Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বুকে চাপা ব্যথা হলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

এই উপসর্গকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে অনুভব এবং প্রকাশ করে থাকে। কেউ বুকের মাঝখানে চাপ অনুভব করে, কেউ বুকে এবং পিঠে চাপ দেওয়া অনুভব করে থাকে। কারও বুকে পিঠে চাপসহ শ্বাসকষ্ট হতে দেখা যায়। কেউ বলেন বুক অত্যন্ত ভারি অনুভব হচ্ছে। কারও কারও সারা বুকে প্রচণ্ড চাপ অনুভূত হয়। এ সময় অনেকের কথা বলতে কষ্ট হয়। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যান বা অজ্ঞানের মতো হয়ে যান, মানে চারপাশে কী হচ্ছে বুঝতে পারছেন কিন্তু নিজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। তবে এ ধরনের লক্ষণ ক্ষণস্থায়ী হয়ে থাকে।

সাধারণত হার্টের সমস্যার জন্য এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। অত্যধিক টেনশন, দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা, বিমর্ষ হওয়া, যে কোনো অনিশ্চয়তায় ভোগা এসব কারণে মানব শরীরে ট্রেস হরমোন নামক এক ধরনের হরমোন রক্তে নিঃসৃত হয়। এসব হরমোন নিঃসরণের মাত্রা খুব অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে ঘটে থাকে। এসব হরমোনের প্রভাবে রক্তনালি সংকোচিত হয়ে সরু হয়ে যায় এবং রক্ত সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। হার্টের রক্তনালি সংকোচনের ফলে হার্টের রক্ত সরবরাহ কমার ফলে বুকে চাপ বা চাপা ব্যথা অনুভূত হয়। অল্প বয়স্ক ব্যক্তি বিশেষ করে নারীদের হার্টের রক্তনালি সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহও কমে যায়। ফলে রোগী অজ্ঞান বা অজ্ঞানের মতো অবস্থায় পতিত হয়। তবে প্রাকৃতিক নিয়মেই রক্তে হরমোনের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং রোগী কিছু সময় পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। মাঝবয়সী এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের যাদের হার্টে রক্ত প্রবাহ এমনিতে কমে গেছে যা সাধারণভাবে হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থাকার জন্য পরিলক্ষিত হয় অথবা ব্লক ছাড়াও অন্য কোনো ধরনের অসুস্থতা বিদ্যমান আছে। তারা যখন কোনো ধরনের ট্রেসফুল অবস্থা মোকাবিলা করে বা স্বাভাবিক কাজের থেকে ভারী কাজ করতে যান তখনই বুক চেপে আসে, এ ক্ষেত্রেও বিশ্রাম নিলে বা ভারী কাজ থেকে বিরত হলে অল্প সময়ের মধ্যেই চাপ কমে যায় এবং রোগী স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু আবারও যদি ওইসব অবস্থায় পতিত হন তবে আবারও আগের উপসর্গ দেখা দেয়। কেউ হঠাৎ কোনো বিকট শব্দ শুনলে বা হঠাৎ কোনো দুঃসংবাদ শুনলে, কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে বুকে চাপসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কখনো কখনো এ ধরনের চাপ খুব বেশি তীব্র হলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের বেলায় কখনো তীব্র চাপ, শ্বাসকষ্ট, শরীর অত্যধিক ঘেমে যাওয়ার সঙ্গে বমি বা বমি বমি ভাব হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। এমতাবস্থায় রোগীকে খুব তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে। বুকে চাপের ধরনও স্থায়িত্ব দেখে কিছু ক্ষেত্রে হার্টের অসুস্থতার মাত্রা বোঝা যেতে পারে। যদি কারও মৃদু চাপ হয় এবং অল্প সময়ে সেরে যায়, অনেক দিন পর পর পরিলক্ষিত হয় সঙ্গে অন্য সব উপসর্গ না থাকে তবে ধরে নেওয়া যায় যে, রোগীর হার্টের অসুস্থতার মাত্রা কম আছে। তবে যাদের চাপের তীব্রতা বেশি, চাপ থেকে সেরে উঠতে বেশি সময় লাগে, খুব ঘন ঘন চাপ ওঠে এবং চাপের সঙ্গে বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় ও শরীর ঘেমে যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় তবে ধরে নেওয়া যায় যে, রোগীর হার্টের অবস্থা শোচনীয়। এ ধরনের রোগী দ্রুত হার্ট স্পেশালিস্টের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা এড়াতে পারবেন। যে সব ব্যক্তি ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপ বা হাইপ্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বেলায় এ ধরনের প্রবণতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। যারা দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কেউ কেউ এ ধরনের উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও উপসর্গের তীব্রতা বেশি অনুভব করতে পারবেন না এ অবস্থাকে ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি বলা হয়, ডায়াবেটিস এবং হাইপ্রেসারের রোগীদের উপসর্গ মৃদু হলেও হার্টে বড় ধরনের অসুস্থতা বিদ্যমান থাকতে পারে। তাই এ অবস্থাতেও দ্রুত হার্টের চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।


