ত মনোনীত ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত পিকআপে লম্বা বাঁশ বেঁধে নৌকা প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে ফেলেছেন মর্মে অভিযোগ এসেছে যাহা নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নির্বাচনের ০৩ (তিন) সপ্তাহ পূর্বে আপনার মনোনীত ব্যক্তি কর্তৃক উক্তরূপ কর্ম নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হচ্ছে। আপনার মনোনীত ব্যক্তির উত্তরুপ কর্ম আপনার কর্মই হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৭(২) বিধির পরিপন্থি।

আপনার মনোনীত ব্যক্তির উত্তরুপ কর্ম কেন আপনার কর্ম হিসেবে দিবেচনা করা হবে না এবং কেন নির্বাচনি আচরণ বিধিমালার লংঘন মর্মে গণ্য হবে না সে মর্মে আপনি য-শ্বরীবে উপস্থিত হয়ে বা মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে আগামী ২৮/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বেলা ১২.০০ ঘটিকার সময়ে অত্র কমিটি (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জয়, ২য় আদালত, বাজবাড়ী) এর কার্যালয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ হোসাগ হোসেন জানান, আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগে রাজবাড়ী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি।


আরও খবর



১৪১ উপজেলায় ভোট কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা গতকাল সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। এই ধাপের ১৪১ উপজেলায় আগামীকাল বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 


এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। তিনটি পদে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। 


তবে ভোটের আগেই এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। 


এদিকে, আজ মঙ্গলবার প্রথম ধাপের ভোট নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।



ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা পূর্বেই সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকে। সেই হিসেবে গতকাল রাত ১২টার পর থেকে প্রার্থীরা কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। 


ভোটে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধে হার্ডলাইনে ইসি। এ জন্য স্পিকারের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে।


 ইতিমধ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি। একইভাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের পুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের সন্ত্রাসী, অনৈতিক কার্যক্রম, মন্ত্রীর নাম ও ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ভোটে হস্তক্ষেপের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইসি।


 গতকাল ইসি পাংশা উপজেলা নির্বাচনের রািটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।


ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে স্বাভাবিক এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। 


এছাড়াও উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্ট গার্ড, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।


 ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবেন।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




রাফায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image


দেশবাংলা আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের কাছে রকেট হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠা হামাস।

এরপরই রাফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা রোববার গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিংয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ হামলায় তিন সেনা নিহতের দাবি করেছে ইসরায়েল।


ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ১০টি প্রজেক্টাইল দক্ষিণ গাজার রাফা থেকে ক্রসিং এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ক্রসিংটি বর্তমানে ত্রাণে গাড়ি প্রবেশের সুাবধার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য ক্রসিং খোলা ছিল।

হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটিতে রকেট নিক্ষেপ করেছে, তবে তারা কোথা থেকে গুলি করেছে তা নিশ্চিত করেনি। হামাস মিডিয়া গ্রুপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, বাণিজ্যিক ক্রসিং হামলার লক্ষ্য ছিল না।


মিসরের সীমান্তবর্তী রাফাহ শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ফিলিস্তিনি চিকিত্সকরা বলেছেন, হামাসের হামলার কিছুক্ষণ পরেই রাফা শহরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারকে লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে গোষ্ঠীটির সামরিক কাঠামোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘রাফা ক্রসিং সংলগ্ন হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার রয়েছে। গোষ্ঠীটি মানবিক সুবিধা ও স্থানগুলোকে ব্যবহার করছে। তারা গাজার বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।’

তবে বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফা শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নতুন হামলার ফলে রোববার কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

রাফায় সামরিক অভিযান চালানো ও হামাসকে উচ্ছেদ করতে বদ্ধপরিকর ইসরায়েল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এই অঞ্চলে স্থল অভিযান চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধামন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।


আরও খবর



ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল করে শতকোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image



ক্রাইম রিপোর্টারঃ


জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস কাজ করতেন একটি সোনার দোকানে। ঢাকার মিরপুরের কোঅপারেটিভ মার্কেটে ওই দোকানের কর্মচারি ছিলেন তিনি। 


এরপর শহিদুল ইসলাম সবুজ নামের একজনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র। পরিস্থিতি বদলাতে তার সময় লাগেনি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জয়নাল হয়ে যান শতকোটি টাকার মালিক।


দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্র নিয়ে তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। 


এর আগে চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তাররা হলেন, জয়নাল আবেদীনের প্রধান সহযোগী মোঃ রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কেএম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মোঃ লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান ওরফে মিঠু (৩০), ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে জয়নালসহ এ পর্যন্ত চক্রের মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


শনিবার (৪ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি সক্রিয় এনআইডি ব্যবহার করেন জয়নাল। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির বেশি হিসাব খোলেন।


 এরপর জয়নাল ফ্ল্যাটের মালিকানার জাল দলিল তৈরি করে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে হাতিয়ে নেয় শতকোটি টাকা।


জালিয়াতির টাকায় রাজধানীর বসুন্ধার আবাসিক এলাকায় ৭তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কিনেছেন জয়নাল। এ কাজে তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা।


সিআইডি প্রধান এডিশনাল আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, “গোপন সূত্রে জানা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্য একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক সক্রিয় এনআইডি ও টিন তৈরি করে।


 পরবর্তীতে তারা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তির মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করে।


এরপর তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে একাধিক ঋণ নিয়ে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।



তিনি বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হোতা জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিস। চক্রের অন্য সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। 


এসব ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বায়না করেন। এরপর ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন।


এরপর তারা ফ্ল্যাটের মালিকের কাছ থেকে নেওয়া দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে তৈরি করেন জাল দলিল। জয়নাল আবেদীন জাল দলিলে কখনো নিজে মালিক হন আবার কখনো চক্রের অন্যান্য সদস্যের মালিক বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ।


ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকা নেন জয়নাল। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় ক্ষমতা অর্পণ দলিল দেখিয়ে ক্রেতার নামে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন।


 এভাবে তারা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন শত কোটি টাকা।


সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই জালিয়াতি চক্র ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে পথে বসিয়েছেন বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছেন নিঃস্ব।


শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নাল আবেদীনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ ও ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় অর্থপাচার আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।


আরও খবর



যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্য, অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:

২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট করেন। এ রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।



২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

 

রিটে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি। 


একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

 

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন।

 

অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

 

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে, যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। 


যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

 

ব্লুমবার্গের প্রায় আড়াই হাজার শব্দের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে, ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।

 

এ অভিযোগের পর ২ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর বলেন নিজের বিরুদ্ধে এক টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

 

লন্ডনে পৈতৃক ব্যবসার কথা উল্লেখ করে বিদেশে নিজের ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেন।


 তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

ডেস্ক রিপোর্ট:



নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার ঘটনায় ২৫ বছর আগে করা মামলার রায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘোষণা করা হবে। 


ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন।


 গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের এদিন ধার্য করেন।


এ মামলার আসামিরা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, আদনান সিদ্দিকী, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।



১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।


মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।


 ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

 সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ


মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। 


২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।


ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।



পরে বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর