Logo
আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

হার্ট অ্যাটাক বা হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ২৫৬জন দেখেছেন

Image

স্বাস্থ্য ডেস্ক : আধুনিক জীবনযাত্রার পদ্ধতি, পরিবর্তিত খাদ্যভ্যাস, নিজের যত্ন নেওয়ার সময়ের অভাব শরীরে ডেকে আনে নানা অসুখ। বিশেষজ্ঞদের মতে, যত সময় গড়াচ্ছে তত বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছেন সবাই। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা অসুখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ওবেসিটি, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে হৃদ্‌রোগ। তবু হৃদ‌্‌রোগের বিষয় এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেই ধারণাই স্পষ্ট নয় অনেকের মধ্যে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো এমন একটি পরিস্থিতি, যখন হৃদ্‌পিণ্ড হঠাৎ করে শরীরে রক্ত সরবরাহ করা বন্ধ করে দেয়। হৃদ্‌পিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, এর ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞান হয়ে যান।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের উপসর্গ কী?

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের একাধিক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক অন্যতম। জন্মগত হার্টের সমস্যা বা যাদের হৃদ্‌যন্ত্রের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা রয়েছে, তাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি রয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সময়, রোগীরা হঠাৎ চেতনা হারিয়ে ফেলেন। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের আগে কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যেমন বুকে হালকা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তি বোধ করা এবং মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। তবে বেশির ভাগ মানুষই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার পরিণতি হয় মারাত্মক।

হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে তফাত কোথায়?

করোনারি ধমনীর মধ্যে যদি ব্লকেজ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে হৃদ্‌পিণ্ডে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদ‌যন্ত্র সম্পূর্ণভাবে কাজ করা বন্ধ করে না, তবে তার কাজ করার ক্ষমতা কমে আসে। অন্যদিকে, হঠাৎ করে যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ্‌স্পন্দন পুরোপুরি থেমে যায়, তাকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বলে। সাধারণ ভাষায় যাকে চিকিৎসকরা তাকে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকও বলে থাকেন। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। নিশ্বাস-প্রশ্বাসও বন্ধ হয়ে যায় তৎক্ষণাৎ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয়।

হার্ট অ্যাটাক হলেই যে রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তার কোনও মানে নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ কিন্তু হার্ট অ্যাটাক। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অন্যান্য অবস্থার কারণেও ঘটতে পারে, যেমন কার্ডিওমায়োপ্যাথি (পেশির রোগ) এবং ইলেক্ট্রোলাইট অস্বাভাবিকতা যা হৃদ্‌পিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে।

দিল্লির রাজীব গান্ধী হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. অজিত জৈন বলেছিলেন যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হার্ট অ্যাটাকের চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ট অ্যাটাকের পরেও একজন ব্যক্তির জীবন বাঁচানো যায়। ছোটখাটো হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কম। হার্টের ধমনীতে ব্লকেজের কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়, কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে হৃত্‍পিণ্ড হঠাৎ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ কারণে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং মস্তিষ্ক মৃত হয়ে যায়।

ডা. জৈন বলেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত তিন বছরে এ সমস্যা বাড়ছে। এমনকি কম বয়সে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যা মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

AIIMS-এর কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. মিলিন্দ ব্যাখ্যা করেছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। যদি একজন ব্যক্তি এই ৪টি সমস্যার সম্মুখীন হন তবে এইগুলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ। যেমন : হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, নাড়ি বন্ধ, ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে।

ডা. মিলিন্দ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পরপরই যদি কার্ডিওপালমোনারি রেজিস্ট্যান্স (সিপিআর) দেওয়া হয়, তাহলে রোগীর জীবন বাঁচানো যায়। সিপিআরে ব্যক্তির বুকের মাঝের অংশে ধাক্কা দিতে হয়। এক মিনিটে ১০০ বারের বেশি পুশ করা হয়। এতে করে হৃত্‍পিণ্ড আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং রোগী হাসপাতালে পৌঁছানো পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা পায়।


আরও খবর

ফুসফুসে মাত্রাতিরিক্ত বাতাস

বৃহস্পতিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩




১৪১ উপজেলায় ভোট কাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ২৪জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা গতকাল সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। এই ধাপের ১৪১ উপজেলায় আগামীকাল বুধবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 


এর মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। তিনটি পদে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। 


তবে ভোটের আগেই এই ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। 


এদিকে, আজ মঙ্গলবার প্রথম ধাপের ভোট নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।



ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৩২ ঘণ্টা পূর্বেই সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকে। সেই হিসেবে গতকাল রাত ১২টার পর থেকে প্রার্থীরা কোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। 


ভোটে মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধে হার্ডলাইনে ইসি। এ জন্য স্পিকারের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসারদের উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে।