আরও খবর

ফুসফুসে মাত্রাতিরিক্ত বাতাস

বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩




স্টুডেন্ট ভিসায় ফের পরিবর্তনের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্ট:


স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সঞ্চয় দেখাতে হয়। কিন্তু এই সর্বনিম্ন সঞ্চয়ের পরিমাণ আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। 



তাছাড়া অবৈধ পন্থায় শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে দেশটির বেশ কিছু কলেজকে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।


শুক্রবার থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্তত ১৯ হাজার ৫৭৬ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার সঞ্চয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে, এটি গত সাত মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বৃদ্ধি। 


 অক্টোবরে এই সঞ্চয়ের পরিমাণ ২১ হাজার ৪১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ হাজার ৫০৫ ডলার করা হয়েছিল।



করোনা মহামারির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর বহু শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এতে দেশটিতে চাপ তৈরি হয়েছে। তাই সম্প্রতি অভিবাসী নীতি কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


গত মার্চে ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা যাতে দীর্ঘদিন না থাকতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখার বিষয়ে রায় আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্ক:


মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখার বিষয়ে আজ রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।


সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো.বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।


এর আগে, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।


এরপর গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।



রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।


রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত বিধান নেই। এ জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হয়।


তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের সুযোগ রয়েছে। এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০ থেকে ১২ বছর পার হয়ে যায়। 


কিন্তু বাংলাদেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে বন্দী রাখা হয়। অথচ অনেকের পরবর্তীতে সাজা কমে। অনেকে খালাসও পান।


আরও খবর



কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক চক্র উধাও

শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের নামে অভিনব প্রতারণা ॥ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে প্রতারক চক্র উধাও

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৮০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনি

ধি : শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের নামে অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নিতে তৎপর একটি প্রতারক চক্র। বিনিয়োগ করার এই ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সর্বস্ব হারিয়ে দেশের আইন আদালতের দারস্থ হলে মিলছে না প্রতিকার। কারণ ততদিনে প্রতারক চক্র উধাও। এমনই এক প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে রাজধানীর বাড্ডা থানায়। সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন ৪২নং ওয়ার্ড বেরাইদ ভূঁইয়া পাড়া এলাকার মৃত মেজবু’র ছেলে সাইদুজ্জামান (৩৫) একই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে আব্দুন নূর (৫০) এর সাথে দীর্ঘদিনের পরিচয় ও সুসম্পর্ক সুবাদে বিভিন্ন সময় পার্টনারে স্টক একচেঞ্জ (শেয়ার) ব্যবসা করার নিমিত্তে ছোট ছোট অংকের টাকা ধার নিতেন ও পরিশোধ করতেন। এভাবেই প্রতারক সাইদুজ্জামান বিশ^াস অর্জন করার পর একটি চেকের বিপরীতে সর্বমোট ২,৪০,৫০,০০০/= (দুই কোটি চল্লিশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়ে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আব্দুন নূর চেকের মেয়াদে চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে উল্লেখিত একাউন্টে কোন টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়ে যায়। প্রতারক সাইদুজ্জামানকে টাকা পরিশোধের জন্য বিগত ২৫/০৬/২০২৩ইং তারিখে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। কিন্তু ২৬/০৬/২০২৩ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ এর প্রাপ্তি স্বীকার করার ১ মাস পরেও পাওনা টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখান নাই প্রতারক সাইদুজ্জামান। পরবর্তীতে ২১/০৮/২০২৩ইং তারিখে আব্দুন নূর বাদী হয়ে সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ এসি এম এম-১ আদালত নং- ০২ ঢাকা বরাবরে ১৩৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ৩৭৬/২০২৩। 

