Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

গোপালগঞ্জের কাজী মন্টু কলেজ এর নবীন বরন ও বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩৭৩জন দেখেছেন

Image

মাহাবুব সুলতান : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভাংগারহাট এলাকার ঐতিহ্যবাহী  বিদ্যাপীঠ কাজী মন্টু কলেজ এর নবীন বরন অনুষ্ঠান ২০২৩ ও প্রতিষ্ঠানের গৌরব ও ঐতিহ্যের ৩৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানটি হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় কাজী মন্টু কলেজের নিজস্ব মাঠে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।

নবাগত শিক্ষার্থীর বরন করে নিতে কলেজ কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে নানান আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীত ও কলেজর থিম সং এর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। পরে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরন করে নেন কলেজের শিক্ষকবৃন্দগন।

এসময় উদ্বোধক এবং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কাজী হাবিবা মাহমুদ মেরী, বিশেষ অতিথি বিমলেন্দু সরকার, মোঃ শাখাওয়াত হোসেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্বে করেন, সানিয়া মিলারা রিটা। নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের বরন করে নিতে কলেজের সকল শিক্ষকগন পরিচয় পর্বে উপস্থিত হন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,সম্মানিত অতিথি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সমর চাঁদ মৃধা খোকন, কলেজের গর্ভানিং বোডির সদস্য দেব দুলাল বসু পল্টু, মোঃ লুৎফর তালুকদার, গোলাম, মওলা, পূর্ন চন্দ্র হালদার, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল মোল্লা সহ কলেজের প্রাক্তন শীক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাজী অমিত মহমুদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গর্বের সাথে প্রতিবছর ভালো ফলাফল করে আসছে। আজকে তোমরা যারা নবীন আগামীতে তোমাদের হাত ধরেই এই প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে গণ্য হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তোমাদের শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় নয়, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তোমরাই হবে আগামীর দেশের কান্ডারী। গোপালগঞ্জের এই প্রথম কাজী মন্টু কলেজকে ডিজিটাল সফটওয়্যার এর আওতায় আনা হয়েছে।

নবাগত শিক্ষার্থীর বরন অনুষ্ঠান শেষে বিকালে কাজী মন্টু কলেজের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আগত বিভিন্ন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী উপভোগ করেন।


আরও খবর



আইলার ভয়াল দিনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।


বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।


ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।



আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।


এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


 অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।



প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করলো হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ জুন শূন্য হওয়া এই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিতর কথা ছিল।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেন আব্দুল হাই।

নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। পরে উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. নায়েব আলী জোয়ারদার‌।

তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২৯জন দেখেছেন

Image

সদরুল আইন:


কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।


আরও খবর

ফুসফুসে মাত্রাতিরিক্ত বাতাস

বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩




বিএনপির আরও ৫২ নেতাকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৬জন দেখেছেন

Image


সদরুল আইনঃ


দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়ায় আরও ৫২ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আছেন ১৭, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) ২৬ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দলটি। শুরুতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে তাদের কাছে। জবাব দিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হয়েছে তাদের।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩য় ধাপে ১১২টি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ৫২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত ১৯৩ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলো। তবে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে ফিরে আসায় কয়েকজনের বহিষ্কারাদেশ তুলেও নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করায় ৮০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে বহিষ্কার করা হয় ৬১ জনকে।

প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় বিএনপির ২৮ জন নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে জয়ী হন ৭ জন।

তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে। গত রবিবার ছিল এই ধাপের নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।

এ ৫২ জনের মধ্যে রংপুর বিভাগের ২২ জন। রাজশাহী বিভাগর আট জন। বরিশাল বিভাগে ৫ জন, ঢাকা বিভাগে চারজনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ১ জন।

ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ৭ জন, কুমিল্লায় ছয়জন, খুলনায় চারজন এবং চট্টগ্রামে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।


আরও খবর



বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকিতে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে জুলাই-জানুয়ারি সময়ে দেশের জাতীয় বাজেটের এক-তৃতীয়াংশের বেশি খরচ হয়েছে সুদ ও ভর্তুকি পরিশোধে। 


অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পুরো অর্থবছরের মোট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারিতে সরকার খরচ করেছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা।


 সুদ পরিশোধ ও ভর্তুকি বাবদ খরচ হয়েছে ৮৮ হাজার ২২৬ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩৬ শতাংশ। খরচ মেটাতে সরকার আরো বেশি ঋণ নিচ্ছে। কারণ কর আদায় আশানুরূপ বাড়ছে না। 


জিডিপির অংশ হিসেবে দেশের রাজস্ব বর্তমানে জিডিপির ৮.২ শতাংশ। সরকার বাজেট ঘাটতি মেটাতে দেশীয় ব্যাংকিং খাত, জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) বিক্রি ও বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভর করে।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সুদ মেটাতে হয়েছে ৬০ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধ ১৫ শতাংশ বেড়ে ৫১ হাজার ২১৩ কোটি টাকা হয়েছে। বিদেশি ঋণের বিপরীতে তা তিন গুণ বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।


 ট্রেজারি বন্ড বিক্রি থেকে পাওয়া টাকার খরচও বেশি। তাই সুদের খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জুনে ট্রেজারি বন্ডের মুনাফার হার ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যদিও সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বর্তমানে কম। এর বিপরীতে সুদের হার কমেছে। তবে অনেক সঞ্চয়পত্র ম্যাচিউর হয়েছে। অর্থাত্, এই খাতে সরকারের খরচ বেড়েছে।



আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, এলএনজি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ বেড়েছে। তাই গত অর্থবছর থেকে ভর্তুকিও বাড়ছে দ্রুতগতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ভর্তুকি ছিল ২৭ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে তা ছিল ২৬ হাজার ২১২ কোটি টাকা।


অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান ঋণ ও সুদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সুদ পরিশোধের হার বেড়েছে। বিদেশি ঋণের সুদের হার বেড়েছে। টাকার ক্রমাগত অবমূল্যায়নও খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রকৃত ভর্তুকি খরচ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। জ্বালানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় সব খরচ প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। কারণ বাড়তি বকেয়া পরিশোধ করতে হয়েছে।


চলতি অর্থবছরে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণ খুব বেশি বাড়েনি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৩৪ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ব্যাংকঋণ ২৩ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা।


সঞ্চয়পত্র বিক্রি কম হওয়ায় সরকারকে সঞ্চয়পত্র বাবদ বেশি খরচ করতে হচ্ছে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারিতে ৬ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা এবং গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ৩ হাজার ৩৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। 


কয়েক বছর আগেও সঞ্চয়পত্র ছিল সরকারের আয়ের প্রাথমিক উত্স। তবে সুদের হার কম ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমে গেছে। এদিকে গত জুলাই-জানুয়ারি রাজস্ব আদায় ১৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকায়।


 জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয় ১২.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। তবে এনবিআর-বহির্ভূত কর রাজস্ব ৩.৪ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সাত মাসে করবহির্ভূত রাজস্ব ২১ শতাংশ বেড়েছে ২৭ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা।


 গত সাত মাসে রাজস্ব বাজেট থেকে সরকার খরচ করেছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ৪০.২ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ৩৯.৭ শতাংশ। উন্নয়ন খরচ ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। এটি বরাদ্দের ২০ শতাংশ।


আরও খবর

ফের অস্থির ডিমের বাজার

শনিবার ১৮ মে ২০২৪