 ইতিমধ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে ইসি। একইভাবে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের পুত্র আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের সন্ত্রাসী, অনৈতিক কার্যক্রম, মন্ত্রীর নাম ও ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা ভোটে হস্তক্ষেপের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইসি।


 গতকাল ইসি পাংশা উপজেলা নির্বাচনের রািটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।


ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে স্বাভাবিক এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া বিশেষ এলাকায় (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। 


এছাড়াও উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় দুই থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন। উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্ট গার্ড, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।


 ভোটকেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন মোট পাঁচ দিন নিয়োজিত থাকবেন।


আরও খবর

রাজধানীতে গ্রেফতার ২৩

সোমবার ১৩ মে ২০২৪




চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image


রাজনৈতিক প্রতিবেদক:


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন।

এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।

আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

১. শিক্ষামন্ত্রী:

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন।


বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন।

যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী:

গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।


বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে।

এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী:

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।

 

 


আরও খবর



আরও কমলো এলপি গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


ভোক্তা পর্যায়ে আরেক দফা কমানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২ মে) দাম কমানোর নতুন ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

 

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন জানান, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৪৪২ টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। মে মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।



এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয় এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর

রাজধানীতে গ্রেফতার ২৩

সোমবার ১৩ মে ২০২৪




ঢাকায় লোডশেডিং দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১৫জন দেখেছেন

Image



সদরুল আইনঃ


প্রয়োজনে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 


শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। 


বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম প্রতি মাসে কমবে বা বাড়বে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুতের দামও বছরে চারবার কমবে-বাড়বে। কারণ ধীরে ধীরে বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার।



নসরুল হামিদ আরও বলেন, সামনের হিটওয়েভের জন্য প্রস্তুতি আছে। সময়মতো অর্থের জোগান দেওয়া হলে কোনো সমস্যা হবে না। প্রয়োজন হলে ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় লোডশেডিং দেওয়া হবে।


তিনি আরও বলেন, তিতাসের পুরানো লাইন সংস্কারের পরিকল্পনা আছে। এই সংস্কার করানো গেলে গ্যাস নিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে। 


এছাড়া আগামী বছরের শেষ নাগাদ নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট দুটো থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। 



ডলারের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। 


আরও খবর

রাজধানীতে গ্রেফতার ২৩

সোমবার ১৩ মে ২০২৪




শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে বাংলাওয়াশের অপেক্ষায় টাইগাররা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

ক্রীড়া ডেস্ক:


প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। সুযোগ ছিল লিড বাড়ানোর। সেই সুযোগ বেশ ভালোই কাজে লাগিয়েছে টাইগাররা। 


পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ৫ রান হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চার ম্যাচের চারটিতে জয়ের পর জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে। 



শুক্রবার (১০ মে) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে এরপরই হয় ছন্দপতন। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৪২ রানে ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।



 

এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯ ওভার ৪ বলে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম ৩৭ বলে ৫২ ও ৩৪ বলে ৪১ রান করেন সৌম্য। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জঙ্গুয়ে নেন ৩টি উইকেট।  



 ১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার আগেই ব্রায়ান বেনেটের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।


২৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে ১০ বলে ১৭ রান করা রাজাকে আউট করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান।


দলীয় ৩২ রানে ১৩ বলে ১৪ রান করা মারুমানিকে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এরপর ক্যাম্পবেল ও ক্লাইভ মাদান্দে হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। দলীয় ৫৭ রানে ১৮ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাদান্দে।


এরপর ক্রিজে আসা রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ক্যাম্পবেল। ৩৭ রানের জুটি গড়েন ম্যাচ জমিয়ে তোলেন এই দুই ব্যাটার। এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। বার্ল ২০ বলে ১৯ ও লুক জঙ্গুয়ে ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। 


তবে একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান ক্যাম্পবেল। তবে দলীয় ১০৩ রানে ২৭ বলে ৩১ রান করা ক্যাম্পবেলকে আউট করে জিম্বাবুয়েকে প্রায় ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন সাকিব। তবে ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে দলকে জয়ের পথেই রাখেন। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১০ বলে ১১ রান করা ফারাজকে আউট করেন মোস্তাফিজ। 


শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৪ রান প্রয়োজন হয় জিম্বাবুয়ের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। প্রথম বলেই মাসাকাদজার ক্যাচ মিস করেন তানজিদ তামিম। দ্বিতীয় বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান ব্লেসিং মুজারবানি। 




চতুর্থ বলে মুজারবানিকে আউট করেন সাকিব। পরের বলে ক্রিজে আসা নাগারাভাকে আউট করে দলের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। ১৯ ওভার ৪ বলে ১৩৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। সাকিব ৪টি ও মোস্তাফিজ নেন ৩টি উইকেট।       




আরও খবর

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