ঘটনার অনুসন্ধানে গিয়ে সাইদুজ্জামান সম্পর্কে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। জানা যায় প্রতারণার বাণিজ্য করতে এক সময়ের মসজিদের ক্যাশিয়ার এই সাইদুজ্জামান গড়ে তুলেছেন একটি চক্র। আর এই চক্রের মাধ্যমেই তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে একই কায়দায় আত্মসাৎ করেছে কোটি কোটি টাকা। যাদের নাম এবং টাকার পরিমান ক্রমানুযায়ী দেওয়া হলো: (১) নূর হোসেন- ৫ লক্ষ টাকা, (২) তারিফ সরকার- ২১ লক্ষ টাকা, (৩) হামিদা আক্তার- ১৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, (৪) রনি- ৩৬ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা, (৫) মফিজুল- ৫০ লক্ষ টাকা, (৬) হাফিজা- ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (৭) আল-আমিন- ৬ লক্ষ টাকা, (৮) সাইদ- ৬০ লক্ষ টাকা, (৯) শিপন- ৫ লক্ষ টাকা, (১০) মমিনুল- ৯ লক্ষ টাকা, (১১) ইকবাল গং- ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (১২) আল আমিন- ২৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, (১৩) ইয়াজ মোহাম্মদ- ১৮ লক্ষ টাকা, (১৪) ফাহিমা- ৭ লক্ষ টাকা, (১৫) তাজ মোহাম্মদ- ৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, (১৬) রাজু আহমেদ- ৫ লক্ষ টাকা, (১৭) চকন গং- ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (১৮) হাবিব- ৭০ লক্ষ টাকা, (১৯) শাহিন- ২৭ লক্ষ টাকা, (২০) কাউসার- ২০ লক্ষ টাকা, (২১) আমিনুল- ৫ লক্ষ টাকা, (২২) নাদিম- ৫ লক্ষ টাকা, (২৩) রবিন- ১০ লক্ষ টাকা, (২৪) রনি- ৩৭ লক্ষ টাকা, (২৫) আবুল কালাম- ৫লক্ষ টাকা, (২৬) তাইজুল ইসলাম- ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (২৭) আলম- ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, (২৮) সুমন- ৩৫ লক্ষ টাকা, (২৯) রাশেদুল- ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (৩০) মোঃ রাজিব হোসেন- ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, (৩১) আসলামুজ্জামান স্বপন- ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, (৩২) হাফিজুল্লাহ্- ৬ লক্ষ টাকা, (৩৩) দ্বীন মোহাম্মদ- ৬ লক্ষ টাকা, (৩৪) উজ্জ্বল- ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, (৩৫) ফয়সাল- ২৬ লক্ষ টাকা, (৩৬) হোসনে আরা- ৮ লক্ষ টাকা, (৩৭) মোঃ কবির হোসেনÑ ৬ লক্ষ টাকা ও (৩৮) আমিন- ১৮ লক্ষ টাকা।

প্রতারক সাইদুজ্জামান এর এই চক্রের আরো সদস্য হলেন (১) আয়েশা বেগম ও (২) সোহেল যারা সবই বর্তমানে ওয়েরেন্টভুক্ত আসামী। সাইদুজ্জামানকে ধরিয়ে দিতে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কারের ঘোষনা দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। এ প্রতারক চক্রের মূল হোতা সাইদুজ্জামানসহ তাদের সহকারীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবীর জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা।

ভিডিও নিউজের লিংক : https://www.facebook.com/Channel23info/videos

আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না মোদি: রাহুল গান্ধী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিউজ ডেস্কঃ


ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, উত্তর প্রদেশে ‘ইন্ডিয়া জোটের’ ঝড় আসছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদি। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।


কনৌজের এক জনসভায় ভাষণে রাহুল বলেন, ‘লিখে নিন, নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।’


কনৌজের আসন থেকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। 


ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা ‘ইন্ডিয়া ব্লক’ নামে নতুন জোট নিয়ে চলমান লোকসভা নির্বাচনে মাঠে নেমেছে। উত্তর প্রদেশ থেকে এই জোটে যোগ দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি।


ভাষণে বিরোধী জোটের বিষয়ে রাহুল বলেন, ‘ইন্ডিয়া ব্লকের ঝড় আসছে উত্তর প্রদেশে। রাজ্যে বিজেপি তার সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে।’


এসময় যাদব ও আদমি পার্টির (এএপি) নেতা সঞ্জয় সিংও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। আগামী ১৩ মে কনৌজে ভোট হবে।


আরও খবর



ভেস্তে গেল যুদ্ধবিরতির আলোচনা : রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image


ডেস্ক রিপোর্টঃ

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে।

চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তারা রাফা অঞ্চলে নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। এতে ওই অঞ্চল থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে।


শুক্রবার (১০ মে) বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।

এছাড়া নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


আরও খবর